এতে বলা হয়, স্থানীয় বাজারে তেজাবী (পিওর গোল্ড) সোনার মূল্য হ্রাস পেয়েছে। সে মূল্য সমন্বয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাজুস। নতুন মূল্য অনুযায়ী ২১ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম কমিয়ে এক লাখ ১১ হাজার ৮৪৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। এ ছাড়া ১৮ ক্যারেটের এক ভরি সোনার দাম ৯৫ হাজার ৮৬৬ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে। আর সনা
বাণিজ্য প্রতিমন্ত্রী বলেন, রমজানের পর থেকে এখনও তেল-চিনির দামে ভারসাম্য আছে। ধান-চাল আমদানিতে কর দুই-এক শতাংশ করা হয়েছে বাজেটে। এখন এক কোটি নাগরিক ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) মাধ্যমে ভর্তুকি মূল্যে পণ্য পাচ্ছেন। আসন্ন বাজেটের মেয়াদে ন্যায্যমূল্যে পণ্য দিতে স্থায়ী দোকানের মাধ্যমে টিসিবির
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) জাতীয় সংসদে ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন অর্থমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলী। শুক্রবার বাজেট পরবর্তী এ সংবাদ সম্মেলনে অর্থমন্ত্রীসহ অন্যরা গণমাধ্যমকর্মীদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন।
বাজেট প্রস্তাবনায় মন্ত্রী বলেন, সিগারেটের নিম্নস্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৫০ টাকা ও তদূর্ধ্ব এবং সম্পূরক শুল্ক ৬০ শতাংশ ধার্যের প্রস্তাব করছি। এছাড়া মধ্যম স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ৭০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১২০ টাকা ও তদূর্ধ্ব, অতি-উচ্চ স্তরের ১০ শলাকার মূল্যস্তর ১৬০ টাকা
অর্থমন্ত্রী জানান, আমাদের এবারের নির্বাচনি ইশতেহারে আমরা মোট ১১টি বিষয়ে বিশেষ অগ্রাধিকার দিয়েছি, যার মধ্যে রয়েছে-দ্রব্যমূল্য সবার ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে রাখার জন্য সর্বাত্মক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাওয়া; কর্মোপযোগী শিক্ষা ও যুবকদের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা; আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলা; লাভজ
অর্থমন্ত্রী বলেন, প্রতিবন্ধীদের সুরক্ষায় আগামী অর্থবছরে ভাতাপ্রাপ্তের সংখ্যা ২৯ লাখ থেকে বাড়িয়ে ৩২ লাখ ৩৪ হাজার জনে বাড়ানো হবে। এছাড়া, প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য উচ্চ মাধ্যমিক স্তরের উপবৃত্তির হার ৯৫০ টাকা থেকে বাড়িয়ে এক হাজার ৫০ টাকায় উন্নীত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
অর্থমন্ত্রী বলেন, সম্পদের সীমাবদ্ধতা সত্ত্বেও বাংলাদেশ স্বাস্থ্য সম্পর্কিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে অসাধারণ সফলতা দেখিয়েছে। মাতৃমৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি লাখে ৩৫১ জন, যা বর্তমানে কমে ১৩৬ হয়েছে। পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর মৃত্যুর হার ২০০৭ সালে ছিল প্রতি হাজারে ৬০, যা বর্তমানে কমে
অর্থমন্ত্রী জানান, মূল্যস্ফীতির হার কমিয়ে আনার লক্ষ্যে সংকোচনমূলক মুদ্রানীতি অনুসরণ করা হচ্ছে এবং রাজস্ব নীতিতেও সহায়ক নীতিকৌশল অবলম্বন করা হচ্ছে। মূল্যস্ফীতির চাপ থেকে সাধারণ মানুষকে সুরক্ষা দিতে ফ্যামিলি কার্ড, ওএমএস ইত্যাদি কার্যক্রম জোরদার করা হয়েছে।
