প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকরা। যে ২০ জন সাংবাদিককে জনকণ্ঠ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়, তাদেরই কয়েকজন এ মামলা করেছেন। তবে মালিকপক্ষের অভিযোগ, পত্রিকাটি ‘দখল’ হয়ে গেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাতে মামলাটি হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইবনে মিজান।
এর আগে ওই চাকরিচ্যুতির ঘটনায় পত্রিকাটির সব ধরনের সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন সাংবাদিকরা। শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে জনকণ্ঠের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পোস্টে বলা হয়, আগস্ট উপলক্ষ্যে স্বৈরাচারের দোসর জনকণ্ঠ পত্রিকা গতকাল কালো রঙ ধারণ করেছিল। তার প্রতিবাদে আমরা লাল রঙ দিয়ে আজ পত্রিকাটি বের করার কারণে জুলাই বিপ্লবের পক্ষে থাকা সব সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছেন পত্রিকাটির সম্পাদক শামিমা এ খান। এ বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করছি। এরপরও যদি কেউ দায়িত্ব নিয়ে পত্রিকা বের করেন, তাহলে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বের করবেন।
এর মধ্যে ২০ জন সাংবাদিককে হঠাৎ করে চাকরিচ্যুত করার পর জনকণ্ঠের সম্পাদক শামিমা খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছয় সদস্যের এডিটোরিয়াল বোর্ডও গঠন করেন সাংবাদিকরা।
বোর্ডের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন করে প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে। বাকি সদস্যরা হলেন— পত্রিকাটির প্ল্যানিং এডিটর জয়নাল আবেদীন শিশির, অ্যাডভাইজার (অনলাইন) সাবরিনা বিনতে আহমেদ, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ইস্রাফিল ফরায়েজী ও মীর জসিম উদ্দিন।
বিবিসি জানায়, শনিবার রাতে চাকরিচ্যুতরা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের নিয়ে একটি সম্পাদকীয় বোর্ড গঠন করে জনকণ্ঠের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শামীমা এ খানও শনিবার রাতে ষড়যন্ত্র করে জনকন্ঠ ভবনে 'মব তৈরি করে অবৈধভাবে দখলে'র অভিযোগ তুলেছেন। তার এ অভিযোগ গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের চিফ অপারেটিং অফিসার অবসরপ্রাপ্ত মেজর আফিজুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক ও পত্রিকার প্লানিং অ্যাডভাইজার জয়নাল আবেদীন শিশিরসহ বিএনপি ও জামায়াতপন্থি কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাল আবেদীন শিশির বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমরা এখনো মালিকানা ও প্রকাশনায় নেই। পরিচালনার জন্য শুধু একটি বোর্ড করেছি। কর্মরত সাংবাদিকদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে শামীমা এ খান জানিয়েছেন, ‘দখলকারী’রাই এখন পত্রিকা বের করছে এবং অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণও তাদেরই হাতে। এটি দখলের ষড়যন্ত্র হিসেবেই তাকে না জানিয়ে পত্রিকায় কালো রং ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি তার।
এসব ঘটনার পর রোববার সকাল থেকেই জনকণ্ঠের অনলাইন ভার্সনের প্রিন্টার্স লাইনে সম্পাদক ও প্রকাশকের নাম দেখা যাচ্ছে না। সেখানে লেখা রয়েছে— ‘সম্পাদকমণ্ডলী কর্তৃক গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবার-এর সদস্য প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে গ্লোব প্রিন্টার্স লি: ও জনকণ্ঠ লি: থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত’।
১৯৯৩ সালে আতিকউল্লাহ খান মাসুদ জনকণ্ঠ পত্রিকা চালু করেন, এর মূল নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিথযশা সাংবাদিক তোয়াব খান। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাহসি প্রতিবেদন করে এটি একসময় পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। পত্রিকাটি রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ‘সেই রাজাকার’ শিরোনামে সিরিজ প্রকাশ করে বিশেষভাবে আলোচনায় আসে। নব্বইয়ের দশকের পর এটি আওয়ামী লীগপন্থি পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি পায়।
জাতীয় দৈনিক জনকণ্ঠের মালিকপক্ষের বিরুদ্ধে রাজধানীর হাতিরঝিল থানায় মামলা করেছেন পত্রিকাটির সাংবাদিকরা। যে ২০ জন সাংবাদিককে জনকণ্ঠ থেকে চাকরিচ্যুত করা হয়, তাদেরই কয়েকজন এ মামলা করেছেন। তবে মালিকপক্ষের অভিযোগ, পত্রিকাটি ‘দখল’ হয়ে গেছে।
শনিবার (২ আগস্ট) রাতে মামলাটি হয় বলে গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার মো. ইবনে মিজান।
