টাঙ্গাইল প্রতিনিধি
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ফের বাসযাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী থানায় মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও একই রুটে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এ ছাড়া ২০২২ সালে কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতিসহ নারী যাত্রীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে রাজধানী ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে রংপুরের পথে যাত্রা করা আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২১ মে) বিকেলে মিনু মিয়া নামে বাসটির একজন যাত্রী অজ্ঞাত আট-নয়জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।
বাসের যাত্রীরা বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আল ইমরান পরিবহনের বাসটি আব্দুল্লাহপুর থেকে রংপুরের পথে রওয়ানা দেয়। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া থেকে কিছু যাত্রী ওঠেন। জনাদশেক নারীসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা অতিক্রম করে।
যাত্রীরা জানান, যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের সংযোগ সড়ক ধরে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর যাত্রীবেশী ৮/১০ জন ডাকাত ছুরি-চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেন। তারা যাত্রী ও বাসের চালকসহ সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, অলংকার ও মালামাল লুট করে নেন। এ সময় একাধিক নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, ডাকাত দলটি বাস নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়। পরে আরও কয়েকবার বাসটি নিয়ে ওই এলাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চক্কর দেয়। ভোরের দিকে গিয়ে তারা বাসটি ছেড়ে দেয়। এ সময় পুলিশকে জানালে পুলিশ বাসটি উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
ওই বাসের যাত্রী জাহানারার বাড়ি রংপুর। তিনি বলেন, রাতে বাসে করে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম। সামনের দিকে বসেছিলাম। ডাকাতরা আমার হাত-চোখ বাঁধে। আমার কানের দুল ও নাকের ফুল নিয়ে গেছে। অন্য নারী যাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। দুইজন ডাকাত বাসেই যাত্রী সেজে ছিল। পরে তারা অন্য ডাকাতদের ফোন করে বাসে ডেকে নেয়।
বাসের আরেক নারী যাত্রী বলেন, হাত-পা বেঁধে আমাকে গাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়েছিল। তারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়েছে। এ ছাড়াও আমার মোবাইল ফোন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়েছে।
এই যাত্রী আরও বলেন, বাইপাইল পর্যন্ত যাত্রী তুলল বাসে। বাইপাইল পার হওয়ার পর ডাকাতি শুরু করে। প্রথমে ড্রাইভারের হাত-পা বেঁধে ডাকাত দলের একজন গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে একে একে স্কচ টেপ দিয়ে সবার মুখ বাঁধে। মেয়েদের শরীরে হাত দেয়। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।
টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত সদস্যরা বাসে ওঠেন। মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পার হওয়া ডাকাতরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। এ ঘটনায় এক যাত্রী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের ডিবি ও সদর থানাসহ একাধিক টিম ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একই মহাসড়কে ইউনিক রয়েলস পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
ঢাকা-টাঙ্গাইল-যমুনা সেতু মহাসড়কে ফের বাসযাত্রীদের অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে চোখ-মুখ ও হাত বেঁধে ডাকাতি ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বাসের এক যাত্রী থানায় মামলা করেছেন। ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এর আগে গত ফেব্রুয়ারি মাসেও একই রুটে একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল। এ ছাড়া ২০২২ সালে কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতিসহ নারী যাত্রীদের ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (২০ মে) রাতে রাজধানী ঢাকার আব্দুল্লাহপুর থেকে রংপুরের পথে যাত্রা করা আল ইমরান পরিবহনের একটি যাত্রীবাহী বাসে এ ঘটনা ঘটে। বুধবার (২১ মে) বিকেলে মিনু মিয়া নামে বাসটির একজন যাত্রী অজ্ঞাত আট-নয়জনকে আসামি করে টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন।
