
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ নতুন ১০টি দলের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে পুনর্তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য অঞ্চলভিত্তিক গঠন করা হয়েছে ১০টি কমিটি।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, ইসির প্রশাসনিক ১০ অঞ্চলেই হবে ওই দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত। এতে কোনো গরমিল না পেলে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীরের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন এর আগে মাঠ পর্যায়ের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য ও মতামতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপূর্ণতা, যথাযথ মন্তব্যে ঘাটতি পায়। তাই যাচাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে।
এই দলগুলো হলো— আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভোলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
এই দলগুলোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করার জন্য ১০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফরিদপুর, ঢাকা, রংপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রতিটির জন্য গঠিত কমিটিতে সদস্য রাখা হয়ছে তিনজন করে মোট ৩০ জন কর্মকর্তাকে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিলে ১৪৩টি আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই উত্তীর্ণ হতে না পারলে সবগুলো দলকেই ফের সময় দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে পুনরায় বাছাই শেষে শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১২১টি দলের আবেদন বাতিল করে দেয় ইসি। বাকি ২২টি দলের কার্যক্রম ও অস্তিত্ব খতিয়ে দেখতে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে ইসি।
ওই তদন্তের পর আরও সাতটি দলের আবেদন বাতিল করা হয়। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জাতীয় লীগ নামের দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া একটি দলের বিষয়ে আদালতের রায় পর্যালোচনা ও দুটি দলের সচিবালয় পর্যায় পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়। আর বাকি ১০ দল নিয়ে মাঠ পর্যায়ে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, তদন্ত কার্যক্রমে সবকিছু ইতিবাচক থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে দাবি-আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তখন কোনো দাবি-আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হবে। আর দাবি-আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে দেওয়া হবে নিবন্ধন সনদ।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এ ছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরে থাকে ইসি। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ দলগুলোর তথ্য সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করা হয়। পরে মনোনীত দলগুলোর বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে দাবি-আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন। কোনো আপত্তি না থাকলে দেওয়া হয় নিবন্ধন, যা না থাকলে কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরে শর্ত পূরণ ও প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। দলগুলো হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সস্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।

রাজনৈতিক দল হিসেবে আবেদনকারীদের মধ্যে প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ নতুন ১০টি দলের কার্যক্রম মাঠ পর্যায়ে পুনর্তদন্তের সিদ্ধান্ত নিয়েছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। এ জন্য অঞ্চলভিত্তিক গঠন করা হয়েছে ১০টি কমিটি।
ইসি সূত্র জানিয়েছে, ইসির প্রশাসনিক ১০ অঞ্চলেই হবে ওই দলগুলোর কার্যক্রম নিয়ে তদন্ত। এতে কোনো গরমিল না পেলে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করা হবে।
ইসির জনবল ব্যবস্থাপনা শাখার সিনিয়র সহকারী সচিব মো. নাজমুল কবীরের সই করা এ সংক্রান্ত চিঠি এরই মধ্যে সংশ্লিষ্টদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
চিঠিতে বলা হয়েছে, নির্বাচন কমিশন এর আগে মাঠ পর্যায়ের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলা কর্মকর্তাদের দাখিল করা তদন্ত প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে মাঠ পর্যায় থেকে পাওয়া প্রাথমিক তথ্য ও মতামতে কিছু কিছু ক্ষেত্রে অপূর্ণতা, যথাযথ মন্তব্যে ঘাটতি পায়। তাই যাচাই কমিটির সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে ১০টি দলের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করার নির্দেশনা দিয়েছে।
