রাজবাড়ী প্রতিনিধি
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে 'তৌহিদি জনতা' পরিচয়ে নুরুল হক ওরফে 'নুরাল পাগলা'র কবর, বাড়ি ও দরবার শরিফে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে মহাসড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ওই হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বিকেল ৩টার দিকে নুরাল পাগলার কবরে হামলা শুরু করেন একদল মুসল্লি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে দফায় দফায় হামলা হয়েছে।
হামলা ও সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। তাদের মধ্যে অন্তত ২২ জনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে রাসেল মোল্লা (২৮) নামে একজনের।
নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপচা ঝুটু মিস্ত্রি পাড়ার বাসিন্দা আজাদ মোল্লার ছেলে। তিনি নুরাল পাগলার দরবারের খাদেম ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শরিফ ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে নুরাল পাগলার আস্তানায় 'শরিয়ত-পরিপন্থি' কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে দলবেঁধে প্রবেশের চেষ্টা করে একদল ব্যক্তি। এ সময় মাজারের ভক্ত ও বিক্ষুব্ধদের মধ্যে পালটাপালটি ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মাজারের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাজারে থাকা অনেককে মারধর ও স্থাপনা ভাঙচুর শুরু হয়। এর আগে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়া এলাকার এই মাজারটি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা চলছিল। গত ২৩ আগাট নুরাল পাগলার মৃত্যুর পর সেই জটিলতা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় নিজেকে ইমাম মাহাদি বলে দাবি করেছিলেন নুরুল হক। মৃত্যুর পর তার মরদেহ ওই মাজারের ভেতরে মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচুতে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। কবরস্থানটি কাবা শরিফের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে রং করা হয়। সাইনবোর্ড টাঙানো হয়— ‘হজরত ইমাম মাহাদী (আ.) দরবার শরিফ’।
এসব নিয়ে স্থানীয় আলেম সমাজ ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছিল। রাজবাড়ীর জেলা প্রসাশক সুলতানা আক্তার বলেন, দুপক্ষকে নিয়ে কয়েক দফায় আলোচনা হয়। কিন্তু দুইপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল।
সবশেষ গত মঙ্গলবার উপজেলা মডেল মসজিদের নিচতলায় উপজেলা ইমাম কমিটি ও ‘তৌহিদী জনতা’র উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়। সেখান থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়— কবর থেকে কাবা শরীফের আদলে করা রঙ পরিবর্তন, ‘ইমাম মাহাদী (আ.) দরবার শরিফ’ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণ, এবং কবরের উচ্চতা কমিয়ে স্বাভাবিক করা।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রথম দুটি দাবি মেনে নেয় নুরাল পাগলার পরিবার ও দরবার শরিফের সসংশ্লিষ্টরা। তৃতীয় দাবি, কবরের উচ্চতা কমাতে সময় চাওয়া হয়। তাদের এ জন্য বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে কবর সমতল না করলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ ও ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার জুমার নামাজের পর আনসার ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। বেলা দুইটার পর থেকে আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে শত শত মানুষ। সেখানে কয়েকজন হাতুড়ি, শাবল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজির হলে তাদের সবকিছু মঞ্চে জমা দিতে বলা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সমাবেশ চলাকালেই পুলিশের ওপর হামলা করে দুটি গাড়ি এবং ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকেল ৩টার দিকে মঞ্চ থেকে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা জালাল উদ্দিন প্রামাণিক ও সদস্য সচিব বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী খান সবাইকে সমাবেশে থাকার আহ্বান জানান। কিন্তু বেশ কয়েকজন লোক মিছিল নিয়ে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা করেন। ভেতর থেকে নুরাল পাগলার ভক্ত-অনুসারীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুপক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ সময় কিছু লোক দরবারের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন এবং মালামাল লুটপাট করেন। সে সময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আগুন নেভানোর পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।
