ঢাবি প্রতিনিধি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার শেষ হলো। শেষ দিনের প্রচারে জমজমাট পরিবেশে বিরাজমান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমন উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হবে— এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।
ভোটাররা বলছেন, ছয় বছরের বিরতিতে এবার যে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, তা অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর অংশ নিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশে বাধাহীনভাবে সবাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের পর ঢাবি ক্যাম্পাসে সব সংগঠন মিলে যে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারাও এ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে লড়াই করছে।
৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ছিল প্রার্থীদের প্রচারের শেষ দিন। এ দিন দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হলো প্রচার। আর ৩২ ঘণ্টা পরেই শুরু হবে চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধ।
ডাকসু নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচারে বড় চমক ছিল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আট দফা শপথ পাঠ। এতে ডাকসু ও হল সংসদে ছাত্রদলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ পাঠ শেষে ছাত্রদলের প্যানেলটি ক্যাম্পাস এলাকায় প্রচার চালায়। সন্ধ্যায় তাদের প্রচার ছিল কার্জন হল এলাকায়। ছাত্রদল নেতারা ব্বলছেন, প্রচারে তারা ভোটারসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা রোববার সকাল থেকেই প্রচারে।নেমেছিলেন। ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদেরসহ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা মধুর ক্যানটিন ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এলাকায় প্রচার চালান।
রোববার ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা শপথ নেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
এ দিন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু দুপুর ২টার দিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে সরাসরি মধুর ক্যানটিনে এসে সংবাদ সম্মেলনে করেন এবং পরে নির্বাচনি প্রচার চালান। মেঘমল্লার বলেন, আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিন, কিন্তু ৯ তারিখ প্লিজ প্লিজ ভোট দিতে আসুন। আপনারা ভোট দিতে আসলে সব ইকুয়েশন বদলে যাবে।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বিভিন্ন আবাসিক হল ছাড়াও ক্যাম্পাস এলাকায় প্রচার চালান। শেষ দিনের প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান এই প্রার্থী।
এ ছাড়া ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল, বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেল, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’সহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা সরব ছিলেন প্রচারে। ক্যাম্পাস জুড়ে পুরোদমে প্রচার চালিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু সদ্য অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচার শেষে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনের কার্যক্রমে যোগ দেন প্যানেলের সঙ্গে। ছবি: ফোকাস বাংলা
সম্পাদকীয় পদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র ও পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন লড়াই করছেন। আর ১৩টি সদস্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭।
এদিকে ১৮টি হলের প্রতিটিতে ১৩টি করে পদে মোট এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর আগে এক হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ৭৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
