
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

গণ-অভ্যুত্থানের পর পতিত সরকারের সংবিধান ও আমলাতন্ত্র রেখে দেওয়ার সমালোচনা করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বৈধতা নিশ্চিত না করে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং নির্বাচন আয়োজন করা উচিত নয়। তার মতে, ‘রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো নয়।’
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত 'ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, 'এই রাষ্ট্র থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলাটা বাতুলতা মাত্র! এটার কোনো অর্থ নাই। আপনি নির্বাচনটা কেন করতে চাচ্ছেন—ড. ইউনূস, তখন এটা একটা প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়ায়, একটা জিজ্ঞাসার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ আপনি তো গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছেন। আপনি গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক নন। আপনি গণঅভ্যুত্থানের কেউ নন।'
তিনি বলেন, 'আমি আবারও বলছি, এখানে ভুল বোঝার কোনো অপশন নাই। তিনি গণঅভ্যুত্থানের কেউ নন। এখানে যারা বসে আছে, তারা অনেকে সরাসরি গণঅভ্যুত্থানের রাস্তায় বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। আমরা বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়েছি, আমাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি, আমরা ঘরবন্দি থেকেছি, আমাদেরকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।'
'ড. ইউনূসকে আমরা গ্রহণ করেছি, আমাদের আশা ছিল যে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বল রাষ্ট্রের যে দুর্বলতা, সেই দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারবো তার ভালোবাসা যদি পাই, তার আন্তরিকতা যদি পাই, তিনি যদি আমাদের মনের কথা বোঝেন। তিনি যদি গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। তিনি যে জায়গায় গেছেন, বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গায় তিনি নিয়ে যাচ্ছেন,' যোগ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, 'প্রথম তিনি ভুল করেছেন, তিনি এসেই বাচ্চা বাচ্চা ছেলে, তরুণ ছাত্রদেরকে ধরে নিয়ে এসে বললেন যে, ওরা হলো মাস্টারমাইন্ড। আমি থতমত খেয়ে গেছি, কী করে? আমরা দার্শনিকরা বলি পলিটিক্যাল সাবজেক্ট; তার সত্যিকারের যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কর্তাসত্তা, গণঅভ্যুত্থানের কর্তাসত্তা হচ্ছে জনগণ কোনো ব্যক্তি নয়। আমরা যারা এই আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, আমরা দেখেছি সেখানে শিবির ছিল, সেখানে সেকুলার লোকজন ছিল, বামপন্থীরা ছিল। এমনকি যে তরুণ বহু ছাত্র, যাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বলছেন, তারাও ছিল। সবাই মিলে এই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই নেতৃত্ব দেওয়ার পেছনে প্রধান যে শর্ত ছিল, ফ্যাসিস্ট সরকার ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে উৎখাত করা এবং নতুন রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা। এটা ছিল আমাদের অভিপ্রায় এই অভিপ্রায়কে বুকে ধারণ করে সাঈদ শহীদ হয়েছেন, মুগ্ধ শহীদ হয়েছেন, আরও হাজারের অধিক আমাদের সন্তানেরা শহীদ হয়েছেন এবং বহু সন্তান এখন পর্যন্ত পঙ্গু হাসপাতালে, তার অনেকেরই জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে।'
প্রধান উপদেষ্টা কীসের ভিত্তিতে নির্বাচনের কথা শুরু করলেন—প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'আমি প্রথম থেকে বলে এসেছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বলে কিছু নাই। প্রমাণ করুন রাজনৈতিক দল বলে কিছু আছে। রাজনৈতিক দল মানে যারা জনগণের সেবা করে, রাষ্ট্রকে-জাতিকে যারা পথ দেখায়, নতুন কথা বলে। এখানে আছে যেটাকে আমরা বলি কী? লুটেরা-মাফিয়া শ্রেণি। দুর্বৃত্ত, দুর্নীতিবাজ, লুটপাট যারা করেছে তাদের প্রতিনিধি ডাকাত দলকে আপনি রাজনৈতিক দল বলছেন। বারবার বলেছি আপনাকে আমরা এটা এবং তাদের সঙ্গে আপনি কথা বলতে বসেছেন।'
