
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

মিয়ানমারে সৃষ্ট সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১০০২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া এই ভূমিকম্পের প্রভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও সাতজনের মৃত্যু হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
গতকালের ওই ভূমিকম্পের হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ২০২১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করা সামরিক জান্তা দেশটির সাগাইং, ম্যান্ডালে, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। অনেক মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
পাশাপাশি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসি বার্মিজ সার্ভিস জানিয়েছে যে আবারও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে, এই আশঙ্কায় অনেক মানুষ গতকাল রাতে খোলা আকাশের নীচে ঘুমিয়েছে।
মিয়ানমারের সর্বশেষ অবস্থা
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে মিয়ানমারের ওই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারের বেশি।
বিবিসি'র বার্মিজ সার্ভিস জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জোর দিয়ে বলছে যে যেকোনও সহায়তা যেন স্বাধীনভাবে ও স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মান্দালয়'র ঐতিহাসিক অনেক ভবন এই ভূমিকম্পে মাটিতে মিশে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে দেখছেন।
২০২১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করা সামরিক জান্তা দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দুই বড় শহর, ম্যান্ডালে ও ইয়াংগুনের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মিয়ানমারের ইয়াংগুনের বাসিন্দা সো লুইন বলেন, তিনি বহুদিন পর ভূমিকম্প টের পেলেন। ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে, এ নিয়ে তারা সবাই চিন্তিত।
এদিকে, চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, দেশটির একটি ৩৭ সদস্যের রেসকিউ মেডিকেল টিম মিয়ানমারকে সহায়তার উদ্দেশ্যে অনুসন্ধান অভিযান চালাতে যাচ্ছে। মান্দালয়'র একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসকে জানিয়েছেন যে মিয়ানমারের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের ‘অধিকাংশ ভবন ধসে পড়েছে।’
‘উদ্ধার কাজ শুরু করার সময় মান্দালয়'র দৃশ্য ছিল ভয়াবহ,’ তিনি বলেন। তিনি ওই সময়ের বর্ণনা করে বলছিলেন যে মানুষ ‘রাস্তার মধ্যে দৌড়াচ্ছিলো, চিৎকার করছিলো এবং কাঁদছিলো।’
তিনি জানান, জেনারেল হসপিটাল এখন প্রায় পূর্ণ এবং অনেক রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত। এই উদ্ধারকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাসপাতালটিও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের সর্বশেষ খবর
এদিকে, গতকাল মিয়ানমারে হওয়া ওই ভূমিকম্পের প্রভাব থাইল্যান্ড, চীনসহ আশপাশের দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। দেশটিতে ওই ভূমিকম্পের কারণে একটি বহুতল ভবন ধসে সাতজন নিহত হয়েছে। ব্যাংককের ধসে পড়া ওই ভবনে এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংককে প্রায় ১০০ জন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রাতে ব্যাংককের অন্তত দু'টি ভবন খালি করা হয়েছে এবং ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য আজ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা আরও দুই হাজার ভবন পরিদর্শন করবেন।
