বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কেমিক্যাল ল্যাবের ‘হ্যাজমেট’ নামের একটি অত্যাধুনিক মেশিন প্রায় এক বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। এতে আমদানিকারকদের যেমন অর্থদণ্ড ও দীর্ঘসূত্রতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি শিল্পকলকারখানার উৎপাদনেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, এনবিআরের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তারা মেশিনটি মেরামত করতে পারছেন না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বেনাপোল কেমিক্যাল ল্যাব উদ্বোধন করেন তৎকালীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও নিরীক্ষা আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান। আমদানিকৃত অনেক কেমিক্যাল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি থেকে যায়। কেমিকেলের নামে মাদক ও বিস্ফোরকদ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব মেশিন যুক্ত হওয়ায় অনেকটা ঝুকিমুক্ত ছিল দেশ। মিথ্যা ঘোষণায় ক্ষতিকর রাসায়নিকদ্রব্য আমদানি বন্ধের মাধ্যমে চোরাকারবারি নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল। কিন্তু অচল মেশিনটি মেরামতে কারো কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন মেশিনটা অচল থাকায় সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের স্বার্থের দিকে চেয়ে বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কী কারণে বন্ধ হয়ে গেল কেউ বলতে পারেনি।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, বেনাপোল বন্দরে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্যের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে খাদ্যপণ্য ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল। প্রতিবছর এ পণ্য থেকেই আসে প্রায় ৪০ শতাংশ রাজস্ব। তবে এসব পণ্যের মধ্যে কিছু কিছু পণ্য খালাসের আগে গুণগত মান পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ল্যাবে দুটি মেশিন রয়েছে, যার একটি ‘রিসকিউ হ্যান্ডহেল্ড রমন স্পেকট্রোমিটার’ ও অপরটি ‘হ্যাজমেট’। এ দুটি মেশিন দিয়ে এতোদিন কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যের মান পরীক্ষা করা হতো। ‘হ্যাজমেট’ মেশিনটি প্রায় এক বছর ধরে অচল থাকায় এসব পণ্য পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হচ্ছে যশোর, খুলনা বা ঢাকার ল্যাবে যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
বেনাপোল কাস্টমস ল্যাবের টেকনিশিয়ান তাপস কুমার দেবনাথ জানান, মেশিনটি সচল করতে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এনবিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি মেরামতে কোনো বরাদ্দ দেয় না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, মেশিন অচলের কারণে এখন বাইরে পরীক্ষার জন্য পণ্যের নমুনা পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। প্রতিটি চালানে পরীক্ষার জন্য ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। যে টাকাটা আমদানিকারককে দিতে হয়। যেখানে বেনাপোল কাস্টমস থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়, সেখানে একটি মেশিন মেরামতে টাকা বরাদ্দ না থাকা দুঃখজনক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. খায়রুজ্জামান মধু বলেন, পণ্যের পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় বন্দরে পণ্য আটকে থাকছে। এতে পণ্যের মান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শিল্প উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। আমদানিকৃত মোট পণ্যের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই কেমিকেল পণ্য। দ্রুত মেশিনটি মেরামতের জন্য এনবিআরের কাছে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান বলেন, কেমিক্যাল ল্যাবের মেশিনটি সচল করার জন্য এনবিআরে জানানো হয়েছে। দ্রæত এটি মেরামতের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের কেমিক্যাল ল্যাবের ‘হ্যাজমেট’ নামের একটি অত্যাধুনিক মেশিন প্রায় এক বছর ধরে অচল হয়ে পড়ে থাকায় মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে পণ্য খালাস প্রক্রিয়া। এতে আমদানিকারকদের যেমন অর্থদণ্ড ও দীর্ঘসূত্রতায় ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন, তেমনি শিল্পকলকারখানার উৎপাদনেও পড়ছে বিরূপ প্রভাব। কিন্তু এখনো এ বিষয়ে কার্যকর কোনো উদ্যোগ নেই সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের। কাস্টমস কর্তৃপক্ষ বলছে, এনবিআরের অর্থ বরাদ্দ না থাকায় তারা মেশিনটি মেরামত করতে পারছেন না।