হল সংসদের জন্য হলভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা হলো— ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৫৯ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩১ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬২ জন, জগন্নাথ হলে ৫৫ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৫৮ জন, শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৭৫ জন, রোকেয়া হলে ৪৫ জন, সূর্যসেন হলে ৭৫ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৬০ জন, শামসুন নাহার হলে ৩৫ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৬৮ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৩ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫৯ জন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৬ জন, অমর একুশে হলে ৭৬ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৮ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৬৮ জন ও স্যার এ এফ রহমান হলে ৬২ জন।
এবারের নির্বাচনে ১০টি প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আবিদ-হামিম-মায়েদের নেতৃত্বে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নির্বাচনে রয়েছে আলোচনায়।
রোববার দিনভর ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা ঢাবি ক্যাম্পাস জুড়ে জনসংযোগ চালিয়েছেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বামপন্থি সংগঠনগুলো এবার এক থাকতে পারেনি। তাদের একাংশ ইমি-বসুর নেতৃত্বে গঠন করেছে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’। আবার তিন বাম সংগঠন (ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাসদ ছাত্রলীগ) ঘোষণা করেছে ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল।
এদিকে চব্বিশের আন্দোলন থেকে উঠে আসা বৈষম্যবিরোধীরাও তিন শামিয়ানায় আছেন। কাদের-বাকেরের নেতৃত্বে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, উমামার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ ও খালিদ-মাহিনের নেতৃত্বে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল এই নির্বাচনে লড়াই করছে।
এর বাইরেও প্যানেল দিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার পরিষদ (ডাকসু ফর চেঞ্জ)। জুবায়ের-মোসাদ্দেকের নেতৃত্বে আংশিক প্যানেলও রয়েছে একটি। আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
ভোটের তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিলেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে ডাকসু ও হল সংসদে। এবার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন জন ভোটার আটটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন। এসব ভোটকেন্দ্রে মোট বুথ থাকবে ৮১০টি।
ডাকসু নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল রোববার। এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা নিজেদের পরিচিতি ও লিফলেট বিতরণ করেন সবার মধ্যে। ছবি: ফোকাস বাংলা
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদ নির্বাচনে প্রার্থীদের প্রচার শেষ হলো। শেষ দিনের প্রচারে জমজমাট পরিবেশে বিরাজমান করেছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) ক্যাম্পাসে। শিক্ষার্থীরা বলছেন, এমন উৎসবমুখর পরিবেশে প্রতিবছর ডাকসু নির্বাচন হবে— এমনটিই প্রত্যাশা তাদের।
ভোটাররা বলছেন, ছয় বছরের বিরতিতে এবার যে ডাকসু নির্বাচন হচ্ছে, তা অনেক বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। সবচেয়ে বেশি প্রার্থীর অংশ নিচ্ছেন এবারের নির্বাচনে। জুলাই অভ্যুত্থান-পরবর্তী সময়ে মুক্ত রাজনৈতিক পরিবেশে বাধাহীনভাবে সবাই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছেন। এমনকি নব্বইয়ের অভ্যুত্থানের পর ঢাবি ক্যাম্পাসে সব সংগঠন মিলে যে ছাত্রশিবিরের রাজনীতি নিষিদ্ধ করেছিল, তারাও এ নির্বাচনে পূর্ণাঙ্গ প্যানেল নিয়ে লড়াই করছে।
