
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে রাশিয়ান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
রুশ রাষ্ট্রদূত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে উত্তেজনা কমানোর পক্ষে। এটি নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি-আপনারা জানেন- ৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ায় একাধিক বিপ্লব ও পাল্টা-বিপ্লব হয়েছে। কোনো বিপ্লবই সহিংসতা ও প্রাণহানি ছাড়া হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট মন্তব্য করি না। তবে পরিস্থিতিটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, কারণ এটি শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ভূরাজনৈতিক বিষয়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে যদি ফলপ্রসূ সমাধান না আসে। আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য পড়েছি। তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সমাধানের পথে এগোনোর কথা বলেছেন, যাতে উত্তেজনা যতটা সম্ভব কমানো যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবেশী বেছে নিতে পারি না। ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটিও আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। একইভাবে এখানকার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। ভারতের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা কমানো প্রয়োজন- এটাই ভালো। কারণ ইতিহাস থেকে আমরা জানি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের বড় ভূমিকা ছিল এবং রাশিয়াও তখন সমর্থন দিয়েছিল। ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিল। সে সময় মাইন পরিষ্কারের কাজেও সহযোগিতা করা হয়েছিল। আমার অবস্থান পরিষ্কার- যেকোনো ধরনের উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে আমরা অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখছি। এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে নির্বাচনের ফলাফল না আসা পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কোনো মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা একটি ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ, অহিংস, চরমপন্থামুক্ত এবং সহিংসতামুক্ত পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। এটি আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আপনাদের জন্যও। আমরা দেখেছি যে বর্তমানে আপনার দেশে বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।’
আলেকজান্ডার খোজিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা স্বাগত, তবে আমন্ত্রণটি অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় হতে হবে। নির্বাচন কমিশনই এ বিষয়ে দায়িত্বশীল। আমরা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ এলে তা মস্কোতে জানানো হবে। আমরা সেই আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছি।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, রাশিয়া যখন অন্যান্য দেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়, তখন সাধারণত রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং কখনো কখনো স্টেট দুমা বা উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরাও থাকেন। অতএব, নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

দুই প্রতিবেশী দেশ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে বিরাজমান উত্তেজনা কমানোর আহ্বান জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত রুশ রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার গ্রিগোরিয়েভিচ খোজিন বলেছেন, বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার সম্পর্ক শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর গুলশানে রাশিয়ান দূতাবাসে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
রুশ রাষ্ট্রদূত ভারত ও বাংলাদেশের মধ্যকার উত্তেজনা কমানোর ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশে উত্তেজনা কমানোর পক্ষে। এটি নির্বাচনের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। রাশিয়ার অভিজ্ঞতার কথা যদি বলি-আপনারা জানেন- ৯০-এর দশকে সোভিয়েত ইউনিয়ন ও রাশিয়ায় একাধিক বিপ্লব ও পাল্টা-বিপ্লব হয়েছে। কোনো বিপ্লবই সহিংসতা ও প্রাণহানি ছাড়া হয় না।’
