প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আরও দুটি মামলা করেছে।
এর মধ্যে একটি মামলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জীবন বৃত্তান্তে মিথ্যা ও ভুয়া যোগ্যতা দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেক মামলায় তার বিরুদ্ধে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) খাত থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৩৩ কোটি টাকা সহায়তার নামে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ কমিশনের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক বাদীয় হয়ে মামলা দুটি করেছেন।
শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০১৪ সালে স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন সূচনা ফাউন্ডেশন। মানসিক ও স্নায়বিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে এই ফাউন্ডেশন কাজ করে বলে জানানো হয়।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, এই ফাউন্ডেশনের নামে বিধি বহির্ভূতভাবে ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) যেসব সদস্য ব্যাংক রয়েছে, তাদের সিএসআর তহবিল থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের জন্য ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।
এ মামলায় পুতুলের পাশাপাশি বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকেও আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তারা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ফান্ড থেকে বিধি বহির্ভূতভাবে সূচনা ফাউন্ডেশনে টাকা দিতে চাপ দেন।
এর ফলে ২০১৭ সালের মে মাসে ২০টি ব্যাংক বাধ্য হয়ে তাদের সিএসআর খাত থেকে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা সূচনা ফাউন্ডেশনে দেয়। ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে।
এই মামলায় পুতুল ও নজরুলের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেরে এই তহবিল (সিএসআর ফান্ড) অপব্যয় ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে আরেক মামলায় পুতুলের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতি’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে শিক্ষা ম্যানুয়েল তৈরি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পুতুল এ পদে নিয়োগ পেতে ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) পাঠান। সিভিতে তিনি তখনকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা বা শিক্ষা ম্যানুয়েল রিভিউ সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, অটিজম ও মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত কারিগরি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার কথা তুলে ধরেন। দায়িত্ব পালনের এই যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করায় তার সিভি সমৃদ্ধ হয়, যার ফলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের পথ সুগম হয়।
অনুসন্ধানে ‘জালিয়াতির মাধ্যমে’ পুতুল সিভিতে ‘মিথ্যা ও ভুয়া যোগ্যতা’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে। এ মামলায় পুতুলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৮/৪৭১ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
‘তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে এর আগে পুতুলের নামে আরও একটি মামলা করেছিল দুদক। গত ১২ জানুয়ারির ওই মামলায় পুতুল ছাড়াও আসামি ছিলেন শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে সহকারী পরিচালক মো. নওশাদের নেতৃত্বে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনে অভিযান চালায়। তবে নির্ধারিত ঠিকানায় গিয়ে ওই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান পায়নি দুদকের আভিযানিক দল। এ তথ্যও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আরও দুটি মামলা করেছে।
