প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বামপন্থি চার দলের জোট বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও গণফোরামের আপত্তির মুখে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন এসেছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ। আগের প্রস্তাবনায় সংবিধান সংশোধনীর ক্ষেত্রে সপ্তম তফসিল বাদ দেওয়ার কথা থাকলেও চূড়ান্ত সনদে সেই সুপারিশ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না।
গত মঙ্গলবার জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হলে পাঁচটি দল এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।
ওই খসড়ায় বলা হয়েছিল, বিদ্যমান সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলি–সংক্রান্ত ১৫০ (২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এই সিদ্ধান্তে ৯টি দল একমত ছিল না।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদের নেতারা জানান, তারা এই প্রস্তাবসহ কয়েকটি কারণে জুলাই সনদে সই করবে না। সইয়ের অনুষ্ঠানও বর্জন করবে।
সংবাদ সসম্মেলনে এসব দলের নেতারা বলেন, সংবিধানের ১৫০ (২) অনুচ্ছেদে ক্রান্তিকালীন বিধানে ষষ্ঠ তফসিলে থাকা স্বাধীনতার ঘোষণা ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ এবং সপ্তম তফসিলে থাকা ‘প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি, তা বাদ দিলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকে না।
একই কারণে জুলাই সনদে সই না করার কথা জানায় গণফোরামও। তারা শুক্রবারের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও সনদে সই করেনি। বাকি চার বাম দল অবশ্য অনুষ্ঠানও বর্জন করেছে।
পরে জুলাই সনদের এই জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। চূড়ান্ত সনদে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) সংশোধন করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না।
সংবিধানের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল যুক্ত করা হয়েছিল ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। পঞ্চম তফসিলে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। ষষ্ঠ তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ‘২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে’ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা। আর সপ্তম তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
অর্থাৎ জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধানে সংস্কার হলে তাতে সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের তফসিলে থাকবে।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত এই রূপেই শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সই করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কমিশনের অন্য সদস্যরা। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেওয়া ২৪টি রাজনৈতিক দলের নেতারাও এতে সই করেছেন।
দীর্ঘ আলোচনার পর প্রণীত এই জুলাই জাতীয় সনদ দেখুন এখানে—
বামপন্থি চার দলের জোট বাম গণতান্ত্রিক ঐক্য ও গণফোরামের আপত্তির মুখে শেষ মুহূর্তে পরিবর্তন এসেছে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’-এ। আগের প্রস্তাবনায় সংবিধান সংশোধনীর ক্ষেত্রে সপ্তম তফসিল বাদ দেওয়ার কথা থাকলেও চূড়ান্ত সনদে সেই সুপারিশ বাদ দেওয়া হয়েছে। ফলে সংবিধান থেকে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র বাদ পড়ছে না।
গত মঙ্গলবার জুলাই সনদের চূড়ান্ত খসড়া রাজনৈতিক দলগুলোর কাছে পাঠানো হলে পাঁচটি দল এ নিয়ে আপত্তি জানিয়েছিল।
ওই খসড়ায় বলা হয়েছিল, বিদ্যমান সংবিধানের ক্রান্তিকালীন ও অস্থায়ী বিধানাবলি–সংক্রান্ত ১৫০ (২) অনুচ্ছেদ বিলুপ্ত হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না। এই সিদ্ধান্তে ৯টি দল একমত ছিল না।
