প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
বিধি লঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদন, ব্যাংকের ওপর পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটি পরিচালনার জন্য নতুন পর্ষদও গঠন করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্থান পেয়েছেন এক শেয়ারধারী পরিচালক ও পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক।
এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ এইচ বি এম ইকবালের পরিবারের সদস্যরা বাদ পড়লেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ব্যাংকটি ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সইয়ে জারি করা এক আদেশে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এর পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মো. আলা উদ্দিনের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। সেখানেই নতুন পরিচালনা পর্ষদ উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে রাজনীতি ডটকমকে জানানো হয়, গণমাধ্যমে তারা খবরটি দেখেছেন। তবে ব্যাংকে চিঠিটি এসেছে কি না এবং ব্যাংক সেই চিঠি রিসিভ করেছে কি না, এটি আগামীকাল কর্ম দিবসে জানাতে পারবেন।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার (সিএফও) মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তারা রিসিভ না করায় তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
প্রিমিয়ার ব্যাংকে নতুন পর্ষদে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারধারী আরিফুর রহমান। বাকি পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. ফোরকান হোসেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক শেখ মোর্শেদ জাহান ও চার্টার্ড সেক্রেটারি এম নুরুল আলম।
এই ছয়জনের মধ্যে নুরুল আলমকে প্রাইম ইনস্যুরেন্সের স্বতন্ত্র পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের শর্তে প্রিমিয়ার ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৪৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান থাকায় গত ১৮ মে প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ম্যানেজার রানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আবসারসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৬ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত।
১৯৯৯ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল (এইচ বি এম ইকবাল)। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি চেয়ারম্যান পদ ও তার ছেলে মঈন ইকবাল ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছাড়েন, সঙ্গে ছাড়েন পরিচালক পদও। এ সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ইকবালের আরেক ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল।
পরে এপ্রিলে এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের সহায়তা নিয়েই জব্দ করা ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেন। ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও ব্যাংক পরিচালনার নিয়মকানুন ভঙ্গসহ এটিও প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে অন্যতম কারণ।
এইচ বি এম ইকবাল আরও নানা ব্যবসায় যুক্ত। প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান তিনি। এ গ্রুপের অধীনে পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, সিমেন্ট উৎপাদন, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ব্যবসা রয়েছে।
১৯৯৬ সালে ঢাকা-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগে বিএনপির মিছিলে গুলি করে চারজনকে হত্যার মামলাতে আসামিও ছিলেন তিনি।