বাসের যাত্রীরা বলেন, মঙ্গলবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে আল ইমরান পরিবহনের বাসটি আব্দুল্লাহপুর থেকে রংপুরের পথে রওয়ানা দেয়। পথে সাভারের নরসিংহপুর, বাইপাইল ও আশুলিয়া থেকে কিছু যাত্রী ওঠেন। জনাদশেক নারীসহ ৪৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি রাত সাড়ে ১১টার দিকে টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা অতিক্রম করে।
যাত্রীরা জানান, যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের সংযোগ সড়ক ধরে কয়েক কিলোমিটার যাওয়ার পর যাত্রীবেশী ৮/১০ জন ডাকাত ছুরি-চাপাতিসহ দেশীয় অস্ত্রের মুখে চালকের কাছ থেকে বাসটির নিয়ন্ত্রণ নেন। তারা যাত্রী ও বাসের চালকসহ সবার চোখ-মুখ বেঁধে ফেলেন। যমুনা সেতুর পূর্বপ্রান্তের গোলচত্বর এলাকায় গিয়ে বাসটি ঘুরিয়ে আবার ঢাকার দিকে নিয়ে যেতে থাকেন। এ সময় যাত্রীদের কাছ থেকে মোবাইল ফোন, নগদ টাকা, অলংকার ও মালামাল লুট করে নেন। এ সময় একাধিক নারী যাত্রীকে শ্লীলতাহানির অভিযোগ পাওয়া গেছে।
যাত্রীদের অভিযোগ, ডাকাত দলটি বাস নিয়ে সাভারের চন্দ্রা-আশুলিয়া পর্যন্ত যায়। পরে আরও কয়েকবার বাসটি নিয়ে ওই এলাকা থেকে টাঙ্গাইল পর্যন্ত চক্কর দেয়। ভোরের দিকে গিয়ে তারা বাসটি ছেড়ে দেয়। এ সময় পুলিশকে জানালে পুলিশ বাসটি উদ্ধার করে সদর থানায় নিয়ে যায়।
ওই বাসের যাত্রী জাহানারার বাড়ি রংপুর। তিনি বলেন, রাতে বাসে করে ঢাকা থেকে বাড়িতে ফিরছিলাম। সামনের দিকে বসেছিলাম। ডাকাতরা আমার হাত-চোখ বাঁধে। আমার কানের দুল ও নাকের ফুল নিয়ে গেছে। অন্য নারী যাত্রীদের গায়ে হাত দেওয়া হয়েছে। দুইজন ডাকাত বাসেই যাত্রী সেজে ছিল। পরে তারা অন্য ডাকাতদের ফোন করে বাসে ডেকে নেয়।
বাসের আরেক নারী যাত্রী বলেন, হাত-পা বেঁধে আমাকে গাড়ির পেছনে নিয়ে গিয়েছিল। তারা আমার শরীরের বিভিন্ন স্থানে হাত দিয়েছে। এ ছাড়াও আমার মোবাইল ফোন ও কানের দুল ছিনিয়ে নিয়েছে।
এই যাত্রী আরও বলেন, বাইপাইল পর্যন্ত যাত্রী তুলল বাসে। বাইপাইল পার হওয়ার পর ডাকাতি শুরু করে। প্রথমে ড্রাইভারের হাত-পা বেঁধে ডাকাত দলের একজন গাড়ির নিয়ন্ত্রণ নেয়। পরে একে একে স্কচ টেপ দিয়ে সবার মুখ বাঁধে। মেয়েদের শরীরে হাত দেয়। আমরা এ ঘটনায় সুষ্ঠু বিচারের দাবি করছি।
টাঙ্গাইল সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এইচ এম মাহবুব রেজওয়ান সিদ্দিকী বলেন, ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে ডাকাত সদস্যরা বাসে ওঠেন। মহাসড়কের টাঙ্গাইলের এলেঙ্গা পার হওয়া ডাকাতরা তাদের কার্যক্রম শুরু করেন। এ ঘটনায় এক যাত্রী থানায় মামলা করেছেন। পুলিশের ডিবি ও সদর থানাসহ একাধিক টিম ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।
এর আগে গত ১৭ ফেব্রুয়ারি একই মহাসড়কে ইউনিক রয়েলস পরিবহনের একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীদের শ্লীলতাহানির ঘটনা ঘটে। ২০২২ সালের ২ আগস্ট একই কায়দায় কুষ্টিয়াগামী একটি বাসে ডাকাতি ও নারী যাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান আলেক বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। তা না করে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের সমন্বয়ে কমিটি করে নড়াইলে পাঠিয়েছেন।
১ দিন আগেসংবাদ সম্মেলনে জুলাই শহিদ রবিউল ইসলামের স্ত্রী সাবরিনা আক্তার বলেন, আমার স্বামী মিথ্যা অপবাদ নিয়ে মৃত্যুবরণ করেছে। এখন তার মৃত্যুর পরও একই অপবাদ পরিবারের ওপর মানসিক যন্ত্রণা হয়ে ফিরে আসছে। আমরা এর ন্যায় বিচার চাই।
১ দিন আগেমনিরা শারমিন বলেন, সংবিধানের প্রথমেই লেখা আছে, সংবিধানের মালিক জনগণ। এ কথা বলে আপনাদের সঙ্গে ধোঁকাবাজি করা হয়েছে। কারণ সংবিধানে আপনার মালিকানা আপনি বুঝে পাননি। এই সংবিধান নাগরিক অধিকার রক্ষা করে না। চব্বিশের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা পালিয়েছে, সংবিধান নিয়েই পালিয়েছে। এখন বাংলাদেশে কোনো সংবিধান নাই।
১ দিন আগে