
ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সর উদ্বোধনী দিনে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবরের দেওয়া ‘ফুটবলবিরোধী’ বক্তব্যকে ‘অবমাননাকর, অপমানজনক ও উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তার এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিঠি দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বাফুফের পক্ষ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বিসিবিকে। এর আগে রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে দেশের সব জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট, জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলার ক্রিকেট কোচ, জেলার নারী উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দুই দিনের ক্রিকেট কনফারেন্স শুরু হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখেন আসিফ।
বিসিবির বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ আকবর বলেন, দেশে ফুটবলারদের কারণে ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না। জেলা স্টেডিয়ামগুলো ফুটবল দখল করে আছে। যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে।
ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ— সরাসরি এ অভিযোগ তুলে আসিফ বলেন, এটা আমি সরাসরি বলতে চাই। কারণ, ক্রিকেট একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ খেলা, আভিজাত্যের খেলা। এখানে অনেক নিয়মকানুন আছে, রেকর্ডের খেলা এটি।
সারা দেশের মাঠ ফুটবলের কাছ থেকে ‘দখলমুক্ত’ করার কথা উল্লেখ করে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, বোর্ড সভাপতিসহ সিনিয়র বোর্ড সদস্যদের অনুরোধ করব, আপনারা অবিলম্বে বাফুফের সঙ্গে বসুন। আমরা তো মারামারি করতে যাব না, তবে প্রয়োজন হলে করব। কারণ হচ্ছে, আমাদের খেলতে হবে, আমাদের বাচ্চাদের খেলতে হবে।
আসিফের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিসিবি সভাপতিকে দেওয়া চিঠিতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল লিখেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবল খেলাকে নিয়ে অত্যন্ত অবমাননাকর, অপমানজনক ও উদ্বেগজনক মন্তব্য করা হয়, যা শুধু ফুটবল নয়, পুরো ক্রীড়া সমাজের জন্যই হতাশাজনক। আমরা এ মন্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই পত্রকে আমাদের আনুষ্ঠানিক আপত্তি হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাফুফে সভাপতি লিখেছেন, আমরা উভয়েই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন এক সঙ্গে কাজ করবে একটি সুস্থ, দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। কিন্তু যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে ‘অভিজাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে— আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন ‘মারামারি’ শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে— এটি কি কোনো ধরনের হুমকি?
ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে দেওয়া বক্তব্যকে ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি উল্লেখ করে তাবিথ বলেন, গণমানুষের প্রাণের খেলা ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, কোটি মানুষের আবেগ-ঐক্য ও গৌরবের প্রতীক। এই ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়রাই মুক্তিযুদ্ধ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
আসিফ আকবরের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে তাবিথ আউয়াল লিখেছেন, এ ঘটনায় আমি আপনার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক ও সর্বসম্মুখে ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছি। আপনার প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও সম্মান অটুট। আমি বিশ্বাস করি, আপনি একজন জাতীয় ক্রীড়াবিদ ও সম্মানিত ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনার প্ল্যাটফর্মকে কোনো ভুল উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে দেবেন না। বরং আপনি এখনই এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দেশের কোটি ক্রীড়ামোদি মনে সৃষ্ট আঘাত ও বিভ্রান্তি দূর করবেন।

বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সর উদ্বোধনী দিনে জনপ্রিয় সংগীতশিল্পী ও বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের (বিসিবি) পরিচালক আসিফ আকবরের দেওয়া ‘ফুটবলবিরোধী’ বক্তব্যকে ‘অবমাননাকর, অপমানজনক ও উদ্বেগজনক’ বলে অভিহিত করেছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। তার এমন মন্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে বিসিবি সভাপতি আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে চিঠি দিয়েছেন বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বাফুফের পক্ষ থেকে এ চিঠি পাঠানো হয়েছে বিসিবিকে। এর আগে রোববার (৯ নভেম্বর) ঢাকার একটি হোটেলে দেশের সব জেলার ক্রিকেট প্রেসিডেন্ট, জেলা ক্রীড়া অফিসার, জেলার ক্রিকেট কোচ, জেলার নারী উদ্যোক্তা ও সংশ্লিষ্টদের নিয়ে দুই দিনের ক্রিকেট কনফারেন্স শুরু হয়। সেখানেই বক্তব্য রাখেন আসিফ।
বিসিবির বয়সভিত্তিক ক্রিকেট কমিটির চেয়ারম্যান আসিফ আকবর বলেন, দেশে ফুটবলারদের কারণে ক্রিকেট খেলা যাচ্ছে না। জেলা স্টেডিয়ামগুলো ফুটবল দখল করে আছে। যেখানে ফুটবলের কাজ নেই, সেখানেও স্টেডিয়াম দখল করে রেখেছে।
ফুটবলারদের ব্যবহার খুব খারাপ— সরাসরি এ অভিযোগ তুলে আসিফ বলেন, এটা আমি সরাসরি বলতে চাই। কারণ, ক্রিকেট একটা শৃঙ্খলাবদ্ধ খেলা, আভিজাত্যের খেলা। এখানে অনেক নিয়মকানুন আছে, রেকর্ডের খেলা এটি।
সারা দেশের মাঠ ফুটবলের কাছ থেকে ‘দখলমুক্ত’ করার কথা উল্লেখ করে বিসিবির এই পরিচালক বলেন, বোর্ড সভাপতিসহ সিনিয়র বোর্ড সদস্যদের অনুরোধ করব, আপনারা অবিলম্বে বাফুফের সঙ্গে বসুন। আমরা তো মারামারি করতে যাব না, তবে প্রয়োজন হলে করব। কারণ হচ্ছে, আমাদের খেলতে হবে, আমাদের বাচ্চাদের খেলতে হবে।
আসিফের এমন বক্তব্যের সমালোচনা করে বিসিবি সভাপতিকে দেওয়া চিঠিতে বাফুফে সভাপতি তাবিথ আউয়াল লিখেছেন, বাংলাদেশ ক্রিকেট কনফারেন্সে ফুটবল খেলাকে নিয়ে অত্যন্ত অবমাননাকর, অপমানজনক ও উদ্বেগজনক মন্তব্য করা হয়, যা শুধু ফুটবল নয়, পুরো ক্রীড়া সমাজের জন্যই হতাশাজনক। আমরা এ মন্তব্যের প্রতি তীব্র নিন্দা জানাচ্ছি এবং এই পত্রকে আমাদের আনুষ্ঠানিক আপত্তি হিসেবে বিবেচনা করার অনুরোধ জানাচ্ছি।
বাফুফে সভাপতি লিখেছেন, আমরা উভয়েই প্রতিশ্রুতি দিয়েছি, দেশের সব ক্রীড়া ফেডারেশন এক সঙ্গে কাজ করবে একটি সুস্থ, দৃঢ় ও ঐক্যবদ্ধ বাংলাদেশ গড়ে তুলতে। কিন্তু যখন ক্রিকেট বোর্ডের কনফারেন্সে ‘অভিজাত’ শব্দটি ব্যবহার করা হয়, তখন স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন ওঠে— আমরা কি সত্যিই জুলাইয়ের ছাত্র-জনতা বিপ্লবে ঘোষিত বৈষম্যহীন ও সমতাভিত্তিক বাংলাদেশের আদর্শে অটল আছি? আর যখন ‘মারামারি’ শব্দটি উচ্চারিত হয়, তখন আরও গুরুতর প্রশ্ন জাগে— এটি কি কোনো ধরনের হুমকি?
ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়দের নিয়ে দেওয়া বক্তব্যকে ক্রীড়ার মৌলিক মূল্যবোধ ও চেতনার পরিপন্থি উল্লেখ করে তাবিথ বলেন, গণমানুষের প্রাণের খেলা ফুটবল শুধু একটি খেলা নয়, কোটি মানুষের আবেগ-ঐক্য ও গৌরবের প্রতীক। এই ফুটবল ও ফুটবল খেলোয়াড়রাই মুক্তিযুদ্ধ, নারীর অধিকার প্রতিষ্ঠা, দুর্যোগ মোকাবিলাসহ দেশের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।
আসিফ আকবরের বক্তব্যের ব্যাখ্যা চেয়ে আমিনুল ইসলাম বুলবুলের কাছে তাবিথ আউয়াল লিখেছেন, এ ঘটনায় আমি আপনার কাছে একটি আনুষ্ঠানিক ও সর্বসম্মুখে ব্যাখ্যা প্রত্যাশা করছি। আপনার প্রতি আমার ব্যক্তিগত শ্রদ্ধা ও সম্মান অটুট। আমি বিশ্বাস করি, আপনি একজন জাতীয় ক্রীড়াবিদ ও সম্মানিত ক্রীড়াব্যক্তিত্ব হিসেবে আপনার প্ল্যাটফর্মকে কোনো ভুল উদ্দেশ্যে ব্যবহার হতে দেবেন না। বরং আপনি এখনই এ বিষয়টি স্পষ্ট করে দেশের কোটি ক্রীড়ামোদি মনে সৃষ্ট আঘাত ও বিভ্রান্তি দূর করবেন।

জাহানারা আলমের অভিযোগ, বিসিবির নারী উইংয়ের সাবেক চেয়ারম্যান নাদেল চৌধুরী বিষয়টি জানলেও তিনি মঞ্জুরুলকে থামাতে পারেননি। অন্যদিকে বিসিবির প্রধান নির্বাহী নিজামউদ্দিন চৌধুরীর কাছে অভিযোগ জানিয়েও কোনো প্রতিকার পাননি তিনি।
৪ দিন আগে
ভারতের শুরুটা ছিল দারুণ। ১৪.১ ওভারে তাদের সংগ্রহ ছিল ৩ উইকেটে ১২১ রান। টপ অর্ডারে অভিষেক শর্মা ২৮, শুভমান গিল ৪৬, শিভম দুবে ২২ এবং সূর্যকুমার যাদব ২০ রান করেন। কিন্তু মিডল অর্ডারে ব্যাটিং ব্যর্থতায় প্রত্যাশিত বড় স্কোর পায়নি সফরকারীরা। শেষ দিকে ওয়াশিংটন সুন্দর (১২) এবং অক্ষর প্যাটেলের (২১) ব্যাটে পায়
৪ দিন আগে
গ্রামীণফোন ও এয়ারটেলের মতো প্রতিষ্ঠানে শীর্ষ পর্যায়ে কাজ করেছেন তিনি। যুক্ত ছিলেন দেশের ক্রীড়াঙ্গনেও। ২০০৯ সাল থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশ ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সভাপতি ছিলেন। বাংলাদেশ স্পেশাল অলিম্পিকসের বোর্ড সদস্যও ছিলেন তিনি।
৭ দিন আগে