৯ সেপ্টেম্বর ডাকসু নির্বাচন সামনে রেখে রোববার (৭ সেপ্টেম্বর) ছিল প্রার্থীদের প্রচারের শেষ দিন। এ দিন দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হলো প্রচার। আর ৩২ ঘণ্টা পরেই শুরু হবে চূড়ান্ত ভোটযুদ্ধ।
ডাকসু নির্বাচনে শেষ দিনের প্রচারে বড় চমক ছিল ছাত্রদল সমর্থিত প্যানেলের আট দফা শপথ পাঠ। এতে ডাকসু ও হল সংসদে ছাত্রদলের প্রার্থীরা উপস্থিত ছিলেন। শপথ পাঠ শেষে ছাত্রদলের প্যানেলটি ক্যাম্পাস এলাকায় প্রচার চালায়। সন্ধ্যায় তাদের প্রচার ছিল কার্জন হল এলাকায়। ছাত্রদল নেতারা ব্বলছেন, প্রচারে তারা ভোটারসহ সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে বেশ ইতিবাচক সাড়া পেয়েছেন।
বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদের প্রার্থীরা রোববার সকাল থেকেই প্রচারে।নেমেছিলেন। ভিপি প্রার্থী আব্দুল কাদেরসহ প্যানেলের অন্য প্রার্থীরা মধুর ক্যানটিন ও কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি এলাকায় প্রচার চালান।
রোববার ডাকসু নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলের প্রার্থীরা শপথ নেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
এ দিন প্রতিরোধ পর্ষদের সাধারণ সম্পাদক (জিএস) প্রার্থী মেঘমল্লার বসু দুপুর ২টার দিকে হাসপাতাল থেকে রিলিজ নিয়ে সরাসরি মধুর ক্যানটিনে এসে সংবাদ সম্মেলনে করেন এবং পরে নির্বাচনি প্রচার চালান। মেঘমল্লার বলেন, আপনারা যাকে খুশি তাকে ভোট দিন, কিন্তু ৯ তারিখ প্লিজ প্লিজ ভোট দিতে আসুন। আপনারা ভোট দিতে আসলে সব ইকুয়েশন বদলে যাবে।
স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য প্যানেলের ভিপি প্রার্থী উমামা ফাতেমা বিভিন্ন আবাসিক হল ছাড়াও ক্যাম্পাস এলাকায় প্রচার চালান। শেষ দিনের প্রচারে ভালো সাড়া পাচ্ছেন বলে জানান এই প্রার্থী।
এ ছাড়া ছাত্রশিবির সমর্থিত প্যানেল, বাম জোটের ‘অপরাজেয় ৭১, অদম্য ২৪’ প্যানেল, ছাত্র অধিকার পরিষদের ‘ডাকসু ফর চেঞ্জ’সহ অন্যান্য প্যানেলের প্রার্থীরা সরব ছিলেন প্রচারে। ক্যাম্পাস জুড়ে পুরোদমে প্রচার চালিয়েছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
এবার ডাকসুতে ২৮টি পদের বিপরীতে ৪৭১ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। এর মধ্যে সহসভাপতি (ভিপি) পদে ৪৫ জন, সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ১৯ জন, সহসাধারণ সম্পাদক (এজিএস) পদে ২৫ জন প্রার্থী হয়েছেন।
প্রতিরোধ পর্ষদের জিএস প্রার্থী মেঘমল্লার বসু সদ্য অ্যাপেনডিক্স অস্ত্রোপচার শেষে ডাকসু নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিনের কার্যক্রমে যোগ দেন প্যানেলের সঙ্গে। ছবি: ফোকাস বাংলা
সম্পাদকীয় পদের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ ও গণতান্ত্রিক আন্দোলন সম্পাদক পদে ১৭ জন, কমনরুম, রিডিংরুম ও ক্যাফেটেরিয়া সম্পাদক পদে ১১ জন, আন্তর্জাতিক সম্পাদক পদে ১৪ জন, সাহিত্য ও সাংস্কৃতিক সম্পাদক পদে ১৯ জন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক পদে ১২ জন, গবেষণা ও প্রকাশনা সম্পাদক পদে ৯ জন, ক্রীড়া সম্পাদক পদে ১৩ জন, ছাত্র ও পরিবহন সম্পাদক পদে ১২ জন, সমাজসেবা সম্পাদক পদে ১৭ জন, স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পাদক পদে ১৫ জন, মানবাধিকার ও আইনবিষয়ক সম্পাদক পদে ১১ জন এবং ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট সম্পাদক পদে ১৫ জন লড়াই করছেন। আর ১৩টি সদস্য পদে প্রার্থীর সংখ্যা ২১৭।
এদিকে ১৮টি হলের প্রতিটিতে ১৩টি করে পদে মোট এক হাজার ৩৫ জন প্রার্থী চূড়ান্তভাবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন। এর আগে এক হাজার ১০৯টি মনোনয়নপত্র জমা পড়েছিল, যার মধ্যে ৭৩ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেছেন।