ব্যাংককে বসবাসরত বিবিসি সংবাদদাতা বুই থ্যু বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজডে অনুষ্ঠানে জানান যে এক দশকের মধ্যে ব্যাংককে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।থাইল্যান্ডের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে মিয়ানমারে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
ইউএসজিএস-এর বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৯৩০ এবং ১৯৫৬ সালের মাঝে সাগাইং ফল্টের কাছাকাছি সাত মাত্রার ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিলো মিয়ানমারে।
অপরদিকে, থাইল্যান্ড মোটেই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নয়। সেখানে যে ভূমিকম্পগুলো অনুভূত হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে। এই কারণেই ব্যাংককের ভবনগুলো শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসাবে নির্মিত নয়। তাই, বড় কোনও ভূমিকম্প হলে সেখানে ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র : বাসস

মিয়ানমারে সৃষ্ট সাত দশমিক সাত মাত্রার ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত দেশটিতে মৃত্যুর সংখ্যা এক হাজার ছাড়িয়ে গেছে। দেশটির সামরিক বাহিনীর দেওয়া সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, এখন পর্যন্ত ১০০২ জনের মৃত্যুর বিষয়ে নিশ্চিত হওয়া গেছে। এ ছাড়া এই ভূমিকম্পের প্রভাবে পার্শ্ববর্তী দেশ থাইল্যান্ডেও সাতজনের মৃত্যু হওয়ার তথ্য পাওয়া গেছে।
গতকালের ওই ভূমিকম্পের হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এই ঘটনায় ২০২১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করা সামরিক জান্তা দেশটির সাগাইং, ম্যান্ডালে, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। অনেক মানুষ খোলা আকাশের নিচে বসবাস করছেন।
পাশাপাশি, পরিস্থিতি মোকাবিলায় জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। বিবিসি বার্মিজ সার্ভিস জানিয়েছে যে আবারও একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে, এই আশঙ্কায় অনেক মানুষ গতকাল রাতে খোলা আকাশের নীচে ঘুমিয়েছে।
মিয়ানমারের সর্বশেষ অবস্থা
মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী জানিয়েছে যে মিয়ানমারের ওই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত অন্তত ১০০২ জনের মৃত্যু হয়েছে। আর আহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে দেড় হাজারের বেশি।
বিবিসি'র বার্মিজ সার্ভিস জানিয়েছে, মিয়ানমারের জান্তা সরকারের প্রধান মিন অং হ্লাইং এই তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেছেন যে নিহত ও আহতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।
এই দুর্যোগ মোকাবিলা করার জন্য মিয়ানমারের সামরিক জান্তা সরকার আন্তর্জাতিক সহায়তার আহ্বান জানিয়েছে। তবে বিরোধী ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট জোর দিয়ে বলছে যে যেকোনও সহায়তা যেন স্বাধীনভাবে ও স্থানীয় নেটওয়ার্কের মাধ্যমে বিতরণ করা হয়।
মিয়ানমারের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ শহর মান্দালয়'র ঐতিহাসিক অনেক ভবন এই ভূমিকম্পে মাটিতে মিশে গেছে। উদ্ধারকর্মীরা খালি হাতে ধ্বংসস্তূপ ঘেঁটে দেখছেন।
২০২১ সাল থেকে মিয়ানমার শাসন করা সামরিক জান্তা দেশটির সাগাইং, মান্দালয়, মাগওয়ে, বাগো, ইস্টার শান রাজ্য এবং নেপিডো অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে। দেশটির দুই বড় শহর, ম্যান্ডালে ও ইয়াংগুনের বিদ্যুৎ ও যোগাযোগ ব্যবস্থা এখনও বিচ্ছিন্ন রয়েছে।
মিয়ানমারের ইয়াংগুনের বাসিন্দা সো লুইন বলেন, তিনি বহুদিন পর ভূমিকম্প টের পেলেন। ভবিষ্যতে আরও বড় ভূমিকম্প আঘাত হানতে পারে, এ নিয়ে তারা সবাই চিন্তিত।
