হত্যাকারীরা যে প্রতিষ্ঠানেরই হোক, বিচার নিশ্চিত করতে হবে: সারজিস

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মঙ্গলবার নেত্রকোনায় জেলা এনসিপি আয়োজিত সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম। ছবি: রাজনীতি ডটকম

গুম-খুনের সঙ্গে জড়িতরা যে প্রতিষ্ঠানেরই হোক, এমনকি সেনাবাহিনীর সদস্য হলেও তাদের বিচার নিশ্চিত করতে হবে বলে মন্তব্য করেছেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম।

তিনি বলেন, আমরা চাই বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সব ধরনের কলুষ থেকে মুক্ত থাকুক। এবং যারাই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সরাসরি সম্পৃক্ত, তারা যে পদেই থাকুক, যে প্রতিষ্ঠানেই থাকুক, তাদের সর্বোচ্চ বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) দুপুরে জেলা শহরের বড়বাজার এলাকায় সালতি রেস্টুরেন্টের কনভেনশন সেন্টারে জেলা এনসিপির উদ্যোগে আয়োজিত সমন্বয় সভায় এ কথা বলেন তিনি।

সমন্বয় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সারজিস আলম বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল থেকে ট্রাইবুনালের মাধ্যমে প্রকাশ হয়েছে, সম্ভবত ২৫ জন সেনা কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অভিযোগ এসেছে। আমরা মনে করি, সেনাবাহিনী বাংলাদেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ একটি প্রতিষ্ঠান এবং এই প্রতিষ্ঠানকে আমরা সবসময় মর্যাদাপূর্ণ অবস্থানে দেখতে চাই।

সারজিস আরও বলেন, কিন্তু ওই প্রতিষ্ঠানের কিছু অফিসারকে ব্যবহার করে পতিত খুনি শেখ হাসিনা ও তার সরকার বিগত সময়ে অসংখ্য গুম-খুন ও বিচারবহির্ভূত হত্যা ঘটিয়েছে। আয়নাঘরের অসংখ্য নির্মমতা আমরা দেখেছি। এ ধরনের গুম-খুনের সঙ্গে যারা জড়িত, তারা কে কোন পদে, কোন প্রতিষ্ঠানে আছে—এসব দেখার বিষয় না। এদের সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে।

এনসিপির এই নেতা বলেন, আমরা আহ্বান জানাব, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী তাদের জায়গা থেকে এসব ঘাতকদের দায়ভার গ্রহণ করবে না এবং তাদের যথাযথ আইনি প্রক্রিয়ায় যেভাবে হস্তান্তর করা দরকার, সেভাবেই বিচারিক প্রক্রিয়ায় সহযোগিতা করবে।

শাপলা প্রতীকে এনসিপির নিবন্ধন পাওয়া নিয়ে আশাবাদ জানিয়ে সারজিস বলেন, আশা করছি নির্বাচন কমিশন এনসিপির জন্যে শাপলা প্রতীক বরাদ্দ দেবে, যেহেতু এতে আর আইনি কোনো বাধা নেই।

বাংলাদেশের রাজনীতির পরিক্রমায় এনসিপির গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত থাকবে জানিয়ে দলটির এই কেন্দ্রীয় নেতা বলেন, কারণ এনসিপির নেতারাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দিয়েছিল। বাংলাদেশে ভারতীয় যে আধিপত্যবাদ, তা জামায়াত কিংবা বিএনপি প্রত্যাশা অনুযায়ী আশানুরূপ মোকাবিলা করতে পারবে না বলে মনে করি। সে ক্ষেত্রে এনসিপি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।

এনসিপির কেন্দ্রীয় সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) প্রীতম সোহাগ ও কেন্দ্রীয় কার্যকরী সদস্য ফাহিম রহমান খান পাঠানের যৌথ সভাপতিত্বে সমন্বয় সভায় বিশেষ অতিথি ছিলেন ময়মনসিংহ বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিকিন আলম। সভায় জেলা এনসিপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

ফেনীতে গাছ কেটে রেলপথে নাশকতার চেষ্টা

ফেনীতে রাতের আঁধারে গাছ কেটে রেললাইনে ফেলে নাশকতার চেষ্টা চালিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা। তবে রেলওয়ের টহলদলের তৎপরতায় অল্পের জন্য বড় দুর্ঘটনা এড়ানো গেছে। বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) ভোররাতে ঢাকা–চট্টগ্রাম রেলপথের ফেনীর কালিদহ ইউনিয়নের মহেশপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

২ ঘণ্টা আগে

মধ্যরাত থেকে সকাল পর্যন্ত ৫ জেলায় ৭ যানবাহনে আগুন

আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ের তারিখ ঘোষণা ও আওয়ামী লীগের লকডাউন কর্মসূচি ঘিরে ঢাকায় নিরাপত্তা জোরদার করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। ঢাকাসহ আশপাশের জেলাগুলোতে বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে। ট্রাইব্যুনালের আশপাশে নেওয়া হয়েছে নজিরবিহীন নিরাপত্তা।

৫ ঘণ্টা আগে

ফরিদপুরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ

৬ ঘণ্টা আগে

ফেনীতে দাঁড়িয়ে থাকা বাসে দুবৃর্ত্তের আগুন

এলাকাবাসী বলছেন, প্রতিদিন সন্ধ্যায় সড়কের পাশে গাড়িগুলো পার্কিং করে চালকরা বাড়িতে চলে যান। রাতে আকস্মিকভাবে গাড়িতে আগুন দেখে আশপাশের মানুষের বের হয়ে পড়ে। পরে সকলের চেষ্টায় পানি এনে আগুন নেভানো হয়। গাড়ির চালক বসার স্থানসহ সামনের অংশ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

৮ ঘণ্টা আগে