ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সাম্প্রতিক ‘অধিক মাত্রার উসকানিমূলক’ মন্তব্যের জবাবে এ পদক্ষেপ নেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভের সাম্প্রতিক অধিক মাত্রার উসকানিমূলক বিবৃতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমি উপযুক্ত জায়গায় দু’টি পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি।”
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, একই সঙ্গে মন্তব্য করার সময় শব্দ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মেদভেদেভকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন ট্রাম্প।
মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার আগে দুই মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একান্ত আস্থাভাজন এই রুশ রাজনীতিক তীব্রভাবে পশ্চিমা বিশ্ববিরোধী হিসেবে পরিচিত।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বেশ কয়েক বার যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে তীব্র সমালোচনামূলক মন্তব্য পোস্ট করেছেন মেদভেদেভ।
গত মাসের মাঝামাঝি ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছেন তিনি। পরে গত সপ্তাহে আল্টিমেটামের মেয়াদ কমিয়ে ১০-১২ দিনে নামিয়ে আনেন।
ট্রাম্পের নতুন আল্টিমেটাম ঘোষণার পর যথারীতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেন মেদভেদেভ।
এক এক্সবার্তায় রুশ নিরাপত্তা সংস্থার উপ-প্রধান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে আল্টিমেটাম-আল্টিমেটাম খেলা খেলতে চাইছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এসব নাটুকেপনাকে পাত্তা দেওয়ার সময় রাশিয়ার নেই। সেই সঙ্গে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— প্রতিটি নতুন আল্টিমেটামের অর্থ হলো সম্ভাব্য যুদ্ধের (রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র) দিকে এক পা করে এগিয়ে যাওয়া।”
শুক্রবারের ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে মেদভেদেভকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, “আমি তাকে বলতে চাই, নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য-বিবৃতির ফলাফল তার ধারণার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ শব্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই শব্দ প্রায়শই আমাদের অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতির দিকে চালিত করতে পারে। আমি আশা করছি, আমাদের মধ্যে এমন কিছু ঘটবে না।”
পরে একই দিন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “একটা হুমকি এসেছে এবং আমাদের কাছে এটি ভালো মনে হয়নি। তাই সাবধানতার জন্যই আমাকে এই নির্দেশ দিতে হয়েছে।”
“মার্কিন জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই আমাকে পরমাণুবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিতে হয়েছে। কারণ যে হুমকির ভিত্তিতে আমার এ পদক্ষেপ, সেটি দিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আমরা নিশ্চিতভাবেই আমাদের জনগণকে রক্ষা করব।”
সামরিক প্রটোকলের কারণে ঠিক কোথায় কিংবা রাশিয়ার জলসীমা থেকে কত দূরে সাবমেরিন দু’টি মোতায়েন করা হয়েছে— সে তথ্য প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তবে সাবমেরিনগুলো যে নির্দেশ পেলেই যেকোনো সময় আঘাত হানতে প্রস্তুত— তা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন থেকে এখনও এ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পর রাশিয়ার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।
রাশিয়ার কাছাকাছি দুটি পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট দিমিত্রি মেদভেদেভের সাম্প্রতিক ‘অধিক মাত্রার উসকানিমূলক’ মন্তব্যের জবাবে এ পদক্ষেপ নেন তিনি।
