রাজশাহীতে সর্বনিম্ন ফিতরা ৮৫ টাকা, সর্বোচ্চ ২৩১০

রাজশাহী ব্যুরো

বিভাগীয় শহর রাজশাহীতে এ বছর জনপ্রতি সর্বনিম্ন ফিতরা ৮৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ করা রয়েছে। আজ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় রাজশাহীর ঐতিহ্যবাহী জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদরাসার অফিস কক্ষে আরবী ১৪৪৬ হিজরির ফিতরা নির্ধারণের উদ্দেশে সর্বস্তরের আলেমদের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।

ওই বৈঠকে রাজশাহীর বিভিন্ন বাজার থেকে সংগৃহীত নিত্যপণ্যের বাজার দর পর্যালোচনা করে সর্বসম্মতিক্রমে এ বছর রাজশাহী অঞ্চলের মুসলমানদের জন্য আদায়যোগ্য ফিতরা নির্ধারণ করা হয়। বৈঠকে জনপ্রতি সর্বনিম্ন ৮৫ টাকা এবং সর্বোচ্চ ২ হাজার ৩১০ টাকা ফিতরা নির্ধারণ হয়।

ওই বৈঠকে উপস্থিত ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ জানান, তারা রাজশাহী অঞ্চলের বিভিন্ন বাজার থেকে নিত্যপণ্যের বাজার দর সংগ্রহ করেছেন। এরপর ওলামায়ে কেরামের বৈঠকে সংগৃহীত বাজার দর পর্যালোচনা করে নিম্নোক্ত এই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছেন। এতে আটা/গম কেজি প্রতি গড়মূল্য ৫০ টাকা ধরে প্রতি জনের ফিতরা ১.৬৫০ কেজির মূল্য হিসেবে ৮৫ টাকা, যব গড়মূল্য ৮০ টাকা কেজি ধরে প্রতিজনের ফিতরা ৩.৩০০ কেজির মূল্য ২৬৫ টাকা, খেজুর (মধ্যমানের) প্রতি কেজির মূল্য ৬০০ ধরে প্রতিজনের ফিতরা ৩.৩০০ কেজির মূল্য ২ হাজার টাকা, কিশমিশ (মধ্যমানের) প্রতি কেজির মূল্য ৬৫০ টাকা ধরে প্রতিজনের ফিতরা ৩.৩০০ কেজির মূল্য ২ হাজার ১৫০ টাকা আর পনির প্রতি কেজির গড়মূল্য ৭০০ টাকা হিসাবে এ বছরের (১৪৪৬ হিজরি) জন্য জনপ্রতি ফিতরা ৩.৩০০ কেজির মূল্য ২ হাজার ৩১০ টাকা নির্ধারণ হয়েছে।

ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ আরও বলেন, বৈঠকের সিদ্ধান্ত মতে ফিতরার নির্ধারিত পণ্যমূল্যের সাথে ১/২ টাকা যোগ করে আদায় যোগ্য টাকার অঙ্ককে সামঞ্জস্যপূর্ণ করা হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বৈঠকে উপস্থিত উলামায়ে কেরাম এই বিষয়েও ঐক্যমত পোষণ করেছেন যে, ফিতরা আদায়ের ক্ষেত্রে সর্বনিম্ন পরিমাণ সবার জন্য আমল যোগ্য; এমনটি না ভেবে দরিদ্র জনগোষ্ঠির প্রয়োজন বিশেষ বিবেচনায় নিয়ে উল্লিখিত পরিমাণগুলোর মধ্য থেকে নিজ নিজ সামর্থ্য অনুযায়ী বেশি টাকার ফিতরা আদায় করার আমলই অধিকতর শ্রেয়।

রাজশাহীর জামিয়া ইসলামিয়া শাহ মখদুম মাদরাসার ভারপ্রাপ্ত মুহতামিম মাওলানা আব্দুল খালেকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ সভায় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জামিয়া রহমানিয়া মাদরাসার নায়েবে মুহতামিম ড. মাওলানা ইমতিয়াজ আহমেদ, জামিয়া ইসলামিয়া মিয়া মোহাম্মদ কসেমী মাদরাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মো. নেক আহমাদ, জামিয়া দারুল উসওয়াহ রাজশাহীর মুহাদ্দিস মুফতি মোস্তাফিজুর রহমান কাসেমী, দারুস সালামা কামিল মাদরাসার মুহাদ্দিস মুফতি যাকারিয়া হাবিবী, সাহেববাজার বড় মসজিদের পেশ ইমাম ও খতীব মাওলানা আব্দুল গণী।

এছাড়া রাজশাহীর দারুল উলুম মালোপাড়া মাদরাসা, জামেয়া ওসমানিয়া মাদরাসা, হামাউস সুন্নাহ মুশরইল মাদরাসা, জামেয়া সদ্দিকিয়া চণ্ডীপুর মাদরাসা, দারুল আরকাম রায়পাড়া মাদরাসার প্রতিনিধিবৃন্দ ও শহরের অধিকাংশ মসজিদের ইমাম ও খতীবরা এই সভায় উপস্থিত থেকে মতামত দেন।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ভ্রাম্যমাণ আদালতের অভিযান, ৬ ওষুধের দোকানকে ৩০ হাজার টাকা জরিমানা

অভিযান শেষে ইউএনও মুহাম্মদ ইনামুল হাছান বলেন, জনস্বাস্থ্য বিবেচনায় অসাধু উপায়ে ব্যবসা করার কোনো সুযোগ নেই। প্রাথমিকভাবে ফার্মেসি মালিকদের সতর্ক করা হয়েছে। জনসচেতনতা তৈরির জন্যই এ অভিযান। সামনে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

১৪ ঘণ্টা আগে

পটুয়াখালীতে ডিবিবিএলের বুথ ডাকাতির চেষ্টায় মূল হোতা গ্রেপ্তার

এ ঘটনায় এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা নিতে না পারলেও বুথটি ভাঙচুর করে মালামাল লুট করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক চুরির ঘটনায় মামলা রয়েছে।

১৫ ঘণ্টা আগে

বৃষ্টিতে প্রাণ ফিরেছে রংপুর অঞ্চলের আমন আবাদে

১৯ ঘণ্টা আগে

অনিবার্য কারণে রাকসুর মনোনয়নপত্র বিতরণ বন্ধ ঘোষণা

২১ ঘণ্টা আগে