মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রয়াত বাউল আব্দুর রশিদ বয়াতির বাৎসরিক ওরশ স্থানীয়দের বাধায় পণ্ড হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আজিমনগরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রয়াত বাউল আব্দুর রশিদ বয়াতির বাৎসরিক ওরশ আয়োজনে স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে আয়োজকরা তাদের কয়েকজনকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয়রাও আয়োজকদের ওপরও পালটা হামলা চালায। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে সিংগাইর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাইদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, ওরশ আয়োজক কমিটি প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। স্থানীয় একদল লোক ওরশ বন্ধ করতে গেলে উল্টো আয়োজক কমিটি লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। পরে আয়োজকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রয়াত বাউল শিল্পী রশিদ বয়াতির পুত্রবধূসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, প্রয়াত বাউল শিল্পী রশিদ সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
বাউল আব্দুর রশিদ বয়াতির গানগুলোর মধ্যে- “দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর, আয়না লাগাইয়া দে মোর কলবের ভিতর।” “পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে, মুন্সি মরলে জ্বলে না।” “কালির আলেম হয়না গায়েবি এলেম যাহার নাই।” “পরিশুদ্ধ অবস্থায় যখন এলহাম ওহী নাযিল হয়, ওই মানসিক অবস্থায় শবেকদর হয়। এরকম অসংখ্য আধ্যাত্মিক ও জনপ্রিয় গান শিল্পীদের সুরের মূর্ছনায় ধ্বনিত হচ্ছে।
বাউল সম্রাট রশিদ সরকার সঙ্গীত জগতে পা রেখে ছিলেন মাত্র আট বছর বয়সে প্রখ্যাত বাউল শিল্পী আনোয়ার দেওয়ানের হাত ধরে। সুরের জগতে হারিয়ে যান তিনি অগাধ ভালোবাসায় এবং প্রবল আগ্রহের ধারায়। তিনি মারফতি বিদ্যায় অগাধ জ্ঞানের অধিকারি হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে বৈরাবর দরবার শরিফের শিষ্যত্ব লাভ করে খেলাফত প্রাপ্ত হন।
বাউল গানের সুর স্রষ্টা এবং জ্ঞানদীপ্ত মারফতি ভাবধারায় তিনি গেয়েছেন অসংখ্য গান। তৈরি করেছেন অসংখ্য সুর। যার উৎকর্ষে তিনি পড়েছেন শীর্ষ মুকুট, হয়েছেন বাউল সম্রাট। তার অসংখ্য কালজয়ী গান, ভিডিও, সিডিসহ ইউটিউবে ভক্ত ও শ্রোতা আশেকানদের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন। “মানুষের মাঝে আল্লাহ থাকে” গ্রন্থটি সাহিত্য জগতে তাকে বাঁচিয়ে রাখবে বহুদিন। এছাড়া নিজের প্রতিভা আলো ছড়িয়ে তৈরি করেছেন অসংখ্য গুণী শিল্পী। আবুল সরকার, জালাল সরকার, খালেক সরকার, আমজাদ সরকার, লিপি সরকার, জিয়াসমিন সরকার, ইউছুব সরকার ও দোলন সরকারসহ অসংখ্য গুণী শিল্পী তৈরি করেছেন আপন আলোয়। বর্তমান ফ্রোক সম্রাজ্ঞী স্বীকৃতি প্রাপ্ত মমতাজকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে তিনি তৈরি করেছেন সব কিছু ঢেলে। তারই প্রেরণায় এবং দিক নির্দেশনায় যথাযথ প্রতিভার প্রতিফলন ঘটিয়ে মমতাজ আজ শীর্ষে।
অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সার্বজনীন সুর ও সঙ্গীতের স্রষ্টা বাউল সম্রাট রশিদ সরকার ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগ জনিত কারণে ভর্তি হয়ে ছিলেন ঢাকাস্থ বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ১০ টা পর্যন্ত আশা জাগিয়ে রেখে ছিলেন । এরপর শুধুই নিঃশব্দ, নিস্পন্দন- নিথর দেহ পরে রইল নশ্বর ধরাত্রির স্পন্দিত প্রাঙ্গণে, শোকের চাদরে ছেয়ে যায় পুরো চত্ত্বর।
এদিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে লালনের মৃত্যুবার্ষিকী উৎসব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানকার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বাধার কারণে সেটি বন্ধ করা হয়। পরে প্রশাসেনর হস্তক্ষেপে অনুষ্ঠানটি ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া ১৫ ফেব্রুয়ারি একই জেলার ভুঞাপুরে বসন্ত দিবস উপলক্ষ্যে ফুল বিক্রির কারণে দোকান ভাংচুর করে “তৌহিদি জনতা”। এই ঘটনার পর পাশের গোপালপুরে উপজেলায় নির্ধারিত ঘুড়ি উৎসব বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকার উত্তরায় উন্মুক্ত মঞ্চে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। তবে বাধার মুখে সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।
১১ ফেব্রুয়ারি একদল “ইসলামী নেতা” একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি ও এর প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে বলে। পরের দিনও একই হুমকি দেওয়া হয়।
দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় শড়াতলা গ্রামে বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ওই গ্রামে হিজড়া ও হকার প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।
গত মাসের শেষ দিকে উত্তরাঞ্চলীয় জয়পুরহাট জেলার তিলকপুর উপজেলায় স্থানীয়ভাবে আয়োজিত মেয়েদের ফুটবল টুর্নামেন্ট ভাংচুর করে তৌহিদী জনতা।
মানিকগঞ্জের সিংগাইরে প্রয়াত বাউল আব্দুর রশিদ বয়াতির বাৎসরিক ওরশ স্থানীয়দের বাধায় পণ্ড হয়েছে। শুক্রবার বেলা ১১টার দিকে উপজেলার আজিমনগরে এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, প্রয়াত বাউল আব্দুর রশিদ বয়াতির বাৎসরিক ওরশ আয়োজনে স্থানীয়রা বাধা দিতে গেলে আয়োজকরা তাদের কয়েকজনকে মারধর করেন। এ সময় স্থানীয়রাও আয়োজকদের ওপরও পালটা হামলা চালায। এতে উভয়পক্ষের অন্তত ১০ জন আহত হয়েছেন। পরে খবর পেয়ে সিংগাইর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
সিংগাইর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাইদুল ইসলাম জাহাঙ্গীর বলেন, ওরশ আয়োজক কমিটি প্রশাসনের অনুমতি নেয়নি। স্থানীয় একদল লোক ওরশ বন্ধ করতে গেলে উল্টো আয়োজক কমিটি লাঠিসোটা নিয়ে তাদের ওপর হামলার চেষ্টা চালায়। পরে আয়োজকদের ওপর হামলা চালানো হয়। এতে উভয়পক্ষের কয়েকজন আহত হন। সংঘাত এড়াতে ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
প্রয়াত বাউল শিল্পী রশিদ বয়াতির পুত্রবধূসহ কয়েকজনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
উল্লেখ্য, প্রয়াত বাউল শিল্পী রশিদ সরকারের দ্বিতীয় স্ত্রী ছিলেন সাবেক সংসদ সদস্য কণ্ঠশিল্পী মমতাজ বেগম।
বাউল আব্দুর রশিদ বয়াতির গানগুলোর মধ্যে- “দয়াল বাবা কেবলা কাবা আয়নার কারিগর, আয়না লাগাইয়া দে মোর কলবের ভিতর।” “পাগল মরলে বাত্তি জ্বলে, মুন্সি মরলে জ্বলে না।” “কালির আলেম হয়না গায়েবি এলেম যাহার নাই।” “পরিশুদ্ধ অবস্থায় যখন এলহাম ওহী নাযিল হয়, ওই মানসিক অবস্থায় শবেকদর হয়। এরকম অসংখ্য আধ্যাত্মিক ও জনপ্রিয় গান শিল্পীদের সুরের মূর্ছনায় ধ্বনিত হচ্ছে।
বাউল সম্রাট রশিদ সরকার সঙ্গীত জগতে পা রেখে ছিলেন মাত্র আট বছর বয়সে প্রখ্যাত বাউল শিল্পী আনোয়ার দেওয়ানের হাত ধরে। সুরের জগতে হারিয়ে যান তিনি অগাধ ভালোবাসায় এবং প্রবল আগ্রহের ধারায়। তিনি মারফতি বিদ্যায় অগাধ জ্ঞানের অধিকারি হয়ে ওঠেন। সেই সঙ্গে বৈরাবর দরবার শরিফের শিষ্যত্ব লাভ করে খেলাফত প্রাপ্ত হন।
