নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার যমজ সন্তানসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে একদিনের কারাবাসে ছিলেন এক মা। গ্রেপ্তারের হওয়ার পর নামসহ ওই মা ও তার শিশু সন্তানের ছবি নান্দাইল মডেল থানার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রকাশ করা হয়। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ওই মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ওই নারী বলছেন, যে অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ধরনের কোনো অপরাধ তিনি করেননি। তবু তাকে থানা-পুলিশ ও আদালতের বারান্দায় যেতে হয়েছে। শত শত মানুষ পুলিশের সঙ্গে তার ছবি দেখেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমার মানসম্মান নিয়ে টানাটানি চলছে। মামলার বাদী পক্ষের লোকজনও ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে।
ওই নারীর নাম ফিরোজা (ছদ্মনাম) আক্তার (৩২)। নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের নিজবানাইল গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি। জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে তার স্বামীর দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে থানা ও আদালতে মামলা-মোকদ্দমা চলছে।
এ প্রতিবেদক অন্য একটি ঘটনা সরেজমিনে যাচাই করার জন্য আজ শুক্রবার নিজবাইল গ্রামে যান। তখন ফিরোজা আক্তারের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, গত ৯ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে যমজ সন্তানদের সাথে নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সেদিন গভীর রাতে বাড়িতে পুলিশ আসে। আদালতের একটি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) আছে জানিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন তিনি পুলিশকে বলেন, স্বামীর সাথে প্রতিপক্ষের মামলা চলছে। সেখানে আমার দোষ কোথায়। পুলিশ তার কথা আমলে না নিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যমজ দুধের সন্তানসহ তাকে রাতের বেলায় থানায় যেতে হয়। সেখানে যাওয়ার পর তার ছবি তোলা হয়।
তিনি বলেন, আমি গৃহবধূ। আইন ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমার মনে শুধু বাজতে থাকে কোন অপরাধে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। তখন লজ্জায় মরে যাচ্ছিলাম।
পরদিন সকালে সন্তানসহ তাকে ময়মনসিংহের জেলখানায় (আদালতের গারদ) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিবারের লোকজন আমাকে জানান, আদালত আমার জামিন মঞ্জুর করেছেন। ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরার পর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা আমাকে দেখতে আসেন। পরে পারিবারিক মোবাইল ফোনে যমজ সন্তানসহ আমার ছবি দেখতে পাই। তখন আমার খুব খারাপ লাগতে শুরু করে। মনটা ভেঙে যায়। আমি গ্রামের একজন সহজ সরল নারী। তার ওপর যমজ সন্তানের মা। আমি কি ধরনের অপরাধ করলাম দুধের শিশুসহ আমাকে ধরে নিতে হলো। থানায় নিয়ে ছবি তুলল। একজন মা হিসেবে আমার অধিকার কেউ রক্ষা করার কথা ভাবলো না। পরে জানতে পারলাম আমি নাকি চাচা শ্বশুরকে মারধর করেছি। এ অভিযোগে তার স্বামী, দেবরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শ্বশুর বা চাচা শ্বশুর তো বাপের সমান। গ্রাম্য একজন গৃহবধূর পক্ষে কি চাচা শ্বশুরকে ধরে মারধর করার সুযোগ আছে। এ অভিযোগ তো ডাহা মিথ্যা।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলাটি ছিল আদালতে। পুলিশ আদালতের পরোয়ানা মূলে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপে গৃহবধূর ছবি দেওয়া ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।
জেলার গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, আসামিদের ছবি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপের মাধ্যমে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়ে থাকে। তবে গ্রেপ্তাদের মুখ ঢেকে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়টি দেখা হবে।
ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার যমজ সন্তানসহ পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়ে একদিনের কারাবাসে ছিলেন এক মা। গ্রেপ্তারের হওয়ার পর নামসহ ওই মা ও তার শিশু সন্তানের ছবি নান্দাইল মডেল থানার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে প্রকাশ করা হয়। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পর ওই মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েছেন।
ওই নারী বলছেন, যে অপরাধে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে সে ধরনের কোনো অপরাধ তিনি করেননি। তবু তাকে থানা-পুলিশ ও আদালতের বারান্দায় যেতে হয়েছে। শত শত মানুষ পুলিশের সঙ্গে তার ছবি দেখেছে।
