
ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম

ভোররাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে উত্তর আফগানিস্তানের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ভূমিকম্পের ভয়াল গর্জন। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে ৬.৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত সাতজন নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাজার-ই-শরিফ থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে, সামাঙ্গান প্রদেশের খোলম শহরের নিকটে। খোলমে প্রায় ৬৫ হাজার এবং মাজার-ই-শরিফে প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
ভূমিকম্পের তীব্রতায় ঘরবাড়ি দুলে ওঠে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বহু এলাকা। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে হাজারো মানুষ। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, “রাতের অন্ধকারে ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ খোলা জায়গায় আশ্রয় নেয়।”
বলখ প্রদেশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাজার-ই-শরিফের বিখ্যাত নীল মসজিদের (মাজার শরিফ) কিছু অংশ ধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সামাঙ্গান প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সামিম জয়ান্দা বলেন, “আজ সকাল পর্যন্ত মোট ১৫০ জন আহত এবং সাতজন শহীদ হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষ উদ্ধার করছেন। কিছু ভিডিওতে মৃতদেহ উদ্ধার করার দৃশ্যও দেখা গেছে, যদিও রয়টার্স এসব ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ইউএসজিএস তাদের স্বয়ংক্রিয় সতর্কতা ব্যবস্থা ‘পেজার’-এ ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। এ সতর্কতা ইঙ্গিত দেয় যে ভূমিকম্পে উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতে একই সতর্কতা স্তরের ঘটনায় আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ের তৎপরতা প্রয়োজন হয়েছিল।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এখনো হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি; বিস্তারিত প্রতিবেদন পরে প্রকাশ করা হবে।
আফগানিস্তান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি। দেশটি ইউরেশীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত; এর ফলে প্রায়ই বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে।
এর আগে, আগস্ট মাসে পূর্ব আফগানিস্তানে ৬.০ মাত্রার এক ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। দেশটির বহু গ্রামীণ এলাকায় এখনো কাঁচামাটির ঘরবাড়ি ব্যবহৃত হওয়ায় প্রতিটি ভূমিকম্পেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে।
১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৫.০ বা তদূর্ধ্ব মাত্রার অন্তত ৩৫৫টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। গড় হিসেবে, প্রতি বছর প্রায় ৫৬০ জন মানুষ প্রাণ হারায় এবং ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ কোটি মার্কিন ডলার।

ভোররাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে উত্তর আফগানিস্তানের আকাশে ছড়িয়ে পড়ে ভূমিকম্পের ভয়াল গর্জন। সোমবার (৩ নভেম্বর) ভোরে মাজার-ই-শরিফ শহরের কাছে ৬.৩ মাত্রার একটি শক্তিশালী ভূমিকম্প আঘাত হানে। এতে অন্তত সাতজন নিহত এবং প্রায় ১৫০ জন আহত হয়েছেন বলে নিশ্চিত করেছে দেশটির সংবাদমাধ্যম।
মার্কিন ভূতাত্ত্বিক জরিপ সংস্থা (ইউএসজিএস) জানায়, ভূমিকম্পটির কেন্দ্রস্থল ছিল মাজার-ই-শরিফ থেকে প্রায় ২৮ কিলোমিটার দূরে, সামাঙ্গান প্রদেশের খোলম শহরের নিকটে। খোলমে প্রায় ৬৫ হাজার এবং মাজার-ই-শরিফে প্রায় ৫ লাখ ২৩ হাজার মানুষ বসবাস করেন।
ভূমিকম্পের তীব্রতায় ঘরবাড়ি দুলে ওঠে, বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে বহু এলাকা। আতঙ্কে ঘর ছেড়ে রাস্তায় বেরিয়ে আসে হাজারো মানুষ। ফরাসি সংবাদ সংস্থা এএফপি জানায়, “রাতের অন্ধকারে ভীত-সন্ত্রস্ত মানুষ খোলা জায়গায় আশ্রয় নেয়।”
বলখ প্রদেশের মুখপাত্র জানিয়েছেন, মাজার-ই-শরিফের বিখ্যাত নীল মসজিদের (মাজার শরিফ) কিছু অংশ ধসে পড়েছে। এখন পর্যন্ত বেশ কয়েকটি ভবন আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
সামাঙ্গান প্রদেশের স্বাস্থ্য বিভাগের মুখপাত্র সামিম জয়ান্দা বলেন, “আজ সকাল পর্যন্ত মোট ১৫০ জন আহত এবং সাতজন শহীদ হয়েছেন। আহতদের স্থানীয় স্বাস্থ্যকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।”
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (পূর্বে টুইটার)-এ ছড়িয়ে পড়া ভিডিওগুলোতে দেখা গেছে, উদ্ধারকর্মীরা ধ্বংসস্তূপ থেকে মানুষ উদ্ধার করছেন। কিছু ভিডিওতে মৃতদেহ উদ্ধার করার দৃশ্যও দেখা গেছে, যদিও রয়টার্স এসব ফুটেজের সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।
ইউএসজিএস তাদের স্বয়ংক্রিয় সতর্কতা ব্যবস্থা ‘পেজার’-এ ‘অরেঞ্জ অ্যালার্ট’ জারি করেছে। এ সতর্কতা ইঙ্গিত দেয় যে ভূমিকম্পে উল্লেখযোগ্য প্রাণহানি ও ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে। অতীতে একই সতর্কতা স্তরের ঘটনায় আঞ্চলিক বা জাতীয় পর্যায়ের তৎপরতা প্রয়োজন হয়েছিল।
দেশটির জাতীয় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থা জানিয়েছে, এখনো হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতির সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি; বিস্তারিত প্রতিবেদন পরে প্রকাশ করা হবে।
আফগানিস্তান বিশ্বের অন্যতম ভূমিকম্পপ্রবণ অঞ্চলগুলোর একটি। দেশটি ইউরেশীয় ও ভারতীয় টেকটোনিক প্লেটের সংযোগস্থলে অবস্থিত; এর ফলে প্রায়ই বড় মাত্রার ভূমিকম্প ঘটে।
এর আগে, আগস্ট মাসে পূর্ব আফগানিস্তানে ৬.০ মাত্রার এক ভূমিকম্পে দুই হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছিল। দেশটির বহু গ্রামীণ এলাকায় এখনো কাঁচামাটির ঘরবাড়ি ব্যবহৃত হওয়ায় প্রতিটি ভূমিকম্পেই ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ঘটে।
১৯৯০ সাল থেকে এ পর্যন্ত আফগানিস্তানে ৫.০ বা তদূর্ধ্ব মাত্রার অন্তত ৩৫৫টি ভূমিকম্প রেকর্ড করা হয়েছে। গড় হিসেবে, প্রতি বছর প্রায় ৫৬০ জন মানুষ প্রাণ হারায় এবং ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ৮ কোটি মার্কিন ডলার।

পারিবারিক বিরোধের জেরেই এই হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। এই ঘটনার কয়েক ঘণ্টা আগে একই এলাকায় একটি নির্মাণাধীন বাড়িতে বিস্ফোরণের ঘটনাও ঘটেছিল।
১ দিন আগে
ত্রিশুল স্থল, আকাশ, মহাকাশ এবং মানবহীন নজরদারি সম্পদ একীভূত করার উপর জোর দিচ্ছে। এর মূল উদ্দেশ্য হলো একীভূত অভিযান, গভীর আক্রমণ এবং বহু-ডোমেন যুদ্ধ। এছাড়া পূর্ণ-চক্র ইলেক্ট্রোম্যাগনেটিক স্পেকট্রাম অপারেশন এবং কাউন্টার-আনম্যানড এরিয়াল সিস্টেম কিল-চেইন যাচাই করার উপর জোর দেওয়া হচ্ছে।
১ দিন আগে
দক্ষিণ এশিয়ায় সরকারের অস্থিতিশীলতার মূল কারণ হিসেবে দুর্বল শাসনব্যবস্থাকে দায়ী করেছেন ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (এনএসএ) অজিত দোভাল। তিনি বলেন, দুর্বল প্রশাসনিক কাঠামো প্রায়ই একটি দেশের সরকারের পতনের পেছনে বড় ভূমিকা রাখে, আর বাংলাদেশ, নেপাল ও শ্রীলঙ্কার সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিবর্তনগুলোতেও সেটিই
২ দিন আগে
পদত্যাগপত্রে মেজর জেনারেল ইফাত বলেন, তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে আইনবহির্ভূত কিছু করেননি, বরং সেনাবাহিনীর আইনি বিভাগের ভাবমূর্তি রক্ষার চেষ্টা করেছেন। যুদ্ধ চলাকালে সেই বিভাগটি ‘ভিত্তিহীন অপপ্রচারের লক্ষ্যবস্তু’তে পরিণত হয়েছিল বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
২ দিন আগে