নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পল্লিতে নিখোঁজের চার দিন পর এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির কাছে অবস্থিত এক বাজারের পেছনে ডোবার পাশে মাটিতে তার মরদেহটি পুঁতে রাখা ছিল। পরিবারের অভিযোগ, এলাকার মাদক কারবারি চক্রের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে।
গত বুধবার (২৪ অক্টোবর) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের সংগ্রামকেলী গ্রামের কৃষক মো. কালাম মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৬)। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাওয়া গেছে তার মরদেহ। আলমগীর কিছুদিন প্রবাসে কাটিয়ে বর্তমানে কৃষিকাজ করছিলেন।
শনিবার বিকেলে উপজেলার সংগ্রামেকলী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাটি লোকে লোকারণ্য। বাজারের চা-দোকানি রিপুল মিয়ার দোকানের পেছনে থাকা ডোবার পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল আলমগীরের লাশ। সন্ধান পাওয়ার পর লাশটি এক নজর দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে নিহতের স্বজনরা আহাজারি করছিলেন।
নিহত তরুণের বাড়ি বাজার থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে। বাড়িতে গেলে কৃষক কালাম মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সংগ্রামকেলী গ্রামের একটি মাদক কারবারি চক্রের সদস্যরা ইয়াবা বিক্রি করছেন। আলমগীর ওই চক্রের সদস্যদের ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দিতেন। এ কারণে মাদক কারবারিরা আলমগীরের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। কিছুদিন আগেও চক্রের সদস্যরা একাধিকবার তার বাড়ির সামনে এসে আলমগীরকে ভয়াবহ পরিণামের হুমকি দিয়ে গেছেন।
আলমগীরের মা মনোয়ারা আক্তার জানান, বুধবার রাতে তার ছেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ডাকে বাড়ির বাইরে যায়। পরে সে আর বাড়ি ফেরেনি। মনোয়ারা বলেন, ‘আমার পুতেরে একেবারে জানে মাইরালবো, হেইডা বুজতাম পারছি না রে বাবা।’
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নান্দাইল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পুলিশ গতকাল শুক্রবার বাফাইল বিল থেকে আলমগীরের জামাকাপড় উদ্ধার করে।
মা মনোয়ারা আক্তার আরও বলেন, ‘লোক দিয়ে গ্রামে তন্ন তন্ন করে পুতেরে খুঁজছি। কিন্তু আমার বাবারে যে মাইরালছে, এইডা বুজতাম পারছি না বাবা। আমি খুনের বদলে খুন চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই। এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্তানহারা মা।’
স্থানীয় বাসিন্দা খুরশেদ মিয়া (৬৫) জানান, সংগ্রামকেলী বাজারের পেছনে ডোবার পাশে দিনের বেলায় একদল শিয়াল মাটি খুঁড়ে লাশটি বের করার চেষ্টা করছিল। কুকুর এসে শিয়ালগুলোকে দৌড়ানি দেয়।
দিনের বেলা শিয়ালের আনাগোনা দেখে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। এদিকে গত চারদিন আগে নিখোঁজ হওয়া আলমগীরের লাগাতার সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল পরিবারের লোকজন। তাদের কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পচা গন্ধ পেলে সন্দেহ দানা বাঁধে। পরে কয়েকজন কোদাল দিয়ে কিছুটা মাটি খুঁড়লে বস্তার ভেতরে রাখা লাশ দেখতে পান।
যারা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ছিলেন তাদের মধ্যে সন্দ্বিগ্ধ হত্যকারীদের কয়েকজন ছিলেন বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়। পরে তাদের আর এলাকায় দেখা যায়নি।
খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ সংগ্রামকেলী বাজারে যান। পরে সেখানে যান ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার। তারা সেখানে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পল্লিতে নিখোঁজের চার দিন পর এক তরুণের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। বাড়ির কাছে অবস্থিত এক বাজারের পেছনে ডোবার পাশে মাটিতে তার মরদেহটি পুঁতে রাখা ছিল। পরিবারের অভিযোগ, এলাকার মাদক কারবারি চক্রের সদস্যরা তাকে হত্যা করেছে।
