প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
‘এ অভিজ্ঞতা বলে বোঝানোর মতো না। মেসি যখন টুক টুক করে হেঁটে বিশ্বকাপটা তুলে ধরেছিল, সেই মুহূর্তটা বারবার চোখে ভাসছিল। ফাইনালের আগে ড্রেসিংরুমে যেখানে ওরা সবাই প্র্যাকটিস-ওয়ার্ম আপ করেছিল, সেখানেও গিয়েছি। সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছিল।’
এভাবেই কাতারের আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়াম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আর্থনা সামিটে যোগ দিতে কাতার গেলে তার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন তিনি।
আফঈদা ছাড়াও নারী ফুটবল দলের শাহেদা আক্তার রিপা এবং দুই নারী ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানাও কাতারে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী। সেই সফর শেষে দেশে ফিরে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে তারা তুলে ধরেছেন সফরের অভিজ্ঞতা।
কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও এবং কাতার আমিরের বোন শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানির সঙ্গে চার নারী ক্রীড়াবিদকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ক্রীড়াবিদরা জানান, শেখ হিন্দ তাদের কথা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর
বিকেল ৫টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চার ক্রীড়াবিদ উপস্থিত হয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানেই তারা লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
২০২২ সালে কাতারে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল লুসাইল স্টেডিয়ামে। কোটি আর্জেন্টাইন আর বিশ্ব জুড়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের কোটি কোটি ভক্তের ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছিল সেই ম্যাচে। স্নায়ুর লড়াইয়ে সে ম্যাচে ফ্রান্সকে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হারালে শিরোপা উঠেছিল মেসি-মারিয়াদের হাতে।
কাতার সফরে যাওয়া চার নারী ক্রীড়াবিদই সেই স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছেন। যে ড্রেসিংরুমে মেসি-ডি মারিয়ারা ওয়ার্ম আপ করেছিলেন, ফাইনাল জিততে যে টানেল দিয়ে মেসি বেরিয়ে এসেছিলেন সতীর্থদের নিয়ে, ঠিক যেখানে তৈরি মঞ্চে মেসি কালো গাউন পরে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পরম আরাধ্য বিশ্বকাপের ট্রফি— প্রতিটি জায়গা ঘুরে দেখেছেন আফঈদা-শারমিনরা। আর স্মরণ করেছেন মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের সেই স্মৃতি।
কেবল লুসাইল স্টেডিয়াম নয়, কাতার ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে কাতারের স্কুল ক্রিকেট প্রজেক্ট বং পিএসজির একাডেমির যাবতীয় কার্যক্রমই দেখে এসেছেন বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা। কাতারের ক্রীড়া কাঠামোর একটি বড় অংশই সবই তারা ঘুরে দেখেছেন। দেশের ক্রীড়া কাঠামোর সঙ্গে এর পার্থক্যটাও স্পষ্ট হয়েছে তাদের কাছে।
আফঈদা-সুমাইয়ারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কাতার পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী দোহার ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে তাদের সংবর্ধনাসহ বরণ করে নেওয়া হয়। কাতার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এমন অভ্যর্থনায় তারা মুগ্ধ হয়েছেন।
দোহায় আর্থনা সামিটের ফাঁকে সামিটের প্রধান আয়োজক কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও এবং কাতারের আমিরের বোন শেখ হিন্দ বিনত হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সে বৈঠকে তিনি নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে রেখেছিলেন।
কাতারের রাজধানী দোহায় আর্থনা সামিট শুরুর আগে চার নারী ক্রীড়াবিদকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া বলেন, শেখ হিন্দ বিন হামাদ আল থানির কাছে তারা নিজেদের চাওয়া, স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। কাতার ফাউন্ডেশনেরএই সিইও বৈঠকে তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
আফঈদা বলেন, কাতার সফরের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যখন প্রথম আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাই, তখন তিনিই কাতার সফরে আমাদের করণীয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কাতারের কাছে তুলে ধরা। আমরা সেই চেষ্টা করেছি।
