
গাজীপুর প্রতিনিধি

গাজীপুরের শ্রীপুরে এএ নিট স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকরা এ ঘোষণার কথা জানতে পারেন। এ সময় তারা কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে দুপুরের দিকে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান।
কারখানার ব্যবস্থাপকরা বলছেন, কারখানার কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে অবৈধ দাবি, বেআইনি ধর্মঘট, কারখানার বাইরে ও ভেতরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে বিভিন্ন আসবাবপত্র, মেশিন ও মূল্যবান সামগ্রী ভাঙচুর করেছে এবং কর্মকর্তাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে। এ কারণে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শ্রমিকরা বলছেন, তারা বেতন-ভাতার দাবিতে ন্যায্য আন্দোলন করেছিলেন।
এএ নিট স্পিনিং মিল লিমিটেড কারখানাটি শ্রীপুর উপজেলায় তেলিহাটি ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পাশে নগরহাওলা গ্রামে অবস্থিত। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে কারখানাটিতে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকেরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান।
শ্রমিকদের দাবি, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশে গত বৃহস্পতিবারের (২৩ অক্টোবর) তারিখ উল্লেখ থাকলেও নোটিশটি কারখানা কর্তৃপক্ষ রোববার রাতে অথবা সোমবার ভোরে টাঙিয়েছে। কারণ রোববার কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে। তারা এ সময় কোনো নোটিশ দেখতে পাননি।
এএ নিট স্পিনিং মিলের নিট সেকশনের শ্রমিক কামাল হোসেন, আরিফ মিয়া, সুমাইয়া আক্তার ও তাসলিমা খাতুন জানান, প্রতিষ্ঠানটি ছয়টি ইউনিটের মধ্যে দুটি ইউনিট চালু রেখেছে। বাকি চারটি ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শ্রমিকরা জানান, কয়েক মাস ধরে নিয়মিত বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধ না করায় এ কারখানাটিতে এ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যেসব শ্রমিক পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন, তাদের সার্ভিস বেনিফিট, বার্ষিক ছুটির টাকা, টিফিন বিল, ইনসেনটিভ বোনাস, হাজিরা বোনাসের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এখন উলটো তাদের বিরুদ্ধে কারখানার আসবাবপত্র, মেশিন ও মূল্যবান সামগ্রী ভাঙচুর এবং কর্মকর্তাদের জীবন নাশের হুমকির মিথ্যা অভিযোগ এনে কর্তৃপক্ষ আচমকা কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শ্রমিকরা বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য বৃহস্পতিবার আন্দোলন করেছি। ওই দিন আমাদের অনেক শ্রমিক টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছে। এখনো অনেকে ঘরে চিকিৎসা নিচ্ছে। ন্যায্য পাওনা চাওয়া কি আমাদের অপরাধ? আমরা কাজ করতে চাই।
জানতে চাইলে এএ ইয়ার্ন মিলসের মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মনির হোসেন বলেন, হেড অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কারখানার সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বেআইনি ধর্মঘটের মাধ্যমে শ্রমিকরা কারখানার যেসব ক্ষতি করেছে, তাতে কারখানা চালানো সম্ভব নয়। মালিকপক্ষ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে।
