
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো এবং দুই ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস) আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ছাপা হয়নি। এর মধ্যে ডেইলি স্টারের অনলাইন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে প্রথম দুটি পত্রিকা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ‘ছাত্র-জনতা’। নিরাপত্তা ইস্যুতে টিবিএসের ছাপাখানাও বন্ধ ছিল। ফলে তিনটি পত্রিকার কোনোটিই শুক্রবার ছাপা হয়নি।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিকরা রাতেই পত্রিকা ছাপা না হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। শুক্রবার সকালে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ সীমিত পরিসরে চালু দেখা গেছে।
সকালে প্রথম আলো তাদের অনলাইন সংস্করণে এক বার্তায় বলেছে, ‘বিগত রাতে প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়ায় এর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আজ প্রথম আলো ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করা যায়নি। এর অনলাইন পোর্টালও সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।’
প্রথম আলো বলেছে, ‘পাঠকদের কাছে এ জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। যতটা দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কারিগরি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে প্রথম আলোর অনলাইন ও পত্রিকার প্রকাশ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে আমরা পাঠকদের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।’
ডেইলি স্টারের ছাপা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি অনলাইন সংস্করণ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সকালে পাঠকদের দেওয়া এক বার্তায় ডেইলি স্টার বলেছে, ‘গতরাতের হামলা-অগ্নিসংযোগের ডেইলি স্টারের প্রকাশনা সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পাঠকদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা ছাপা ও অনলাইন সংস্করণ চালুর জন্য কাজ করছি। পাঠকদের প্রতি ধৈর্য ধারণের অনুরোধ।’
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড তাদের ফেসবুক পেজে নিজেদের শুক্রবারের ছাপা পত্রিকার প্রথম পাতাটির ছবি শেয়ার করেছে। টিবিএস লিখেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ছাপাখানা বন্ধ থাকায় আমরা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নগর সংস্করণটি ছাপতে পারিনি। এ কারণে এ সংস্করণের প্রথম পাতাটির ছবি পাঠকদের জন্য এখানে প্রকাশ করছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতের হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে হতাহতের কোনো খবর মেলেনি। ডেইলি স্টার ভবনে আগুন দেওয়ার সময় সেখানকার ২৫-৩০ জন সংবাদ কর্মী ভেতরে আটকা পড়েন। আগুন ও ধোঁয়ার কারণে তারা ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ক্রেন দিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এ হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের সূত্রপাত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর জানায় তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। এরপর বিক্ষুব্ধরা ঢাকার শাহবাগে গিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সেখান থেকেই দুটি দল মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডির দিকে যায়। এসব দলই কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডিতে পৌঁছানোর পর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া রাতভর বিক্ষোভ হয়েছে ঢাকার অন্যান্য স্থানসহ প্রায় সারা দেশেই। চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ভবনের দিকে মিছিল হয়েছে। সেখানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

জাতীয় দৈনিক প্রথম আলো এবং দুই ইংরেজি দৈনিক ডেইলি স্টার ও দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড (টিবিএস) আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) ছাপা হয়নি। এর মধ্যে ডেইলি স্টারের অনলাইন কার্যক্রমও বন্ধ রয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত মধ্যরাতে প্রথম দুটি পত্রিকা প্রথম আলো ও ডেইলি স্টার ভবনে হামলা চালিয়ে ভাঙচুর করে ‘ছাত্র-জনতা’। নিরাপত্তা ইস্যুতে টিবিএসের ছাপাখানাও বন্ধ ছিল। ফলে তিনটি পত্রিকার কোনোটিই শুক্রবার ছাপা হয়নি।
প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের সাংবাদিকরা রাতেই পত্রিকা ছাপা না হওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেন। শুক্রবার সকালে প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ সীমিত পরিসরে চালু দেখা গেছে।
