প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মারা গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম হাসপাতালের বরাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনিই হাসপাতালে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের চিকিৎসার বিষয়ে যোগাযোগ রাখছিলেন।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ধানমন্ডি যাওয়ার পথে গাড়িতে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাশের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট (রিং) পরানো হয়। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে, ফুসফুসে পানি জমে। পরে রোববার সন্ধ্যায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। দুই দিন পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করা হয়। পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। বিকেল ৫টায় চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার জানিয়েছে, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজার পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হতে পারে।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জন্ম সিলেট শহরে ১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি। সিলেটে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পড়ালেখা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। পরে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডব্লিউ বি ইয়েটসের কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেওয়ার পর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। গত শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার দিনও সেখানেই যাচ্ছিলেন তিনি।
শিক্ষকতার পাশাপাশি দুহাত ভরে লিখেছেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। গল্প-উপন্যাস ছাড়াও লিখেছেন প্রবন্ধ৷ মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমানেরর ওপর তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা কর্ম রয়েছে। নন্দনতত্ত্ব নামে তার লেখা বইটি এ বিষয়ে বাংলা ভাষায় অন্যতম সেরা রচনা হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও ২০১৮ সালে একুশে পদক পেয়েছেন তিনি।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের বইয়ের মধ্যে রয়েছে— পুস্তক প্রকাশনা ও সম্পাদনা প্রসঙ্গ, থাকা না থাকার গল্প, কাঁচ ভাঙ্গা রাতের গল্প, অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প, আধখানা মানুষ্য, দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন, কতিপয় প্রবন্ধ, অলস দিনের হাওয়া।
কথাসাহিত্যিক, প্রাবন্ধিক, শিক্ষাবিদ ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম মারা গেছেন। হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।
শুক্রবার (১০ অক্টোবর) বিকেল ৫টার দিকে রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষনিশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তার বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর।
প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান অন্যপ্রকাশের প্রধান নির্বাহী মাজহারুল ইসলাম হাসপাতালের বরাতে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছেন। তিনিই হাসপাতালে সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের চিকিৎসার বিষয়ে যোগাযোগ রাখছিলেন।
ঠিক এক সপ্তাহ আগে গত শুক্রবার (৩ অক্টোবর) ধানমন্ডি যাওয়ার পথে গাড়িতে ‘ম্যাসিভ হার্ট অ্যাটাক’ হয় সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের। তাৎক্ষণিকভাবে তাকে পাশের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। খবর পেয়ে স্বজনরা তাকে ল্যাবএইড হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে তার হৃদযন্ত্রে স্টেন্ট (রিং) পরানো হয়। তবে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়নি।
হাসপাতাল সূত্র জানিয়েছে, অধ্যাপক সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের রক্তে অক্সিজেনের মাত্রা কমতে থাকে, ফুসফুসে পানি জমে। পরে রোববার সন্ধ্যায় লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। দুই দিন পর তার শারীরিক অবস্থার কিছুটা উন্নতি হলে লাইফ সাপোর্ট থেকে বের করা হয়। পরে আবার শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে আবার লাইফ সাপোর্টে নেওয়া হয় তাকে। চিকিৎসকদের সব চেষ্টা বিফল করে দিয়ে আজ শুক্রবার বিকেলে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন তিনি। বিকেল ৫টায় চিকিৎসকেরা লাইফ সাপোর্ট খুলে তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
পরিবার জানিয়েছে, সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের মরদেহ বারডেমের হিমঘরে রাখা হবে। আগামীকাল শনিবার (১১ অক্টোবর) সকাল ১১টায় তার মরদেহ নেওয়া হবে কেন্দ্রীয় শহিদ মিনারে। বাদ জোহর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজার পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হতে পারে।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের জন্ম সিলেট শহরে ১৯৫১ সালের ১৮ জানুয়ারি। সিলেটে উচ্চ মাধ্যমিক পর্যায় পর্যন্ত পড়ালেখা করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ইংরেজিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি নেন তিনি। পরে কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডব্লিউ বি ইয়েটসের কবিতায় ইমানুয়েল সুইডেনবার্গের দর্শনের প্রভাব বিষয়ে পিএইচডি করেন।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগে অধ্যাপনা করেছেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অবসর নেওয়ার পর ইউনিভার্সিটি অব লিবারেল আর্টস বাংলাদেশে যোগ দেন তিনি। গত শুক্রবার হৃদরোগে আক্রান্ত হওয়ার দিনও সেখানেই যাচ্ছিলেন তিনি।
শিক্ষকতার পাশাপাশি দুহাত ভরে লিখেছেন সৈয়দ মনজুরুল ইসলাম। গল্প-উপন্যাস ছাড়াও লিখেছেন প্রবন্ধ৷ মাইকেল মধুসূদন দত্ত, কাজী নজরুল ইসলাম, শামসুর রাহমানেরর ওপর তার উল্লেখযোগ্য গবেষণা কর্ম রয়েছে। নন্দনতত্ত্ব নামে তার লেখা বইটি এ বিষয়ে বাংলা ভাষায় অন্যতম সেরা রচনা হিসেবে স্বীকৃত। ১৯৯৬ সালে বাংলা একাডেমি পুরস্কার ছাড়াও ২০১৮ সালে একুশে পদক পেয়েছেন তিনি।
সৈয়দ মনজুরুল ইসলামের বইয়ের মধ্যে রয়েছে— পুস্তক প্রকাশনা ও সম্পাদনা প্রসঙ্গ, থাকা না থাকার গল্প, কাঁচ ভাঙ্গা রাতের গল্প, অন্ধকার ও আলো দেখার গল্প, আধখানা মানুষ্য, দিনরাত্রিগুলি, আজগুবি রাত, তিন পর্বের জীবন, কতিপয় প্রবন্ধ, অলস দিনের হাওয়া।
পরিবেশ উপদেষ্টা বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে আগামী দিনে অনেক মানুষের ঠিকানা হারানোর শঙ্কা রয়েছে। সেখানে ডাক বিভাগ ঠিকানা হালনাগাদের মাধ্যমে অবদান রাখতে পারে। আর ঠিকানা ব্যবস্থাপনা ডিজিটাল হওয়া জরুরি।’
৩ ঘণ্টা আগেপ্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, অনেক বছর পর আমরা একটা রিয়েল ইলেকশন দেখব। বিগত ১৬ বছর হাসিনার আমলে আমরা ফেইক ইলেকশন দেখেছি। আমরা সেই জায়গা থেকে সরে এসেছি। এবার ইতিহাসের অন্যতম একটা বেস্ট ইলেকশন হবে।
৩ ঘণ্টা আগে