
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি পাকিস্তানকে ‘অনন্য উচ্চতায়’ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি তিনি বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সেনাপ্রধান মুনিরকে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দেন। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে এই নতুন ব্যবস্থা তৈরি করে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা— চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ)-এর হাতে চলে এলো।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য পাকিস্তান সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১)-এ বলা হয়, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন..., তার মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তার ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন আসিম মুনির। গত মে মাসে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পান এই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষের দিকে তার সেনাপ্রধানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংবিধান সংশোধন করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রধান নামে নতুন একটি পদ তৈরি করে আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

পাকিস্তানের সেনাপ্রধান ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে তিন বাহিনীর প্রথম প্রধান বা চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগ দিয়েছে দেশটির সরকার। নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি পাকিস্তানকে ‘অনন্য উচ্চতায়’ নেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় আওয়াইন-ই-সদরে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক ঘরোয়া আলাপে তিনি তিনি বলেন, ‘সবই তো ঠিক আছে, আপনাদের চোখের সামনেই সব। অবস্থার উন্নতি হচ্ছে, আর এখন থেকে পাকিস্তান আরও অনন্য উচ্চতায় পৌঁছাবে।’
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডনের খবরে বলা হয়েছে, প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের পরামর্শক্রমে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি সেনাপ্রধান মুনিরকে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ) হিসেবে নিয়োগের অনুমোদন দেন। সত্তরের দশকের পর দেশটির সামরিক কমান্ডে এটি হলো সবচেয়ে বড় ও ব্যাপক পরিবর্তন।
পাকিস্তানের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘প্রেসিডেন্ট আসিফ আলী জারদারি ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য সেনাপ্রধানের (সিওএএস) সঙ্গে সমান্তরালভাবে সিডিএফ হিসেবেও নিয়োগে অনুমোদন দিয়েছেন।’
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর থেকে বলা হয়, ‘প্রধানমন্ত্রী ফিল্ড মার্শাল সৈয়দ আসিম মুনিরকে সেনাবাহিনীর প্রধান এবং চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবে নিয়োগের সারসংক্ষেপ প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ে পাঠিয়েছেন।’
পাকিস্তানের সংবিধানের ২৭তম সংশোধনীতে ২৪৩ অনুচ্ছেদের পরিবর্তনের মাধ্যমে এই নতুন ব্যবস্থা তৈরি করে একটি অফিসের অধীনে সশস্ত্র বাহিনীর অপারেশনাল, প্রশাসনিক ও কৌশলগত ক্ষমতাকে একত্র করা হয়েছে। সংশোধিত ২৪৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট সেনাপ্রধানকে নিয়োগ করবেন, যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হিসেবেও কাজ করবেন।
এই সংশোধনীর মাধ্যমে ১৯৭৬ সাল থেকে চালু থাকা তিন বাহিনীর সমন্বয় ব্যবস্থা— চেয়ারম্যান জয়েন্ট চিফস অব স্টাফ কমিটির (সিজেসিএসসি) অফিস বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে যৌথ কমান্ডের ইন্টিগ্রেশন চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস (সিডিএফ)-এর হাতে চলে এলো।
সাংবিধানিক এই আমূল পরিবর্তনকে সামরিক বাহিনীর আইনি কাঠামোর মধ্যে আনার জন্য পাকিস্তান সরকার ২৭তম সংশোধনীর পরপরই ১৯৫২ সালের পাকিস্তান আর্মি অ্যাক্টেও (পিএএ) সংশোধন আনে। পিএএর ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (১)-এ বলা হয়, ‘প্রথমবারের মতো সেনাবাহিনীর প্রধান যিনি একই সঙ্গে চিফ অব ডিফেন্স ফোর্সেস হবেন..., তার মেয়াদ এই ধারার অধীনে ওই পদের বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে শুরু হবে।’
আরও বলা হয়েছে, এই প্রথম সিওএএসসহ-সিডিএফের বিজ্ঞপ্তি জারি হলে ‘বর্তমান সেনাপ্রধানের বিদ্যমান মেয়াদ ওই বিজ্ঞপ্তির তারিখ থেকে পুনরায় শুরু হয়েছে বলে গণ্য হবে।’ ৮এ অনুচ্ছেদের উপধারা (৩) অনুযায়ী, সিওএএস যিনি একই সঙ্গে সিডিএফেরও দায়িত্বে থাকবেন, তার ‘শর্তাবলি ও নিয়ম’ প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শক্রমে প্রেসিডেন্ট নির্ধারণ করবেন।
প্রসঙ্গত, ২০২২ সালের ২৯ নভেম্বর ১৭তম সেনাপ্রধান হিসেবে দায়িত্ব নিয়েছিলেন আসিম মুনির। গত মে মাসে ভারতের বিরুদ্ধে যুদ্ধের পর ফিল্ড মার্শাল পদে পদোন্নতি পান এই শীর্ষ সেনা কর্মকর্তা। চলতি বছরের শেষের দিকে তার সেনাপ্রধানের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা থাকলেও সংবিধান সংশোধন করে পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর প্রধান নামে নতুন একটি পদ তৈরি করে আসিম মুনিরকে পাঁচ বছরের জন্য নিয়োগ দেয়া হয়েছে।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর আহ্বানে ২৩তম ভারত-রাশিয়া বার্ষিক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার দিল্লি আসছেন ভ্লাদিমির পুতিন।
১ দিন আগে
এই ব্যস্ত সফরসূচি ঘিরে অতিসতর্ক অবস্থানে রয়েছে দিল্লি। সূত্র জানায়, তার আগমনের আগে রাশিয়ার চার ডজনেরও বেশি শীর্ষ নিরাপত্তাকর্মী দিল্লিতে এসে পৌঁছেছেন। দিল্লি পুলিশ ও এনএসজি সদস্যদের সঙ্গে তারা পুতিনের সম্ভাব্য যাতায়াতপথগুলো পর্যায়ক্রমে পরীক্ষা ও নিরাপদ করছেন।
২ দিন আগে
তিন সপ্তাহের বেশি সময় ধরে পাকিস্তানের কারাবন্দি সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হচ্ছিল না তার স্বজন ও দলীয় নেতাকর্মীদের। এর মধ্যে তার মৃত্যুর গুঞ্জনও উঠেছিল। শেষ পর্যন্ত বোন ড. উজমা খানকে সাক্ষাৎ করতে দেওয়া হয়েছে ইমরান খানের সঙ্গে।
২ দিন আগে