সকালে প্রথম আলো তাদের অনলাইন সংস্করণে এক বার্তায় বলেছে, ‘বিগত রাতে প্রথম আলোর কার্যালয় ব্যাপক হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের শিকার হওয়ায় এর স্বাভাবিক কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি। তাই আজ প্রথম আলো ছাপা পত্রিকা প্রকাশ করা যায়নি। এর অনলাইন পোর্টালও সাময়িকভাবে বন্ধ রয়েছে।’
প্রথম আলো বলেছে, ‘পাঠকদের কাছে এ জন্য আমরা আন্তরিক দুঃখ প্রকাশ করছি। যতটা দ্রুত সম্ভব ক্ষতিগ্রস্ত কারিগরি ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করে প্রথম আলোর অনলাইন ও পত্রিকার প্রকাশ শুরু করা হবে। এ বিষয়ে আমরা পাঠকদের সহযোগিতা প্রার্থনা করছি।’
ডেইলি স্টারের ছাপা বন্ধ হওয়ার পাশাপাশি অনলাইন সংস্করণ পুরোপুরি বন্ধ রয়েছে। সকালে পাঠকদের দেওয়া এক বার্তায় ডেইলি স্টার বলেছে, ‘গতরাতের হামলা-অগ্নিসংযোগের ডেইলি স্টারের প্রকাশনা সাময়িকভাবে বাধাগ্রস্ত হয়েছে। আমরা পাঠকদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা প্রার্থনা করছি। আমরা ছাপা ও অনলাইন সংস্করণ চালুর জন্য কাজ করছি। পাঠকদের প্রতি ধৈর্য ধারণের অনুরোধ।’
এদিকে বৃহস্পতিবার দিবাগত মধ্যরাতে দ্য বিজনেস স্ট্যান্ডার্ড তাদের ফেসবুক পেজে নিজেদের শুক্রবারের ছাপা পত্রিকার প্রথম পাতাটির ছবি শেয়ার করেছে। টিবিএস লিখেছে, নিরাপত্তাজনিত কারণে ছাপাখানা বন্ধ থাকায় আমরা বিজনেস স্ট্যান্ডার্ডের নগর সংস্করণটি ছাপতে পারিনি। এ কারণে এ সংস্করণের প্রথম পাতাটির ছবি পাঠকদের জন্য এখানে প্রকাশ করছি।
এর আগে বৃহস্পতিবার রাতের হামলা-ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগে হতাহতের কোনো খবর মেলেনি। ডেইলি স্টার ভবনে আগুন দেওয়ার সময় সেখানকার ২৫-৩০ জন সংবাদ কর্মী ভেতরে আটকা পড়েন। আগুন ও ধোঁয়ার কারণে তারা ছাদে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে ফায়ার সার্ভিস ক্রেন দিয়ে তাদের উদ্ধার করে।
এ হামলা-ভাঙচুর-অগ্নিসংযোগের সূত্রপাত ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়ার পর। বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৩ মিনিটে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন ওসমান হাদির মৃত্যুর খবর জানায় তার সংগঠন ইনকিলাব মঞ্চ। এরপর বিক্ষুব্ধরা ঢাকার শাহবাগে গিয়ে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করতে থাকেন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের কাছ থেকে জানা যায় ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা যায়, সেখান থেকেই দুটি দল মিছিল নিয়ে স্লোগান দিতে দিতে কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডির দিকে যায়। এসব দলই কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডিতে পৌঁছানোর পর প্রথম আলো-ডেইলি স্টার ও ছায়ানটে হামলার ঘটনা ঘটে।
এ ছাড়া রাতভর বিক্ষোভ হয়েছে ঢাকার অন্যান্য স্থানসহ প্রায় সারা দেশেই। চট্টগ্রামে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশন ভবনের দিকে মিছিল হয়েছে। সেখানে ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের বাসভবনে আগুন দেওয়া হয়েছে। রাজশাহীতে আওয়ামী লীগের কার্যালয় পুরোপুরি গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়েছে।

ডেইলি স্টারে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক রাজনীতি ডটকমকে জানিয়েছেন, আগুন লাগা অবস্থায় ভবনটিতে ডেইলি স্টারের ২৫-৩০ জন সাংবাদিক ভেতরে আটকা পড়েন। আগুন ও ধোঁয়া বাড়তে থাকলে তারা একসময় ছাদে পৌঁছে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস ক্রেন ব্যবহার করে দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের নামিয়ে আনে।
৭ ঘণ্টা আগে
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ভিডিওতে দেখা গেছে, বিক্ষোভকারীরা ধাক্কা দিতে দিতে নূরুল কবীরকে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন। কেউ কেউ তার চুল ধরে টানছিলেন। এ সময় তাকে ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলে হেনস্তা করা হয়।
৮ ঘণ্টা আগে
রাত পৌনে ২টা নাগাদ ধানমন্ডির দিকে যাওয়া দলটি ছায়ানট ভবনে ঢুকে পড়ে ভাঙচুর চালায়। তারা ভবনের জিনিসপত্র বাইরে এনে আগুন ধরিয়ে দেয়।
৯ ঘণ্টা আগে
ফেসবুক পেজের এক পোস্টে জানানো হয়েছে, শুক্রবার স্থানীয় সময় সকাল ১০টায় সিঙ্গাপুরের আঙুলিয়া মসজিদে হাদির প্রথম জানাজা হবে। এরপর বিকেলে তার মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে ঢাকায় আনা হবে।
১০ ঘণ্টা আগে