মিছিলে গুলির ওই ঘটনায় বিএনপি ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়, যা পরে একীভূত হয়ে যায়। ওই বছরের ১২ জুলাই ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অধিকতর তদন্ত করে ডিবি পুলিশ ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আগের ছয়জনের সঙ্গে নতুন করে ইকবাল, শাওনসহ ১৮ জনকে যুক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়।
পরে সময়ে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলাটি থেকে কয়েকজন আসামির নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–১ ইকবাল, শাওনসহ ১৫ জনকে অব্যাহতি দেন।
এই আদেশ দুটি বাতিল চেয়ে আবেদন করেন মামলার এক বাদী ইউনুস মৃধা। পরে তার আবেদন আমলে নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে হাইকোর্ট সে আদেশ স্থগিত করেন। তাদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
বিধি লঙ্ঘন করে ঋণ অনুমোদন, ব্যাংকের ওপর পারিবারিক নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠাসহ নানা অনিয়মের অভিযোগে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দিয়েছে বাংলাদেশ ব্যাংক। ব্যাংকটি পরিচালনার জন্য নতুন পর্ষদও গঠন করে দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্থান পেয়েছেন এক শেয়ারধারী পরিচালক ও পাঁচজন স্বতন্ত্র পরিচালক।
এর মধ্য দিয়ে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ এইচ বি এম ইকবালের পরিবারের সদস্যরা বাদ পড়লেন ব্যাংকটির পরিচালনা পর্ষদ থেকে। দীর্ঘ দুই যুগ ধরে ব্যাংকটি ইকবাল ও তার পরিবারের সদস্যরা নিয়ন্ত্রণে করে আসছিলেন।
মঙ্গলবার (১৯ আগস্ট) গভর্নর ড. আহসান এইচ মনসুরের সইয়ে জারি করা এক আদেশে প্রিমিয়ার ব্যাংকের পরিচালনা পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্ত জানানো হয়েছে।
এর পরই কেন্দ্রীয় ব্যাংকের পরিচালক (বিআরপিডি) মো. আলা উদ্দিনের সই করা একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে প্রিমিয়ার ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালককে। সেখানেই নতুন পরিচালনা পর্ষদ উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছে।
জানতে চাইলে প্রিমিয়ার ব্যাংকের জনসংযোগ বিভাগ থেকে রাজনীতি ডটকমকে জানানো হয়, গণমাধ্যমে তারা খবরটি দেখেছেন। তবে ব্যাংকে চিঠিটি এসেছে কি না এবং ব্যাংক সেই চিঠি রিসিভ করেছে কি না, এটি আগামীকাল কর্ম দিবসে জানাতে পারবেন।
ব্যাংকটির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) ও প্রধান আর্থিক কর্মকর্তার (সিএফও) মোবাইল নম্বরে কল করা হলেও তারা রিসিভ না করায় তাদের মন্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
প্রিমিয়ার ব্যাংকে নতুন পর্ষদে পরিচালক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন ব্যাংকটির উদ্যোক্তা শেয়ারধারী আরিফুর রহমান। বাকি পাঁচ স্বতন্ত্র পরিচালক হলেন— বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক নির্বাহী পরিচালক মো. ফোরকান হোসেন, ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের সাবেক অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক সৈয়দ ফরিদুল ইসলাম, ব্যাংক এশিয়ার সাবেক উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. সাজ্জাদ হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা প্রশাসন ইনস্টিটিউটের (আইবিএ) অধ্যাপক শেখ মোর্শেদ জাহান ও চার্টার্ড সেক্রেটারি এম নুরুল আলম।
এই ছয়জনের মধ্যে নুরুল আলমকে প্রাইম ইনস্যুরেন্সের স্বতন্ত্র পরিচালকের পদ থেকে পদত্যাগের শর্তে প্রিমিয়ার ব্যাংকের স্বতন্ত্র পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
এর আগে ৪৭৮ কোটি টাকার দুর্নীতির অভিযোগের অনুসন্ধান চলমান থাকায় গত ১৮ মে প্রিমিয়ার ব্যাংকের মহাখালী শাখার সাবেক ম্যানেজার রানা আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ আবসারসহ সাতটি প্রতিষ্ঠানের ১৬ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিলেন আদালত।
