
টাঙ্গাইল প্রতিনিধি

পরিবারের অভাব ঘোচানোর জন্য বছর চারেক আগে ধারদেনা করে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরবে। এখনো সেই ধারদেনা শোধ হয়নি। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের তরুণ সোহেল রানা (৩০)।
তার মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। এখন সোহেলের মরদেহের জন্য অপেক্ষায় তার পরিবার। গ্রামবাসীও সোহেলের শোকে কাতর।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লরিচাপায় মারা যান সোহেল। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের গুইয়াগম্ভির কোকরবাড়ী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
সোহেল রানার বাবার পানের দোকানদার। বড় ভাই আল আমিন অটোচালক। সোহেলের স্ত্রী মাকসুদা (২৮)। তাদের আট বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। সংসারের অভাব ঘোচাতে চার বছর আগে সৌদি আরবে গিয়ে গাড়িচালকের কাজ নেন সোহেল। রিয়াদ শহরে গাড়ি চালাতেন তিনি।
সোহেলের বড় ভাই আল আমিন বলেন, চার বছর আগে সোহেল সৌদি আরবে যায়। রিয়াদ শহরে বলদিয়া কোম্পানির গাড়ি চালাত। মঙ্গলবার সকালে সোহলের এক সহকর্মী ফোন দিয়ে তার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর জানায়। ময়লা পরিষ্কারের কাজ করার সময় তার লরির সঙ্গে আরেকটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বুধবার সোহেলের গ্রামের বাড়ি উপজেলার গুইয়াগম্বির গ্রামের কোকরবাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, তার মৃত্যুর খবরে বাড়িতে মাতম চলছে। মা-বাবা ও ভাই বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্ত্রী মাকসুদা বারবার স্বামীর কথা বলে বিলাপ করছিলেন।
নিহত সোহেলের মা রত্না বেগম বলেন, ‘সংসারের অভাব দূর করার জন্য ধারদেনা করে পোলারে (ছেলে) বিদেশ পাঠাইছিলাম। কিন্তু আমার বাবা আমারে ফাঁকি দিয়া দুনিয়া ছাইড়া চইলা গেল। এহন আমাগো কী হইব? তোমরা আমার বাবার লাশ তাড়াতাড়ি আমার বুকে আইনা দাও।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল মিয়া বলেন, নিহত সোহেলের পরিবারের তেমন কোনো আবাদি জমিজমা নেই। ধারদেনা করে সোহেলকে সৌদি আরবে পাঠায় পরিবার। এখনো ধারদেনা পরিশোধ হয়নি। এখন স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তার মরদেহটা দ্রুত দেশে নিয়ে এসে দিলেই হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, সৌদি প্রবাসী তরুণ সোহেলের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরটি স্থানীয়ভাবে জেনেছি। লাশ ফেরত আনার বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন। দ্রুত তার লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে।

