মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত বাংলাদেশ যে আবার দ্রুত ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছে তার বড় কারণ হলো আমাদের রেমিট্যান্স যোদ্ধাদের ঐতিহাসিক অবদান। নির্বাচনে তাদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার জন্য নির্বাচন কমিশন প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ আগের ইতিহাস বারবার নিশ্চিত করেছে এবং এটাও ভবিষ্যতেও বারবার নিশ্চিত করবে। আমাদের শহীদ ভাই-বোন ও আহতরা যে পথ দেখিয়েছে বাংলাদেশকে সর্বদা সার্বভৌম স্বাধীন এবং জনগণের ক্ষমতার বাস্তবায়ন করার জন্য সেই পথ সারাজীবন অনুসরণ করবো।’
জাদুঘরটি ২০২৪ সালের ঐতিহাসিক জুলাই অভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট, সংগ্রাম, শহীদ এবং বিজয়ের দলিলরূপে নির্মাণাধীন রয়েছে। নির্মাণাধীন এলাকায় পৌঁছে প্রধান উপদেষ্টা সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলী, স্থপতি এবং কর্মীদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন এবং দ্রুততম সময়ে কাজ সম্পন্ন করার নির্দেশ দেন।
ঘোষণাপত্রের ২৪ নম্বর অংশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সকল শহিদদের জাতীয় বীর হিসেবে ঘোষণা করে শহিদদের পরিবার, আহত যোদ্ধা এবং আন্দোলনকারী ছাত্রজনতাকে প্রয়োজনীয় সকল আইনি সুরক্ষা দেওয়ার অভিপ্রায় ব্যক্ত করছে।’
বাংলাদেশের জনগণের ছাত্র-গণঅভ্যুত্থান ২০২৪-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতির অভিপ্রায়ের কথাও তুলে ধরা হয়েছে ঘোষণাপত্রে। বলা হয়েছে, পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কার করা সংবিধানের তফসিলে এ ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে বলে মানুষ আশা করছে।
‘ছাত্র গণ-অভ্যুত্থান ২০২৪’-এর উপযুক্ত রাষ্ট্রীয় ও সাংবিধানিক স্বীকৃতি প্রদান করা হবে এবং পরবর্তী নির্বাচনে নির্বাচিত সরকারের সংস্কার করা সংবিধানের তফসিলে এ জুলাই ঘোষণাপত্র সন্নিবেশিত থাকবে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ‘জুলাই ঘোষণাপত্র’ পাঠ শুরু করেছেন। আজ মঙ্গলবার বিকেল ৫টা ২২ মিনিটে তিনি জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় অনুষ্ঠান মঞ্চে তিনি জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ শুরু করেন।
পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলমের ছবি ও কণ্ঠ নকল করে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) প্রযুক্তি ব্যবহার করে একটি ভুয়া ভিডিও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়ানো হয়েছে। বিষয়টি গুরুতর অপরাধ হিসেবে চিহ্নিত করে সতর্কতা জারি করেছে পুলিশ সদর দপ্তর।
‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস ২০২৫’ উপলক্ষ্যে স্মারক ডাকটিকিট, উদ্বোধনী খাম ও সিলমোহর অবমুক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে শহীদদের স্মরণ করে ভার্চুয়ালি বক্তব্য দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তিনি বলেছেন, '৫ আগস্ট শুধু একটা দিবস নয়, এটি একটি প্রতিজ্ঞা। গণ-জাগরণের উপাখ্যান এবং ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে জাতির পুনর্জন্মের দিন।'
বর্ষপঞ্জির পাতায় আজ ৫ আগস্ট। ছাত্র-জনতার মনের পাতায় ৩৬ জুলাই। এক বছর আগে সহস্রাধিক প্রাণের বিনিময়ে এসেছিল এই দিন, যে দিন লাখো মানুষের ঢলের মুখে পতন ঘটেছিল ১৬ বছর ক্ষমতায় জেঁকে বসা আওয়ামী লীগ সরকারের। ছাত্র-জনতার স্রোতের মুখে সেদিন হেলিকপ্টারে করে ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ
বিচারের সম্মুখীন করতে বাংলাদেশ ভারতের কাছে শেখ হাসিনাকে ফেরত চেয়েছে। ভারত থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর আসেনি। বাংলাদেশ অপেক্ষা করছে। ইতিমধ্যে শেখ হাসিনার বিচারপ্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। কেউ আসুক আর না আসুক, তার জন্য তো বিচার আটকে থাকে না।’
অধ্যাপক ইউনূস বলেন, টানা ১৬ বছরের স্বৈরাচারী অপশাসনের বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিস্ফোরণ ছিল জুলাই গণঅভ্যুত্থান। জুলাই অভ্যুত্থানের মূল লক্ষ্য ছিল একটি বৈষম্যহীন, দুর্নীতি ও স্বৈরাচারমুক্ত নতুন রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করা। দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার করে রাষ্ট্রকে জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া।
ভূমি উপদেষ্টা বলেন, আমাদের ভূমি দিন দিন হ্রাস পাচ্ছে। তাই জমির সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। অধিগ্রহণকৃত জমি যে কাজের জন্য নেওয়া হচ্ছে সে কাজ ব্যতীত অন্য কাজে ব্যবহার করা যাবে না। জমি ব্যবহৃত না হলে জেলা প্রশাসকের কাছে ফেরত দিতে হবে। অধিগ্রহণ করা অব্যবহৃত ও বেদখলকৃত জমি পুনরুদ্ধার করা খুবই জরুরি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত এক সাংবাদিক প্রশ্ন করেন, এই কিংস পার্টি বলতে আপনি কাদের বোঝাচ্ছেন? জবাবে ইফতেখারুজ্জামান বলেন, ‘এটা গোপন করার কিছুই নেই। এটি জাতীয় নাগরিক পার্টি, তার সম্পর্কে বলা হয়েছে যে কিংস পার্টি। কারণ এর সঙ্গে সহযোদ্ধা বা সহযাত্রী হিসেবে যারা আছেন, তাদের মধ্যে দুজন সরকারে এখন আছেন। সে হি
জুলাই অভ্যুত্থানের পটভূমি তুলে ধরে রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, এ গণঅভ্যুত্থান ছিল দীর্ঘদিনের বঞ্চনা, দুঃশাসন, দুর্নীতি, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, ভোটাধিকার হরণসহ সব ধরনের অত্যাচার-নিপীড়নের বিরুদ্ধে তরুণ প্রজন্ম ও আপামর জনতার ক্ষোভের বিস্ফোরণ।
বাংলাদেশে নির্বাচনের জন্য তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান কে হবেন- এই ইস্যুতে শুরু হওয়া আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ভয়াবহ রাজনৈতিক সহিংসতার জের ধরে ২০০৭ সালের ১১ জানুয়ারিতে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়, যা দেশের রাজনৈতিক ইতিহাসে ‘ওয়ান ইলেভেন’ হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে।