ডাকসু নিয়ে ১০ দাবি বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্কের

ঢাবি প্রতিনিধি
রোববার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনের সামনে সংবাদ সম্মেলন করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। ছবি: রাজনীতি ডটকম

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন ঘিরে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিশনকে সতর্ক করে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক।

রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যানটিনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব দাবি তুলে ধরা হয়।

শিক্ষক নেটওয়ার্কের নেতারা বলেন, ২০১৯ সালের ডাকসু নির্বাচন স্বাধীনভাবে পর্যবেক্ষণ করে নানা অনিয়মের তথ্য তুলে ধরেছিল বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক। এবারের নির্বাচনেও তারা শুরু থেকেই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে প্রশাসনকে নানা প্রস্তাব দিয়ে আসছে।

শিক্ষকরা জানান, গত ২ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা ১৩ দফা দাবি ও স্বাধীন পর্যবেক্ষণের ঘোষণা দিয়েছিলেন। তার কিছু অংশ বাস্তবায়িত হলেও বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় পুনর্বিবেচনা হয়নি।

এ পরিস্থিতিতে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক নেটওয়ার্ক ডাকসু নির্বাচন ঘিরে ১০ দফা দাবি উত্থাপন করেছে। দাবিগুলো হলো—

  • প্রবেশপথ বন্ধ না করে কেন্দ্রের নিরাপত্তা জোরদার করতে হবে ও প্রবেশপথে দায়িত্বপ্রাপ্তদের পরিচয় প্রকাশ করতে হবে;
  • নারী ভোটার যাচাইয়ে নারী শিক্ষকদের দায়িত্ব দিতে হবে;
  • পোলিং অফিসার নিয়োগে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে হবে;
  • ভোট গ্রহণের সময় বিকেল ৫টা পর্যন্ত বাড়াতে হবে;
  • পোলিং এজেন্টদের ভেতরে থাকার ব্যবস্থা করতে হবে;
  • গণমাধ্যমকর্মী ও এজেন্টদের জন্য গাইডলাইন প্রকাশ করতে হবে;
  • বুথের বাইরে লাইন ব্যবস্থাপনায় শিক্ষক ও অফিসার নিয়োগ দিতে হবে;
  • গুজব বা আতঙ্ক ছড়ালে দ্রুত ব্যবস্থা নিতে হবে;
  • পর্যবেক্ষক ও এজেন্টদের জন্য বিশ্রামকক্ষ নির্ধারণ করতে হবে; এবং
  • নির্বাচন প্রক্রিয়ায় অস্বচ্ছতা থাকলে প্রশাসনকে জবাবদিহি করতে হবে।
ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

বিএনপিকে দেওয়া ‘ব্যক্তিগত আশ্বাসে’ নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ণের উদ্বেগ, এনসিপির চিঠি

রোববার (২ নভেম্বর) দলের সদস্য সচিব আখতার হোসেনের সই করা ওই চিঠি পাঠানো হয় আইন মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টার দপ্তরে। চিঠিতে উপদেষ্টার অবস্থানকে ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের নিরপেক্ষতা ও দায়বদ্ধতার পরিপন্থি’ বলে আখ্যায়িত করা হয়েছে।

৭ ঘণ্টা আগে

বর্তমান সংকটের দায় অন্তর্বর্তী সরকারের: মঞ্জু

তিনি বলেন, রাজনৈতিক দলগুলার ঐক্য না হওয়ার একটা প্রধান কারণ হচ্ছে চেয়ারে কে আগে বসবে কে পেছনে বসবে। সংস্কারটা কত কঠিন বুঝতে পারছেন? অনেকে বলেন লৌকিক সংস্কারের লাভ কী? সংস্কার তো এভাবে একটা দুইটা করেই করতে হবে। দল যদি সংস্কার না হয়, রাজনীতি কীভাবে সংস্কার হবে?

৭ ঘণ্টা আগে

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সব কমিটির কার্যক্রম ফের চালু

এতে আরো উদ্বেগ প্রকাশ করে বলা হয়, ইতোমধ্যে বিভিন্ন স্থানে বিচ্ছিন্ন ঘটনা ও আহতদের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটছে, যা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এ ছাড়া জুলাই হত্যাকাণ্ডের বিচারিক প্রক্রিয়া সম্পর্কেও কোনো সুস্পষ্ট রোডম্যাপ আমরা এখনও প্রত্যক্ষ করিনি।

৮ ঘণ্টা আগে

বিএনপিকে আলোচনায় বসার আহ্বান জামায়াতের

তিনি বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামী বিএনপির সঙ্গে কোনো ঝগড়ায় লিপ্ত হতে চায় না। যা-ই করতেছেন এবার বন্ধ করুন। আসুন আমরা একসঙ্গে বসি। দেশের এই পরিস্থিতি নিয়ে খোলামেলা আলোচনা করি। বিএনপিকে আহ্বান করবো একসঙ্গে বসার। আমরা আলোচনা করবো কীভাবে সত্যিকার অর্থে একটা স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ তৈরি হবে।’

৮ ঘণ্টা আগে