গাজীপুর প্রতিনিধি
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নূরুল আলমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক শিহাব খানের ঠ্যাঙের নলা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক নির্মাণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে ওই সাংবাদিক সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে খবর পেয়ে ওই ইউপি সদস্য মোবাইল ফোনে কল করে এ হুমকি দেন।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ওই সাংবাদিক শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক অভিযোগ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, পুলিশ অভিযোগের বিষয়ে কাজ করছে।
সাংবাদিক শিহাব খান (৩৬) শ্রীপুর কেওয়া পশ্চিম খণ্ড এলাকার মৃত আব্দুল হাকিম খানের ছেলে। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ ও দৈনিক মানবকণ্ঠের শ্রীপুর প্রতিনিধি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নূরুল আলম শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
সাংবাদিক শিহাব খান জানান, গাজীপুর গ্রামের স্থানীয় বাবুলের বাড়ির সড়কে ইট সলিংয়ের কাজ হচ্ছে। ওই সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের খবর পেয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে সোমবার দুপুরে সেখানে যান। এ সময় সড়কের নির্মাণ কাজের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
শিহাব খান বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যর ছেলে কাজল পরিচয়ে একজন আমার মোবাইলে কল করেন। কুশল বিনিময় শেষে উত্তেজিত হয়ে হুমকি দেন। তার কাছ থেকে ফোন নিয়ে ইউপি সদস্য নূরুল আলম উত্তেজিত হয়ে বলেন, তার এলাকায় গেলে আমার ঠ্যাঙের নালা ভেঙে দেবেন। উনি আরও বলেন, ‘ছয় নাম্বার ইট দিয়া সড়ক নির্মাণ করলে তোর (সাংবাদিক) সমস্যা কী? (গালি) শ্রীপুর থানার মধ্যে যেহানেই (যেখানে) তোরে পাব, মাইরা (মেরে) ঠ্যাং ভাইঙ্গা দেম (দেবো)।’
পরে ইউপি সদস্য ও তার ছেলেকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক শিহাব খান।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য নূরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ওই ইউপি সদস্য তাদের বলেছেন, ‘আমি রাগের মাথায় এই কথা বলে ফেলছি। আমি সড়ক নির্মাণ কাজে কোনো ধরনের নিম্ন মানের ইটা ব্যবহার করছি না। সাংবাদিক আমাকে না জানিয়ে ওপরের স্যারদের জানিয়েছে বলে একটু রাগে এমন কথা বলে ফেলেছি।’
শ্রীপুর উপজেরা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম সানি সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা সাধারণ সাংবাদিকরা কোথায় যাব? আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? আমরা প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকি। এটা কবে কাটবে?
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক কারও প্রতিপক্ষ নয়। আমরা মাঠের রিপোর্টার। আমরা সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে কাজ করি। পেশাগত দায়িত্ব পালনে পিছুপা হব না। হুমকি দিয়ে সাংবাদিকতা বন্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকতা একটি থ্যাংকসলেস পেশা, এটা জেনেও আমরা সাংবাদিকতা করি।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও শ্রীপুর উপজেলা যুব উন্নয়র কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
গাজীপুরের শ্রীপুরে ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য নূরুল আলমের বিরুদ্ধে সাংবাদিক শিহাব খানের ঠ্যাঙের নলা ভেঙে দেওয়ার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সড়ক নির্মাণের কাজে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের অভিযোগ পেয়ে ওই সাংবাদিক সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে গেলে খবর পেয়ে ওই ইউপি সদস্য মোবাইল ফোনে কল করে এ হুমকি দেন।
