নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইলে একটি হত্যা মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেলেও নিজ বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, জামিন পাওয়ার পর থেকেই তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এলাকায় বাড়তি লোকজন জড়ো করা হয়েছে, যেন তারা বাড়িতে ঢুকতে না পারেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) হেমগঞ্জ বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জামিনপ্রাপ্তরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হত্যা মামলার বাদী ও আসামিদের বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটিসাভার বিলপাড় গ্রামে। তারা পরস্পর আত্মীয়। গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারি হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫-১৬ জন আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্তার হোসেন (৪৫) নামে একজন মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামিরা গত ৫ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের মধ্যে ১৯ জনকে জামিন দেন। বাকিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে মো. সুমন মিয়া বলেন, দুপক্ষের মধ্যে মারামারিতে উভয়পক্ষের ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। এ ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী, আদালত তাদের উপযুক্ত বিচার করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু জামিনপ্রাপ্তরা কেন নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন না? কেন তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবেন?
সুমন আরও বলেন, আমার বোন মুক্তা বেগম অন্তঃস্বত্ত্বা। মারামারির সময় তিনি স্বামীর বাড়ি জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে ছিলেন। ঘটনাস্থলে থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও তাকে আসামি করা হয়েছে।
মোছা. রীনা নামে এক নারী বলেন, মামলায় আসামি করার পর নারী-পুরুষ সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে আমাদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন পেয়েও আমরা বাড়ি যেতে পারছি না। লুটপাটের ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকেও আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা পাঁচ দিন আগে জামিন পেয়েও বাড়ি ফিরতে পারছি না। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িঘর ও সহায় সম্পদ লুটপাট করেছে। এমনকি বাড়তি লোক এনে রেখেছে আমাদের বাধা দেওয়ার জন্য। এতে আমরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। এ বিষয় থানা-পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, জামিনের শর্ত মেনে জামিনপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্বিঘ্নে চলাফেরা করার অধিকার রয়েছে। তাদের বাধা না দেওয়ার জন্যে এলাকাবাসীদের বলে দেওয়া হয়েছে।
ময়মনসিংহের নান্দাইলে একটি হত্যা মামলার আসামিরা আদালত থেকে জামিন পেলেও নিজ বাড়িঘরে ফিরতে পারছেন না বলে অভিযোগ করেছেন। তারা বলছেন, জামিন পাওয়ার পর থেকেই তাদের ভয়ভীতি দেখানো হচ্ছে। এলাকায় বাড়তি লোকজন জড়ো করা হয়েছে, যেন তারা বাড়িতে ঢুকতে না পারেন।
এ ঘটনার প্রতিবাদ জানিয়ে শুক্রবার (১০ অক্টোবর) হেমগঞ্জ বাজার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে জামিনপ্রাপ্তরা তাদের পরিবারের সদস্যদের নিয়ে মানববন্ধন করেছেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, হত্যা মামলার বাদী ও আসামিদের বাড়ি উপজেলার সদর ইউনিয়নের ভাটিসাভার বিলপাড় গ্রামে। তারা পরস্পর আত্মীয়। গত ১১ ও ১২ সেপ্টেম্বর বাড়ির সীমানা সংক্রান্ত ঘটনায় দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ ও মারামারি হয়। এ ঘটনায় উভয়পক্ষের ১৫-১৬ জন আহত হন। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আক্তার হোসেন (৪৫) নামে একজন মারা যান।
এ ঘটনায় নিহতের ছেলে বাদী হয়ে নান্দাইল মডেল থানায় ২৯ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরও কয়েকজনের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেন। ওই মামলায় পুলিশ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। বাকি আসামিরা গত ৫ অক্টোবর আদালতে হাজির হয়ে জামিন আবেদন করেন। আদালত তাদের মধ্যে ১৯ জনকে জামিন দেন। বাকিদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মানববন্ধনে অংশ নেওয়া অভিযুক্তদের মধ্যে মো. সুমন মিয়া বলেন, দুপক্ষের মধ্যে মারামারিতে উভয়পক্ষের ১৫-১৬ জন আহত হয়েছেন এবং তাদের মধ্যে একজন চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। আদালতের বিচারের ওপর আমাদের আস্থা রয়েছে। এ ঘটনায় যারা প্রকৃত দোষী, আদালত তাদের উপযুক্ত বিচার করবেন বলে আমরা বিশ্বাস করি। কিন্তু জামিনপ্রাপ্তরা কেন নিজেদের বাড়িঘরে ফিরতে পারবেন না? কেন তারা রাস্তায় রাস্তায় ঘুরবেন?