এই দলগুলো হলো— আমজনতার দল, বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক পার্টি (বিজিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ জাস্টিস অ্যান্ড ডেভোলপমেন্ট পার্টি, ভাসানী জনশক্তি পার্টি, বাংলাদেশ বেকার মুক্তি পরিষদ, জনতার দল, মৌলিক বাংলা, জনতা পার্টি বাংলাদেশ ও বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি।
এই দলগুলোর জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের অস্তিত্ব ও কার্যকারিতার বিষয়ে অধিকতর তদন্ত করার জন্য ১০টি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এ ক্ষেত্রে ফরিদপুর, ঢাকা, রংপুর, কুমিল্লা, রাজশাহী, চট্টগ্রাম, সিলেট, বরিশাল, খুলনা ও ময়মনসিংহ অঞ্চলের প্রতিটির জন্য গঠিত কমিটিতে সদস্য রাখা হয়ছে তিনজন করে মোট ৩০ জন কর্মকর্তাকে।
এর আগে নির্বাচন কমিশন নিবন্ধন আবেদন চেয়ে গণবিজ্ঞপ্তি দিলে ১৪৩টি আবেদন করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে কোনো দলই উত্তীর্ণ হতে না পারলে সবগুলো দলকেই ফের সময় দেওয়া হয়। এগুলোর মধ্যে পুনরায় বাছাই শেষে শর্ত পূরণ করতে না পারায় ১২১টি দলের আবেদন বাতিল করে দেয় ইসি। বাকি ২২টি দলের কার্যক্রম ও অস্তিত্ব খতিয়ে দেখতে মাঠ পর্যায়ে তদন্ত করে ইসি।
ওই তদন্তের পর আরও সাতটি দলের আবেদন বাতিল করা হয়। আর জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) ও জাতীয় লীগ নামের দুটি দলকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। এ ছাড়া একটি দলের বিষয়ে আদালতের রায় পর্যালোচনা ও দুটি দলের সচিবালয় পর্যায় পর্যালোচনার সিদ্ধান্ত হয়। আর বাকি ১০ দল নিয়ে মাঠ পর্যায়ে অধিকতর তদন্তের সিদ্ধান্ত হয়।
ইসি সচিব আখতার আহমেদ বলেন, তদন্ত কার্যক্রমে সবকিছু ইতিবাচক থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। এ ক্ষেত্রে দাবি-আপত্তি চেয়ে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হবে। তখন কোনো দাবি-আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করা হবে। আর দাবি-আপত্তি না থাকলে সংশ্লিষ্ট দলগুলোকে দেওয়া হবে নিবন্ধন সনদ।
আইন অনুযায়ী, নিবন্ধন পেতে ইচ্ছুক দলের একটি কেন্দ্রীয় কমিটি, এক তৃতীয়াংশ জেলা ও ১০০টি উপজেলা কমিটি এবং প্রতিটি কমিটিতে ২০০ ভোটারের সমর্থনের প্রমাণ থাকতে হয়। এ ছাড়া কোনো দলের কেউ আগে সংসদ সদস্য থাকলে বা আগের নির্বাচনের পাঁচ শতাংশ ভোট পেলেও নিবন্ধন পাওয়ার যোগ্যতা হিসেবে ধরে থাকে ইসি। এ প্রধান শর্তগুলো ছাড়াও বেশকিছু নিয়ম কানুন মেনে আবেদন করতে হয়।
নিবন্ধন প্রক্রিয়ায় দলগুলোর আবেদন পাওয়ার পর কমিশন প্রথমে এগুলো প্রাথমিক বাছাই করে। প্রাথমিক বাছাইয়ে উত্তীর্ণ দলগুলোর তথ্য সরেজমিন তদন্ত শেষে বাছাই সম্পন্ন করা হয়। পরে মনোনীত দলগুলোর বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ থাকলে দাবি-আপত্তি চেয়ে বিজ্ঞপ্তি দেওয়া হয়। সেখানে কোনো আপত্তি এলে শুনানি করে তা নিষ্পত্তি করে কমিশন। কোনো আপত্তি না থাকলে দেওয়া হয় নিবন্ধন, যা না থাকলে কোনো দল নিজ প্রতীকে ভোটে প্রার্থী দিতে পারে না।
বর্তমানে দেশে নিবন্ধিত দলের সংখ্যা ৫২টি (আওয়ামী লীগসহ)। নবম সংসদ নির্বাচনের আগে ২০০৮ সালে নিবন্ধন প্রথা চালু হয়। এ পর্যন্ত ৫৬টি দল ইসির নিবন্ধন পেলেও পরে শর্ত পূরণ ও প্রতিপালনে ব্যর্থতা এবং আদালতের নির্দেশে পাঁচটি দলের নিবন্ধন বাতিল হয়। দলগুলো হলো— বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী, ফ্রিডম পার্টি, ঐক্যবদ্ধ নাগরিক আন্দোলন, পিডিপি ও জাগপা। সস্প্রতি আদালতের আদেশে জামায়াতে ইসলামী ও জাগপা নিবন্ধন ফিরে পেলেও ইসি কেবল জামায়াতের নিবন্ধন ফিরিয়ে দিয়েছে।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, ঘনিষ্ঠ প্রতিবেশী হিসেবে বাংলাদেশের জনগণের স্বার্থে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত। বিশেষ করে শান্তি, গণতন্ত্র, অন্তর্ভুক্তি ও স্থিতিশীলতার ক্ষেত্রে।
৮ ঘণ্টা আগে
সোমবার শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ঘোষিত রায়কে কেন্দ্র করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলছে, নির্বাসনে থাকা হাসিনার রায় ভারত ‘নজরে নিয়েছে’ এবং ‘বাংলাদেশের জনগণের সর্বোত্তম স্বার্থের প্রতি প্রতিশ্রুতিবদ্ধ’ রয়েছে।
৯ ঘণ্টা আগে
তারা বলেন, ‘রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রক্রিয়ায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে যে রায় ঘোষণা করেছে তা প্রহসনমূলক ও অগ্রহণযোগ্য। আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল বর্তমানে ক্যাঙারু কোর্টের রূপ পরিগ্রহ করেছে। এখন এই আদালত স্বৈরাচারী, পক্ষপাতদুষ্ট এবং ন্যায়
৯ ঘণ্টা আগে
এই মামলায় প্রসিকিউশন পক্ষে চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম ও গাজী এস এইচ তামিম শুনানি করেন। এছাড়া শুনানিতে প্রসিকিউটর বি এম সুলতান মাহমুদ, শাইখ মাহদি, আবদুস সাত্তার পালোয়ানসহ অন্য প্রসিকিউটরা উপস্থিত ছিলেন। অন্যদিকে, পলাতক শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুন
৯ ঘণ্টা আগে