
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের বিষয় হতে পারে না। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বাংলাদেশের বিষয়। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের মন্তব্যের বিপরীতে আজ সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। গতকাল রবিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাহিত্য উৎসবে সংখ্যালঘু বিষয়সহ বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্পর্কে তিনি (জয়শংকর) আবারও বলেছেন। তবে সংখ্যালঘু বিষয়টি হচ্ছে যে এই অভিযোগগুলো প্রধানত ভারতীয় মিডিয়া যে বিকৃত তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করেছে, তার ভিত্তিতে এগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জন বলে বেড়াচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা হলো—বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের বিষয় হতে পারে না। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বাংলাদেশের বিষয়। যেমন- ভারতের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, সেটি ভারতের বিষয়। কাজেই আমি মনে করি, হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করতে হবে। সংখ্যালঘুদের বিষয়টি আমরা দেখছি। তারা বাংলাদেশের নাগরিক। আমার যতটুকু অধিকার আছে, তাদের প্রত্যেকের ততটুকু অধিকার আছে। সরকার সেটিই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে।’
‘ভারতের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক হবে, সেটি বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে,’ জয়শংকরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে ভারতের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক চায়। একইভাবে ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায়। এটি দুপক্ষের বিষয় এবং এটা বলাতে দোষের কিছু নেই। আমার মনে হয় এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আছে। আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো কার্যকর সম্পর্ক (গুড ওয়ার্কিং রিলেশনস) চাই। সেটির ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থ। এ বিষয়ে আমাদের কোনও অস্পষ্টতা নেই।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘ভারত কেমন সম্পর্ক চায়, সেটি তারা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে উনি (জয়শংকর) কিন্তু বলেছেন যে ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জন আপত্তিকর কথাবার্তা বলছে, সরকারের ভেতর থেকে ভারতবিরোধী কথা বলছে।’ আমি এ নিয়ে ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত বিচার করতে চাই না। আমার কথা হলো, এ রকম কথা আমাদের এখান থেকে বলছে, তাদের ওখান থেকেও বলছে। ওনাদের মুখ্যমন্ত্রী তো পারলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ দল পাঠিয়ে দেয়। শান্তিরক্ষী দল পাঠিয়ে দেয়। তাদের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অহরহ বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক আছে, এগুলো চলতে থাকবে ধরে নিয়েই সম্পর্ক ভালো করা যায় কিনা, সেই চেষ্টা করছি। কাজেই আমাদের অবস্থান হচ্ছে এটাই যে আশপাশ থেকে দুই-চারজন কী বললো না বললো, সেটিতে মনোযোগ না দিয়ে বরং আমরা আমাদের সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করি।’’
সম্পর্ক ভালো করতে গেলে, বরং আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওখানে ভারতীয় আতিথেয়তায় থেকে যেসব কথাবার্তা বলছেন, সেগুলো তো আসলে ক্ষতিকর। সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক আছে, আমাদের অস্থিতিশীলতা বা এ ধরনের কিছু আমাদেরকেই সামাল দিতে হবে। কিন্তু তার বক্তব্য যে আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছে, সেটি তো স্বীকৃত বিষয়। সবাই জানেন এটি। একইভাবে ভিসার বিষয়ও। ভিসা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজস্ব বিষয়। তারা কাউকে না দিলে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যখন ভিসা দেওয়া হচ্ছে না, বা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সাংঘাতিকভাবে, আমরা তো বিকল্প খুঁজে নেবোই বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের বিষয় হতে পারে না। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বাংলাদেশের বিষয়। বাংলাদেশ নিয়ে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শংকরের মন্তব্যের বিপরীতে আজ সোমবার পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এ কথা বলেন। গতকাল রবিবার দিল্লি বিশ্ববিদ্যালয়ে একটি সাহিত্য উৎসবে সংখ্যালঘু বিষয়সহ বাংলাদেশের নানা বিষয় নিয়ে মন্তব্য করেন দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সংখ্যালঘু সম্পর্কে তিনি (জয়শংকর) আবারও বলেছেন। তবে সংখ্যালঘু বিষয়টি হচ্ছে যে এই অভিযোগগুলো প্রধানত ভারতীয় মিডিয়া যে বিকৃত তথ্য প্রবাহ সৃষ্টি করেছে, তার ভিত্তিতে এগুলো বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন জন বলে বেড়াচ্ছে। তার চেয়েও বড় কথা হলো—বাংলাদেশের সংখ্যালঘু ভারতের বিষয় হতে পারে না। বাংলাদেশের সংখ্যালঘু বাংলাদেশের বিষয়। যেমন- ভারতের সংখ্যালঘুদের সঙ্গে কী ধরনের আচরণ করা হচ্ছে, সেটি ভারতের বিষয়। কাজেই আমি মনে করি, হস্তক্ষেপ না করার নীতি অনুসরণ করতে হবে। সংখ্যালঘুদের বিষয়টি আমরা দেখছি। তারা বাংলাদেশের নাগরিক। আমার যতটুকু অধিকার আছে, তাদের প্রত্যেকের ততটুকু অধিকার আছে। সরকার সেটিই বাস্তবায়ন করার চেষ্টা করবে।’
‘ভারতের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক হবে, সেটি বাংলাদেশকেই ঠিক করতে হবে,’ জয়শংকরের এমন মন্তব্যের বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘অবশ্যই বাংলাদেশ সিদ্ধান্ত নেবে ভারতের সঙ্গে কী ধরনের সম্পর্ক চায়। একইভাবে ভারতকে সিদ্ধান্ত নিতে হবে—তারা বাংলাদেশের সঙ্গে কেমন সম্পর্ক চায়। এটি দুপক্ষের বিষয় এবং এটা বলাতে দোষের কিছু নেই। আমার মনে হয় এ বিষয়ে আমাদের স্পষ্ট সিদ্ধান্ত আছে। আমরা ভারতের সঙ্গে ভালো কার্যকর সম্পর্ক (গুড ওয়ার্কিং রিলেশনস) চাই। সেটির ভিত্তি হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধা ও স্বার্থ। এ বিষয়ে আমাদের কোনও অস্পষ্টতা নেই।’
তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘‘ভারত কেমন সম্পর্ক চায়, সেটি তারা সিদ্ধান্ত নেবে। তবে উনি (জয়শংকর) কিন্তু বলেছেন যে ‘বাংলাদেশের বিভিন্ন জন আপত্তিকর কথাবার্তা বলছে, সরকারের ভেতর থেকে ভারতবিরোধী কথা বলছে।’ আমি এ নিয়ে ন্যায়-অন্যায়, উচিত-অনুচিত বিচার করতে চাই না। আমার কথা হলো, এ রকম কথা আমাদের এখান থেকে বলছে, তাদের ওখান থেকেও বলছে। ওনাদের মুখ্যমন্ত্রী তো পারলে বাংলাদেশে জাতিসংঘ দল পাঠিয়ে দেয়। শান্তিরক্ষী দল পাঠিয়ে দেয়। তাদের একজন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অহরহ বাংলাদেশবিরোধী বক্তব্য দিয়ে যাচ্ছেন। ঠিক আছে, এগুলো চলতে থাকবে ধরে নিয়েই সম্পর্ক ভালো করা যায় কিনা, সেই চেষ্টা করছি। কাজেই আমাদের অবস্থান হচ্ছে এটাই যে আশপাশ থেকে দুই-চারজন কী বললো না বললো, সেটিতে মনোযোগ না দিয়ে বরং আমরা আমাদের সম্পর্ক ভালো করার চেষ্টা করি।’’
সম্পর্ক ভালো করতে গেলে, বরং আমাদের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ওখানে ভারতীয় আতিথেয়তায় থেকে যেসব কথাবার্তা বলছেন, সেগুলো তো আসলে ক্ষতিকর। সম্পর্কের জন্য ক্ষতিকর। ঠিক আছে, আমাদের অস্থিতিশীলতা বা এ ধরনের কিছু আমাদেরকেই সামাল দিতে হবে। কিন্তু তার বক্তব্য যে আগুনে ঘি ঢেলে দিচ্ছে, সেটি তো স্বীকৃত বিষয়। সবাই জানেন এটি। একইভাবে ভিসার বিষয়ও। ভিসা সম্পূর্ণভাবে তাদের নিজস্ব বিষয়। তারা কাউকে না দিলে আমাদের কিছু বলার নেই। কিন্তু যখন ভিসা দেওয়া হচ্ছে না, বা কমিয়ে দেওয়া হয়েছে সাংঘাতিকভাবে, আমরা তো বিকল্প খুঁজে নেবোই বলে জানান পররাষ্ট্র উপদেষ্টা।

এতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ৯১২ জন রোগী হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। তাদের মধ্যে বরিশাল বিভাগে ১৩৮ জন, চট্টগ্রাম বিভাগে ১৫১ জন, ঢাকা বিভাগে (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে) ১৩০ জন, ঢাকা উত্তর সিটিতে ১৯৪ জন, ঢাকা দক্ষিণ সিটিতে ১৩১ জন, খুলনা বিভাগে ৭২ জন (সিটি কর্পোরেশনের বাইরে), রাজশাহী বিভাগে
৩ ঘণ্টা আগে
আইন উপদেষ্টা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো নিজেদের মধ্যে আলাপ-আলোচনা করে আমাদের একটা ঐক্যবদ্ধ নির্দেশনা দেবেন, এ ধরনের প্রত্যাশা আমরা করেছিলাম। কিন্তু প্রত্যাশা করেই আমরা বসে থাকিনি। আমরা নিজেদের মতো কাজ করেছি। সনদ বাস্তবায়নের ব্যাপারে কী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছি, তা আগামী তিন-চার দিনের মধ্যে পরিষ্কারভাবে জানতে
৩ ঘণ্টা আগে
প্রসঙ্গত, ভারতের দিল্লিতে লাল কেল্লার সামনে গাড়িতে বোমা হামলার ঘটনায় ১৩ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ঘটনায় আহত হয়েছেন অনেকে। কিছু ভারতীয় গণমাধ্যম এ হামলার সঙ্গে বাংলাদেশকে জড়িয়ে সংবাদ প্রচার করেছে।
৩ ঘণ্টা আগে
ডিএমপি কমিশনার বলেন, কার্যক্রম নিষিদ্ধ একটি দল ১-১১ নভেম্বর রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ১৭টি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়েছে। এ ছাড়া গত দুই দিনে রাজধানীতে ৯টি গাড়িতে আগুন লাগানো হয়েছে। এতে ৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এসব ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৭টি মামলা করা হয়েছে। গত অক্টোবর থেকে এখন পর্যন্ত আওয়ামী লীগ এবং এর সহযোগ
৪ ঘণ্টা আগে