ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপের পর তিনি জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় কোনো অগ্রগতি নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুই বৈশ্বিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফোনে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের বাইরে এক বিমানঘাঁটিতে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তার সঙ্গে আমার আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ফোনালাপের পর পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যে সম্প্রতি কিয়েভে কিছু অস্ত্রশস্ত্রের সরবরাহ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে প্রসঙ্গে স্থান পায়নি।
অন্যদিকে ক্রেমলিনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বৃহস্পতিবারের ফোনালাপে ইউক্রেন সংঘাতের ‘মূল কারণগুলো’ সমাধানে মস্কো চাপ অব্যাহত রাখবে বলে ট্রাম্পকে পুনরায় জানিয়েছেন পুতিন।
একই দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ডেনমার্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি শুক্রবারের মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ স্থগিত নিয়ে কথা বলার ব্যাপারে আশাবাদী। নিজেদের মজুত কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেনে কিছু অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ স্থগিত রাখছে, গত সপ্তাহেই প্রথম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।
আইওয়ার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছাড়ার সময় ট্রাম্পের বক্তব্যেও এ প্রসঙ্গ উঠ্র আসে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রশস্ত্রের প্রবাহ পুরোপুরি স্থগিত করেনি। আগের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দোষ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আগের প্রেসিডেন্ট এত অস্ত্র ইউক্রেনকে পাঠিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, আমরা অনেক অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছি। এখনো অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি, তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। আপনারা জানেন, বাইডেন তাদের অস্ত্র দিতে গিয়ে আমাদের পুরো দেশ খালি করে দিয়েছিলেন। এখন আগে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে, নিজেদের জন্য যথেষ্ট অস্ত্র আমাদের রয়েছে।
কূটনৈতিক তৎপরতায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য পুতিনকে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় টেনে আনতে ট্রাম্পের ওপর রিপাবলিকান সংসদ সদস্যদের চাপ বাড়ছে। তবে এ যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের চেষ্টা কার্যত থমকে আছে।
পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই কিয়েভের উত্তরাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুই নেতার ফোনালাপের কোনো প্রভাব পড়েনি।
এদিকে পুতিন বারবারই অত্যন্ত জোর দিয়ে বলে আসছেন, ইউক্রেনে তার অভিযান তখনই বন্ধ হবে, যখন সংঘাতের ‘মূল কারণগুলো’ সমাধানে সবাই গুরুত্ব দেবে। এই মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে— ন্যাটোর বিস্তৃতি ও ইউক্রেনকে পশ্চিমা সহায়তা বন্ধ করা। ইউক্রেইন কখনো ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না— মস্কো এমন নিশ্চয়তাও চায়।
পুতিন ইউক্রেন ও অন্যান্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান বলে আশঙ্কা ন্যাটো নেতাদের।
এদিকে ক্রেমলিনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উশাকভ বলেছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হলেও কোনো শান্তি আলোচনা হলে তা কেবল মস্কো ও কিইভের মধ্যেই হতে হবে। সম্ভাব্য যেকোনো শান্তি আলোচনায় মস্কো অন্য কারও উপস্থিতি মেনে নিতে রাজি নয়— এমন ইঙ্গিতের মধ্যেই তিনি এমন মন্তব্য করলেন।
এর আগে ইস্তাম্বুলে জুনের শুরুতে এমন এক বৈঠকে রুশ কর্মকর্তারা মার্কিন কূটনীতিকদের কক্ষ ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ফোনালাপের পর তিনি জানান, ইউক্রেনের সঙ্গে রাশিয়ার চলমান যুদ্ধ বন্ধের চেষ্টায় কোনো অগ্রগতি নেই।
বার্তা সংস্থা রয়টার্সের খবরে বলা হয়েছে, বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) দুই বৈশ্বিক পরাশক্তি যুক্তরাষ্ট্র ও রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ফোনে প্রায় এক ঘণ্টা কথা বলেন।
পুতিনের সঙ্গে ফোনালাপ প্রসঙ্গে বৃহস্পতিবার ওয়াশিংটনের বাইরে এক বিমানঘাঁটিতে ট্রাম্প সাংবাদিকদের বলেন, তার সঙ্গে আমার আলোচনায় কোনো অগ্রগতি হয়নি।