'আপনি কোনো জনগণের সঙ্গে কথা বলতে বলেননি। আপনাকে আমরা দেখিনি আপনি কোনো জেলায় গিয়ে এত বড় গণঅভ্যুত্থানের পরে সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে কোনো কথা বলেছেন। তাদের স্বার্থের পক্ষে আপনি কোনো কথা বলেছেন।'
এ সময় তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, বিদ্যমান সংবিধান অক্ষুণ্ন রেখে উপদেষ্টা সরকার গঠন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবৈধ উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, অবৈধ সরকার বলার মানে এই নয় যে, আপনাকে আমরা চাই না। এটা মানে হচ্ছে আপনার প্রথম কাজ আপনার নিজের বৈধতা নিশ্চিত করা...সংবিধানের কোথায় উপদেষ্টা সরকারে কথা আছে? আপনার বৈধতার একটাই পথ আছে, সেটা গণঅভ্যুত্থান। গণঅভ্যুত্থান সংবিধান মেনে ঘটে না...আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি আপনার যেন মতি হয়, রাজনীতি কাকে বলে, সেটা যেন আপনি বোঝেন...আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না।

গণ-অভ্যুত্থানের পর পতিত সরকারের সংবিধান ও আমলাতন্ত্র রেখে দেওয়ার সমালোচনা করেছেন কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের বৈধতা নিশ্চিত না করে রাষ্ট্র পরিচালনা এবং নির্বাচন আয়োজন করা উচিত নয়। তার মতে, ‘রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো নয়।’
মঙ্গলবার (৩০ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে সেন্টার ফর ডেমোক্রেসি অ্যান্ড পিস স্টাডিজ নামে একটি প্ল্যাটফর্ম আয়োজিত 'ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্রব্যবস্থা ও নির্বাচন' শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
নির্বাচন প্রসঙ্গে ফরহাদ মজহার বলেন, 'এই রাষ্ট্র থেকে মুক্ত না হলে নির্বাচন নিয়ে কথা বলাটা বাতুলতা মাত্র! এটার কোনো অর্থ নাই। আপনি নির্বাচনটা কেন করতে চাচ্ছেন—ড. ইউনূস, তখন এটা একটা প্রশ্নবোধক হয়ে দাঁড়ায়, একটা জিজ্ঞাসার প্রশ্ন হয়ে দাঁড়ায়। কারণ আপনি তো গণঅভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে এসেছেন। আপনি গণঅভ্যুত্থানের মহানায়ক নন। আপনি গণঅভ্যুত্থানের কেউ নন।'
তিনি বলেন, 'আমি আবারও বলছি, এখানে ভুল বোঝার কোনো অপশন নাই। তিনি গণঅভ্যুত্থানের কেউ নন। এখানে যারা বসে আছে, তারা অনেকে সরাসরি গণঅভ্যুত্থানের রাস্তায় বুলেটের সামনে বুক পেতে দিয়েছে। আমরা বছরের পর বছর নির্যাতিত হয়েছি, আমাদেরকে কথা বলতে দেওয়া হয়নি, আমরা ঘরবন্দি থেকেছি, আমাদেরকে হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে।'
'ড. ইউনূসকে আমরা গ্রহণ করেছি, আমাদের আশা ছিল যে আন্তর্জাতিক রাজনৈতিক ক্ষেত্রে আমাদের দুর্বল রাষ্ট্রের যে দুর্বলতা, সেই দুর্বলতাগুলোকে আমরা মোকাবিলা করতে পারবো তার ভালোবাসা যদি পাই, তার আন্তরিকতা যদি পাই, তিনি যদি আমাদের মনের কথা বোঝেন। তিনি যদি গণঅভ্যুত্থানের অভিপ্রায়টুকু বোঝেন। অত্যন্ত দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, তিনি এটা বোঝেন নাই। তিনি যে জায়গায় গেছেন, বাংলাদেশের জন্য অত্যন্ত বিপজ্জনক জায়গায় তিনি নিয়ে যাচ্ছেন,' যোগ করেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার সমালোচনা করে ফরহাদ মজহার আরও বলেন, 'প্রথম তিনি ভুল করেছেন, তিনি এসেই বাচ্চা বাচ্চা ছেলে, তরুণ ছাত্রদেরকে ধরে নিয়ে এসে বললেন যে, ওরা হলো মাস্টারমাইন্ড। আমি থতমত খেয়ে গেছি, কী করে? আমরা দার্শনিকরা বলি পলিটিক্যাল সাবজেক্ট; তার সত্যিকারের যে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কর্তাসত্তা, গণঅভ্যুত্থানের কর্তাসত্তা হচ্ছে জনগণ কোনো ব্যক্তি নয়। আমরা যারা এই আন্দোলনের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে অন্তর্ভুক্ত ছিলাম, আমরা দেখেছি সেখানে শিবির ছিল, সেখানে সেকুলার লোকজন