প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে লুট করা মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে মো. বেলাল চাকলাদার (৪৫) মতিঝিল ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা। জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম ওই ডাকাতির ঘটনা ও ডাকাত দলকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
গ্রেফতার বাকি ১১ জন হলেন— মো. মঞ্জু (৪০), সাইফুল ইসলাম (৪০), মো. রাসেল (২৮), মো. জাহিদ (২৪), মো. জাকির প্রকাশ তৌহিদ (৪০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৩), মো. হিরা শেখ (৩৫), মো. রফিক (৩৫), মো. বাঁধন (৩০), চাঁন মিয়া (৫৪) ও মো. আসলাম খাঁন (৪৫)।
উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, গত ২ জানুয়ারি ৬০টি পাম অয়েলের ড্রাম নিয়ে একটি ট্রাক চট্টগ্রাম থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা যাচ্ছিল। মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর রোডে দুটি মাইক্রোবাস ওই ট্রাকের গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে দুজন লেজার লাইট ও ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে নেমে নিজেদের সাদা পোশাকে কর্তব্যরত ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেন। তারা ট্রাকে উঠে চালক ও সহকারীকে অস্ত্রের মুখে ট্রাকটি চালিয়ে যেতে বলেন। পরে চালক ও সহকারীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হাত-চোখ বেঁধে কেরানীগঞ্জের রসুলপুর এলাকায় ফেলে দেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ওই ঘটনার ১৯ দিন পর ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের গেটের সামনে থেকে একই কৌশলে আরও সয়াবিন তেলের ট্রাক ডাকাতি হয়ে যায়। দুটি ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর থাকায় দুটি মামলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মাসুদ জানান, ধানমন্ডি মডেল থানার একাধিক চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ট্রাক দুটি ডাকাতিতে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে। ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মঞ্জু, সাইফুল ইসলাম, মো. রাসেল ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ ফেব্রুয়ারি ডাকাত দলের প্রধান মো. জাকির প্রকাশ তৌহিদকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আরশিনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া মো. ইসমাইল হোসেন, মো. হিরা শেখ ও মো. রফিককে ঢাকা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে; মো. বাধনকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পানগাঁও থেকে; চাঁন মিয়াকে মহাখালী এলাকা থেকে; বেল্লাল চাকলাদারকে ঢাকার শনির আখড়া থেকে; এবং মো. আসলাম খাঁনকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার মো. আসলাম খাঁনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জের বিসিক এলাকার গোডাউনে ১০টি তেল ভর্তি ও ৩৬টি খালি তেলের ড্রাম পায় পুলিশ। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা নোয়া গাড়ি, একাধিক ফিচার ফোন ও লুট হওয়া একটি ট্রাকেরও সন্ধান পাওয়া যায়।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থাকায় একাধিক করে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা বেল্লাল চাকলাদারের নামে গণআন্দোলনের দুটি হত্যা মামলা ছাড়াও ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে।
রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুরে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) পরিচয়ে দুর্ধর্ষ ডাকাতির ঘটনায় ডাকাত দলের ১২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ধানমন্ডি থানা পুলিশ। তাদের জিজ্ঞাসাবাদের ভিত্তিতে লুট করা মালামালও উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার হওয়া ডাকাত দলের সদস্যদের মধ্যে মো. বেলাল চাকলাদার (৪৫) মতিঝিল ৯ নম্বর ওয়ার্ড যুবলীগের নেতা। জুলাই-আগস্ট গণআন্দোলন ঘিরে যাত্রাবাড়ী ও উত্তরা পশ্চিম থানায় তার বিরুদ্ধে দুটি হত্যা মামলা রয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম ওই ডাকাতির ঘটনা ও ডাকাত দলকে গ্রেপ্তারের বিস্তারিত তুলে ধরেন।
গ্রেফতার বাকি ১১ জন হলেন— মো. মঞ্জু (৪০), সাইফুল ইসলাম (৪০), মো. রাসেল (২৮), মো. জাহিদ (২৪), মো. জাকির প্রকাশ তৌহিদ (৪০), মো. ইসমাইল হোসেন (৩৩), মো. হিরা শেখ (৩৫), মো. রফিক (৩৫), মো. বাঁধন (৩০), চাঁন মিয়া (৫৪) ও মো. আসলাম খাঁন (৪৫)।
উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, গত ২ জানুয়ারি ৬০টি পাম অয়েলের ড্রাম নিয়ে একটি ট্রাক চট্টগ্রাম থেকে কুষ্টিয়ার ভেড়ামারা যাচ্ছিল। মধ্যরাতে ঢাকার মিরপুর রোডে দুটি মাইক্রোবাস ওই ট্রাকের গতিরোধ করে। মাইক্রোবাস থেকে দুজন লেজার লাইট ও ওয়াকিটকি হাতে নিয়ে নেমে নিজেদের সাদা পোশাকে কর্তব্যরত ডিবি পুলিশ বলে পরিচয় দেন। তারা ট্রাকে উঠে চালক ও সহকারীকে অস্ত্রের মুখে ট্রাকটি চালিয়ে যেতে বলেন। পরে চালক ও সহকারীকে চেতনানাশক ওষুধ খাইয়ে হাত-চোখ বেঁধে কেরানীগঞ্জের রসুলপুর এলাকায় ফেলে দেন।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, ওই ঘটনার ১৯ দিন পর ২২ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে রেসিডেন্সিয়াল মডেল কলেজের গেটের সামনে থেকে একই কৌশলে আরও সয়াবিন তেলের ট্রাক ডাকাতি হয়ে যায়। দুটি ঘটনায় রাজধানীর ধানমন্ডি ও মোহাম্মদপুর থাকায় দুটি মামলা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ডিসি মাসুদ জানান, ধানমন্ডি মডেল থানার একাধিক চৌকস দল গোয়েন্দা তথ্য ও প্রযুক্তির সহায়তায় ট্রাক দুটি ডাকাতিতে জড়িতদের অবস্থান শনাক্ত করে। ৩০ জানুয়ারি রাজধানীর মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে মো. মঞ্জু, সাইফুল ইসলাম, মো. রাসেল ও জাহিদকে গ্রেপ্তার করে।
পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৯ ফেব্রুয়ারি ডাকাত দলের প্রধান মো. জাকির প্রকাশ তৌহিদকে ঢাকার কেরানীগঞ্জের আরশিনগর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ছাড়া মো. ইসমাইল হোসেন, মো. হিরা শেখ ও মো. রফিককে ঢাকা কেরানীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে; মো. বাধনকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের পানগাঁও থেকে; চাঁন মিয়াকে মহাখালী এলাকা থেকে; বেল্লাল চাকলাদারকে ঢাকার শনির আখড়া থেকে; এবং মো. আসলাম খাঁনকে মুন্সীগঞ্জের মুক্তারপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেফতার মো. আসলাম খাঁনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী মুন্সীগঞ্জের বিসিক এলাকার গোডাউনে ১০টি তেল ভর্তি ও ৩৬টি খালি তেলের ড্রাম পায় পুলিশ। ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত একটি সাদা নোয়া গাড়ি, একাধিক ফিচার ফোন ও লুট হওয়া একটি ট্রাকেরও সন্ধান পাওয়া যায়।
ডিসি মাসুদ আলম বলেন, গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সক্রিয় সদস্য। তাদের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থাকায় একাধিক করে মামলা রয়েছে। এর মধ্যে যুবলীগ নেতা বেল্লাল চাকলাদারের নামে গণআন্দোলনের দুটি হত্যা মামলা ছাড়াও ডাকাতির তিনটি মামলা রয়েছে।