অনেক ক্ষেত্রে কোম্পানির কিছু অপ্রদর্শিত আয় ও পরিসম্পদ দেখানোর ক্ষেত্রে জটিলতা সৃষ্ট হয়েছে বলে জানা গেছে। এমন ক্ষেত্রে কোম্পানিগুলোকে এই অপ্রদর্শিত অর্থ ১৫ শতাংশ কর দিয়ে বৈধ করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে। কোম্পানির অপ্রদর্শিত সম্পদ নির্দিষ্ট হারে কর দিয়েও বৈধ করার সুযোগ দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী।
২০২৪-২০২৫ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯৭ হাজার কোটি টাকার প্রস্তাবিত বাজেটে বিভিন্ন ধরনের পণ্যে শুল্ক ও কর হ্রাস-বৃদ্ধির প্রস্তাবনা রয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ জুন) বিকেলে জাতীয় সংসদে উপস্থাপিত প্রস্তাবিত বাজেটের মূল স্লোগান সুখী, সমৃদ্ধ, উন্নত ও স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে অঙ্গীকার। রাজস্ব আহরণ ত্বরান্বিত করতে
২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটে মোবাইলফোনের কল রেটের ওপর সম্পূরক শুল্ক ৫ শতাংশ বাড়ানো হয়েছে। এতে গ্রাহকদের মোবাইলফোনে কথা বলার খরচও বাড়বে।
বাজার স্থিতিশীল রাখা ও উচ্চ মূল্যস্ফীতি কমাতে প্রস্তাবিত বাজেটে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য ও খাদ্যশস্য সরবরাহের ওপর উৎসে কর কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে। এসব পণ্যে উৎসে কর ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১ শতাংশ করার প্রস্তাব করা হয়েছে। পণ্যগুলো হলো—ধান, চাল, ডাল, আটা, ময়দা, লবণ, ভুট্টা, গম, আলু, পেঁয়াজ, রসুন, মটর, ছ
২০২৪-২৫ অর্থবছরের জাতীয় বাজেট অনুমোদন দিয়েছে মন্ত্রিসভা। বৃহস্পতিবার (১ জুন) জাতীয় সংসদে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার বিশেষ বৈঠকে প্রস্তাবিত বাজেট অনুমোদন দেওয়া হয়।
আগামী অর্থবছরের (২০২৪-২৫) বাজেটে শুল্ক-করারোপ করা হতে পারে বেশকিছু পণ্য ও সেবায়। এতে বাড়তে পারে আইসক্রিম, বেভারেজ, ইট, এলইডি বাল্ব, তামাকজাতীয় দ্রব্য প্রভৃতি পণ্যের দাম। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
এবার নিম্নবিত্ত মানুষের কথা বিবেচনা করে কর কমানো হয়েছে বেশকিছু পণ্যের। গুঁড়োদুধ, দেশে তৈরি মোটরসাইকেল, ল্যাপটপসহ অনেক পণ্যের দাম কমতে পারে। অর্থ মন্ত্রণালয় ও জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) দায়িত্বশীল সূত্রে এ তথ্য জানা যায়।
চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের ১১ মাসে সকল পণ্য থেকে রপ্তানি আয় দাঁড়িয়েছে ৫ হাজার ১৫৪ কোটি ডলার। প্রবৃদ্ধি ২.০১ শতাংশ। তবে গত মে মাসে পোশাক রপ্তানি হয়েছে ৩৩৫ কোটি ডলারের, যা আগের বছরের থেকে ১৭.১৯ শতাংশ কম।
বিশ্লেষকেরা বলেন, মূল্যস্ফীতি এক ধরনের কর; ধনী-গরিব-নির্বিশেষে সবার ওপর চাপ সৃষ্টি করে মূল্যস্ফীতি। আয় বৃদ্ধির তুলনায় মূল্যস্ফীতির হার বেশি হলে গরিব ও মধ্যবিত্তরা সংসার চালাতে ভোগান্তিতে পড়ে। গত দুই বছর ধরে চলা এই উচ্চ মূল্যস্ফীতির কারণে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। প্রভাব পড়ছে মানুষের যাপিত জীবনে।