বাউল গানের সুর স্রষ্টা এবং জ্ঞানদীপ্ত মারফতি ভাবধারায় তিনি গেয়েছেন অসংখ্য গান। তৈরি করেছেন অসংখ্য সুর। যার উৎকর্ষে তিনি পড়েছেন শীর্ষ মুকুট, হয়েছেন বাউল সম্রাট। তার অসংখ্য কালজয়ী গান, ভিডিও, সিডিসহ ইউটিউবে ভক্ত ও শ্রোতা আশেকানদের মাঝে পৌঁছে দিয়েছেন। “মানুষের মাঝে আল্লাহ থাকে” গ্রন্থটি সাহিত্য জগতে তাকে বাঁচিয়ে রাখবে বহুদিন। এছাড়া নিজের প্রতিভা আলো ছড়িয়ে তৈরি করেছেন অসংখ্য গুণী শিল্পী। আবুল সরকার, জালাল সরকার, খালেক সরকার, আমজাদ সরকার, লিপি সরকার, জিয়াসমিন সরকার, ইউছুব সরকার ও দোলন সরকারসহ অসংখ্য গুণী শিল্পী তৈরি করেছেন আপন আলোয়। বর্তমান ফ্রোক সম্রাজ্ঞী স্বীকৃতি প্রাপ্ত মমতাজকে স্ত্রী হিসেবে গ্রহণ করে তিনি তৈরি করেছেন সব কিছু ঢেলে। তারই প্রেরণায় এবং দিক নির্দেশনায় যথাযথ প্রতিভার প্রতিফলন ঘটিয়ে মমতাজ আজ শীর্ষে।
অত্যন্ত জনপ্রিয় ও সার্বজনীন সুর ও সঙ্গীতের স্রষ্টা বাউল সম্রাট রশিদ সরকার ২০০৯ সালের ১৮ ফেব্রুয়ারি হৃদরোগ জনিত কারণে ভর্তি হয়ে ছিলেন ঢাকাস্থ বাংলাদেশ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল সোয়া ১০ টা পর্যন্ত আশা জাগিয়ে রেখে ছিলেন । এরপর শুধুই নিঃশব্দ, নিস্পন্দন- নিথর দেহ পরে রইল নশ্বর ধরাত্রির স্পন্দিত প্রাঙ্গণে, শোকের চাদরে ছেয়ে যায় পুরো চত্ত্বর।
এদিকে গত ১২ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল জেলার মধুপুরে লালনের মৃত্যুবার্ষিকী উৎসব হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সেখানকার হেফাজতে ইসলামের নেতাদের বাধার কারণে সেটি বন্ধ করা হয়। পরে প্রশাসেনর হস্তক্ষেপে অনুষ্ঠানটি ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয়।
এ ছাড়া ১৫ ফেব্রুয়ারি একই জেলার ভুঞাপুরে বসন্ত দিবস উপলক্ষ্যে ফুল বিক্রির কারণে দোকান ভাংচুর করে “তৌহিদি জনতা”। এই ঘটনার পর পাশের গোপালপুরে উপজেলায় নির্ধারিত ঘুড়ি উৎসব বন্ধ হয়ে যায়।
ঢাকার উত্তরায় উন্মুক্ত মঞ্চে বসন্ত উৎসবের আয়োজন করেছিল জাতীয় বসন্ত উৎসব উদযাপন পরিষদ। তবে বাধার মুখে সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়।
১১ ফেব্রুয়ারি একদল “ইসলামী নেতা” একুশে বইমেলায় স্যানিটারি ন্যাপকিন বিক্রি ও এর প্রকাশ্য বিজ্ঞাপন নিষিদ্ধ করতে বলে। পরের দিনও একই হুমকি দেওয়া হয়।
দক্ষিণপশ্চিমাঞ্চলীয় জেলা ঝিনাইদহের হরিণাকুণ্ডু উপজেলায় শড়াতলা গ্রামে বাদ্যযন্ত্র বাজানো নিষিদ্ধ বলে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। একইসাথে ওই গ্রামে হিজড়া ও হকার প্রবেশ নিষিদ্ধ বলে নোটিশে উল্লেখ করা হয়েছে যার ছবি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। পরে প্রশাসনের পক্ষ থেকে সেটি ছিঁড়ে ফেলা হয়।
গত মাসের শেষ দিকে উত্তরাঞ্চলীয় জয়পুরহাট জেলার তিলকপুর উপজেলায় স্থানীয়ভাবে আয়োজিত মেয়েদের ফুটবল টুর্নামেন্ট ভাংচুর করে তৌহিদী জনতা।
২০১১ সালের ৭ জানুয়ারি কুড়িগ্রামের আনতপুর সীমান্তে বিএসএফ সদস্যদের গুলিতে নিহত হয়েছিলেন ১৫ বছর বয়সী কিশোরী ফেলানী। তাঁর মরদেহ দীর্ঘ ১২ ঘণ্টা কাঁটাতারের বেড়ায় ঝুলে থাকার মর্মান্তিক দৃশ্য বিশ্বজুড়ে আলোড়ন তুলেছিল।
২১ ঘণ্টা আগেসংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমান আলেক বলেন, তৃণমূল পর্যায়ের তালিকাভুক্ত মুক্তিযোদ্ধাদের সমন্বয়ে সম্মেলনের মাধ্যমে কমিটি গঠন করতে হবে। তা না করে কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিল ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের দোসরদের সমন্বয়ে কমিটি করে নড়াইলে পাঠিয়েছেন।
২ দিন আগে