এর মধ্যে বৃহস্পতিবার সংবাদ সম্মেলন করে সিপিবি, বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দল (বাসদ), বাসদ (মার্ক্সবাদী) ও বাংলাদেশ জাসদের নেতারা জানান, তারা এই প্রস্তাবসহ কয়েকটি কারণে জুলাই সনদে সই করবে না। সইয়ের অনুষ্ঠানও বর্জন করবে।
সংবাদ সসম্মেলনে এসব দলের নেতারা বলেন, সংবিধানের ১৫০ (২) অনুচ্ছেদে ক্রান্তিকালীন বিধানে ষষ্ঠ তফসিলে থাকা স্বাধীনতার ঘোষণা ‘ডিক্লারেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ এবং সপ্তম তফসিলে থাকা ‘প্রক্লেমেশন অব ইনডিপেনডেন্স’ বাদ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে, যা স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধের ভিত্তি, তা বাদ দিলে বাংলাদেশের অস্তিত্বই থাকে না।
একই কারণে জুলাই সনদে সই না করার কথা জানায় গণফোরামও। তারা শুক্রবারের জুলাই সনদ স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে যোগ দিলেও সনদে সই করেনি। বাকি চার বাম দল অবশ্য অনুষ্ঠানও বর্জন করেছে।
পরে জুলাই সনদের এই জায়গায় পরিবর্তন আনা হয়েছে। চূড়ান্ত সনদে বলা হয়েছে, সংবিধানের অনুচ্ছেদ ১৫০(২) সংশোধন করা হবে এবং এ সংশ্লিষ্ট পঞ্চম ও ষষ্ঠ তফসিল সংবিধানে রাখা হবে না।
সংবিধানের পঞ্চম, ষষ্ঠ ও সপ্তম তফসিল যুক্ত করা হয়েছিল ২০১১ সালে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে। পঞ্চম তফসিলে আছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৭১ সালের ৭ মার্চের ভাষণ। ষষ্ঠ তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ‘২৫ মার্চ মধ্যরাত শেষে অর্থাৎ ২৬ মার্চ প্রথম প্রহরে’ বঙ্গবন্ধুর দেওয়া স্বাধীনতার ঘোষণা। আর সপ্তম তফসিলে আছে ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকারের জারি করা স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র।
অর্থাৎ জুলাই সনদ অনুযায়ী সংবিধানে সংস্কার হলে তাতে সংবিধানের তফসিলে ৭ মার্চের ভাষণ ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বাধীনতার ঘোষণা থাকবে না। তবে স্বাধীনতার ঘোষণাপত্র সংবিধানের তফসিলে থাকবে।
জুলাই সনদের চূড়ান্ত এই রূপেই শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় আয়োজিত অনুষ্ঠানে সই করেছেন জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও কমিশনের অন্য সদস্যরা। ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে অংশ নেওয়া ২৪টি রাজনৈতিক দলের নেতারাও এতে সই করেছেন।
দীর্ঘ আলোচনার পর প্রণীত এই জুলাই জাতীয় সনদ দেখুন এখানে—
এতে উপস্থিত রয়েছেন উপদেষ্টা পরিষদের সদস্যবৃন্দ। যোগ দিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা এবং জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সদস্যরা।
১৭ ঘণ্টা আগেআলী রীয়াজ বলেন, রাজনীতিতে মতপার্থক্য না থাকলে তা গণতান্ত্রিক হয় না। কিন্তু ঐক্যের জায়গাও থাকতে হবে। আমাদের অনেক স্রোত, মোহনা একটি— একটি গণতান্ত্রিক বাংলাদেশ তৈরি করা। আমাদের বহু স্রোত, কিন্তু সবাই এক জায়গায়— আমরা যেকোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্রের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধভাবে সবাই দাঁড়িয়ে থাকব।
১৭ ঘণ্টা আগেদীর্ঘ আলোচনা শেষে ‘জুলাই জাতীয় সনদ ২০২৫’ প্রণয়ন করেছে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। শেষ মুহূর্তেও কিছু রাজনৈতিক দলের মতভিন্নতা থাকলেও শুক্রবার বিকেলে জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় এই সনদ স্বাক্ষরের অনুষ্ঠান আয়োজন করে সরকার। অনুষ্ঠানের ঘটনাপ্রবাহ সরাসরি তুলে ধরা হচ্ছে রাজনীতি ডটকমের পাঠকদের জন্য...
১৯ ঘণ্টা আগেবিজ্ঞপ্তিতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, এ জঘন্য কর্মকাণ্ড অগ্রহণযোগ্য। এটি মানবাধিকার ও আইনের শাসনের গুরুতর লঙ্ঘন। বাংলাদেশ সরকার এ দুঃখজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করছে। ভারত সরকারকে এ ঘটনার বিষয়ে অবিলম্বে একটি নিরপেক্ষ ও স্বচ্ছ তদন্ত করার আহ্বান জানাচ্ছে বাংলাদেশ।
১৯ ঘণ্টা আগে