মাজারে হামলা বন্ধের এক পর্যায়ে নুরুল হকের বাড়িতে গিয়েও হামলা চালানো হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব ঘটনার ছবি-ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু হঠাৎই হামলা-ভাঙচুর চালানো হলো। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ আরও বলছে, এ ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে রাসেলের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে মাজারে হামলার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিবৃতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দেশের সব নাগরিককে ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ন্যায়বিচার ও মানবতার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট থাকতেও আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজবাড়ীর গোয়ালন্দে 'তৌহিদি জনতা' পরিচয়ে নুরুল হক ওরফে 'নুরাল পাগলা'র কবর, বাড়ি ও দরবার শরিফে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় নুরাল পাগলার মরদেহ কবর থেকে তুলে মহাসড়কে নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। এদিকে ওই হামলা ও সংঘর্ষে কমপক্ষে একজন নিহতের তথ্য নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জুমার নামাজের পর বিকেল ৩টার দিকে নুরাল পাগলার কবরে হামলা শুরু করেন একদল মুসল্লি। সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত সেখানে দফায় দফায় হামলা হয়েছে।
হামলা ও সংঘর্ষে অর্ধ শতাধিক ব্যক্তি আহত হন। তাদের মধ্যে অন্তত ২২ জনকে রাজবাড়ী সদর হাসপাতাল ও ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এর মধ্যে ফরিদপুর মেডিকেলে নেওয়ার পর মৃত্যু হয়েছে রাসেল মোল্লা (২৮) নামে একজনের।
নিহত রাসেল মোল্লা গোয়ালন্দ উপজেলার দেবগ্রাম ইউনিয়নের পূর্ব তেনাপচা ঝুটু মিস্ত্রি পাড়ার বাসিন্দা আজাদ মোল্লার ছেলে। তিনি নুরাল পাগলার দরবারের খাদেম ছিলেন বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন গোয়ালন্দ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) শরিফ ইসলাম।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, শুরুতে নুরাল পাগলার আস্তানায় 'শরিয়ত-পরিপন্থি' কার্যকলাপের অভিযোগ তুলে দলবেঁধে প্রবেশের চেষ্টা করে একদল ব্যক্তি। এ সময় মাজারের ভক্ত ও বিক্ষুব্ধদের মধ্যে পালটাপালটি ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। একপর্যায়ে মাজারের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে মাজারে থাকা অনেককে মারধর ও স্থাপনা ভাঙচুর শুরু হয়। এর আগে পুলিশের ওপর হামলা ও গাড়ি ভাঙচুরের ঘটনাও ঘটে।
স্থানীয় প্রশাসন ও সংশ্লিষ্টরা বলছেন, গোয়ালন্দ পৌরসভার পাঁচ নম্বর ওয়ার্ডের জুড়ান মোল্লাপাড়া এলাকার এই মাজারটি ঘিরে দীর্ঘদিন ধরেই জটিলতা চলছিল। গত ২৩ আগাট নুরাল পাগলার মৃত্যুর পর সেই জটিলতা চূড়ান্ত আকার ধারণ করে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, একসময় নিজেকে ইমাম মাহাদি বলে দাবি করেছিলেন নুরুল হক। মৃত্যুর পর তার মরদেহ ওই মাজারের ভেতরে মাটি থেকে ১২ ফুট উঁচুতে বিশেষ কায়দায় দাফন করা হয়। কবরস্থানটি কাবা শরিফের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে রং করা হয়। সাইনবোর্ড টাঙানো হয়— ‘হজরত ইমাম মাহাদী (আ.) দরবার শরিফ’।
এসব নিয়ে স্থানীয় আলেম সমাজ ক্ষোভ জানিয়ে আসছিলেন। এ নিয়ে দুপক্ষের সঙ্গে কয়েক দফা আলোচনা হয়েছিল। রাজবাড়ীর জেলা প্রসাশক সুলতানা আক্তার বলেন, দুপক্ষকে নিয়ে কয়েক দফায় আলোচনা হয়। কিন্তু দুইপক্ষই নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিল।
সবশেষ গত মঙ্গলবার উপজেলা মডেল মসজিদের নিচতলায় উপজেলা ইমাম কমিটি ও ‘তৌহিদী জনতা’র উদ্যোগে আলোচনা সভা হয়। সেখান থেকে তিন দফা দাবি জানানো হয়— কবর থেকে কাবা শরীফের আদলে করা রঙ পরিবর্তন, ‘ইমাম মাহাদী (আ.) দরবার শরিফ’ লেখা সাইনবোর্ড অপসারণ, এবং কবরের উচ্চতা কমিয়ে স্বাভাবিক করা।