ছিল, বামপন্থীরা ছিল। এমনকি যে তরুণ বহু ছাত্র, যাদেরকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা বলছেন, তারাও ছিল। সবাই মিলে এই গণঅভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়েছে। সেই নেতৃত্ব দেওয়ার পেছনে প্রধান যে শর্ত ছিল, ফ্যাসিস্ট সরকার ও ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ব্যবস্থাকে উৎখাত করা এবং নতুন রাষ্ট্র গঠন প্রক্রিয়া শুরু করা। এটা ছিল আমাদের অভিপ্রায় এই অভিপ্রায়কে বুকে ধারণ করে সাঈদ শহীদ হয়েছেন, মুগ্ধ শহীদ হয়েছেন, আরও হাজারের অধিক আমাদের সন্তানেরা শহীদ হয়েছেন এবং বহু সন্তান এখন পর্যন্ত পঙ্গু হাসপাতালে, তার অনেকেরই জীবন ধ্বংস হয়ে গেছে।'
প্রধান উপদেষ্টা কীসের ভিত্তিতে নির্বাচনের কথা শুরু করলেন—প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, 'আমি প্রথম থেকে বলে এসেছি বাংলাদেশের রাজনৈতিক দল বলে কিছু নাই। প্রমাণ করুন রাজনৈতিক দল বলে কিছু আছে। রাজনৈতিক দল মানে যারা জনগণের সেবা করে, রাষ্ট্রকে-জাতিকে যারা পথ দেখায়, নতুন কথা বলে। এখানে আছে যেটাকে আমরা বলি কী? লুটেরা-মাফিয়া শ্রেণি। দুর্বৃত্ত, দুর্নীতিবাজ, লুটপাট যারা করেছে তাদের প্রতিনিধি ডাকাত দলকে আপনি রাজনৈতিক দল বলছেন। বারবার বলেছি আপনাকে আমরা এটা এবং তাদের সঙ্গে আপনি কথা বলতে বসেছেন।'
'আপনি কোনো জনগণের সঙ্গে কথা বলতে বলেননি। আপনাকে আমরা দেখিনি আপনি কোনো জেলায় গিয়ে এত বড় গণঅভ্যুত্থানের পরে সাধারণ মানুষকে উদ্দেশ্য করে কোনো কথা বলেছেন। তাদের স্বার্থের পক্ষে আপনি কোনো কথা বলেছেন।'
এ সময় তিনি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন, বিদ্যমান সংবিধান অক্ষুণ্ন রেখে উপদেষ্টা সরকার গঠন নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকার অবৈধ উল্লেখ করে ফরহাদ মজহার বলেন, অবৈধ সরকার বলার মানে এই নয় যে, আপনাকে আমরা চাই না। এটা মানে হচ্ছে আপনার প্রথম কাজ আপনার নিজের বৈধতা নিশ্চিত করা...সংবিধানের কোথায় উপদেষ্টা সরকারে কথা আছে? আপনার বৈধতার একটাই পথ আছে, সেটা গণঅভ্যুত্থান। গণঅভ্যুত্থান সংবিধান মেনে ঘটে না...আমরা দীর্ঘদিন অপেক্ষা করেছি আপনার যেন মতি হয়, রাজনীতি কাকে বলে, সেটা যেন আপনি বোঝেন...আমি পরিষ্কার বলতে চাই, রাষ্ট্র মানে কিন্তু গ্রামীণ ব্যাংক চালানো না।

জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্যাপন পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক নাঈম হাসান সুজা পর্ষদের ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘অনিবার্য কারণবশত জাতীয় নবান্ন উৎসব উদ্যাপন পর্ষদ আয়োজিত ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২ (১৬ নভেম্বর ২০২৫) অনুষ্ঠেয় ২৭তম “নবান্ন উৎসব ১৪৩২” আয়োজন করা সম্ভব হচ্ছে না। পর্ষদের পক্ষ থেকে শিল্পী, দর্শক ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের কাছে
৫ ঘণ্টা আগে
ভারতের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের আমন্ত্রণে নিরাপত্তা উপদেষ্টা খলিলুর রহমান আগামী ১৯ নভেম্বর দিল্লি যাচ্ছেন। সেখানে তিনি ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টাদের সম্মেলনে যোগ দেবেন।
৭ ঘণ্টা আগে
ব্রিটিশ মন্ত্রী ব্যারোনেস জেনি চ্যাপম্যানকে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, জাতীয় নির্বাচন যথাসময়ে, ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচন হবে অন্তর্ভুক্তিমূলক ও অংশগ্রহণমূলক। কোটি কোটি তরুণ এবার প্রথমবারের মতো ভোট দেবেন। কারণ গত টানা তিনটি কারচুপির নির্বাচনে তারা ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ পাননি।
১০ ঘণ্টা আগে
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে প্রশাসনে এমন রদবদল আনছে সরকার। জাতীয় নির্বাচনে ডিসিরা নিজ নিজ জেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন, যার ওপর গোটা জেলার নির্বাচন আয়োজন থেকে শুরু করে ফল ঘোষণা পর্যন্ত সব দায়িত্ব থাকে।
১৩ ঘণ্টা আগে