মিথ্যা মামলায় হয়রানি করার অভিযোগ ২ পরিবারের

নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ২১: ১৯
সংবাদ সম্মেলন করে মিথ্যা মামলায় হয়রানির অভিযোগ করেন পাঁচ ভাই। ছবি: রাজনীতি ডটকম

ময়মনসিংহের নান্দাইলে জমিজমার ভাগবাঁটোয়ারা নিয়ে বিরোধের জের ধরে দুটি পরিবারের পাঁচ ভাইকে প্রতারণার মিথ্যা মামলায় জড়িয়ে হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। তদন্ত কর্মকর্তার তদন্তে মামলাটি মিথ্যা বলে প্রমাণিত হলেও হয়রানি থেকে রেহাই পাচ্ছেন না পাঁচ ভাই।

হয়রানির শিকার ব্যক্তিরা শনিবার (১৪ জুন) দুপুরে নান্দাইল উপজেলার জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের রায়পাশা কালীর বাজারে সংবাদ সম্মেলন করেন।

সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগীরা হয়রানির অভিযোগের বিস্তারিত তুলে ধরেন। মিথ্যা মামলা ও হয়রানি থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা সাংবাদিকদের মাধ্যমে কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।

সংবাদ সম্মেলনে পাঁচ ভাইয়ের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন মো. মুসলিম উদ্দিন (৪৫)। তিনি বলেন, তিনি ও তার পরিবারের সদস্যরা জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নের দেউলডাংরা গ্রামের বাসিন্দা। তাদের প্রতিপক্ষ তারই চাচা আবুল কাশেমের ছেলে মো. ইছহাক মিয়া ও তার পরিবার। পৈত্রিক জমির ভাগবাঁটোয়ারা নিয়েই চাচাতো ভাইয়ের পরিবারের সঙ্গে তাদের বিবাদ চলে আসছে।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, গ্রামের মাতবররা দুপক্ষের বিবাদ মীমাংসা করার জন্য ২০২৩ সালে একটি বড় সালিশ করেছিলেন। এর আগে তারা ১০০ টাকা মূল্যের নন-জুডিশিয়াল খালি স্ট্যাম্পে দুপক্ষের আগাম সই নন, যেন দুপক্ষই সালিশের সিদ্ধান্ত মেনে নিতে বাধ্য থাকে। কিন্তু ওই সালিশে দুপক্ষকে মীমাংসায় রাজি করানো সম্ভব হয়নি। খালি স্ট্যাম্পগুলো এলাকার ইউপি সদস্য মো. মিলন মিয়ার জিম্মায় রয়ে যায়।

মুসলিম উদ্দিন বলেন, কিছুদিন পর তারা জানতে পারেন যে ইছহাক বাদী হয়ে তাদের বিরুদ্ধে ময়মনসিংহের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে প্রতারণার অভিযোগে সিআর মামলা করেছেন। ওই মামলায় অভিযোগ করা হয়, তারা স্ট্যাম্পে সই দিয়ে ইছহাকের কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা নিয়েছেন। ওই টাকা পরিশোধ করছেন না।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, মুসলিম উদ্দিন ও তার ভাইয়েরা বুঝতে পারেন, সালিশের আগে তাদের কাছ থেকে যে তিনটি খালি স্ট্যাম্পে সই নেওয়া হয়েছিল, সেই স্ট্যাম্পগুলোতে ইচ্ছামতো বয়ান লিখে মামলাটি সাজানো হয়েছে।

আদালত মামলাটি পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্ত করে প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন। পিবিআই তদন্ত করে অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়নি বলে গত বছরের ২৩ মার্চ আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করে। ইছহাক মিয়া ওই প্রতিবেদনের বিরুদ্ধেও নারাজি দেন।

মুসলিম উদ্দিন বলেন, প্রতারণার মামলার পর তাদের বিরুদ্ধে ১০৭ ধারায় আরও একটি মামলা করেন ইছহাক মিয়া। ওই মামলাতেও তারা আদালতে হাজিরা দিয়েছেন।

এসব অভিযোগ নিয়ে ইছহাক মিয়ার বক্তব্য জানতে সংবাদ সম্মেলনের পর তার বাড়িতে গিয়েও তাকে পাওয়া যায়নি। তার মোবাইল ফোন নম্বরটিও বন্ধ পাওয়া গেছে।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. মিলন মিয়া মোবাইল ফোনে বলেন, খালি স্ট্যাম্পগুলো তার কাছে গচ্ছিত ছিল। কিন্তু ইছহাক তার কাছ থেকে স্ট্যাম্পগুলো নিয়ে গেছেন। হস্তান্তরের সময় দুপক্ষের সই বাদে স্ট্যাম্পের বাকি অংশ সাদা ছিল।

ad
ad

মাঠের রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

সন্ধ্যায় নিখোঁজ, পরদিন কিশোরীকে পাওয়া গেল মোবাইল টাওয়ারের চূড়ায়

স্থানীয় ও পরিবার সূত্র জানায়, দীর্ঘ দিন ধরে মানসিক সমস্যা ভুগতে থাকা মেয়েটি শনিবার (১৪ জুন) সন্ধ্যার পরে বাড়ি থেকে নিখোঁজ হয়। সারা রাত পরিবার ও স্থানীয়রা খোঁজাখুঁজি করেও তার সন্ধান পানি। রোববার দুপুরের দিকে তাদের বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে বেতাগী বাজার এলাকার একটি টেলিকম টাওয়ারে একজনকে বসে থাকতে দ

১৬ ঘণ্টা আগে

তাপদাহে হাঁসফাঁস রাজশাহী, স্বস্তি দিল বৃষ্টি

দীর্ঘ তাপদাহ ও প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস করছিল রাজশাহীর জনজীবন। টানা নয় দিন মৃদু তাপপ্রবাহের পর আজ রোববার দুপুরে রাজশাহীতে নামে স্বস্তির বৃষ্টি। দুপুর ১টার দিকে শুরু হয়ে প্রায় আড়াইটা পর্যন্ত চলে এই বৃষ্টি। হালকা গুঁড়িগুঁড়ি থেকে মাঝারি ধরনের বৃষ্টিতে ভিজে যায় রাজশাহীর রাজপথ, ঘরবাড়ি ও ক্লান্ত প্রকৃতি।

১৯ ঘণ্টা আগে

গুলিবিদ্ধ তরুণ জুলাই যোদ্ধার মৃত্যু, নাম ওঠাননি সরকারি তালিকায়

গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন চলাকালে শরীরের বিভিন্ন স্থানে গুলিবিদ্ধ হন ইমরান হোসেন (২৭)। গাজীপুরের জয়দেবপুর হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেলেও মাঝে মাঝেই অসুস্থ হয়ে পড়তেন। গুলিবিদ্ধ সেই ইমরান মারা গেছেন।

১ দিন আগে

আগামী নির্বাচন হবে ইতিহাসের সেরা নির্বাচন : রাশেদ খান

নির্বাচনে কোনো চাঁদাবাজ, দখলদার, যারা মাফিয়াতন্ত্র কায়েম করেছিল এবং ফ্যাসিবাদের সঙ্গে জড়িত ছিল—এমন কাউকে ভোট না দিয়ে ক্লিন ইমেজধারীদের ভোট দেওয়ার আহ্বান জানান রাশেদ খান। তিনি বলেন, ‘আমাদের দল ৩০০ আসনেই নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রস্তুতি নিচ্ছে।’

২ দিন আগে