মনির হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার মধ্যে চলতি মাসের বেতন দেওয়ার তারিখ ও সময় শ্রমিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তী নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (শ্রীপুর জোন) আব্দুল লতিফ বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল থেকেই পুলিশ কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছিল। শ্রমিকরা সকালের দিকে কিছুক্ষণ কারখানার প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলেও কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখে শ্রমিকেরা দুপুরের মধ্যেই চলে গেছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার ওই কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সে দিন শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রোববার বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন বন্ধ করেন।

গাজীপুরের শ্রীপুরে এএ নিট স্পিনিং মিলস লিমিটেড কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ। সকালে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকরা এ ঘোষণার কথা জানতে পারেন। এ সময় তারা কারখানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পরে দুপুরের দিকে তারা ওই এলাকা ছেড়ে চলে যান।
কারখানার ব্যবস্থাপকরা বলছেন, কারখানার কিছু উচ্ছৃঙ্খল শ্রমিক বহিরাগতদের সঙ্গে নিয়ে অবৈধ দাবি, বেআইনি ধর্মঘট, কারখানার বাইরে ও ভেতরে দাঙ্গা-হাঙ্গামা করে বিভিন্ন আসবাবপত্র, মেশিন ও মূল্যবান সামগ্রী ভাঙচুর করেছে এবং কর্মকর্তাদের জীবন নাশের হুমকি দিয়েছে। এ কারণে কারখানা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। তবে শ্রমিকরা বলছেন, তারা বেতন-ভাতার দাবিতে ন্যায্য আন্দোলন করেছিলেন।
এএ নিট স্পিনিং মিল লিমিটেড কারখানাটি শ্রীপুর উপজেলায় তেলিহাটি ইউনিয়নের ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক পাশে নগরহাওলা গ্রামে অবস্থিত। সোমবার (২৭ অক্টোবর) সকালে কারখানাটিতে কাজে যোগ দিতে গিয়ে শ্রমিকেরা বন্ধের নোটিশ দেখতে পান।
শ্রমিকদের দাবি, অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশে গত বৃহস্পতিবারের (২৩ অক্টোবর) তারিখ উল্লেখ থাকলেও নোটিশটি কারখানা কর্তৃপক্ষ রোববার রাতে অথবা সোমবার ভোরে টাঙিয়েছে। কারণ রোববার কারখানা কর্তৃপক্ষ শ্রমিকদের সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতন পরিশোধ করে। তারা এ সময় কোনো নোটিশ দেখতে পাননি।
এএ নিট স্পিনিং মিলের নিট সেকশনের শ্রমিক কামাল হোসেন, আরিফ মিয়া, সুমাইয়া আক্তার ও তাসলিমা খাতুন জানান, প্রতিষ্ঠানটি ছয়টি ইউনিটের মধ্যে দুটি ইউনিট চালু রেখেছে। বাকি চারটি ইউনিট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শ্রমিকরা জানান, কয়েক মাস ধরে নিয়মিত বেতনসহ অন্যান্য পাওনা পরিশোধ না করায় এ কারখানাটিতে এ অচলাবস্থা তৈরি হয়েছে। যেসব শ্রমিক পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে চাকরি করছেন, তাদের সার্ভিস বেনিফিট, বার্ষিক ছুটির টাকা, টিফিন বিল, ইনসেনটিভ বোনাস, হাজিরা বোনাসের টাকা পরিশোধ করা হয়নি। এখন উলটো তাদের বিরুদ্ধে কারখানার আসবাবপত্র, মেশিন ও মূল্যবান সামগ্রী ভাঙচুর এবং কর্মকর্তাদের জীবন নাশের হুমকির মিথ্যা অভিযোগ এনে কর্তৃপক্ষ আচমকা কারখানা বন্ধ ঘোষণা করেছে।