গত বুধবার (২৪ অক্টোবর) বাড়ি থেকে বের হয়ে আর ফিরে আসেননি নান্দাইল উপজেলার শেরপুর ইউনিয়নের সংগ্রামকেলী গ্রামের কৃষক মো. কালাম মিয়ার ছেলে আলমগীর হোসেন (২৬)। শনিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) পাওয়া গেছে তার মরদেহ। আলমগীর কিছুদিন প্রবাসে কাটিয়ে বর্তমানে কৃষিকাজ করছিলেন।
শনিবার বিকেলে উপজেলার সংগ্রামেকলী বাজারে গিয়ে দেখা যায়, এলাকাটি লোকে লোকারণ্য। বাজারের চা-দোকানি রিপুল মিয়ার দোকানের পেছনে থাকা ডোবার পাশে মাটিতে পুঁতে রাখা হয়েছিল আলমগীরের লাশ। সন্ধান পাওয়ার পর লাশটি এক নজর দেখার জন্য এলাকার শত শত মানুষ ঘটনাস্থলে ভিড় করেন। কিছুটা দূরে দাঁড়িয়ে নিহতের স্বজনরা আহাজারি করছিলেন।
নিহত তরুণের বাড়ি বাজার থেকে প্রায় ১০০ গজ দূরে। বাড়িতে গেলে কৃষক কালাম মিয়া ও তার পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ করেন, সংগ্রামকেলী গ্রামের একটি মাদক কারবারি চক্রের সদস্যরা ইয়াবা বিক্রি করছেন। আলমগীর ওই চক্রের সদস্যদের ইয়াবা বিক্রিতে বাধা দিতেন। এ কারণে মাদক কারবারিরা আলমগীরের ওপর ক্ষুব্ধ ছিল। কিছুদিন আগেও চক্রের সদস্যরা একাধিকবার তার বাড়ির সামনে এসে আলমগীরকে ভয়াবহ পরিণামের হুমকি দিয়ে গেছেন।
আলমগীরের মা মনোয়ারা আক্তার জানান, বুধবার রাতে তার ছেলে অজ্ঞাত ব্যক্তিদের ডাকে বাড়ির বাইরে যায়। পরে সে আর বাড়ি ফেরেনি। মনোয়ারা বলেন, ‘আমার পুতেরে একেবারে জানে মাইরালবো, হেইডা বুজতাম পারছি না রে বাবা।’
এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে নান্দাইল মডেল থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়। পুলিশ গতকাল শুক্রবার বাফাইল বিল থেকে আলমগীরের জামাকাপড় উদ্ধার করে।
মা মনোয়ারা আক্তার আরও বলেন, ‘লোক দিয়ে গ্রামে তন্ন তন্ন করে পুতেরে খুঁজছি। কিন্তু আমার বাবারে যে মাইরালছে, এইডা বুজতাম পারছি না বাবা। আমি খুনের বদলে খুন চাই। খুনিদের ফাঁসি চাই। এ কথা বলে কান্নায় ভেঙে পড়েন সন্তানহারা মা।’
স্থানীয় বাসিন্দা খুরশেদ মিয়া (৬৫) জানান, সংগ্রামকেলী বাজারের পেছনে ডোবার পাশে দিনের বেলায় একদল শিয়াল মাটি খুঁড়ে লাশটি বের করার চেষ্টা করছিল। কুকুর এসে শিয়ালগুলোকে দৌড়ানি দেয়।
দিনের বেলা শিয়ালের আনাগোনা দেখে এলাকার লোকজনের সন্দেহ হয়। এদিকে গত চারদিন আগে নিখোঁজ হওয়া আলমগীরের লাগাতার সন্ধান চালিয়ে যাচ্ছিল পরিবারের লোকজন। তাদের কয়েকজন ঘটনাস্থলে গিয়ে পচা গন্ধ পেলে সন্দেহ দানা বাঁধে। পরে কয়েকজন কোদাল দিয়ে কিছুটা মাটি খুঁড়লে বস্তার ভেতরে রাখা লাশ দেখতে পান।
যারা কোদাল দিয়ে মাটি খুঁড়ছিলেন তাদের মধ্যে সন্দ্বিগ্ধ হত্যকারীদের কয়েকজন ছিলেন বলে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়। পরে তাদের আর এলাকায় দেখা যায়নি।
খবর পেয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ সংগ্রামকেলী বাজারে যান। পরে সেখানে যান ময়মনসিংহ জেলার গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার দেবাশীষ কর্মকার। তারা সেখানে গিয়ে লোকজনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে নানা তথ্য জানার চেষ্টা করছেন।
নড়াইল পৌরসভা সূত্রে জানা গেছে,১৯৭২ সালে স্থাপিত নড়াইল পৌরসভা । ৮০ দশকে দ্বিতীয়শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উন্নিত হয়েছে। দেরিতে হলেও নড়াইল পৌর এলাকা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে ২০১৬ সালের ডিসেম্বর মাসে গড়ে তোলা হয় ‘ক্লিন নড়াইল, ড্রিম নড়াইল’নামে একটি প্রকল্প । যার কাজ হলো শহরের প্রতিটি বাড়ি থেকে ময়লা-আবর্
১ দিন আগেছোটবাইশদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান কামাল পাশা বলেন, ‘আমি প্রথমে জেনেছি তারা একটি মানববন্ধন করছে। পরে শুনলাম তারা মিছিল নিয়ে আমার বাসার দিকে গেছে। সেখানে গিয়ে অকাথ্য ভাষায় আমাকে গালিগালাজ করেছে। পরে ইউনিয়ন পরিষদে গিয়ে ভাঙচুর চালিয়ে সরে গেছে। ওরা বায়েজিদ বাহিনী নামে পরিচিত। ৫ আগস্টের পর
১ দিন আগে