এ ঘটনায় সোমবার (২০ অক্টোবর) বিকেলে ওই সাংবাদিক শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন। শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মহম্মদ আব্দুল বারিক অভিযোগ পাওয়ার তথ্য নিশ্চিত করেছেন। বলেছেন, পুলিশ অভিযোগের বিষয়ে কাজ করছে।
সাংবাদিক শিহাব খান (৩৬) শ্রীপুর কেওয়া পশ্চিম খণ্ড এলাকার মৃত আব্দুল হাকিম খানের ছেলে। তিনি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল এটিএন নিউজ ও দৈনিক মানবকণ্ঠের শ্রীপুর প্রতিনিধি।
অভিযুক্ত ইউপি সদস্য নূরুল আলম শ্রীপুর উপজেলার গাজীপুর ইউনিয়নের গাজীপুর (পূর্বপাড়া) গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। তিনি গাজীপুর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক সহসভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।
সাংবাদিক শিহাব খান জানান, গাজীপুর গ্রামের স্থানীয় বাবুলের বাড়ির সড়কে ইট সলিংয়ের কাজ হচ্ছে। ওই সড়কে নিম্নমানের সামগ্রী ব্যবহারের খবর পেয়ে সরেজমিনে তথ্য সংগ্রহ করতে সোমবার দুপুরে সেখানে যান। এ সময় সড়কের নির্মাণ কাজের ভিডিও চিত্র ধারণ করেন।
শিহাব খান বলেন, খবর পেয়ে ইউপি সদস্যর ছেলে কাজল পরিচয়ে একজন আমার মোবাইলে কল করেন। কুশল বিনিময় শেষে উত্তেজিত হয়ে হুমকি দেন। তার কাছ থেকে ফোন নিয়ে ইউপি সদস্য নূরুল আলম উত্তেজিত হয়ে বলেন, তার এলাকায় গেলে আমার ঠ্যাঙের নালা ভেঙে দেবেন। উনি আরও বলেন, ‘ছয় নাম্বার ইট দিয়া সড়ক নির্মাণ করলে তোর (সাংবাদিক) সমস্যা কী? (গালি) শ্রীপুর থানার মধ্যে যেহানেই (যেখানে) তোরে পাব, মাইরা (মেরে) ঠ্যাং ভাইঙ্গা দেম (দেবো)।’
পরে ইউপি সদস্য ও তার ছেলেকে অভিযুক্ত করে শ্রীপুর থানায় লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন সাংবাদিক শিহাব খান।
এ বিষয়ে জানতে ইউপি সদস্য নূরুল আলমের মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ না করায় তার বক্তব্য পাওয়া সম্ভব হয়নি। তবে স্থানীয় সাংবাদিকরা জানিয়েছেন, ওই ইউপি সদস্য তাদের বলেছেন, ‘আমি রাগের মাথায় এই কথা বলে ফেলছি। আমি সড়ক নির্মাণ কাজে কোনো ধরনের নিম্ন মানের ইটা ব্যবহার করছি না। সাংবাদিক আমাকে না জানিয়ে ওপরের স্যারদের জানিয়েছে বলে একটু রাগে এমন কথা বলে ফেলেছি।’
শ্রীপুর উপজেরা সাংবাদিক সমিতির সভাপতি তাজুল ইসলাম সানি সাংবাদিককে হুমকির ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেন, আমরা সাধারণ সাংবাদিকরা কোথায় যাব? আমাদের নিরাপত্তা দেবে কে? আমরা প্রতিটি মুহূর্তে আতঙ্কে থাকি। এটা কবে কাটবে?
তিনি আরও বলেন, সাংবাদিক কারও প্রতিপক্ষ নয়। আমরা মাঠের রিপোর্টার। আমরা সত্য ঘটনা প্রকাশ করতে কাজ করি। পেশাগত দায়িত্ব পালনে পিছুপা হব না। হুমকি দিয়ে সাংবাদিকতা বন্ধ করা যাবে না। সাংবাদিকতা একটি থ্যাংকসলেস পেশা, এটা জেনেও আমরা সাংবাদিকতা করি।
গাজীপুর ইউনিয়ন পরিষদের প্রশাসক ও শ্রীপুর উপজেলা যুব উন্নয়র কর্মকর্তা মাহবুব আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এ কে আজাদের কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, স্থানীয় যুবদলের কর্মীরা বিক্ষোভ করে বহরে হামলা চালিয়েছে। তবে জেলা যুবদল এ ধরনের কোনো ঘটনার সঙ্গে যুবদলের কোনো ধরনের সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অস্বীকার করেন।
১ দিন আগেনির্বাচন বিলম্বিত করতে বিভিন্ন মহল নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে। কেউ কেউ দাবি আদায়ের লক্ষ্যে আন্দোলনও করছে। আমরাও যৌক্তিক দাবির পক্ষে। তবে যারা দাবি তুলছেন, তাদের ভাবতে হবে দাবিটি সময়োপযোগী কি না।
২ দিন আগেএ সময় আত্মরক্ষার্থে অভিযান পরিচালনাকারী দল ২০ রাউন্ড গুলিবর্ষণ করে। এতে ৩ জন জেলে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
২ দিন আগেতিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের সব কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ থাকায় বিচার সম্পন্ন না হওয়া পর্যন্ত দলটি নির্বাচনে অংশ নিতে পারবে না। যদি নির্বাচনের আগে বিচার সম্পন্ন হয়, তখন সেটা দেখা যাবে।’
২ দিন আগে