শ্রমিকরা বলেন, আমরা আমাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের জন্য বৃহস্পতিবার আন্দোলন করেছি। ওই দিন আমাদের অনেক শ্রমিক টিয়ার গ্যাস, রাবার বুলেট ও পুলিশের লাঠির আঘাতে আহত হয়েছে। এখনো অনেকে ঘরে চিকিৎসা নিচ্ছে। ন্যায্য পাওনা চাওয়া কি আমাদের অপরাধ? আমরা কাজ করতে চাই।
জানতে চাইলে এএ ইয়ার্ন মিলসের মানবসম্পদ (এইচআর) বিভাগের ব্যবস্থাপক (ম্যানেজার) মনির হোসেন বলেন, হেড অফিসের নির্দেশনা অনুযায়ী কারখানার সব কার্যক্রম পরিচালিত হয়। বেআইনি ধর্মঘটের মাধ্যমে শ্রমিকরা কারখানার যেসব ক্ষতি করেছে, তাতে কারখানা চালানো সম্ভব নয়। মালিকপক্ষ শ্রম আইন ২০০৬-এর ১০ (১) ধারা অনুযায়ী কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে।
মনির হোসেন জানান, মঙ্গলবার (২৮ অক্টোবর) সকাল ১০টার মধ্যে চলতি মাসের বেতন দেওয়ার তারিখ ও সময় শ্রমিকদের জানিয়ে দেওয়া হবে। কারখানা খোলার অনুকূল পরিবেশ তৈরি হলে তারিখ ও সময়সূচি পরবর্তী নোটিশের মাধ্যমে জানানো হবে।
গাজীপুর শিল্প পুলিশের পরিদর্শক (শ্রীপুর জোন) আব্দুল লতিফ বলেন, কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে সকাল থেকেই পুলিশ কারখানার সামনে অবস্থান নিয়েছিল। শ্রমিকরা সকালের দিকে কিছুক্ষণ কারখানার প্রধান ফটকে অবস্থান নিয়ে বিক্ষোভ করলেও কোনো বিশৃঙ্খলা করেনি। অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধের নোটিশ দেখে শ্রমিকেরা দুপুরের মধ্যেই চলে গেছে।
এর আগে গত সেপ্টেম্বর মাসের বকেয়া বেতনের দাবিতে বৃহস্পতিবার ওই কারখানার শ্রমিকরা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। সে দিন শিল্প পুলিশ, থানা পুলিশ ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে রোববার বকেয়া পরিশোধের আশ্বাস দিলে তারা আন্দোলন বন্ধ করেন।

নিজ জেলা পাবনায় সরকার সফরে গেছেন রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিন। পাবনায় এটি তার পঞ্চম সরকারি সফর। জুলাই আন্দোলনে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্রথম নিজ জেলায় গেলেন রাষ্ট্রপতি।
১ দিন আগে
পুলিশ জানায়, তিন বন্ধু মোটরসাইকেলে করে পুঠিয়ার বানেশ্বর বাজার থেকে বাড়ি ফিরছিলেন। পথে বিপরীত দিক থেকে আসা একটি অ্যাম্বুলেন্সের সঙ্গে তাদের মোটরসাইকেলের ধাক্কা লাগে। এতে মোটরসাইকেলটি সড়কে ছিটকে পড়ে, পেছন দিক থেকে আসা একটি ট্রাক তাদের চাপা দেয়। ঘটনাস্থলেই তুহিন ও শিমুল মারা যান। মারুফকে উদ্ধার করে স্থ
২ দিন আগে
বৃহস্পতিবার বিকালে ও শুক্রবার সকালে বাজিতপুর উপজেলার সরারচর শিবনাথ উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে থেকে ইকবালের সমর্থকরা বিক্ষোভ মিছিল বের করেন। মিছিলটি বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে সরারচর রেলগেইটে গিয়ে অবস্থান নেয়। এ সময় কিশোরগঞ্জ থেকে ঢাকাগামী ‘কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস’ ট্রেনটি আটকা পড়ে। প্রায় ১০ মিনিট পর সমর্থকরা
২ দিন আগে
বিবৃতিতে বলা হয়, দলীয় নীতি ও সংগঠন পরিপন্থী অনৈতিক কার্যকলাপের জন্য চট্টগ্রাম উত্তর জেলাধীন সীতাকুণ্ড উপজেলা বিএনপির আহবায়ক কমল কদর, চট্টগ্রাম উত্তর জেলা জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সভাপতি মো. মোরছালিন এবং সীতাকুণ্ড উপজেলা জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সদস্য সচিব কোরবান আলী সাহেদের প্রাথমিক সদস্য প
২ দিন আগে