হল সংসদের জন্য হলভিত্তিক প্রার্থীর সংখ্যা হলো— ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ হলে ৫৯ জন, বাংলাদেশ-কুয়েত মৈত্রী হলে ৩১ জন, সলিমুল্লাহ মুসলিম হলে ৬২ জন, জগন্নাথ হলে ৫৫ জন, ফজলুল হক মুসলিম হলে ৫৮ জন, শহিদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হলে ৭৫ জন, রোকেয়া হলে ৪৫ জন, সূর্যসেন হলে ৭৫ জন, হাজী মুহম্মদ মুহসীন হলে ৬০ জন, শামসুন নাহার হলে ৩৫ জন, কবি জসীম উদ্দীন হলে ৬৮ জন, মুক্তিযোদ্ধা জিয়াউর রহমান হলে ৭৩ জন, শেখ মুজিবুর রহমান হলে ৫৯ জন, শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব হলে ৩৬ জন, অমর একুশে হলে ৭৬ জন, কবি সুফিয়া কামাল হলে ৩৮ জন, বিজয় একাত্তর হলে ৬৮ জন ও স্যার এ এফ রহমান হলে ৬২ জন।
এবারের নির্বাচনে ১০টি প্যানেল ছাড়াও স্বতন্ত্রভাবে প্রার্থীরা অংশ নিচ্ছেন। এর মধ্যে আবিদ-হামিম-মায়েদের নেতৃত্বে ছাত্রদল ও শিবির সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ শিক্ষার্থী জোট’ নির্বাচনে রয়েছে আলোচনায়।
রোববার দিনভর ডাকসু নির্বাচনের প্রার্থীরা ঢাবি ক্যাম্পাস জুড়ে জনসংযোগ চালিয়েছেন। ছবি: ফোকাস বাংলা
ঢাবি ক্যাম্পাসে ক্রিয়াশীল বামপন্থি সংগঠনগুলো এবার এক থাকতে পারেনি। তাদের একাংশ ইমি-বসুর নেতৃত্বে গঠন করেছে ‘প্রতিরোধ পর্ষদ’। আবার তিন বাম সংগঠন (ছাত্র ইউনিয়নের একাংশ, সমাজতান্ত্রিক ছাত্রফ্রন্ট ও জাসদ ছাত্রলীগ) ঘোষণা করেছে ‘অপরাজেয় ৭১-অদম্য ২৪’ প্যানেল।
এদিকে চব্বিশের আন্দোলন থেকে উঠে আসা বৈষম্যবিরোধীরাও তিন শামিয়ানায় আছেন। কাদের-বাকেরের নেতৃত্বে ‘বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থী সংসদ’, উমামার নেতৃত্বে ‘স্বতন্ত্র শিক্ষার্থী ঐক্য’ ও খালিদ-মাহিনের নেতৃত্বে ‘সমন্বিত শিক্ষার্থী সংসদ’ প্যানেল এই নির্বাচনে লড়াই করছে।
এর বাইরেও প্যানেল দিয়েছে ইসলামী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার পরিষদ (ডাকসু ফর চেঞ্জ)। জুবায়ের-মোসাদ্দেকের নেতৃত্বে আংশিক প্যানেলও রয়েছে একটি। আছেন স্বতন্ত্র প্রার্থীরাও।
ভোটের তফসিল অনুযায়ী, আগামীকাল মঙ্গলবার (৯ সেপ্টেম্বর) সকাল ৮টা থেকে বিলেল ৪টা পর্যন্ত ভোট নেওয়া হবে ডাকসু ও হল সংসদে। এবার ৩৯ হাজার ৭৭৫ জন জন ভোটার আটটি ভোটকেন্দ্রে ভোট দেবেন। এসব ভোটকেন্দ্রে মোট বুথ থাকবে ৮১০টি।
ডাকসু নির্বাচনের প্রচারের শেষ দিন ছিল রোববার। এ দিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসের বিভিন্ন স্থানে প্রার্থীরা নিজেদের পরিচিতি ও লিফলেট বিতরণ করেন সবার মধ্যে। ছবি: ফোকাস বাংলা
জুলাই অভ্যুত্থানের এক বছর পর এসে জানা যাচ্ছে, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল– এই দুজনকে সুনির্দিষ্ট দায়িত্ব দিয়ে আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতৃত্বে আনার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করেছেন শেখ হাসিনা। পাশাপাশি ভূমিকা থাকবে শেখ রেহানার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববিরও।
৭ ঘণ্টা আগেমিয়া গোলাম পরওয়ার আরও বলেন, প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দীর্ঘদিন ধরে ধর্মীয় শিক্ষক নিয়োগের দাবি জানানো হলেও এ বিষয়ে কোনো উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে না। বরং এর পরিবর্তে নৃত্য, গান, বাজনা শেখানোর জন্য শিক্ষক নিয়োগের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে, যা আমাদের কাছে অত্যন্ত দুঃখজনক ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত হিসেবে বিবেচিত হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগেহারুনুর রশিদ বলেন, ‘এনসিপির যে কোনো স্থানে যে কোনো কার্যক্রম দেখেই বোঝা যাচ্ছে তারা অন্তর্বর্তী সরকারের আশীর্বাদপুষ্ট। সরকারের পক্ষ থেকে দলটিকে বিভিন্ন ধরনের সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হচ্ছে। এটি মোটেও কাম্য নয়।’
২১ ঘণ্টা আগেহাসনাত আব্দুল্লাহ বলেন, এনসিপি হলো ইনসাফের পক্ষে। আপনি যদি ইনসাফের পক্ষে থাকেন, তাহলে ধরে নিবো আপনি এনসিপির পক্ষের লোক। এনসিপি করে বেইনসাফি কাজ করার কোনো সুযোগ নেই। এনসিপির নেতা হয়ে বেইনসাফি কাজ করে প্রোগ্রামে হাজার হাজার লোক নিয়ে আসেন, সেটা আমাদের দরকার নেই।
১ দিন আগে