
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে আটকে পড়া সাংবাদিকদের ছাদ থেকে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে ফায়ার সার্ভিস সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার তথ্য দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম। এর আগে রাত ১টার দিকে ওই ভবনে হামলা চালিয়ে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ডেইলি স্টারে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক রাজনীতি ডটকমকে জানিয়েছেন, আগুন লাগা অবস্থায় ভবনটিতে ডেইলি স্টারের ২৫-৩০ জন সাংবাদিক ভেতরে আটকা পড়েন। আগুন ও ধোঁয়া বাড়তে থাকলে তারা একসময় ছাদে পৌঁছে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস ক্রেন ব্যবহার করে দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের নামিয়ে আনে।
ডেইলি স্টার ভবনে হামলার আগে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। পরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনে।
এদিকে ডেইলি স্টার ভবনে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে হামলা-হেনস্তার শিকার হয়েছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়। ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলেও তাকে অভিহিত করেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তার মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। তারা প্রথমে শাহবাগ মোড়, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শাহবাগ থেকে মিছিল যায় কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডির দিকে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তেমনই এক জনসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওসমান হাদিকে। বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চার দিনের মাথায়ই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ওসমান হাদি।

ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টারের প্রধান কার্যালয়ে আটকে পড়া সাংবাদিকদের ছাদ থেকে ক্রেনের মাধ্যমে উদ্ধার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এর আগে ফায়ার সার্ভিস সেখানে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ২টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার তথ্য দিয়েছে ফায়ার সার্ভিসের কেন্দ্রীয় কন্ট্রোল রুম। এর আগে রাত ১টার দিকে ওই ভবনে হামলা চালিয়ে আগুন দেয় বিক্ষোভকারীরা।
ডেইলি স্টারে কর্মরত একাধিক সাংবাদিক রাজনীতি ডটকমকে জানিয়েছেন, আগুন লাগা অবস্থায় ভবনটিতে ডেইলি স্টারের ২৫-৩০ জন সাংবাদিক ভেতরে আটকা পড়েন। আগুন ও ধোঁয়া বাড়তে থাকলে তারা একসময় ছাদে পৌঁছে যান। পরে ফায়ার সার্ভিস ক্রেন ব্যবহার করে দিবাগত রাত ৩টার দিকে তাদের নামিয়ে আনে।
ডেইলি স্টার ভবনে হামলার আগে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে হামলা ও ভাঙচুর চালানো হয়। পরে হামলা-ভাঙচুর চালানো হয় রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনে।
এদিকে ডেইলি স্টার ভবনে হামলাকারীদের নিবৃত্ত করতে গিয়ে হামলা-হেনস্তার শিকার হয়েছেন সম্পাদক পরিষদের সভাপতি ও নিউ এজ পত্রিকার সম্পাদক নূরুল কবীর। তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত হতে হয়। ‘আওয়ামী লীগের দালাল’ বলেও তাকে অভিহিত করেন বিক্ষোভকারীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেলে তার মৃত্যুর খবরে বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠে ছাত্র-জনতা। তারা প্রথমে শাহবাগ মোড়, উত্তরাসহ বিভিন্ন স্থানে জড়ো হয়ে বিক্ষোভ করেন। পরে শাহবাগ থেকে মিছিল যায় কারওয়ান বাজার ও ধানমন্ডির দিকে।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগরের কালভার্ট রোড এলাকায় গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন ওসমান হাদি। ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হতে চেয়েছিলেন তিনি। এ জন্য জনসংযোগও চালিয়ে যাচ্ছিলেন। তেমনই এক জনসংযোগে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন তিনি।
মাথায় গুলিবিদ্ধ ওসমান হাদিকে দ্রুত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে তাকে পোস্ট-অপারেটিভ তথা অস্ত্রোপচার-পরবর্তী পরিচর্যার জন্য স্থানান্তর করা হয় এভারকেয়ার হাসপাতালে। সেখানে একটি মেডিকেল বোর্ডের অধীনে তার চিকিৎসা চলছিল।
গত রোববার সরকারের উচ্চ পর্যায়ের এক বৈঠকে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে পাঠানোর সিদ্ধান্ত হয়। পরদিন সোমবার বিকেলে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাকে সিঙ্গাপুরে পাঠানো হয়।
সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ওসমান হাদিকে। বিশেষ মেডিকেল বোর্ডের অধীনে চিকিৎসা চলছিল তার। তবে শারীরিক অবস্থার তেমন উন্নতি হয়নি। সিঙ্গাপুরে নেওয়ার চার দিনের মাথায়ই না ফেরার দেশে পাড়ি জমালেন ওসমান হাদি।

এর কিছুক্ষণ পরই শাহবাগ মোড়ের দিকে জড়ো হতে থাকে ছাত্র-জনতা। সেখানে ‘তুমি কে আমি কে, হাদি হাদি’, ‘আমরা সবাই হাদি হব, গুলির মুখে কথা কব’, ‘জাহাঙ্গীরের গদিতে, আগুন জ্বালাও একসাথে’, ‘লীগ ধর, জেলে ভর’সহ বিভিন্ন স্লোগান দেন তারা।
৭ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এই নৃশংস হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত সকল অপরাধীকে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে এবং তাদের বিরুদ্ধে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করা হবে। এ বিষয়ে কোনো ধরনের শৈথিল্য দেখানো হবে না।
৮ ঘণ্টা আগে
ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনা করে অধ্যাপক ইউনূস বলেন, তার শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্য, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহিদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।
৮ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, শহিদ শরিফ ওসমান হাদির অকালমৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) একদিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এ উপলক্ষ্যে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধাসরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি, বেসরকারি ভবন ও বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
৯ ঘণ্টা আগে