স্থানীয়রা বলছেন, প্রথম দুটি দাবি মেনে নেয় নুরাল পাগলার পরিবার ও দরবার শরিফের সসংশ্লিষ্টরা। তৃতীয় দাবি, কবরের উচ্চতা কমাতে সময় চাওয়া হয়। তাদের এ জন্য বৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়। এর মধ্যে দুই দফা সংবাদ সম্মেলন করে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। বৃহস্পতিবারের মধ্যে কবর সমতল না করলে শুক্রবার জুমার নামাজের পর বিক্ষোভ সমাবেশ ও ‘মার্চ ফর গোয়ালন্দ’ কর্মসূচি ঘোষণা করে তারা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী শুক্রবার জুমার নামাজের পর আনসার ক্লাব চত্বরে বিক্ষোভ সমাবেশ করে উপজেলা ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটি। বেলা দুইটার পর থেকে আনসার ক্লাবে বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে জড়ো হতে থাকে শত শত মানুষ। সেখানে কয়েকজন হাতুড়ি, শাবল ও লাঠিসোঁটা নিয়ে হাজির হলে তাদের সবকিছু মঞ্চে জমা দিতে বলা হয়। এ সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের সঙ্গে তাদের উত্তপ্ত বাক্য বিনিময় হয়। সমাবেশ চলাকালেই পুলিশের ওপর হামলা করে দুটি গাড়ি এবং ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এ সময় পুলিশের ছয় সদস্য আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, বিকেল ৩টার দিকে মঞ্চ থেকে ইমান-আকিদা রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক মাওলানা জালাল উদ্দিন প্রামাণিক ও সদস্য সচিব বিএনপি নেতা আইয়ুব আলী খান সবাইকে সমাবেশে থাকার আহ্বান জানান। কিন্তু বেশ কয়েকজন লোক মিছিল নিয়ে নুরাল পাগলার দরবারে হামলা করেন। ভেতর থেকে নুরাল পাগলার ভক্ত-অনুসারীরা প্রতিরোধের চেষ্টা করলে সংঘর্ষ হয়। এ সময় দুপক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হন।
এ সময় কিছু লোক দরবারের দেয়াল টপকে ভেতরে ঢুকে আগুন ধরিয়ে দেন এবং মালামাল লুটপাট করেন। সে সময় সেনাবাহিনী ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে। আগুন নেভানোর পাশাপাশি আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে পাঠায় ফায়ার সার্ভিস।
মাজারে হামলা বন্ধের এক পর্যায়ে নুরুল হকের বাড়িতে গিয়েও হামলা চালানো হয়। পরে বিকেল ৫টার দিকে নুরাল পাগলার লাশ কবর থেকে তুলে গোয়ালন্দ পদ্মার মোড়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কের ওপর নিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। এসব ঘটনার ছবি-ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক আলোচনা-সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।
রাজবাড়ীর পুলিশ সুপার মো. কামরুল ইসলাম বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহার চেষ্টা চলছিল। কিন্তু হঠাৎই হামলা-ভাঙচুর চালানো হলো। এ ঘটনায় যারা জড়িত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
পুলিশ আরও বলছে, এ ঘটনায় গুরুতর আহত তিনজনকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছিল। এর মধ্যে রাসেলের মৃত্যু হয়েছে। বাকি দুজনের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
এদিকে মাজারে হামলার এ ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে বিবৃতি দিয়েছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। বিবৃতিতে অপরাধীদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থার নেওয়ার কথা বলা হয়েছে।
দেশের সব নাগরিককে ঘৃণা ও সহিংসতাকে প্রত্যাখ্যান করে ঐক্যবদ্ধ ভাবে ন্যায়বিচার ও মানবতার আদর্শকে সমুন্নত রাখতে সচেষ্ট থাকতেও আহ্বান জানিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
স্থানীয়ভাবে সংগৃহীত ভিডিওতে দেখা যায়, কবরটি ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। দাউদাউ করে আগুন জ্বলছে। এ সময় পুলিশের কয়েকটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন।
১১ ঘণ্টা আগেভাঙ্গা উপজেলা বিএনপি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিও (এনসিপি) উপজেলাকে ভেঙে দুই আসনে ভাগ করে দেওয়ার এ সিদ্ধান্তের বিপক্ষে অবস্থান নিয়েছে। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আন্দোলনের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
১৬ ঘণ্টা আগেবৃহস্পতিবার (৪ সেপ্টেম্বর) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ভবন-১ এর নিচে অনশনে বসেন শিক্ষার্থীরা। এ পরে ভিসিও সেখানে উপস্থিত হয়ে তাদের সঙ্গে মশারি টাঙিয়ে রাত কাটান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাখা ছাত্রদল জানিয়েছে, ‘তদন্ত কমিটির সদস্যরা অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতা আনিসুর রহমান মিলনের সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করলে তিনি সন্তোষজনক কোনো জবাব না দিয়ে ফোন বন্ধ করে দেন। এর মাধ্যমে প্রমাণিত হয় যে, কুরুচিপূর্ণ এ মন্তব্য তিনি ইচ্ছাকৃতভাবে করেছেন। এ জন্য তাঁকে সহসভাপতির পদ থেকে আজীবনের জন্য বহিষ্কার করা হ
১ দিন আগে