ফোনালাপের পর পুতিনের সহযোগী ইউরি উশাকভ জানিয়েছেন, দুই নেতার মধ্যে আলোচনায় যুক্তরাষ্ট্র যে সম্প্রতি কিয়েভে কিছু অস্ত্রশস্ত্রের সরবরাহ স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সে প্রসঙ্গে স্থান পায়নি।
অন্যদিকে ক্রেমলিনের এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেছেন, বৃহস্পতিবারের ফোনালাপে ইউক্রেন সংঘাতের ‘মূল কারণগুলো’ সমাধানে মস্কো চাপ অব্যাহত রাখবে বলে ট্রাম্পকে পুনরায় জানিয়েছেন পুতিন।
একই দিন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ডেনমার্কে সাংবাদিকদের বলেছেন, তিনি শুক্রবারের মধ্যেই ট্রাম্পের সঙ্গে অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ স্থগিত নিয়ে কথা বলার ব্যাপারে আশাবাদী। নিজেদের মজুত কমে যাওয়ায় যুক্তরাষ্ট্র যে ইউক্রেনে কিছু অস্ত্রশস্ত্র সরবরাহ স্থগিত রাখছে, গত সপ্তাহেই প্রথম এ সংক্রান্ত খবর প্রকাশিত হয়।
আইওয়ার উদ্দেশে ওয়াশিংটন ছাড়ার সময় ট্রাম্পের বক্তব্যেও এ প্রসঙ্গ উঠ্র আসে। তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্র অস্ত্রশস্ত্রের প্রবাহ পুরোপুরি স্থগিত করেনি। আগের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দোষ দিয়ে ট্রাম্প বলেন, আগের প্রেসিডেন্ট এত অস্ত্র ইউক্রেনকে পাঠিয়েছিলেন যে যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে পড়ার ঝুঁকি দেখা দিয়েছিল।
ট্রাম্প বলেন, আমরা অনেক অস্ত্রশস্ত্র দিয়েছি। এখনো অস্ত্র দিয়ে যাচ্ছি। আমরা তাদের সঙ্গে কাজ করছি, তাদের সাহায্য করার চেষ্টা করছি, কিন্তু পারছি না। আপনারা জানেন, বাইডেন তাদের অস্ত্র দিতে গিয়ে আমাদের পুরো দেশ খালি করে দিয়েছিলেন। এখন আগে আমাদের নিশ্চিত হতে হবে, নিজেদের জন্য যথেষ্ট অস্ত্র আমাদের রয়েছে।
কূটনৈতিক তৎপরতায় রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ থামানোর জন্য পুতিনকে যুদ্ধবিরতির আলোচনায় টেনে আনতে ট্রাম্পের ওপর রিপাবলিকান সংসদ সদস্যদের চাপ বাড়ছে। তবে এ যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের বর্তমান প্রশাসনের চেষ্টা কার্যত থমকে আছে।
পুতিন-ট্রাম্প ফোনালাপ শেষ হওয়ার এক ঘণ্টার মধ্যেই কিয়েভের উত্তরাঞ্চলের একটি অ্যাপার্টমেন্ট ভবনে আগুন দেখা যায়। ধারণা করা হচ্ছে, সেখানে রাশিয়া ড্রোন হামলা চালিয়েছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তাদের ভাষ্য, যুদ্ধ পরিস্থিতিতে দুই নেতার ফোনালাপের কোনো প্রভাব পড়েনি।
এদিকে পুতিন বারবারই অত্যন্ত জোর দিয়ে বলে আসছেন, ইউক্রেনে তার অভিযান তখনই বন্ধ হবে, যখন সংঘাতের ‘মূল কারণগুলো’ সমাধানে সবাই গুরুত্ব দেবে। এই মূল কারণগুলোর মধ্যে রয়েছে— ন্যাটোর বিস্তৃতি ও ইউক্রেনকে পশ্চিমা সহায়তা বন্ধ করা। ইউক্রেইন কখনো ন্যাটোতে যোগ দিতে পারবে না— মস্কো এমন নিশ্চয়তাও চায়।
পুতিন ইউক্রেন ও অন্যান্য পূর্ব ইউরোপীয় দেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করতে চান বলে আশঙ্কা ন্যাটো নেতাদের।
এদিকে ক্রেমলিনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা উশাকভ বলেছেন, রাশিয়া যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে কথাবার্তা চালিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে আগ্রহী হলেও কোনো শান্তি আলোচনা হলে তা কেবল মস্কো ও কিইভের মধ্যেই হতে হবে। সম্ভাব্য যেকোনো শান্তি আলোচনায় মস্কো অন্য কারও উপস্থিতি মেনে নিতে রাজি নয়— এমন ইঙ্গিতের মধ্যেই তিনি এমন মন্তব্য করলেন।
এর আগে ইস্তাম্বুলে জুনের শুরুতে এমন এক বৈঠকে রুশ কর্মকর্তারা মার্কিন কূটনীতিকদের কক্ষ ছেড়ে যেতে অনুরোধ করেছিলেন বলেও জানিয়েছেন ইউক্রেনের কর্মকর্তারা।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অভিবাসনবিরোধী অভিযান পরিচালনার জন্য বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) এসব সেনা মোতায়েন করা হয়। এসব সেনা ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট সংস্থাকে সহায়তা করবে।
৯ ঘণ্টা আগেজার্মানির বায়ার্ন অঞ্চলের পুলিশ জানিয়েছে, যাত্রীবেশে ওই হামলাকারী চলন্ত ট্রেনের ভেতরে কয়েকজনকে আঘাত করেন। এতে পুরো ট্রেনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ট্রেনটিতে প্রায় ৫০০ যাত্রী ছিলেন।
৯ ঘণ্টা আগেপোস্টে ট্রাম্প একটি সংবাদ প্রতিবেদনের লিংকও শেয়ার করেছেন। এতে বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের একটি আবাসন নিয়ন্ত্রক সংস্থা দাবি করেছে, পাওয়েলের বিরুদ্ধে তদন্ত হওয়া উচিত। কারণ তিনি ফেডারেল রিজার্ভের ওয়াশিংটন সদরদপ্তরের সংস্কার কাজ নিয়ে ভুল তথ্য দিয়েছেন।
১ দিন আগে