এর আগে ওই চাকরিচ্যুতির ঘটনায় পত্রিকাটির সব ধরনের সংবাদ কার্যক্রম সাময়িকভাবে বন্ধ রাখার ঘোষণা করেন সাংবাদিকরা। শনিবার (২ আগস্ট) বিকেলে জনকণ্ঠের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।
পোস্টে বলা হয়, আগস্ট উপলক্ষ্যে স্বৈরাচারের দোসর জনকণ্ঠ পত্রিকা গতকাল কালো রঙ ধারণ করেছিল। তার প্রতিবাদে আমরা লাল রঙ দিয়ে আজ পত্রিকাটি বের করার কারণে জুলাই বিপ্লবের পক্ষে থাকা সব সাংবাদিককে চাকরিচ্যুত করেছেন পত্রিকাটির সম্পাদক শামিমা এ খান। এ বিষয়টি সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত জনকণ্ঠের সব কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করছি। এরপরও যদি কেউ দায়িত্ব নিয়ে পত্রিকা বের করেন, তাহলে অবশ্যই নিজ দায়িত্বে বের করবেন।
এর মধ্যে ২০ জন সাংবাদিককে হঠাৎ করে চাকরিচ্যুত করার পর জনকণ্ঠের সম্পাদক শামিমা খানকে অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে ছয় সদস্যের এডিটোরিয়াল বোর্ডও গঠন করেন সাংবাদিকরা।
বোর্ডের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন ও ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়নের একজন করে প্রতিনিধি রাখার কথা বলা হয়েছে। বাকি সদস্যরা হলেন— পত্রিকাটির প্ল্যানিং এডিটর জয়নাল আবেদীন শিশির, অ্যাডভাইজার (অনলাইন) সাবরিনা বিনতে আহমেদ, ডেপুটি চিফ রিপোর্টার ইস্রাফিল ফরায়েজী ও মীর জসিম উদ্দিন।
বিবিসি জানায়, শনিবার রাতে চাকরিচ্যুতরা সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতাদের নিয়ে একটি সম্পাদকীয় বোর্ড গঠন করে জনকণ্ঠের নিয়ন্ত্রণ নেয়।
জনকণ্ঠের সম্পাদক ও প্রকাশক শামীমা এ খানও শনিবার রাতে ষড়যন্ত্র করে জনকন্ঠ ভবনে 'মব তৈরি করে অবৈধভাবে দখলে'র অভিযোগ তুলেছেন। তার এ অভিযোগ গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবারের চিফ অপারেটিং অফিসার অবসরপ্রাপ্ত মেজর আফিজুর রহমান, এনসিপির যুগ্ম আহবায়ক ও পত্রিকার প্লানিং অ্যাডভাইজার জয়নাল আবেদীন শিশিরসহ বিএনপি ও জামায়াতপন্থি কয়েকজন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে।
এ অভিযোগ অস্বীকার করে জয়নাল আবেদীন শিশির বিবিসি বাংলাকে বলেন, আমরা এখনো মালিকানা ও প্রকাশনায় নেই। পরিচালনার জন্য শুধু একটি বোর্ড করেছি। কর্মরত সাংবাদিকদের সর্বসম্মতিক্রমে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তবে শামীমা এ খান জানিয়েছেন, ‘দখলকারী’রাই এখন পত্রিকা বের করছে এবং অনলাইন ও সোশ্যাল মিডিয়ার নিয়ন্ত্রণও তাদেরই হাতে। এটি দখলের ষড়যন্ত্র হিসেবেই তাকে না জানিয়ে পত্রিকায় কালো রং ব্যবহার করা হয়েছিল বলে দাবি তার।
এসব ঘটনার পর রোববার সকাল থেকেই জনকণ্ঠের অনলাইন ভার্সনের প্রিন্টার্স লাইনে সম্পাদক ও প্রকাশকের নাম দেখা যাচ্ছে না। সেখানে লেখা রয়েছে— ‘সম্পাদকমণ্ডলী কর্তৃক গ্লোব জনকণ্ঠ শিল্প পরিবার-এর সদস্য প্রতিষ্ঠান যথাক্রমে গ্লোব প্রিন্টার্স লি: ও জনকণ্ঠ লি: থেকে মুদ্রিত ও প্রকাশিত’।
১৯৯৩ সালে আতিকউল্লাহ খান মাসুদ জনকণ্ঠ পত্রিকা চালু করেন, এর মূল নেতৃত্বে ছিলেন প্রতিথযশা সাংবাদিক তোয়াব খান। দুর্নীতি ও সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সাহসি প্রতিবেদন করে এটি একসময় পাঠকপ্রিয়তা পেয়েছিল। পত্রিকাটি রাজাকার, আলবদর, আলশামস বাহিনীর সদস্যদের নিয়ে ‘সেই রাজাকার’ শিরোনামে সিরিজ প্রকাশ করে বিশেষভাবে আলোচনায় আসে। নব্বইয়ের দশকের পর এটি আওয়ামী লীগপন্থি পত্রিকা হিসেবে পরিচিতি পায়।
বিল্লালের বিরুদ্ধে মোহাম্মদপুর ও আদাবর থানায় সাতটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানাসহ বিভিন্ন অপরাধের ছয়টি মামলা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগে২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের আগে আড়িপাতার সরঞ্জাম কেনার প্রবণতা বেড়ে গিয়েছিল, যা থেকে বোঝা যায় ভিন্নমত দমনের মাধ্যমে ক্ষমতা ধরে রাখতেই এসব নজরদারি প্রযুক্তি ব্যবহৃত হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগেদুর্ঘটনার সময় বিশ্লেষণে দেখা যায়, দুর্ঘটনাসমূহ ঘটেছে ভোরে ৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ, সকালে ২৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ, দুপুরে ২১ দশমিক ৮৯ শতাংশ, বিকালে ১৭ দশমিক ১৫ শতাংশ, সন্ধ্যায় ১১ দশমিক ০৬ শতাংশ এবং রাতে ১৫ দশমিক ৩৪ শতাংশ।
২ ঘণ্টা আগেট্রাম্পের সঙ্গে সোমবারের এ বৈঠককে এখন পর্যন্ত ‘সেরা বৈঠক’ মন্তব্য করে জেলেনস্কি বলেছেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র শুধু সমন্বয়ই করবে না, নিরাপত্তা নিশ্চয়তার অংশীদারও হবে- স্পষ্ট এমন ইঙ্গিত দিচ্ছে। এটি বড় একটি অগ্রগতি বলে আমি মনে করি।’
২ ঘণ্টা আগে