১৯৯৯ সালে ব্যাংকটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য হেফজুল বারী মোহাম্মদ ইকবাল (এইচ বি এম ইকবাল)। এ বছরের ফেব্রুয়ারিতে তিনি চেয়ারম্যান পদ ও তার ছেলে মঈন ইকবাল ভাইস চেয়ারম্যান পদ ছাড়েন, সঙ্গে ছাড়েন পরিচালক পদও। এ সময় চেয়ারম্যানের দায়িত্ব নেন ইকবালের আরেক ছেলে মোহাম্মদ ইমরান ইকবাল।
পরে এপ্রিলে এইচ বি এম ইকবাল প্রিমিয়ার ব্যাংকের সহায়তা নিয়েই জব্দ করা ব্যাংক হিসাব থেকে টাকা তুলে নেন। ঋণ বিতরণে অনিয়ম ও ব্যাংক পরিচালনার নিয়মকানুন ভঙ্গসহ এটিও প্রিমিয়ার ব্যাংকের পর্ষদ ভেঙে দেওয়ার সিদ্ধান্তের পেছনে অন্যতম কারণ।
এইচ বি এম ইকবাল আরও নানা ব্যবসায় যুক্ত। প্রিমিয়ার গ্রুপের চেয়ারম্যান তিনি। এ গ্রুপের অধীনে পাঁচ তারকা হোটেলের পাশাপাশি রেস্তোরাঁ, সিমেন্ট উৎপাদন, মেডিকেল সেন্টারসহ নানা ব্যবসা রয়েছে।
১৯৯৬ সালে ঢাকা-১০ আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। ২০০১ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর মালিবাগে বিএনপির মিছিলে গুলি করে চারজনকে হত্যার মামলাতে আসামিও ছিলেন তিনি।
মিছিলে গুলির ওই ঘটনায় বিএনপি ও পুলিশের পক্ষ থেকে দুটি মামলা হয়, যা পরে একীভূত হয়ে যায়। ওই বছরের ১২ জুলাই ছয় আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দেয় পুলিশ। অধিকতর তদন্ত করে ডিবি পুলিশ ২০০২ সালের ২৯ ডিসেম্বর আগের ছয়জনের সঙ্গে নতুন করে ইকবাল, শাওনসহ ১৮ জনকে যুক্ত করে ২৪ জনের বিরুদ্ধে সম্পূরক অভিযোগপত্র দেয়।
পরে সময়ে ২০০৯ সালের ১৭ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তৎকালীন সহকারী সচিব আবু সাঈদ মোল্লা মামলাটি থেকে কয়েকজন আসামির নাম প্রত্যাহারের সুপারিশ করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে ২০১০ সালের ২৬ আগস্ট ও ২৯ সেপ্টেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল–১ ইকবাল, শাওনসহ ১৫ জনকে অব্যাহতি দেন।
এই আদেশ দুটি বাতিল চেয়ে আবেদন করেন মামলার এক বাদী ইউনুস মৃধা। পরে তার আবেদন আমলে নিয়ে গত বছরের নভেম্বরে হাইকোর্ট সে আদেশ স্থগিত করেন। তাদের সংশ্লিষ্ট আদালতে আত্মসমর্পণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়।
গণতন্ত্রের মূলমন্ত্র জনগণই ক্ষমতার উৎস। সেটা আজকাল কেউ মানে বলে মনে হয় না। সে বাংলাদেশেই হোক বা যুক্তরাষ্ট্র—ক্ষমতাসীন নেতাদের সবাই নিজেদের সর্বেসর্বা মনে করে। গণতন্ত্রের অন্যতম পুরোধা সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট আব্রাহাম লিংকন গণতন্ত্রের সংজ্ঞায় বলেছিলেন, ‘গভর্নমেন্ট অব দ্য পিপল, বাই দ্য পিপল, ফর দ্য
২ দিন আগেমামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গতকাল শুক্রবার (১৫ আগস্ট) কামরুল হাসান তার নিজ দোকানের সামনে ইটের রাস্তায় পুরাতন মোটরসাইকেলের টায়ার জ্বালিয়ে নাশকতা সৃষ্টি ও প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে কামরুলকে আটক করে। পরে তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করে অন্য আসামিদের নাম জানতে পারে পুলিশ।
৩ দিন আগেশিল্প উপদেষ্টা বলেন, বিশ্বজুড়ে পরিবেশবান্ধব ও স্বল্প কার্বন নিঃসরণ জাহাজের চাহিদা দ্রুত বাড়ছে। আন্তর্জাতিক সামুদ্রিক সংস্থা (আইএসও) ২০৩০ সালের মধ্যে কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ এবং ২০৫০ সালের মধ্যে ৭০ শতাংশ কমানোর লক্ষ্যমাত্রা ঘোষণা করেছে। যে দেশগুলো পরিবেশবান্ধব, স্বল্প-নিঃসরণ জাহাজ তৈরি ও রপ্তানি করত
৩ দিন আগেবৃহস্পতিবার (১৪ আগস্ট) অনুষ্ঠিত সভায় সভাপতিত্ব করেন ব্যাংকের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এম জুবায়দুর রহমান।
৫ দিন আগে