তিনি বলেন, এ ঘটনায় আমার মানসম্মান নিয়ে টানাটানি চলছে। মামলার বাদী পক্ষের লোকজনও ছবিটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে নেতিবাচক প্রচারণা চালাচ্ছে।
ওই নারীর নাম ফিরোজা (ছদ্মনাম) আক্তার (৩২)। নান্দাইল উপজেলার চণ্ডীপাশা ইউনিয়নের নিজবানাইল গ্রামে তার স্বামীর বাড়ি। জমি সংক্রান্ত ঘটনা নিয়ে চাচাতো ভাইদের সাথে তার স্বামীর দ্বন্দ্ব চলে আসছে। এ নিয়ে থানা ও আদালতে মামলা-মোকদ্দমা চলছে।
এ প্রতিবেদক অন্য একটি ঘটনা সরেজমিনে যাচাই করার জন্য আজ শুক্রবার নিজবাইল গ্রামে যান। তখন ফিরোজা আক্তারের সাথে এ প্রতিবেদকের কথা হয়। তিনি বলেন, গত ৯ জুলাই রাতের খাবার খেয়ে যমজ সন্তানদের সাথে নিয়ে তিনি ঘুমিয়ে পড়েন। সেদিন গভীর রাতে বাড়িতে পুলিশ আসে। আদালতের একটি পরোয়ানা (ওয়ারেন্ট) আছে জানিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তখন তিনি পুলিশকে বলেন, স্বামীর সাথে প্রতিপক্ষের মামলা চলছে। সেখানে আমার দোষ কোথায়। পুলিশ তার কথা আমলে না নিয়ে পুলিশ গ্রেপ্তার করে। যমজ দুধের সন্তানসহ তাকে রাতের বেলায় থানায় যেতে হয়। সেখানে যাওয়ার পর তার ছবি তোলা হয়।
তিনি বলেন, আমি গৃহবধূ। আইন ও নিয়ম কানুন সম্পর্কে আমার কোনো ধারণা নেই। আমার মনে শুধু বাজতে থাকে কোন অপরাধে পুলিশ আমাকে গ্রেপ্তার করেছে। তখন লজ্জায় মরে যাচ্ছিলাম।
পরদিন সকালে সন্তানসহ তাকে ময়মনসিংহের জেলখানায় (আদালতের গারদ) নিয়ে যাওয়া হয়। পরে পরিবারের লোকজন আমাকে জানান, আদালত আমার জামিন মঞ্জুর করেছেন। ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফেরার পর খবর পেয়ে প্রতিবেশীরা আমাকে দেখতে আসেন। পরে পারিবারিক মোবাইল ফোনে যমজ সন্তানসহ আমার ছবি দেখতে পাই। তখন আমার খুব খারাপ লাগতে শুরু করে। মনটা ভেঙে যায়। আমি গ্রামের একজন সহজ সরল নারী। তার ওপর যমজ সন্তানের মা। আমি কি ধরনের অপরাধ করলাম দুধের শিশুসহ আমাকে ধরে নিতে হলো। থানায় নিয়ে ছবি তুলল। একজন মা হিসেবে আমার অধিকার কেউ রক্ষা করার কথা ভাবলো না। পরে জানতে পারলাম আমি নাকি চাচা শ্বশুরকে মারধর করেছি। এ অভিযোগে তার স্বামী, দেবরসহ কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। শ্বশুর বা চাচা শ্বশুর তো বাপের সমান। গ্রাম্য একজন গৃহবধূর পক্ষে কি চাচা শ্বশুরকে ধরে মারধর করার সুযোগ আছে। এ অভিযোগ তো ডাহা মিথ্যা।
এ বিষয়ে নান্দাইল মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, মামলাটি ছিল আদালতে। পুলিশ আদালতের পরোয়ানা মূলে ওই নারীকে গ্রেপ্তার করেছে। তবে হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপে গৃহবধূর ছবি দেওয়া ঠিক হয়নি বলে জানান তিনি।
জেলার গৌরীপুর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এএসপি) দেবাশীষ কর্মকার বলেন, আসামিদের ছবি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রপের মাধ্যমে ঊধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের কাছে পাঠানো হয়ে থাকে। তবে গ্রেপ্তাদের মুখ ঢেকে দেওয়ার নির্দেশনা রয়েছে। এ বিষয়টি দেখা হবে।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ১২ জুলাই বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির কাউন্সিল অধিবেশন ঘিরে হানাহানি ও সংঘাতের ঘটনা ঘটে। ঠাকুরগাঁও জেলার বালিয়াডাঙ্গী উপজেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট মো. সৈয়দ আলম ও সাবেক সাধারণ সম্পাদক পদপ্রার্থী ড. টি এম মাহবুবুর রহমান এ ধরনের হিংসাত্মক ও অশোভন আচরণ
৬ ঘণ্টা আগেচট্টগ্রাম উত্তর জেলা বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা গোলাম আকবর খোন্দকার এবং দলটির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান গিয়াসউদ্দিন কাদের চৌধুরীর অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ হয়। রাউজানে স্থানীয় রাজনীতিতে বিএনপির এই দুই নেতার সমর্থক-অনুসারীদের মধ্যে গত ৫ আগস্ট থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষে কমপক্ষে ১২ জনের
১৬ ঘণ্টা আগেনাহিদ বলেন, গাজীপুরে সন্ত্রাসীরা টহল দিচ্ছে। মহড়া দেওয়ার চেষ্টা করছে। তারা ভেবেছে ভয়, দেখিয়ে জাতীয় নাগরিক পার্টি ও গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে রুখে দেবে। কিন্তু গোপালগঞ্জেও আমাদের বাধা দিয়ে রাখা যায় নাই। আমরা গোপালগঞ্জের মাটিতে গিয়েছি, গাজীপুরেও এসেছি।
১ দিন আগেরাজশাহীর সাবেক জেলা রেজিস্ট্রার আবুল কালাম আজাদকে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা মামলায় কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার (২৯ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে রাজশাহী মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতের বিচারক আসাদ মো. আসিফুজ্জামান এ আদেশ দেন।
১ দিন আগে