এদিকে, চীনের রাষ্ট্রীয় মিডিয়া জানিয়েছে, দেশটির একটি ৩৭ সদস্যের রেসকিউ মেডিকেল টিম মিয়ানমারকে সহায়তার উদ্দেশ্যে অনুসন্ধান অভিযান চালাতে যাচ্ছে। মান্দালয়'র একজন উদ্ধারকর্মী বিবিসি বার্মিজ সার্ভিসকে জানিয়েছেন যে মিয়ানমারের এই দ্বিতীয় বৃহত্তম শহরের ‘অধিকাংশ ভবন ধসে পড়েছে।’
‘উদ্ধার কাজ শুরু করার সময় মান্দালয়'র দৃশ্য ছিল ভয়াবহ,’ তিনি বলেন। তিনি ওই সময়ের বর্ণনা করে বলছিলেন যে মানুষ ‘রাস্তার মধ্যে দৌড়াচ্ছিলো, চিৎকার করছিলো এবং কাঁদছিলো।’
তিনি জানান, জেনারেল হসপিটাল এখন প্রায় পূর্ণ এবং অনেক রোগী হৃদরোগে আক্রান্ত। এই উদ্ধারকর্মী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, হাসপাতালটিও ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
থাইল্যান্ডের সর্বশেষ খবর
এদিকে, গতকাল মিয়ানমারে হওয়া ওই ভূমিকম্পের প্রভাব থাইল্যান্ড, চীনসহ আশপাশের দেশগুলোতেও অনুভূত হয়েছে। বিশেষ করে থাইল্যান্ডে এর প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়েছে। দেশটিতে ওই ভূমিকম্পের কারণে একটি বহুতল ভবন ধসে সাতজন নিহত হয়েছে। ব্যাংককের ধসে পড়া ওই ভবনে এখনও উদ্ধার অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এখন পর্যন্ত প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী, ব্যাংককে প্রায় ১০০ জন নির্মাণশ্রমিক নিখোঁজ রয়েছেন। গতকাল রাতে ব্যাংককের অন্তত দু'টি ভবন খালি করা হয়েছে এবং ভূমিকম্পের ক্ষয়-ক্ষতি নিরূপণের জন্য আজ থেকে স্বেচ্ছাসেবকরা আরও দুই হাজার ভবন পরিদর্শন করবেন।
ব্যাংককে বসবাসরত বিবিসি সংবাদদাতা বুই থ্যু বিবিসি ওয়ার্ল্ড সার্ভিসের নিউজডে অনুষ্ঠানে জানান যে এক দশকের মধ্যে ব্যাংককে এত শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়নি।থাইল্যান্ডের সাথে তুলনা করলে দেখা যায় যে মিয়ানমারে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়।
ইউএসজিএস-এর বরাতে বার্তা সংস্থা এএফপি জানিয়েছে, ১৯৩০ এবং ১৯৫৬ সালের মাঝে সাগাইং ফল্টের কাছাকাছি সাত মাত্রার ছয়টি শক্তিশালী ভূমিকম্প হয়েছিলো মিয়ানমারে।
অপরদিকে, থাইল্যান্ড মোটেই ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চল নয়। সেখানে যে ভূমিকম্পগুলো অনুভূত হয়, সেগুলোর বেশিরভাগই ঘটে প্রতিবেশী দেশ মিয়ানমারে। এই কারণেই ব্যাংককের ভবনগুলো শক্তিশালী ভূমিকম্প প্রতিরোধী হিসাবে নির্মিত নয়। তাই, বড় কোনও ভূমিকম্প হলে সেখানে ব্যাপক অবকাঠামোগত ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা রয়েছে। সূত্র : বাসস

এর আগে ট্রাম্পের বক্তব্য ভুলভাবে সম্পাদনা করে প্রকাশের জন্য গত সোমবার বিবিসিকে চিঠি দেন ট্রাম্পের আইনজীবীরা। ওই চিঠিতে ট্রাম্পের বক্তব্য থাকা তথ্যচিত্রটি প্রত্যাহার করে ক্ষমা চাইতে এবং ‘যথাযথভাবে ক্ষতিপূরণ’ দিতে বলা হয়। এর জন্য বিবিসিকে শুক্রবার পর্যন্ত সময় বেঁধে দেওয়া হয়েছে।
১৮ ঘণ্টা আগে
অধিকৃত পশ্চিম তীরেও অব্যাহত আছে নেতানিয়াহু বাহিনীর হামলা ও অভিযান। হেবরনের উত্তরাঞ্চলে বেইত উমর শহরে দখলদারদের গুলিতে কয়েকজন শিশু নিহত হয়েছে। আনতাবা শহরে ইসরাইলি বাহিনীর সঙ্গে ফিলিস্তিনিদের লড়াই ও কয়েকজনকে আটকের খবর পাওয়া গেছে। জেরুজালেমে দখলদারদের অভিযানের সময় গুলিতে আহত হন অনেকে।
১৯ ঘণ্টা আগে
সংশোধনী অনুযায়ী, পাকিস্তানের সেনাবাহিনীর পাশাপাশি নৌ বাহিনী ও বিমান বাহিনীও এখন থেকে সেনাপ্রধানের অধীনে থাকবে। তার মেয়াদ শেষ হওয়ার পরও পদমর্যাদা বজায় থাকবে। সমালোচকরা বলছেন, এ পরিবর্তনের ফলে সামরিক বাহিনী ও ক্ষমতাসীন জোটের হাতে ক্ষমতা কেন্দ্রীভূত হবে।
২ দিন আগে
স্যাটেলাইট চিত্রে দেখা গেছে, গত ১০ অক্টোবর হামাসের সঙ্গে যুদ্ধবিরতি শুরু হওয়ার পর থেকে গাজার যেসব এলাকায় ইসরায়েলের নিয়ন্ত্রণ ছিল সেখানে দেড় হাজারের বেশি ভবন ধ্বংস করেছে দখলদার বাহিনী। খবর বিবিসির।
২ দিন আগে