
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

শোকে স্তব্ধ ঝালকাঠির নলছিটি ও বরিশালের বাবুগঞ্জ। নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ওসমান হাদি অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর পরই তার গ্রামের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হাদির ইচ্ছা ছিল তাকে তার বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা। নিহত হাদির ভগ্নিপতি আমীর হোসেন বলেন, ‘হাদির ইচ্ছা ছিল তাকে বাবার পাশে সমাহিত করার।’
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল পৌর এলাকায় ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া সৈয়দ শরিফ ওসমান হাদি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ও মা তাসলিমা হাদির ছয় সন্তানদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই হাদি ছিলেন প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমির পাঠ শেষ করেন। এলাকার মানুষের কাছে তিনি কেবল নাম নয়, বরং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তার ভাঙাচোরা ঘরের সামনেই ভিড় করছেন চেনা-অচেনা মানুষ। অনেকেই স্মৃতি স্মরণ করছেন, কেউ কেউ হত্যার বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে, হাদির শ্বশুরবাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জেও চলছে শোকের মাতম। স্বজনরা উদ্বিগ্ন হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তারা দাবি করছেন, যেন আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয় হাদির মতো।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর রাতের দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শরিফ ওসমান বিন হাদিকে দাফনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রাঙ্গণে আমাদের প্রাণ প্রিয় ওসমান হাদিকে কবর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

শোকে স্তব্ধ ঝালকাঠির নলছিটি ও বরিশালের বাবুগঞ্জ। নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত ওসমান হাদি অবশেষে বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত ১০টার দিকে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। এর পরই তার গ্রামের বাড়ি ও শ্বশুরবাড়িতে শোকের মাতম চলছে।
পরিবারের সদস্যরা জানিয়েছেন, হাদির ইচ্ছা ছিল তাকে তার বাবার কবরের পাশে সমাহিত করা। নিহত হাদির ভগ্নিপতি আমীর হোসেন বলেন, ‘হাদির ইচ্ছা ছিল তাকে বাবার পাশে সমাহিত করার।’
ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলার খাসমহল পৌর এলাকায় ১৯৯৩ সালে জন্ম নেওয়া সৈয়দ শরিফ ওসমান হাদি নিম্নমধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান ছিলেন। তিনি বাবা মাওলানা আবদুল হাদি ও মা তাসলিমা হাদির ছয় সন্তানদের মধ্যে সর্বকনিষ্ঠ।
গ্রামবাসী জানিয়েছেন, শৈশব থেকেই হাদি ছিলেন প্রতিবাদের কণ্ঠস্বর। নেছারাবাদ এনএস কামিল মাদ্রাসা থেকে দাখিল ও আলিম পাস করার পর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে একাডেমির পাঠ শেষ করেন। এলাকার মানুষের কাছে তিনি কেবল নাম নয়, বরং চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানের প্রতিচ্ছবি ছিলেন।
শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) সকাল থেকেই তার ভাঙাচোরা ঘরের সামনেই ভিড় করছেন চেনা-অচেনা মানুষ। অনেকেই স্মৃতি স্মরণ করছেন, কেউ কেউ হত্যার বিচারের দাবি জানাচ্ছেন।
অন্যদিকে, হাদির শ্বশুরবাড়ি বরিশালের বাবুগঞ্জেও চলছে শোকের মাতম। স্বজনরা উদ্বিগ্ন হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের ভবিষ্যৎ নিয়ে। তারা দাবি করছেন, যেন আর কোনো মায়ের কোল খালি না হয় হাদির মতো।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর পুরানা পল্টনে নির্বাচনি প্রচারণার সময় সন্ত্রাসীদের গুলিতে হাদি গুরুতর আহত হন। ঢাকা মেডিকেল ও এভারকেয়ার হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসার পর উন্নত চিকিৎসার জন্য ১৫ ডিসেম্বর তাকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়েছিল। ১৮ ডিসেম্বর রাতের দিকে সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
উল্লেখ্য, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে শরিফ ওসমান বিন হাদিকে দাফনের দাবি জানিয়েছেন বাংলাদেশ ইসলামী ছাত্রশিবিরের কেন্দ্রীয় সেক্রেটারি নুরুল ইসলাম সাদ্দাম।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে তিনি লেখেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও দেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় উজ্জীবিত প্রাঙ্গণে আমাদের প্রাণ প্রিয় ওসমান হাদিকে কবর দেওয়ার দাবি জানাচ্ছি।’

আগামীকাল শনিবার (২০ ডিসেম্বর) অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) বিজ্ঞান ইউনিটের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত হওয়া পরীক্ষার নতুন সময়সূচি শনিবার ঘোষণা করা হবে।
১ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যু পরবর্তী সহিংস ঘটনার বিরুদ্ধে অবস্থান ব্যক্ত করেছেন অন্তর্বর্তী সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ও জুলাই আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন যে, আজ ও আগামীকাল দেশে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটতে পারে।
২ ঘণ্টা আগে
সাংবাদিক সন্তানের সেই সাংবাদিক বাবার নির্ঘুম রাত রাত কেটেছে, উদ্বেগে ভরা দীর্ঘতম এক রাত। সন্তান যখন পত্রিকা অফিসে ডিউটিতে, তখন যে ভাঙচুর চালানো হয়ে সেখানে, লাগানো হয়েছে আগুন। টিভি-অনলাইন, ফেসবুক-ইউটিবে কেবল দেখছেন— দাউ দাউ করে জ্বলছে সন্তানের কর্মস্থল, ছেলে ভেতরে আটকা সহকর্মীদের সঙ্গে।
২ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যাওয়ার ঘটনায় গভীর শোক জানিয়েছেন প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তিনি বলেন, শরিফ ওসমান হাদির অকাল ও মর্মান্তিক মৃত্যুতে দেশ এক সাহসী কণ্ঠস্বর হারালো।
২ ঘণ্টা আগে