
কিশোরগঞ্জ প্রতিনিধি

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এ ছাড়া দানবাক্সে মিলেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টাকার পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মসজিদের ১১টি দানবাক্স পর্যায়ক্রমে খোলা হয়। সেখানে পাওয়া যায় মোট ২৯ বস্তা টাকা। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রাও। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় বস্তাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট আরেকবার খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। সে হিসাবে এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর খোলা হলো মসজিদের দানবাক্স। তখন সেগুলোতে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছিল। এর আগে গত ২০ এপ্রিল সিন্দুক খুলে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। তারও আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর পাওয়া যায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
এবার দানের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। টাকাগুলো গুনতে সাড়ে ৪০০ লোকের ১১ ঘণ্টা সময় লাগে।
সিন্দুক খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। টাকা গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত মসজিদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় বাজায় ছিল।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিজাবে রহমতের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। তা ছাড়া দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে ৪০০ লোক টানা ১১ ঘণ্টা টাকা গণনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম জানান, এবার মসজিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। দেশি টাকা ছাড়াও বিদেশি মুদ্রা ও সোনা-রুপার অলংকারও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাওয়া গেছে। দেশি টাকাগুলো তাদের ব্যাংকে জমা হবে।
মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, দানের টাকায় মসজিদের নিয়মিত খরচ চালিয়ে ব্যাংকে জমানো হচ্ছে। এ টাকা দিয়ে মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। মসজিদ ঘিরে এখানে ছয়তলাবিশিষ্ট একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মিত হবে। যেখানে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার নারীর জন্য আলাদাভাবে নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ থাকবে আরো বিভিন্ন আয়োজন। এ জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে ডিজাইন ও নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।

কিশোরগঞ্জের পাগলা মসজিদের দানবাক্সে এবার মিলল ৮ কোটি ২১ লাখ ৩৪ হাজার ৩০৪ টাকা। এ ছাড়া দানবাক্সে মিলেছে বিপুল পরিমাণ বৈদেশিক মুদ্রা ও স্বর্ণালংকার।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টাকার পরিমাণ আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত করেছেন কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান।
এর আগে শনিবার সকাল সাড়ে ৭টার দিকে মসজিদের ১১টি দানবাক্স পর্যায়ক্রমে খোলা হয়। সেখানে পাওয়া যায় মোট ২৯ বস্তা টাকা। দেশি টাকার পাশাপাশি সেখানে ছিল স্বর্ণালংকার ও বিদেশি মুদ্রাও। জেলা প্রশাসনের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে কড়া নিরাপত্তায় বস্তাগুলো মসজিদের দোতলায় নিয়ে যাওয়া হয়।
উল্লেখ্য, গত ১৭ আগস্ট আরেকবার খোলা হয়েছিল দানবাক্সগুলো। সে হিসাবে এবার ৩ মাস ১৪ দিন পর খোলা হলো মসজিদের দানবাক্স। তখন সেগুলোতে ৭ কোটি ২২ লাখ ১৩ হাজার ৪৬ টাকা পাওয়া গেছিল। এর আগে গত ২০ এপ্রিল সিন্দুক খুলে পাওয়া গিয়েছিল ৭ কোটি ৭৮ লাখ ৬৭ হাজার ৫৩৭ টাকা। তারও আগে গত বছরের ৯ ডিসেম্বর পাওয়া যায় ৬ কোটি ৩২ লাখ ৫১ হাজার ৪২৩ টাকা।
এবার দানের পরিমাণ অতীতের সব রেকর্ড ছাড়িয়ে যায়। টাকাগুলো গুনতে সাড়ে ৪০০ লোকের ১১ ঘণ্টা সময় লাগে।
সিন্দুক খোলার সময় কিশোরগঞ্জের জেলা প্রশাসক ও পাগলা মসজিদ পরিচালনা কমিটির সভাপতি ফৌজিয়া খান ও পুলিশ সুপার মোহাম্মদ হাছান চৌধুরীর উপস্থিত ছিলেন। সেনা, পুলিশ ও আনসার সদস্যরা সার্বিক নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করেন। টাকা গণনা শেষ হওয়া পর্যন্ত মসজিদ ঘিরে কঠোর নিরাপত্তা বলয় বাজায় ছিল।
অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম) মিজাবে রহমতের নেতৃত্বে বেশ কয়েকজন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট টাকা গণনার কাজ তদারকি করেন। তা ছাড়া দুটি মাদ্রাসার প্রায় আড়াই শ শিক্ষার্থী, ব্যাংকের ৭০ জন কর্মী, মসজিদ কমিটি ও আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যসহ প্রায় সাড়ে ৪০০ লোক টানা ১১ ঘণ্টা টাকা গণনার কাজে নিয়োজিত ছিলেন।
রূপালী ব্যাংকের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) রফিকুল ইসলাম জানান, এবার মসজিদের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি পারিমাণ টাকা পাওয়া গেছে। দেশি টাকা ছাড়াও বিদেশি মুদ্রা ও সোনা-রুপার অলংকারও উল্লেখযোগ্য পরিমাণ পাওয়া গেছে। দেশি টাকাগুলো তাদের ব্যাংকে জমা হবে।
মসজিদের সভাপতি ও জেলা প্রশাসক ফৌজিয়া খান জানান, দানের টাকায় মসজিদের নিয়মিত খরচ চালিয়ে ব্যাংকে জমানো হচ্ছে। এ টাকা দিয়ে মসজিদের বড়সড় উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করা হবে। মসজিদ ঘিরে এখানে ছয়তলাবিশিষ্ট একটি ইসলামি কমপ্লেক্স নির্মিত হবে। যেখানে একসঙ্গে ৫০ হাজার মুসল্লি নামাজ পড়তে পারবেন। এর মধ্যে পাঁচ হাজার নারীর জন্য আলাদাভাবে নামাজের ব্যবস্থা থাকবে। সেখানে সমৃদ্ধ লাইব্রেরিসহ থাকবে আরো বিভিন্ন আয়োজন। এ জন্য পরামর্শক নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। তারা যাচাই-বাছাই করে ডিজাইন ও নকশা চূড়ান্ত করে দিলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে কাজ শুরু হবে। এতে প্রাথমিক খরচ ধরা হয়েছে ১১৫ কোটি টাকা।

রূপালী ব্যাংকের এজিএম মোহাম্মদ আলী হারিছি জানান, এবারও পাওয়া গেছে বিদেশি মুদ্রা। রয়েছে সোনা ও রূপার অলঙ্কার। সবকিছু গুনে, সাজিয়ে শেষ করে পাওয়া গিয়েছে ১১ কোটি ৭৮ লাখ ৪৮ হাজার ৫৩৮ টাকা। দানবাক্সে পাওয়া গেছে অনেক চিঠিও। কেউ চাকরির জন্য দোয়া চেয়েছে। কেউ সুস্থতার জন্য। কেউ আবার সন্তানের সাফল্যের জন্য লিখ
১ দিন আগে
রাজশাহীতে ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীরা। আজ শনিবার বিকেলে নগরীর তালাইমারি মোড়ে শিক্ষার্থীরা দুটি দলে বিভক্ত হয়ে পৃথকভাবে এই কর্মসূচি পালন করেন।
১ দিন আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ময়মনসিংহ-৯ (নান্দাইল) আসনে মনোনয়ন ফরম নিয়েছেন বিএনপির প্রয়াত সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা খুররম খান চৌধুরীর স্ত্রী হাসিনা খান চৌধুরী ও ছেলে নাসের খান চৌধুরী।
১ দিন আগে
শনিবার (২৭ ডিসেম্বর) সকাল ৭টার দিকে যাত্রী পরিবহনের জন্য ঘাটে নোঙর করা অবস্থায় জাহাজটিতে হঠাৎ আগুন লাগে। নিহত নুর কামাল (৩৫) জাহাজের কর্মচারী ছিলেন। অগ্নিকাণ্ডের সময় তিনি জাহাজের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলেন বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস।
১ দিন আগে