এর মধ্যে একটি মামলায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের ক্ষেত্রে জীবন বৃত্তান্তে মিথ্যা ও ভুয়া যোগ্যতা দেখানোর অভিযোগ আনা হয়েছে। আরেক মামলায় তার বিরুদ্ধে সামাজিক দায়বদ্ধতা কর্মসূচি (সিএসআর) খাত থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের নামে ৩৩ কোটি টাকা সহায়তার নামে আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক (জনসংযোগ) মো. আকতারুল ইসলাম জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) দুদকের সমন্বিত জেলা কার্যালয় ঢাকা-১-এ কমিশনের উপপরিচালক তাহাসিন মুনাবীল হক বাদীয় হয়ে মামলা দুটি করেছেন।
শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল ২০১৪ সালে স্বেচ্ছাসেবী ও অলাভজনক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলেন সূচনা ফাউন্ডেশন। মানসিক ও স্নায়বিক প্রতিবন্ধিতা, অটিজম ও মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যাযুক্ত ব্যক্তিদের নিয়ে এই ফাউন্ডেশন কাজ করে বলে জানানো হয়।
দুদকের উপপরিচালক আকতারুল ইসলাম বলেন, এই ফাউন্ডেশনের নামে বিধি বহির্ভূতভাবে ও প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ব্যাংকসের (বিএবি) যেসব সদস্য ব্যাংক রয়েছে, তাদের সিএসআর তহবিল থেকে সূচনা ফাউন্ডেশনের জন্য ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা গ্রহণের অভিযোগে একটি মামলা হয়েছে।
এ মামলায় পুতুলের পাশাপাশি বিএবির সাবেক চেয়ারম্যান ও নাসা গ্রুপের চেয়ারম্যান নজরুল ইসলাম মজুমদারকেও আসামি করা হয়েছে। এই মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, তারা পরস্পর যোগসাজশে অবৈধভাবে প্রভাব বিস্তারের মাধ্যমে ব্যাংকগুলোর সিএসআর ফান্ড থেকে বিধি বহির্ভূতভাবে সূচনা ফাউন্ডেশনে টাকা দিতে চাপ দেন।
এর ফলে ২০১৭ সালের মে মাসে ২০টি ব্যাংক বাধ্য হয়ে তাদের সিএসআর খাত থেকে ৩৩ কোটি ৫ লাখ টাকা সূচনা ফাউন্ডেশনে দেয়। ভুয়া রেকর্ডপত্রের মাধ্যমে এই অর্থ আত্মসাৎ করা হয়েছে বলে দুদকের অনুসন্ধানে প্রাথমিকভাবে প্রমাণ পাওয়ার দাবি করা হয়েছে।
এই মামলায় পুতুল ও নজরুলের বিরুদ্ধে ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারা ও দণ্ডবিধির ১০৯ ধারায় সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজেরে এই তহবিল (সিএসআর ফান্ড) অপব্যয় ও আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এদিকে আরেক মামলায় পুতুলের বিরুদ্ধে ‘ক্ষমতার অপব্যবহার, প্রতারণা ও জালিয়াতি’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের নামে শিক্ষা ম্যানুয়েল তৈরি করে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগ লাভের অভিযোগ আনা হয়েছে।
এ মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, পুতুল এ পদে নিয়োগ পেতে ২০২৩ সালে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় জীবন বৃত্তান্ত (সিভি) পাঠান। সিভিতে তিনি তখনকার বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকতা বা শিক্ষা ম্যানুয়েল রিভিউ সম্পর্কিত কার্যক্রমে অংশগ্রহণ, অটিজম ও মানসিক সমস্যা সংক্রান্ত কারিগরি বিশেষজ্ঞ হিসেবে কাজ করার কথা তুলে ধরেন। দায়িত্ব পালনের এই যোগ্যতা অন্তর্ভুক্ত করায় তার সিভি সমৃদ্ধ হয়, যার ফলে আঞ্চলিক পরিচালক পদে নিয়োগের পথ সুগম হয়।
অনুসন্ধানে ‘জালিয়াতির মাধ্যমে’ পুতুল সিভিতে ‘মিথ্যা ও ভুয়া যোগ্যতা’ অন্তর্ভুক্ত করার প্রমাণ পাওয়ার দাবি করেছে। এ মামলায় পুতুলের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৪২০/৪৬৮/৪৭১ ও ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
‘তথ্য গোপন ও ক্ষমতার অপব্যবহার’ করে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে এর আগে পুতুলের নামে আরও একটি মামলা করেছিল দুদক। গত ১২ জানুয়ারির ওই মামলায় পুতুল ছাড়াও আসামি ছিলেন শেখ হাসিনাসহ ১৬ জন।
এর আগে গত ২৯ জানুয়ারি দুপুরে সহকারী পরিচালক মো. নওশাদের নেতৃত্বে দুদকের একটি এনফোর্সমেন্ট ইউনিট ধানমন্ডি ২৭ নম্বরে পুতুলের সূচনা ফাউন্ডেশনে অভিযান চালায়। তবে নির্ধারিত ঠিকানায় গিয়ে ওই নামে কোনো প্রতিষ্ঠান পায়নি দুদকের আভিযানিক দল। এ তথ্যও মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।
বরখাস্তরা হলেন— সহকারী পরিচালক বিলাল হোসাইন, উপপরিচালক রাশেদ আহাম্মেদ সাদী ও সহকারী হিসাবরক্ষক মো. নজরুল ইসলাম।
২ ঘণ্টা আগে