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যকার দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কোনো নির্দিষ্ট মন্তব্য করি না। তবে পরিস্থিতিটি আমরা পর্যবেক্ষণ করছি, কারণ এটি শুধু দুই দেশের জন্য নয়, বরং পুরো দক্ষিণ এশিয়া অঞ্চলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। এটি একটি ভূরাজনৈতিক বিষয়, যার নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে যদি ফলপ্রসূ সমাধান না আসে। আমরা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টার বক্তব্য পড়েছি। তিনি সংশ্লিষ্ট সব পক্ষের সঙ্গে ভারসাম্যপূর্ণ সমাধানের পথে এগোনোর কথা বলেছেন, যাতে উত্তেজনা যতটা সম্ভব কমানো যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা আমাদের প্রতিবেশী বেছে নিতে পারি না। ইউক্রেনের সঙ্গে আমাদের যে অভিজ্ঞতা রয়েছে, সেটিও আমাদের জন্য উদ্বেগের বিষয়। একইভাবে এখানকার ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়েও আমরা উদ্বিগ্ন। ভারতের সঙ্গে যত দ্রুত সম্ভব উত্তেজনা কমানো প্রয়োজন- এটাই ভালো। কারণ ইতিহাস থেকে আমরা জানি, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভারতের বড় ভূমিকা ছিল এবং রাশিয়াও তখন সমর্থন দিয়েছিল। ভারত, বাংলাদেশ ও রাশিয়া কাঁধে কাঁধ মিলিয়েছিল। সে সময় মাইন পরিষ্কারের কাজেও সহযোগিতা করা হয়েছিল। আমার অবস্থান পরিষ্কার- যেকোনো ধরনের উত্তেজনা যত দ্রুত সম্ভব কমাতে হবে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন বলেন, ‘১২ ফেব্রুয়ারি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণার সিদ্ধান্তকে আমরা অবশ্যই ইতিবাচকভাবে দেখছি। এটি একটি ইতিবাচক অগ্রগতি। তবে নির্বাচনের ফলাফল না আসা পর্যন্ত রাশিয়ার পক্ষ থেকে চূড়ান্ত কোনো মূল্যায়ন করা সম্ভব নয়।’
তিনি বলেন, ‘অবশ্যই আমরা একটি ইতিবাচক, বন্ধুত্বপূর্ণ, অহিংস, চরমপন্থামুক্ত এবং সহিংসতামুক্ত পরিবেশে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার বিষয়ে অত্যন্ত আগ্রহী। এটি আমাদের জন্য যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনি আপনাদের জন্যও। আমরা দেখেছি যে বর্তমানে আপনার দেশে বিভিন্ন ধরনের অস্থিরতা ও সহিংসতার ঘটনা ঘটছে।’
আলেকজান্ডার খোজিন বলেন, ‘আন্তর্জাতিক পর্যবেক্ষকরা স্বাগত, তবে আমন্ত্রণটি অবশ্যই নির্বাচন কমিশনের মাধ্যমে এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ায় হতে হবে। নির্বাচন কমিশনই এ বিষয়ে দায়িত্বশীল। আমরা ইতিবাচকভাবে সাড়া দিতে প্রস্তুত এবং নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ এলে তা মস্কোতে জানানো হবে। আমরা সেই আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণের অপেক্ষায় রয়েছি।’
রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘পূর্ব অভিজ্ঞতা অনুযায়ী, রাশিয়া যখন অন্যান্য দেশের নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠায়, তখন সাধারণত রাশিয়ার কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের প্রতিনিধি, সামাজিক সংগঠনের সদস্য এবং কখনো কখনো স্টেট দুমা বা উচ্চকক্ষের প্রতিনিধিরাও থাকেন। অতএব, নির্বাচন কমিশনের আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ না আসা পর্যন্ত আমাদের অপেক্ষা করতে হবে।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের দিন যত ঘনিয়ে আসবে, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আরও উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন। তার মতে, ভোটের দিন ঘনিয়ে আসার সঙ্গে সঙ্গে ভয় ও সংশয় তত কেটে যাবে।
৩ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় রাজসাক্ষী হিসেবে দণ্ডপ্রাপ্ত সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন পাঁচ বছরের কারাদণ্ডের বিরুদ্ধে আপিল করেছেন।
৩ ঘণ্টা আগে
গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের তথ্য জানিয়ে ডিএমপির এই কর্মকর্তা বলেন, একজন আসামি মোহাম্মদ নাঈম (২৬) নগদ ৫০ হাজার টাকা লুট করে সেই টাকায় একটি টিভি ও একটি ফ্রিজ (রেফ্রিজারেটর) কিনেছেন। সেটা আমরা উদ্ধার করতে সক্ষম হয়েছি।
৩ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, পোস্টালে এখন পর্যন্ত পৌনে ছয় লাখ ভোটারের নিবন্ধন সম্পন্ন হয়েছে। আরও তিন দিন সময় আছে। আশা করছি এর মধ্যে এই সংখ্যাটা আরও বেড়ে যাবে। প্রথমবারের মতো আমরা এই যে উদ্যোগটা নিলাম, আশা করছি সারা বিশ্বে এটি একটি মডেল হয়ে থাকবে।
৩ ঘণ্টা আগে