সুমন আরও বলেন, আমার বোন মুক্তা বেগম অন্তঃস্বত্ত্বা। মারামারির সময় তিনি স্বামীর বাড়ি জাহাঙ্গীরপুর ইউনিয়নে ছিলেন। ঘটনাস্থলে থেকে ২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করলেও তাকে আসামি করা হয়েছে।
মোছা. রীনা নামে এক নারী বলেন, মামলায় আসামি করার পর নারী-পুরুষ সবাই বাড়িঘর ছেড়ে পালিয়ে যায়। এ সুযোগে আমাদের বাড়িঘরে প্রবেশ করে সম্পদ লুটপাট করা হয়েছে। আদালত থেকে জামিন পেয়েও আমরা বাড়ি যেতে পারছি না। লুটপাটের ঘটনায় আমাদের পক্ষ থেকেও আদালতে মামলা করা হয়েছে।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে নুরুল ইসলাম বলেন, আমরা পাঁচ দিন আগে জামিন পেয়েও বাড়ি ফিরতে পারছি না। প্রতিপক্ষের লোকজন আমাদের বাড়িঘর ও সহায় সম্পদ লুটপাট করেছে। এমনকি বাড়তি লোক এনে রেখেছে আমাদের বাধা দেওয়ার জন্য। এতে আমরা ভীতসন্ত্রস্ত হয়ে বাড়িতে যাওয়ার সাহস পাচ্ছি না। এ বিষয় থানা-পুলিশকে অবহিত করেছি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খন্দকার জালাল উদ্দিন মাহমুদ বলেন, জামিনের শর্ত মেনে জামিনপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের নির্বিঘ্নে চলাফেরা করার অধিকার রয়েছে। তাদের বাধা না দেওয়ার জন্যে এলাকাবাসীদের বলে দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ঘটনার সময় বাড়ির পুরুষ সদস্যরা বাজারে ছিলেন। সেই সুযোগে দুর্বৃত্তরা বাড়িতে ঢুকে মা ও মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে। এরপর তারা প্রায় ৩০ ভরি সোনার অলংকারসহ অন্যান্য মূল্যবান মালামাল লুট করে পালিয়ে যায়।
১ দিন আগেজহিরুল ইসলাম লিটন শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের কায়েতপাড়া গ্রামের রফিকুল ইসলামের ছেলে। সে গাজীপুর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী, চাঁদা দাবি, এবং অস্ত্র আইনে বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা বিচারাধীন রয়েছে বলে র্যাব জানিয়েছে।
১ দিন আগেপটুয়াখালীর সদর উপজেলার লোহালিয়া ইউনিয়নের পালপাড়া এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাতে এই হামলায় চারজন পুলিশ সদস্যসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন।
১ দিন আগেখবর পেয়ে শোকে স্তব্ধ হয়ে গেছে পুরো পরিবার। নজরুল ইসলাম চররামকান্তপুর গ্রামের মৃত হাতেম আলী ফকিরের ছেলে। তার চার মেয়ে। বড় মেয়ে রাজবাড়ী সরকারি কলেজ থেকে এ বছর এইচএসসি পরীক্ষা দিয়েছে। দ্বিতীয় মেয়ে পঞ্চম শ্রেণিতে। আর ছোট দুই মেয়ের বয়স যথাক্রমে ৬ ও ৫ বছর।
১ দিন আগে