কলকাতা প্রতিনিধি
ভারতের সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে ওয়াকফ বিল। তবে বিলটিকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে নানামুখী প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি বিলটি ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করার ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস। এর আগে তামিলনাডুর ডিএকেও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) গভীর রাতে লোকসভায় পাস হওয়ার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় বহুল আলোচিত ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’।
এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেই বদলে যাবে ৭০ বছরের পুরনো ওয়াকফ আইন। তবে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিরোধী দলগুলো বলছে, বিলটির আইনে পরিণত হওয়া সহজ হবে না। ভারত জুড়ে মুসলিমরাও এই আইনের সংশোধনী নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করছেন।
সংসদে ওয়াকফ বিল পাস হওয়াকে ‘এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে থাইল্যান্ড থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস হওয়ার ঘটনা আর্থসামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত। এতদিন যারা প্রান্তিক ও বঞ্চিত ছিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন আইন তাদের সাহায্য করবে।
বিরোধীরা এই বিলকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি মুসলিমদের অধিকার হরণকারী বলেও অভিযোগ করেছেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন এই বিলের মাধ্যমে ‘সংবিধানের ওপর আক্রমণ’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
এই বিলের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ডিএমকে প্রধান। বৃহস্পতিবার স্ট্যালিন জানিয়েছেন, এই বিলকে চ্যালেঞ্জ করে তার দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ঘোষণা করেন, কংগ্রেস শিগগিরই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভারতের সংবিধানে থাকা নীতি, বিধান ও অনুশীলনের ওপর মোদি সরকারের সব আক্রমণ প্রতিহত করে যাব।’
সরকারের পাস করা আগের বিলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আইনি লড়াই তুলে ধরে জয়রাম রমেশ আরও বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫-এর ২০১৯ সালের সংশোধনী নিয়ে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের শুনানি এখনো চলছে সুপ্রিম কোর্টে। নির্বাচন পরিচালনা বিধি (২০২৪)-এর সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের শুনানিও সুপ্রিম কোর্টে চলছে। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের অক্ষর ও চেতনাকে সমুন্নত রাখতে কংগ্রেসের হস্তক্ষেপের শুনানিও সুপ্রিম কোর্টে চলছে।
ভারতের বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যেকোনো সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার এত দিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বারবার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি সরকার।
সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার হাতে।
পাশাপাশি আপত্তি উঠেছে নতুন বিলে ওয়াকফ বোর্ডে দুই অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বন্দোবস্ত নিয়েও। এ ছাড়া রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব।
বর্তমান আইনে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের ৭ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া লাগত। নতুন সংশোধনীতে তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। কোনো ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান এক লাখের বেশি আয় করলে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কোনো অডিটর দিয়ে যাচাই করাতে হবে।
ভারতের সংসদের দুই কক্ষেই পাস হয়েছে ওয়াকফ বিল। তবে বিলটিকে ‘বিতর্কিত’ আখ্যা দিয়ে নানামুখী প্রশ্ন তুলেছে বিরোধীরা। এমনকি বিলটি ভারতীয় সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে অভিহিত করে সুপ্রিম কোর্টে মামলা দায়ের করার ঘোষণা দিয়েছে কংগ্রেস। এর আগে তামিলনাডুর ডিএকেও আদালতে যাওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বুধবার (২ এপ্রিল) গভীর রাতে লোকসভায় পাস হওয়ার পর বৃহস্পতিবার গভীর রাতে সংসদের উচ্চকক্ষ রাজ্যসভায় পাস হয় বহুল আলোচিত ‘ওয়াকফ (সংশোধনী) বিল, ২০২৫’।
