বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত

ডেস্ক, রাজনীতি ডটকম
প্রকাশ: ১২ জুলাই ২০২৪, ১৯: ১১

বৃষ্টির সুশীতল আবহাওয়ার কারণে মন প্রফুল্ল হয়ে ওঠে। অনেকেই বৃষ্টিবিলাস করতে পছন্দ করেন। কেউ কেউ শখ করে বৃষ্টিতে ভিজে গোসল করেন। অনেকে হাত বাড়িয়ে বৃষ্টির পানি স্পর্শ করে আনন্দ উপভোগ করেন। কিন্তু অনেকেরই হয়তো জানা নেই, বৃষ্টির পানি স্পর্শ করা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সুন্নত। তিনিও বৃষ্টির পানি গায়ে লাগাতেন।

আনাস (রা.) বলেন, ‘আমরা রাসুলুল্লাহ (সা.)-এর সঙ্গে থাকাকালে একবার বৃষ্টি নামল। রাসুলুল্লাহ (সা.) তখন তাঁর পরিধেয় (কাপড়) প্রসারিত করলেন, যাতে পানি তাঁকে স্পর্শ করতে পারে। আমরা বললাম, আপনি কেন এমন করলেন? তিনি বললেন, কারণ তা তার রবের কাছ থেকে মাত্রই এসেছে।’ (মুসলিম, ৮৯৮)

বৃষ্টি আল্লাহর নেয়ামত। আয়েশা (রা.) বলেছেন, ‘আমি এ বিষয়ে তাঁকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, ‘আমার আশঙ্কা হয়, আমার উম্মতের ওপর কোনো গজব আসে কিনা।’ বৃষ্টি দেখলেই তিনি বলতেন, ‘এটি আল্লাহর রহমত।’ (মুসলিম, ১৯৬৯)

বৃষ্টির মাধ্যমে আল্লাহতায়ালা ফসলি জমির উর্বরতা বাড়িয়ে দেন। গ্রীষ্মের তপ্ত আবহাওয়া সুশীতল করে দেন। নতুন করে প্রাণ ফিরে পায় গ্রীষ্মের খরতাপে পুড়তে থাকা প্রকৃতি। আল্লাহ বলেন, ‘আল্লাহ আকাশ থেকে পানি বর্ষণের মাধ্যমে মৃতপ্রায় ধরিত্রীকে পুনরুজ্জীবিত করেন; তাতে যাবতীয় জীবজন্তুর বিস্তার ঘটান; তাতে বায়ুর দিক পরিবর্তনে এবং আকাশ ও পৃথিবীর মধ্যে নিয়ন্ত্রিত মেঘমালায় জ্ঞানবান জাতির জন্য নিদর্শন রয়েছে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত: ১৬৪)

বৃষ্টির সময় দোয়া কবুল হয়। রাসুলুল্লাহ (সা.) বৃষ্টির সময় এই দোয়া পড়তেন—বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা সাইয়িবান নাফিয়া’। বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, কল্যাণকর বৃষ্টি দাও। (বুখারি, ১০৩২)

বৃষ্টি শেষ হয়ে এলে রাসুলুল্লাহ (সা.) সাহাবিদের এই দোয়া পড়ার তাগিদ দিয়েছেন, বাংলা উচ্চারণ: ‘মুতিরনা বিফাদলিল্লাহি ওয়া রাহমাতিহ।’ বাংলা অর্থ: আল্লাহর অনুগ্রহ ও রহমতে আমাদের ওপর বৃষ্টি বর্ষিত হয়েছে।’ (বুখারি, ১০৩৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) অতিবৃষ্টির কারণে ক্ষয়ক্ষতি হতে দেখলে মহান আল্লাহর কাছে আশ্রয় প্রার্থনা করতেন। তিনি দোয়া করতেন, বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা হাওয়া লাইনা ওয়া লা আলাই না’। বাংলা অর্থ : হে আল্লাহ, তুমি বৃষ্টি আমাদের আশপাশে বর্ষণ করো, আমাদের ওপরে নয়। (নাসায়ি, ১৫২৭)

আয়েশা (রা.) বলেন, ‘রাসুলুল্লাহ (সা.) আকাশে মেঘ দেখলে নফল ইবাদত ছেড়ে দিতেন। তিনি এই বলে দোয়া করতেন, বাংলা উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নি আসআলুকা খাইরাহা ওয়া খাইরি ওয়া খাইরি মা উরসিলাত বিহি, ওয়া আউজুবিকা মিন শাররিহা ওয়া শাররি ওয়া শাররি মা উরসিলাত বিহি।’ বাংলা অর্থ: হে আল্লাহ, আমি আপনার কাছে বৃষ্টির উপকারী দিক কামনা করছি। আর অনিষ্ট থেকে আশ্রয় চাইছি।’ (আবু দাউদ, ৫১৯৯)

লেখক: শিক্ষার্থী, জামেয়া মোহাম্মাদিয়া নুরিয়া, ময়মনসিংহ

ad
ad

খবরাখবর থেকে আরও পড়ুন

একযোগে ৪১ অতিরিক্ত কর কমিশনারকে বদলি

কর কর্মকর্তারা বলছেন, গত মে ও জুনে আন্দোলনের জেরে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা হিসেবে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তাদের বদলি করা হয়েছে। যার শুরু গত জুলাই থেকেই।

২ ঘণ্টা আগে

মিনিস্টারে নিয়োগ, বেতন সর্বোচ্চ ৪০ হাজার টাকা

২ ঘণ্টা আগে

ব্যাংক এশিয়াতে নিয়োগ, লাগবে কমপক্ষে ৪ বছরের অভিজ্ঞতা

২ ঘণ্টা আগে

ওয়ান ব্যাংকে কাজের সুযোগ, পদসংখ্যা ৩০

২ ঘণ্টা আগে