প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলো বাড়ি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বলেছেন, ঢাকা কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পুরো বাড়িটিই বুড়িগঙ্গা নদী ও নদীর তীরবর্তী জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল। নদী তীরের প্রায় দেড় একর জমি ছিল বাড়িটির দখলে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ কেরানীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নদী ও নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বাংলো বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা তৈরি করে আসছিল। জায়গাটি দখলমুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতেই বাংলো বাড়িটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় নিয়মিত এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রভাবশালী বা পরিচিতি এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হবে না বলেও জানান তারা।
নসরুল হামিদ তরুণ বয়স থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ সালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হন। ঢাকা-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চারবারের সংসদ সদস্য তিনি। ২০১৪ সাল থেকে পালন করেছেন প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব। ব্যবসায়িক গ্রুপ হামিদ গ্রুপের চেয়ারম্যানও তিনি।
গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে নসরুল হামিদ বিপুর কোনো খোঁজ নেই। গত ৩০ এপ্রিল আদালত তার গুলশানে থাকা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জব্দের আদেশ দেন। এর আগে ১৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় স্ত্রীসহ তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নসরুল হামিদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী সীমা হামিদকে ছয় কোটি ৯৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেন।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তিনটি দ্বি-তলা ভবন, বেশ কয়েকটি টং দোকান ও কিছু গাছপালা ভেঙে দেওয়া হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ, র্যাব-১০ ও কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করছেন।
অভিযান আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে জানিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বলছে, ঢাকা নদী বন্দরের অধীন পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে ধোপাতিয়া/কাটুরাইল খেয়াঘাট পর্যন্ত এলাকায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চর মিরেরবাগ, নয়াটোলা, দোলেশ্বর, হাজারীবাগ ও কাটুরাইল মৌজায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমি থেকে সব অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক আবু সালেহ এহতেশাম, ভৈরব নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন ও মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম অভিযানে অংশ নেন।
ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ বিপুর বাংলো বাড়ি ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে অভিযান চালিয়ে গুঁড়িয়ে দিয়েছে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)।
ভ্রাম্যমাণ আদালত বলেছেন, ঢাকা কেরানীগঞ্জে অবস্থিত পুরো বাড়িটিই বুড়িগঙ্গা নদী ও নদীর তীরবর্তী জায়গা দখল করে নির্মাণ করা হয়েছিল। নদী তীরের প্রায় দেড় একর জমি ছিল বাড়িটির দখলে।
বুধবার (২০ আগস্ট) সকাল ১১টার দিকে বিআইডব্লিউটিএ কেরানীগঞ্জে ভ্রাম্যমাণ আদালতের এ অভিযান পরিচালনা করে।
বিআইডব্লিউটিএর যুগ্ম পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, নদী ও নদীর তীরে বিআইডব্লিউটিএর জায়গা দখল করে অবৈধভাবে বাংলো বাড়িটি নির্মাণ করা হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে এটি নদীর স্বাভাবিক প্রবাহে বাধা তৈরি করে আসছিল। জায়গাটি দখলমুক্ত করে নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ফিরিয়ে আনতেই বাংলো বাড়িটি উচ্ছেদ করা হয়েছে।
এদিকে বিআইডব্লিউটিএ কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বুড়িগঙ্গা নদী রক্ষায় নিয়মিত এ ধরনের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে। কোনো প্রভাবশালী বা পরিচিতি এ ক্ষেত্রে বিবেচনায় আনা হবে না বলেও জানান তারা।
নসরুল হামিদ তরুণ বয়স থেকেই আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যুক্ত। স্থানীয় আওয়ামী লীগ ও কেন্দ্রীয় যুবলীগে বিভিন্ন দায়িত্ব পালনের পর ২০০১ সালে ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি হন। ঢাকা-৩ আসন থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে চারবারের সংসদ সদস্য তিনি। ২০১৪ সাল থেকে পালন করেছেন প্রতিমন্ত্রী দায়িত্ব। ব্যবসায়িক গ্রুপ হামিদ গ্রুপের চেয়ারম্যানও তিনি।
গত বছরের ছাত্র-জনতার আন্দোলনে সরকার পতনের পর থেকে নসরুল হামিদ বিপুর কোনো খোঁজ নেই। গত ৩০ এপ্রিল আদালত তার গুলশানে থাকা ২০০ কোটি টাকা মূল্যের জমি জব্দের আদেশ দেন। এর আগে ১৬ জানুয়ারি দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) এক মামলায় স্ত্রীসহ তার বিদেশযাত্রায় নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
দুদকের পক্ষ থেকে আদালতকে জানানো হয়, প্রতিমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের সময় নসরুল হামিদ ক্ষমতার অপব্যবহার করে স্ত্রী সীমা হামিদকে ছয় কোটি ৯৮ লাখ টাকার অবৈধ সম্পদ অর্জনে সহায়তা করেন।
এদিকে বুধবার সকাল থেকে বুড়িগঙ্গার তীর দখল করে গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদে অভিযান চালাচ্ছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। অভিযানে তিনটি দ্বি-তলা ভবন, বেশ কয়েকটি টং দোকান ও কিছু গাছপালা ভেঙে দেওয়া হয়। দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ, র্যাব-১০ ও কেরানীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা অভিযানে সহায়তা করছেন।
অভিযান আগামীকাল বৃহস্পতিবার পর্যন্ত চলবে জানিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালত বলছে, ঢাকা নদী বন্দরের অধীন পোস্তগোলা ব্রিজ থেকে ধোপাতিয়া/কাটুরাইল খেয়াঘাট পর্যন্ত এলাকায় দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার চর মিরেরবাগ, নয়াটোলা, দোলেশ্বর, হাজারীবাগ ও কাটুরাইল মৌজায় বুড়িগঙ্গা নদীর তীরভূমি থেকে সব অবৈধ স্থাপনা ও দখলদার উচ্ছেদ করা হবে।
দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ রাজস্ব সার্কেলের সহকারী কমিশনার (ভূমি) শেখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, বিআইডব্লিউটিএ ঢাকা নদীবন্দরের উপপরিচালক আবু সালেহ এহতেশাম, ভৈরব নদীবন্দরের উপপরিচালক নুর হোসেন ও মেঘনা নদীবন্দরের উপপরিচালক রেজাউল করিম অভিযানে অংশ নেন।
এ ঘটনায় এটিএম মেশিন ভেঙে টাকা নিতে না পারলেও বুথটি ভাঙচুর করে মালামাল লুট করা হয়। তার বিরুদ্ধে আরও একাধিক চুরির ঘটনায় মামলা রয়েছে।
৬ ঘণ্টা আগেপ্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, কলেজের প্রধান ফটকের সামনে এক ছাত্রী ‘হেলপ, হেলপ’ বলে দৌড়াচ্ছিলেন। এসময় শিক্ষক মারুফ মোটরসাইকেলে তাঁর কাছে এগিয়ে গেলে হঠাৎ করে মেয়েটি তাঁর গলা লক্ষ্য করে ছুরিকাঘাত করে। গুরুতর আহত অবস্থায় শিক্ষককে দ্রুত সিএমএইচে নেয়া হয়। পরে উপস্থিত লোকজন মেয়েটিকে আটক করে পরিবারের জিম্মায় দেন।
১ দিন আগে