পরিবারের অভাব ঘোচানোর জন্য বছর চারেক আগে ধারদেনা করে পাড়ি জমিয়েছিলেন সৌদি আরবে। এখনো সেই ধারদেনা শোধ হয়নি। কিন্তু সড়ক দুর্ঘটনার শিকার হয়ে না ফেরার দেশে পাড়ি জমিয়েছেন টাঙ্গাইলের ঘাটাইলের তরুণ সোহেল রানা (৩০)।
তার মৃত্যুতে গ্রামের বাড়িতে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। স্ত্রী-সন্তানসহ পরিবারের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে বাতাস। এখন সোহেলের মরদেহের জন্য অপেক্ষায় তার পরিবার। গ্রামবাসীও সোহেলের শোকে কাতর।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৬টার দিকে লরিচাপায় মারা যান সোহেল। তিনি টাঙ্গাইলের ঘাটাইল উপজেলার সন্ধানপুর ইউনিয়নের গুইয়াগম্ভির কোকরবাড়ী গ্রামের আব্দুল লতিফের ছেলে।
সোহেল রানার বাবার পানের দোকানদার। বড় ভাই আল আমিন অটোচালক। সোহেলের স্ত্রী মাকসুদা (২৮)। তাদের আট বছর বয়সী ছেলে রয়েছে। সংসারের অভাব ঘোচাতে চার বছর আগে সৌদি আরবে গিয়ে গাড়িচালকের কাজ নেন সোহেল। রিয়াদ শহরে গাড়ি চালাতেন তিনি।
সোহেলের বড় ভাই আল আমিন বলেন, চার বছর আগে সোহেল সৌদি আরবে যায়। রিয়াদ শহরে বলদিয়া কোম্পানির গাড়ি চালাত। মঙ্গলবার সকালে সোহলের এক সহকর্মী ফোন দিয়ে তার দুর্ঘটনায় নিহত হওয়ার খবর জানায়। ময়লা পরিষ্কারের কাজ করার সময় তার লরির সঙ্গে আরেকটি লরির মুখোমুখি সংঘর্ষ হলে দুর্ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়।
বুধবার সোহেলের গ্রামের বাড়ি উপজেলার গুইয়াগম্বির গ্রামের কোকরবাড়ীতে গিয়ে দেখা যায়, তার মৃত্যুর খবরে বাড়িতে মাতম চলছে। মা-বাবা ও ভাই বারবার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। স্ত্রী মাকসুদা বারবার স্বামীর কথা বলে বিলাপ করছিলেন।
নিহত সোহেলের মা রত্না বেগম বলেন, ‘সংসারের অভাব দূর করার জন্য ধারদেনা করে পোলারে (ছেলে) বিদেশ পাঠাইছিলাম। কিন্তু আমার বাবা আমারে ফাঁকি দিয়া দুনিয়া ছাইড়া চইলা গেল। এহন আমাগো কী হইব? তোমরা আমার বাবার লাশ তাড়াতাড়ি আমার বুকে আইনা দাও।’
স্থানীয় ইউপি সদস্য জালাল মিয়া বলেন, নিহত সোহেলের পরিবারের তেমন কোনো আবাদি জমিজমা নেই। ধারদেনা করে সোহেলকে সৌদি আরবে পাঠায় পরিবার। এখনো ধারদেনা পরিশোধ হয়নি। এখন স্থানীয় প্রশাসন ও সরকারের সংশ্লিষ্ট দপ্তর তার মরদেহটা দ্রুত দেশে নিয়ে এসে দিলেই হয়।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ বলেন, সৌদি প্রবাসী তরুণ সোহেলের সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর খবরটি স্থানীয়ভাবে জেনেছি। লাশ ফেরত আনার বিষয়টি প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের এখতিয়ারাধীন। দ্রুত তার লাশ ফেরত আনার ব্যাপারে কোনো সহযোগিতার প্রয়োজন হলে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে তা করা হবে।

জিলা স্কুলের ১৮৫তম বার্ষিকী উদ্যাপন ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের অংশ হিসেবে শুক্রবার (২৭ ডিসেম্বর) এ কনসার্ট আয়োজন করা হয়েছিল। জেমস উপস্থিতও হয়েছিলেন ফরিদপুরে। শেষ পর্যন্ত কনসার্ট বাতিল হওয়ায় জেমস ঢাকা ফিরে গেছেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শাহবাগ এলাকা ছেড়ে যাওয়ার পর ফের সেখানে অবস্থান নিয়েছে ইনকিলাব মঞ্চ। ওসমান হাদির কবরে তারেক রহমান শ্রদ্ধা জানানোর সময় তারা শাহবাগ মোড় থেকে কিছুটা সরে কাঁটাবন এলাকায় অবস্থান নিয়েছিলেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
তিন মাস ২৭ দিন পর খোলা এসব দানবাক্সে টাকার পাশাপাশি মিলেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও সোনার গয়না।
১৮ ঘণ্টা আগে