নান্দাইলে ৭ কৃষকের ১৭ গরু চুরি

ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পল্লিতে পর পর দুই রাতে ১৭টি গরু চুরি হয়েছে বলে কৃষকদের কাছ থেকে অভিযোগ পাওয়া গেছে। গরুচুরির ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছেন সাতজন কৃষক। ক্ষতিগ্রস্থরা নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম ও সিংরইল ইউনিয়নের কচুরি গ্রামের বাসিন্দ।
গত বৃহস্পতিবার ও গত বুধবার দিবাগত রাতের কোনো এক সময় গরু চুরির ঘটনা দুটি ঘটেছে। সুরাশ্রম গ্রাম থেকে চোরাই গরুগুলো ট্রাকে করে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এ দৃশ্য সিসিটিভি ক্যামেরায় ধরা পড়েছে।
গতকাল শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার হোসেন বলেন, তিনি গরু চুরির বিষয়ে অবগত নন। এ চুরির বিষয়ে থানায় কেউ অভিযোগ করেছেন কিনা তা তিনি জানেন না।
নান্দাইল উপজেলার গাংগাইল ইউনিয়নের সুরাশ্রম গ্রামের ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক কদ্দুস মিয়ার দুইটি, সঞ্জু মিয়ার তিনটি, ফজলুল রহমানের তিনটি, লিটন মিয়ার দুইটিসহ মোট ১০টি গরু গত বুধবার রাতের কোনো এক সময় চুরি হয়।
কৃষকরা জানান, তাঁরা বৃহস্পতিবার ভোরে গিয়ে দেখতে পান গোয়ালঘরের দরজায় লাগানো তালা কাটা। দরজা খোলা দেখতে পেয়ে গোয়ালঘরের ভেতরে গিয়ে গরু পাননি। পরে আশেপাশের জঙ্গলসহ নানা জায়গায় খোঁজ করেও গরুগুলো পাননি।
ভুক্তভোগী কৃষক ফজলুর রহমান জানান, তিনি গাভির দুধ বিক্রি করে সংসার চালান। গাভি চুরি হওয়ায় পথে বসেছেন। কৃষক সঞ্জু মিয়া জানান, তাঁর তিনটি গরুর মূল্য হবে কমপক্ষে তিন লাখ টাকা। এই গরুগুলো দিয়েই নিজের কিছু জমি ছাড়াও পরের জমিতে হাল চাষ করতেন। এতেই তাঁর সংসারের ব্যয় মিটে। এখন তিনি পথে বসেছেন।
অপরদিকে উপজেলার সিংরুইল ইউনিয়নের কচুরী গ্রামের আবু বক্করের ২টি, দুলাল মিয়ার ৩টি ও নুর মিয়ার ২টি গরু গত বৃহস্পতিবার রাতের কোনো একসময় চুরি হয়। দুলাল মিয়া জানান, তিনি প্রতিদিনের মতো রাত ৩টার দিকে উঠে বসতঘরের পাশে থাকা গোয়ালঘরে গিয়ে নিজের গরুগুলোর খোঁজ নিতে যান। ওই সময় গোয়ালঘরে দেখতে পান তাঁর তিনটি গরু নেই।
কিছুক্ষণের মধ্যেই খবর আসে একই গ্রামের নুর মিয়া ও আবু বাক্কারের ৪টি গরু চুরি হয়েছে। এ অবস্থায় গ্রামে চোর আতঙ্ক বিরাজ করে। দুই রাতে ১৭টি গরু চুরি হয়ে যাওয়ার পর থেকে প্রায় সকল এলকার কৃষকদের মধ্যে চোর আতংক দেখা দিয়েছে।