‘এ অভিজ্ঞতা বলে বোঝানোর মতো না। মেসি যখন টুক টুক করে হেঁটে বিশ্বকাপটা তুলে ধরেছিল, সেই মুহূর্তটা বারবার চোখে ভাসছিল। ফাইনালের আগে ড্রেসিংরুমে যেখানে ওরা সবাই প্র্যাকটিস-ওয়ার্ম আপ করেছিল, সেখানেও গিয়েছি। সবকিছু স্বপ্নের মতো লাগছিল।’
এভাবেই কাতারের আইকনিক লুসাইল স্টেডিয়াম ভ্রমণের অভিজ্ঞতা তুলে ধরলেন নারী ফুটবল দলের অধিনায়ক আফঈদা খন্দকার। প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস আর্থনা সামিটে যোগ দিতে কাতার গেলে তার সফরসঙ্গী হয়েছিলেন তিনি।
আফঈদা ছাড়াও নারী ফুটবল দলের শাহেদা আক্তার রিপা এবং দুই নারী ক্রিকেটার সুমাইয়া আক্তার ও শারমিন সুলতানাও কাতারে ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার সফরসঙ্গী। সেই সফর শেষে দেশে ফিরে শুক্রবার (২৫ এপ্রিল) সংবাদ সম্মেলনে তারা তুলে ধরেছেন সফরের অভিজ্ঞতা।
কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও এবং কাতার আমিরের বোন শেখ হিন্দ বিনতে হামাদ আল থানির সঙ্গে চার নারী ক্রীড়াবিদকে নিয়ে বৈঠক করেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। ক্রীড়াবিদরা জানান, শেখ হিন্দ তাদের কথা অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে শুনেছেন এবং সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর
বিকেল ৫টায় ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে চার ক্রীড়াবিদ উপস্থিত হয়েছিলেন সংবাদ সম্মেলনে। সেখানেই তারা লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়াম ঘুরে দেখার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। বলেন, তাদের স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
২০২২ সালে কাতারে ফিফা ফুটবল বিশ্বকাপের স্নায়ুক্ষয়ী ফাইনাল ম্যাচটি অনুষ্ঠিত হয়েছিল লুসাইল স্টেডিয়ামে। কোটি আর্জেন্টাইন আর বিশ্ব জুড়ে আর্জেন্টিনা ফুটবল দলের কোটি কোটি ভক্তের ৩৬ বছরের অপেক্ষার অবসান ঘটেছিল সেই ম্যাচে। স্নায়ুর লড়াইয়ে সে ম্যাচে ফ্রান্সকে শেষ পর্যন্ত টাইব্রেকারে হারালে শিরোপা উঠেছিল মেসি-মারিয়াদের হাতে।
কাতার সফরে যাওয়া চার নারী ক্রীড়াবিদই সেই স্টেডিয়াম ঘুরে দেখেছেন। যে ড্রেসিংরুমে মেসি-ডি মারিয়ারা ওয়ার্ম আপ করেছিলেন, ফাইনাল জিততে যে টানেল দিয়ে মেসি বেরিয়ে এসেছিলেন সতীর্থদের নিয়ে, ঠিক যেখানে তৈরি মঞ্চে মেসি কালো গাউন পরে হাতে তুলে নিয়েছিলেন পরম আরাধ্য বিশ্বকাপের ট্রফি— প্রতিটি জায়গা ঘুরে দেখেছেন আফঈদা-শারমিনরা। আর স্মরণ করেছেন মেসিদের বিশ্বকাপ জয়ের সেই স্মৃতি।
কেবল লুসাইল স্টেডিয়াম নয়, কাতার ফাউন্ডেশনের তত্ত্বাবধানে কাতারের স্কুল ক্রিকেট প্রজেক্ট বং পিএসজির একাডেমির যাবতীয় কার্যক্রমই দেখে এসেছেন বাংলাদেশের নারী ক্রীড়াবিদরা। কাতারের ক্রীড়া কাঠামোর একটি বড় অংশই সবই তারা ঘুরে দেখেছেন। দেশের ক্রীড়া কাঠামোর সঙ্গে এর পার্থক্যটাও স্পষ্ট হয়েছে তাদের কাছে।
আফঈদা-সুমাইয়ারা সংবাদ সম্মেলনে বলেন, কাতার পৌঁছানোর পর মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) দেশটির রাজধানী দোহার ম্যান্ডারিন ওরিয়েন্টাল হোটেলে তাদের সংবর্ধনাসহ বরণ করে নেওয়া হয়। কাতার ফাউন্ডেশনের আয়োজনে এমন অভ্যর্থনায় তারা মুগ্ধ হয়েছেন।
দোহায় আর্থনা সামিটের ফাঁকে সামিটের প্রধান আয়োজক কাতার ফাউন্ডেশনের সিইও এবং কাতারের আমিরের বোন শেখ হিন্দ বিনত হামাদ আল থানির সঙ্গে বৈঠক করেছিলেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস। সে বৈঠকে তিনি নারী ক্রীড়াবিদদের সঙ্গে রেখেছিলেন।
কাতারের রাজধানী দোহায় আর্থনা সামিট শুরুর আগে চার নারী ক্রীড়াবিদকে উষ্ণ অভ্যর্থনায় বরণ করে নেওয়া হয়। ছবি: প্রধান উপদেষ্টার দপ্তর
সংবাদ সম্মেলনে সুমাইয়া বলেন, শেখ হিন্দ বিন হামাদ আল থানির কাছে তারা নিজেদের চাওয়া, স্বপ্ন ও চ্যালেঞ্জগুলো তুলে ধরেন। কাতার ফাউন্ডেশনেরএই সিইও বৈঠকে তাদের জন্য সুযোগ-সুবিধা বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি দেন।
আফঈদা বলেন, কাতার সফরের জন্য নির্বাচিত হওয়ার পর যখন প্রথম আমরা প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে দেখা করতে যাই, তখন তিনিই কাতার সফরে আমাদের করণীয়গুলো খুব ভালোভাবে বুঝিয়ে দেন। আমাদের উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনকে কাতারের কাছে তুলে ধরা। আমরা সেই চেষ্টা করেছি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো বার্তায় বলা হয়েছে, ইতালিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত এ টি এম রকিবুল হক রোমের ফিউমিসিনো বিমানবন্দরে স্বাগত জানান প্রধান উপদেষ্টাকে।
১৫ ঘণ্টা আগে