এবার রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু সই করলেই বদলে যাবে ৭০ বছরের পুরনো ওয়াকফ আইন। তবে আদালতে যাওয়ার ঘোষণা দিয়ে বিরোধী দলগুলো বলছে, বিলটির আইনে পরিণত হওয়া সহজ হবে না। ভারত জুড়ে মুসলিমরাও এই আইনের সংশোধনী নিয়ে তীব্র বিরোধিতা করছেন।
সংসদে ওয়াকফ বিল পাস হওয়াকে ‘এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত’ বলে বর্ণনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। শুক্রবার সকালে থাইল্যান্ড থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক পোস্টে মোদি লিখেছেন, সংসদের দুই কক্ষে ওয়াকফ সংশোধনী বিল পাস হওয়ার ঘটনা আর্থসামাজিক ন্যায়বিচার, স্বচ্ছতা, সামগ্রিক উন্নয়নের লক্ষ্যে এক অভূতপূর্ব মুহূর্ত। এতদিন যারা প্রান্তিক ও বঞ্চিত ছিলেন, ওয়াকফ সংক্রান্ত নতুন আইন তাদের সাহায্য করবে।
বিরোধীরা এই বিলকে অসাংবিধানিক আখ্যা দেওয়ার পাশাপাশি মুসলিমদের অধিকার হরণকারী বলেও অভিযোগ করেছেন। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী তথা ডিএমকে প্রধান এমকে স্ট্যালিন এই বিলের মাধ্যমে ‘সংবিধানের ওপর আক্রমণ’ করা হয়েছে বলে দাবি করেছেন।
এই বিলের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নষ্ট করার চেষ্টা হয়েছে বলেও অভিযোগ করেছেন ডিএমকে প্রধান। বৃহস্পতিবার স্ট্যালিন জানিয়েছেন, এই বিলকে চ্যালেঞ্জ করে তার দল সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হবে।
শুক্রবার কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ ঘোষণা করেন, কংগ্রেস শিগগিরই ওয়াকফ (সংশোধনী) বিলের সাংবিধানিক বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন করবে। এক্স হ্যান্ডেলের পোস্টে তিনি লিখেছেন, ‘আমরা আত্মবিশ্বাসী যে ভারতের সংবিধানে থাকা নীতি, বিধান ও অনুশীলনের ওপর মোদি সরকারের সব আক্রমণ প্রতিহত করে যাব।’
সরকারের পাস করা আগের বিলের বিরুদ্ধে কংগ্রেসের আইনি লড়াই তুলে ধরে জয়রাম রমেশ আরও বলেন, তথ্য জানার অধিকার আইন, ২০০৫-এর ২০১৯ সালের সংশোধনী নিয়ে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের শুনানি এখনো চলছে সুপ্রিম কোর্টে। নির্বাচন পরিচালনা বিধি (২০২৪)-এর সংশোধনীর বৈধতা নিয়ে কংগ্রেসের চ্যালেঞ্জের শুনানিও সুপ্রিম কোর্টে চলছে। ১৯৯১ সালের উপাসনাস্থল আইনের অক্ষর ও চেতনাকে সমুন্নত রাখতে কংগ্রেসের হস্তক্ষেপের শুনানিও সুপ্রিম কোর্টে চলছে।
ভারতের বর্তমান ওয়াকফ আইনের ৪০ নম্বর ধারা অনুযায়ী, যেকোনো সম্পত্তিকে ওয়াকফ হিসাবে ঘোষণার অধিকার এত দিন ছিল ওয়াকফ বোর্ডের হাতেই। ফলে ওয়াকফ বোর্ডের বিরুদ্ধে বারবার বহু গরিব মুসলিমের সম্পত্তি, অন্য ধর্মাবলম্বীদের ব্যক্তির সম্পত্তি অধিগ্রহণের অভিযোগ তুলেছে বিজেপি সরকার।
সংশোধনীতে ওয়াকফ বোর্ডের সেই একচ্ছত্র অধিকার কেড়ে নিয়ে কোনো সম্পত্তি ওয়াকফ কি না, সেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষমতা দেওয়া হবে জেলাশাসক বা সমপদমর্যাদার কোনো কর্মকর্তার হাতে।
পাশাপাশি আপত্তি উঠেছে নতুন বিলে ওয়াকফ বোর্ডে দুই অমুসলিম সদস্যের অন্তর্ভুক্তির বন্দোবস্ত নিয়েও। এ ছাড়া রয়েছে একটি কেন্দ্রীয় পোর্টালের মাধ্যমে ওয়াকফ সম্পত্তির নথিভুক্তিকরণ নিয়ন্ত্রণ করার প্রস্তাব।
বর্তমান আইনে ওয়াকফ প্রতিষ্ঠানগুলোকে তাদের আয়ের ৭ শতাংশ বাধ্যতামূলকভাবে ওয়াকফ বোর্ডকে দেওয়া লাগত। নতুন সংশোধনীতে তা কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। কোনো ওয়াকফ প্রতিষ্ঠান এক লাখের বেশি আয় করলে তাদের আয়-ব্যয়ের হিসাব রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতা পাওয়া কোনো অডিটর দিয়ে যাচাই করাতে হবে।
সিরিয়ার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের কঠোর আর্থিক নিষেধাজ্ঞা বহুদিন ধরে বলবৎ ছিল। এর অনেকগুলো ২০১১ সালে শুরু হওয়া গৃহযুদ্ধেরও আগে থেকে আরোপিত।
১৪ ঘণ্টা আগেসার্কের সূচনার পেছনে রয়েছে দীর্ঘ প্রস্তুতি, নানা রাজনৈতিক সমঝোতা এবং কিছু সাহসী কূটনৈতিক উদ্যোগ।
১ দিন আগেইরানের পরমাণু সমৃদ্ধকরণ কখনোই বন্ধ হবে না বলে দাবি করেছেন জাতিসংঘে দেশটির রাষ্ট্রদূত আমির-সাঈদ ইরাভানি। তিনি বলেন, পরমাণু অস্ত্রবিস্তাররোধ চুক্তির অধীনে শান্তিপূর্ণ জ্বালানির উদ্দেশ্যে তাদের এই প্রকল্প অনুমোদিত।
১ দিন আগেবাংলাদেশকে সঙ্গে নিয়ে সার্কের বিকল্প জোট তৈরির উদ্যোগ নিয়েছে পাকিস্তান ও চীন। এ বিষয়ে ইসলামাবাদ ও বেইজিংয়ের মধ্যে আলোচনা অনেকটাই এগিয়েছে। দুই পক্ষই মনে করছে, আঞ্চলিক সংহতি ও যোগাযোগ বাড়ানোর জন্য এখনই একটি নতুন সংগঠন তৈরি করা জরুরি।
১ দিন আগে