গতকাল শুক্রবার (১ আগস্ট) নিজের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ট্রুথ সোশ্যালে পোস্ট করা এক বার্তায় ট্রাম্প বলেন, “রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং বর্তমানে রাশিয়ান ফেডারেশনের নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ-প্রধান দিমিত্রি মেদভেদেভের সাম্প্রতিক অধিক মাত্রার উসকানিমূলক বিবৃতির প্রতিক্রিয়া হিসেবে আমি উপযুক্ত জায়গায় দু’টি পরমাণু অস্ত্রবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিয়েছি।”
ব্রিটিশ গণমাধ্যম বিবিসির খবরে বলা হয়, একই সঙ্গে মন্তব্য করার সময় শব্দ বাছাইয়ের ক্ষেত্রে মেদভেদেভকে সতর্ক হওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন ট্রাম্প।
মেদভেদেভ ২০০৮ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ছিলেন। তার আগে দুই মেয়াদে দেশটির প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের একান্ত আস্থাভাজন এই রুশ রাজনীতিক তীব্রভাবে পশ্চিমা বিশ্ববিরোধী হিসেবে পরিচিত।
ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ ইস্যুতে বেশ কয়েক বার যুক্তরাষ্ট্র ও মার্কিন প্রেসিডেন্টকে লক্ষ্য করে তীব্র সমালোচনামূলক মন্তব্য পোস্ট করেছেন মেদভেদেভ।
গত মাসের মাঝামাঝি ট্রাম্প ঘোষণা করেন, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের জন্য রাশিয়াকে ৫০ দিনের আল্টিমেটাম দিচ্ছেন তিনি। পরে গত সপ্তাহে আল্টিমেটামের মেয়াদ কমিয়ে ১০-১২ দিনে নামিয়ে আনেন।
ট্রাম্পের নতুন আল্টিমেটাম ঘোষণার পর যথারীতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে তাকে তীব্রভাবে কটাক্ষ করেন মেদভেদেভ।
এক এক্সবার্তায় রুশ নিরাপত্তা সংস্থার উপ-প্রধান বলেন, “যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প রাশিয়ার সঙ্গে আল্টিমেটাম-আল্টিমেটাম খেলা খেলতে চাইছেন। মার্কিন প্রেসিডেন্টের এসব নাটুকেপনাকে পাত্তা দেওয়ার সময় রাশিয়ার নেই। সেই সঙ্গে আমরা পরিষ্কারভাবে বলতে চাই— প্রতিটি নতুন আল্টিমেটামের অর্থ হলো সম্ভাব্য যুদ্ধের (রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র) দিকে এক পা করে এগিয়ে যাওয়া।”
শুক্রবারের ট্রুথ সোশ্যালের পোস্টে মেদভেদেভকে উদ্দেশ্য করে ট্রাম্প বলেন, “আমি তাকে বলতে চাই, নির্বুদ্ধিতাপূর্ণ ও উসকানিমূলক বক্তব্য-বিবৃতির ফলাফল তার ধারণার চেয়েও বেশি বিপজ্জনক হতে পারে। কারণ শব্দ খুবই গুরুত্বপূর্ণ এবং এই শব্দ প্রায়শই আমাদের অনাকাঙিক্ষত পরিস্থিতির দিকে চালিত করতে পারে। আমি আশা করছি, আমাদের মধ্যে এমন কিছু ঘটবে না।”
পরে একই দিন হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের ট্রাম্প বলেন, “একটা হুমকি এসেছে এবং আমাদের কাছে এটি ভালো মনে হয়নি। তাই সাবধানতার জন্যই আমাকে এই নির্দেশ দিতে হয়েছে।”
“মার্কিন জনগণের নিরাপত্তার স্বার্থেই আমাকে পরমাণুবাহী সাবমেরিন মোতায়েনের নির্দেশ দিতে হয়েছে। কারণ যে হুমকির ভিত্তিতে আমার এ পদক্ষেপ, সেটি দিয়েছেন রাশিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট এবং আমরা নিশ্চিতভাবেই আমাদের জনগণকে রক্ষা করব।”
সামরিক প্রটোকলের কারণে ঠিক কোথায় কিংবা রাশিয়ার জলসীমা থেকে কত দূরে সাবমেরিন দু’টি মোতায়েন করা হয়েছে— সে তথ্য প্রকাশ করেননি ট্রাম্প। তবে সাবমেরিনগুলো যে নির্দেশ পেলেই যেকোনো সময় আঘাত হানতে প্রস্তুত— তা জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।
এদিকে, রাশিয়ার প্রেসিডেন্টের দপ্তর ক্রেমলিন থেকে এখনও এ প্রসঙ্গে কোনো প্রতিক্রিয়া জানানো হয়নি। তবে রুশ সংবাদমাধ্যমগুলোর বরাতে জানা গেছে, ট্রুথ সোশ্যালে ট্রাম্প সাবমেরিন মোতায়েনের ঘোষণা দেওয়ার পর রাশিয়ার শেয়ারবাজারে ব্যাপক দরপতন হয়েছে।
‘আমরা অপেক্ষা করব ভারত বাঁধ তৈরি করুক, আর তৈরি করলেই দশটি মিসাইল দিয়ে ধ্বংস করব। ইন্দুস নদী ভারতীয়দের পারিবারিক সম্পত্তি নয়… আমাদের মিসাইলের কোনো অভাব নেই, আলহামদুলিল্লাহ।’
১৩ ঘণ্টা আগেমধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বন্ধ করে গাজায় চলমান সংকট ও দুর্ভোগ দূর করার সবচেয়ে কার্যকর উপায় হলো দুই রাষ্ট্রের সমাধান, যা মানবতার জন্য একমাত্র আশার আলো।
১৪ ঘণ্টা আগে