সংশ্লিস্ট সূত্রে জানা গেছে, ২০১৯ সালের ১৩ জানুয়ারি বেনাপোল কেমিক্যাল ল্যাব উদ্বোধন করেন তৎকালীন জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য (শুল্ক ও নিরীক্ষা আধুনিকায়ন ও আন্তর্জাতিক বাণিজ্য) খন্দকার মুহাম্মদ আমিনুর রহমান। আমদানিকৃত অনেক কেমিক্যাল রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তায় ঝুঁকি থেকে যায়। কেমিকেলের নামে মাদক ও বিস্ফোরকদ্রব্য আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য এসব মেশিন যুক্ত হওয়ায় অনেকটা ঝুকিমুক্ত ছিল দেশ। মিথ্যা ঘোষণায় ক্ষতিকর রাসায়নিকদ্রব্য আমদানি বন্ধের মাধ্যমে চোরাকারবারি নিয়ন্ত্রিত হয়েছিল। কিন্তু অচল মেশিনটি মেরামতে কারো কোনো আগ্রহ দেখা যাচ্ছে না। দীর্ঘদিন মেশিনটা অচল থাকায় সম্প্রতি ব্যবসায়ীদের স্বার্থের দিকে চেয়ে বেনাপোল সিএন্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন থেকে মেরামতে উদ্যোগ নেওয়া হলেও তা কী কারণে বন্ধ হয়ে গেল কেউ বলতে পারেনি।
বাণিজ্য সংশ্লিষ্টরা জানান, বেনাপোল বন্দরে ভারতের সঙ্গে আমদানি বাণিজ্যের বড় একটি অংশজুড়ে রয়েছে খাদ্যপণ্য ও শিল্প-কারখানায় ব্যবহৃত বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল। প্রতিবছর এ পণ্য থেকেই আসে প্রায় ৪০ শতাংশ রাজস্ব। তবে এসব পণ্যের মধ্যে কিছু কিছু পণ্য খালাসের আগে গুণগত মান পরীক্ষার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
বেনাপোল কাস্টমস হাউসের ল্যাবে দুটি মেশিন রয়েছে, যার একটি ‘রিসকিউ হ্যান্ডহেল্ড রমন স্পেকট্রোমিটার’ ও অপরটি ‘হ্যাজমেট’। এ দুটি মেশিন দিয়ে এতোদিন কেমিক্যাল জাতীয় পণ্যের মান পরীক্ষা করা হতো। ‘হ্যাজমেট’ মেশিনটি প্রায় এক বছর ধরে অচল থাকায় এসব পণ্য পরীক্ষার জন্য পাঠাতে হচ্ছে যশোর, খুলনা বা ঢাকার ল্যাবে যা সময়সাপেক্ষ ও ব্যয়বহুল।
বেনাপোল কাস্টমস ল্যাবের টেকনিশিয়ান তাপস কুমার দেবনাথ জানান, মেশিনটি সচল করতে ১৫ থেকে ১৭ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু এনবিআর ল্যাবের যন্ত্রপাতি মেরামতে কোনো বরাদ্দ দেয় না। বিষয়টি উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের কাস্টমস বিষয়ক সম্পাদক আব্দুল লতিফ বলেন, মেশিন অচলের কারণে এখন বাইরে পরীক্ষার জন্য পণ্যের নমুনা পাঠানো হয়। সেখান থেকে রিপোর্ট আসতে ১৫ দিন থেকে এক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়। প্রতিটি চালানে পরীক্ষার জন্য ১৫ থেকে ২৫ হাজার টাকা পর্যন্ত খরচ হচ্ছে। যে টাকাটা আমদানিকারককে দিতে হয়। যেখানে বেনাপোল কাস্টমস থেকে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকার রাজস্ব আদায় হয়, সেখানে একটি মেশিন মেরামতে টাকা বরাদ্দ না থাকা দুঃখজনক।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ এজেন্টস অ্যাসোসিয়েশনের সিনিয়র সহসভাপতি মো. খায়রুজ্জামান মধু বলেন, পণ্যের পরীক্ষার রিপোর্ট পেতে দেরি হওয়ায় বন্দরে পণ্য আটকে থাকছে। এতে পণ্যের মান যেমন ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে, তেমনি শিল্প উৎপাদনও ব্যাহত হচ্ছে। আমদানিকৃত মোট পণ্যের মধ্যে প্রায় ৪০ শতাংশই কেমিকেল পণ্য। দ্রুত মেশিনটি মেরামতের জন্য এনবিআরের কাছে অর্থ বরাদ্দের দাবি জানাচ্ছি।
বেনাপোল কাস্টম হাউজের অতিরিক্ত কমিশনার এইচ এম শরিফুল হাসান বলেন, কেমিক্যাল ল্যাবের মেশিনটি সচল করার জন্য এনবিআরে জানানো হয়েছে। দ্রæত এটি মেরামতের কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
শুধু তাই নয়, জেলা সদর হাসপাতালের জন্য কিট সরবরাহ করা হলেও উপজেলা পর্যায়ে কোনো কিট দেওয়া হয়নি। অর্থাৎ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সগুলোতে করোনা শনাক্তের কোনো ব্যবস্থা নেই। ফলে উপজেলায় কারও করোনা শনাক্তের পরীক্ষা করতে হলে তাকেও জেলা সদরে যেতে হচ্ছে।
৯ ঘণ্টা আগেদূর্গাপুর উপজেলা বিএনপি আহ্বায়ক মোঃ জহিরুল আলম ভূইয়ার সভাপতিত্বে পৌর বিএনপির সদস্য সচিব মোঃ হারেজ গনি'র সঞ্চালনায় সম্মেলন উদ্বোধন ঘোষণা করেন নেত্রকোণা জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিশিষ্ট অর্থোপেডিক চিকিৎসক অধ্যাপক ডাঃ মোঃ আনোয়ারুল হক।
১৯ ঘণ্টা আগেএক গণমাধ্যম কর্মী বলেন, প্রেস সচিব জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে খুলনার সাংবাদিকদের মতবিনিময় সভা শেষে বিকাল ৫টার দিকে খুলনা প্রেসক্লাব পরিদর্শনে আসেন। তিনি পরিদর্শনকালে ছাত্র-জনতার আন্দোলনের একটি অংশ প্রেসক্লাবের সামনে এসে অবস্থান নেন। ফলে ক্লাব থেকে কেউই বের হতে পারেননি। এ অবস্থায় প্রেস সচিবও অবরুদ্ধ হ
২১ ঘণ্টা আগেবাংলাদেশ থেকে পাট, বোনা কাপড় ও সুতা—এই তিন ধরনের পণ্য স্থলবন্দর দিয়ে আমদানি নিষিদ্ধ করেছে ভারত। তবে বেনাপোল স্থলবন্দরে এসব পণ্যবাহী কোনো ট্রাক আটকা নেই বলে জানিয়েছে বন্দর কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগে