কক্সবাজার প্রতিনিধি
কক্সবাজারে আয়োজিত ডিসি (জেলা প্রশাসক) গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ পণ্ড হয়ে গেছে। আয়োজনে অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অতিরিক্ত ও জাল টিকিট বিক্রির পর স্বাভাবিকভাবে জায়গা না পেয়ে পরে স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান দর্শকরা। এ সময় খেলা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন আয়োজকরা।
এদিকে খেলা বন্ধ ঘোষণার পর দর্শক ও ফাইনালের দুই দলের সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কক্সবাজার সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামের মূল ভবন, গ্যালারিসহ সবকিছু ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ঘটেছে এ ঘটনা। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ডিসি গোল্ডকাপে রামু ও টেকনাফ উপজেলা একাদশের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ আজ শুক্রবার এই স্টেডিয়ামেই হওয়ার কথা ছিল।
কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম দর্শকদের দখলে। এতে পণ্ড হয়ে গেছে ডিসি গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচ। ছবি: রাজনীতি ডটকম
দর্শকদের অভিযোগ, ধারণক্ষমতার ছয়গুণ টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। টিকিটের দামও রাখা হয়েছে অনেক বেশি। টিকিট কালোবাজারি ও জাল টিকিট বিক্রির ঘটনাও ঘটেছে। একপর্যায়ে বাড়তি এসব দর্শকদের জায়গা দিতে না পারা নিয়েই বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত হয়।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় ছিল রামু ও টেকনাফ একাদশের মধ্যে ডিসি গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের জন্য সকাল ৭টা থেকে স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে শুরু করেন দর্শকরা। টিকিটের দাম ছিল ৫০ টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বিপুল পরিমাণ দর্শকের উপস্থিতি দেখে টিকিট কাউন্টার থেকে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করেছেন অনেকে। কিছু ব্যক্তি টিকিট কালোবাজারি করছিলেন। তাতে ২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয় টিকিট। চাহিদা বুঝতে পেরে কিছু অসাধু ব্যক্তি জাল টিকিট পর্যন্ত বিক্রি করছিলেন। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা হাজার পাঁচেক হলেও শেষ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর ২টার আগেই স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তখনো বাইরে বিপুল পরিমাণ দর্শক ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু জায়গা না থাকায় স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে অবস্থানরত দর্শকরা ঢুকতে না পেরে দুপুর আড়াইটার দিকে গেট ভেঙে ভেতরে চলে যান। পুরো মাঠ তখন দর্শকদের দখলে চলে যায়।
স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মাঠের ভেতরে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ২০ জন আহত হয়েছেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
এ পর্যায়ে আয়োজকরা খেলা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন। পুলিশ, র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পুলিশরা লাঠিচার্জ করার চেষ্টা করলে দর্শকরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিলেন। দিকে বাইরে থাকা দর্শকরা স্টেডিয়াম ভবন ভাঙচুর শুরু করেন।
পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে লাঠিচার্জ করে মাঠ থেকে দর্শকদের বের করে দিতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় ফাইনাল ম্যাচ শুরু করার প্রস্তুতি চললেও গ্যালারি ও স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা দর্শকরা ফের গ্যালারি, মাঠ, প্রেসবক্সসহ সবখানে হামলা, ভাঙচুর করতে শুরু করেন। মাঠের মধ্যে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেখানে অন্তত ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
টুর্নামেন্ট পরিচালনার কমিটির আহ্বায়ক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, গ্যালারি উপচে পড়ায় কিছু দর্শককে বের করার চেষ্টা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
কক্সবাজারে আয়োজিত ডিসি (জেলা প্রশাসক) গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্টের ফাইনাল ম্যাচ পণ্ড হয়ে গেছে। আয়োজনে অব্যবস্থাপনার পাশাপাশি অতিরিক্ত ও জাল টিকিট বিক্রির পর স্বাভাবিকভাবে জায়গা না পেয়ে পরে স্টেডিয়ামের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে যান দর্শকরা। এ সময় খেলা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন আয়োজকরা।
এদিকে খেলা বন্ধ ঘোষণার পর দর্শক ও ফাইনালের দুই দলের সমর্থকদের সঙ্গে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে কক্সবাজার সদরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াসমিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। স্টেডিয়ামের মূল ভবন, গ্যালারিসহ সবকিছু ভাঙচুর করা হয়েছে।
শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) দুপুরের পর কক্সবাজার বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্টেডিয়ামে ঘটেছে এ ঘটনা। গত ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া ডিসি গোল্ডকাপে রামু ও টেকনাফ উপজেলা একাদশের মধ্যে ফাইনাল ম্যাচ আজ শুক্রবার এই স্টেডিয়ামেই হওয়ার কথা ছিল।
কক্সবাজারের বীরশ্রেষ্ঠ মোহাম্মদ রুহুল আমিন স্টেডিয়াম দর্শকদের দখলে। এতে পণ্ড হয়ে গেছে ডিসি গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচ। ছবি: রাজনীতি ডটকম
দর্শকদের অভিযোগ, ধারণক্ষমতার ছয়গুণ টিকিট বিক্রি করা হয়েছে। টিকিটের দামও রাখা হয়েছে অনেক বেশি। টিকিট কালোবাজারি ও জাল টিকিট বিক্রির ঘটনাও ঘটেছে। একপর্যায়ে বাড়তি এসব দর্শকদের জায়গা দিতে না পারা নিয়েই বিশৃঙ্খলার সূত্রপাত হয়।
শুক্রবার বিকেল ৩টায় ছিল রামু ও টেকনাফ একাদশের মধ্যে ডিসি গোল্ডকাপের ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচের জন্য সকাল ৭টা থেকে স্টেডিয়ামে গিয়ে টিকিট সংগ্রহ করতে শুরু করেন দর্শকরা। টিকিটের দাম ছিল ৫০ টাকা।
প্রত্যক্ষদর্শী ও স্থানীয়রা জানান, বিপুল পরিমাণ দর্শকের উপস্থিতি দেখে টিকিট কাউন্টার থেকে বাড়তি দামে টিকিট বিক্রির অভিযোগ করেছেন অনেকে। কিছু ব্যক্তি টিকিট কালোবাজারি করছিলেন। তাতে ২০০ টাকা থেকে ১৫০০ টাকা পর্যন্ত দামে বিক্রি হয় টিকিট। চাহিদা বুঝতে পেরে কিছু অসাধু ব্যক্তি জাল টিকিট পর্যন্ত বিক্রি করছিলেন। স্টেডিয়ামের ধারণক্ষমতা হাজার পাঁচেক হলেও শেষ পর্যন্ত সব মিলিয়ে প্রায় ৩০ হাজার টিকিট বিক্রি হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা বলেন, দুপুর ২টার আগেই স্টেডিয়াম কানায় কানায় পূর্ণ হয়ে যায়। তখনো বাইরে বিপুল পরিমাণ দর্শক ভেতরে ঢোকার অপেক্ষায় ছিলেন। কিন্তু জায়গা না থাকায় স্টেডিয়ামের গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। বাইরে অবস্থানরত দর্শকরা ঢুকতে না পেরে দুপুর আড়াইটার দিকে গেট ভেঙে ভেতরে চলে যান। পুরো মাঠ তখন দর্শকদের দখলে চলে যায়।
স্টেডিয়ামের ভেতরে ও বাইরে ব্যাপক ভাঙচুর চালানো হয়। মাঠের ভেতরে আগুনও ধরিয়ে দেওয়া হয়। সংঘাতময় পরিস্থিতিতে ২০ জন আহত হয়েছেন। ছবি: রাজনীতি ডটকম
এ পর্যায়ে আয়োজকরা খেলা বন্ধ ঘোষণা করতে বাধ্য হন। পুলিশ, র্যাবসহ সেনাবাহিনীর সদস্যরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন। পুলিশরা লাঠিচার্জ করার চেষ্টা করলে দর্শকরা তাদের ওপর ইটপাটকেল নিক্ষেপ করছিলেন। দিকে বাইরে থাকা দর্শকরা স্টেডিয়াম ভবন ভাঙচুর শুরু করেন।
পরে বিকেল সোয়া ৫টার দিকে লাঠিচার্জ করে মাঠ থেকে দর্শকদের বের করে দিতে সক্ষম হয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এ সময় ফাইনাল ম্যাচ শুরু করার প্রস্তুতি চললেও গ্যালারি ও স্টেডিয়ামের বাইরে থাকা দর্শকরা ফের গ্যালারি, মাঠ, প্রেসবক্সসহ সবখানে হামলা, ভাঙচুর করতে শুরু করেন। মাঠের মধ্যে আগুন পর্যন্ত ধরিয়ে দেওয়া হয়।
এ অবস্থায় কক্সবাজার সদরের ইউএনও নিলুফা ইয়াসমিনসহ অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। তাদের কক্সবাজার সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, সেখানে অন্তত ১৫ জনকে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
টুর্নামেন্ট পরিচালনার কমিটির আহ্বায়ক কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) ইমরান হোসাইন সজীব বলেন, গ্যালারি উপচে পড়ায় কিছু দর্শককে বের করার চেষ্টা করলে তারা উত্তেজিত হয়ে হামলা চালায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে র্যাব-পুলিশের পাশাপাশি আনসার ও সেনাবাহিনী চেষ্টা করছে। পরিস্থিতি এখন নিয়ন্ত্রণ। তবে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনে বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একমাত্র নারী ভিপি প্রার্থী তাসিন খানের নেতৃত্বে ‘সর্বজনীন শিক্ষার্থী সংসদ’ নামের পূর্ণাঙ্গ প্যানেল ঘোষণা করা হয়েছে।
১ দিন আগেহাসান আল মামুন বলেন, হামলার সঙ্গে জড়িত সেনাবাহিনীর কতিপয় সদস্য ও পুলিশ বাহিনীর কতিপয় সদস্য, মিডিয়ার মাধ্যমে সারা দেশের মানুষ দেখেছে—কী ন্যক্কারজনকভাবে হামলা হয়েছে। কিন্তু আজকে দুঃখের সঙ্গে বলতে হচ্ছে, হামলাকারীরা চিহ্নিত হওয়ার পরেও তারা কেউ গ্রেপ্তার হয়নি। আমরা সরকারের পক্ষ থেকে একটা তদন্ত কমিশন গঠন
১ দিন আগেরাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সংসদ-রাকসু ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে বাতিল হওয়া সাত জন প্রার্থীর মধ্যে আপিলে পাঁচজন তাদের প্রার্থিতা ফিরে পেয়েছেন। বাকি দুইজনের প্রার্থিতা চুড়ান্তভাবে বাতিল হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৪টার দিকে রাকসু'র প্রধান নির্বাচন কমিশনার অধ্যাপক ড. এফ. নজ
১ দিন আগেরামেক হাসপাতালের সর্বশেষ প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বর্তমানে হাসপাতালে এক শিশুসহ ২৪ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসাধীন আছেন। এর মধ্যে ১১ জন পুরুষ ও ১২ জন নারী। তারা বিভিন্ন ওয়ার্ডে ভর্তি রয়েছেন। আক্রান্তদের মধ্যে ১১ জন রাজশাহী, ছয় জন চাঁপাইনবাবগঞ্জ, তিন জন নাটোর, আর বাকিরা নওগাঁ, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া ও মেহেরপু
১ দিন আগে