প্রশাসনকে ত্রাণ বিতরণে সমন্বয় করতে হবে: সাকি

কুমিল্লা প্রতিনিধি

বন্যার্ত মানুষের পরিস্থিতি সরেজমিনে দেখতে কুমিল্লায় এসেছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।

সোমবার (২৬ আগস্ট) দুপুর থেকে শুরু করে সন্ধ্যা পর্যন্ত কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের পাঁচশত বন্যাদুর্গত মানুষের মাঝে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ করে গণসংহতি আন্দোলন।

বন্যার্ত মানুষের মাঝে ত্রাণ বিতরণ শেষে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, স্মরণকালের ভয়াবহ বন্যার কবলে কুমিল্লার মানুষ। বন্যার্তের সহযোগিতায় শিক্ষার্থীরাসহ বাংলাদেশের আপামর জনসাধারণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেছে। দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে স্বেচ্ছাসেবী ও সামাজিক সংগঠন ত্রাণ নিয়ে এসেছে। কিন্তু দুর্গম এলাকা সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকায় সবার কাছে ত্রাণ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে না। আবার অনেকে কাছাকাছি জায়গায় ত্রাণ দেওয়ায় কেউ বার বার পাচ্ছে, কেউ কেউ একবারও পাচ্ছে না।

জোনায়েদ সাকি বলেন, এই মুহূর্তে সারা দেশে ত্রাণ তৎপরতাকে আরও জোরদার করা এবং একটা সমন্বয়ের মাধ্যমে সকলের কাছে যাতে সহায়তা পৌঁছে তার ব্যবস্থা করা জরুরি। পরবর্তীতে সরকার, রাজনৈতিক দল ও বেসরকারি সংস্থার সমন্বয়ে পুনর্বাসন কার্যক্রম চালাতে হবে যাতে করে বন্যার ক্ষয়ক্ষতিকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা যায়।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের বন্যা একদিকে যেমন জলবায়ু পরিবর্তনজনিত কারণে যে নতুন পরিস্থিতির উদ্ভব হচ্ছে তার ফলে হচ্ছে, অন্যদিকে উজানে ভারত কর্তৃক অভিন্ন নদীতে অসংখ্য বাঁধ তৈরির ফলে যেভাবে নদীর নাব্যতা কমে যাচ্ছে, তাতে বর্ষা মৌসুমে নদীগুলো পানি ধারণ করার ক্ষমতা হারিয়ে ফেলছে। ফলে নদীর পানির ন্যায্য হিস্যা আদায় এবং দেশের ভেতরে নদী ও খাল খনন, নদী দখল প্রতিরোধ ইত্যাদি দীর্ঘ মেয়াদে রাজনৈতিক সংগ্রামের বিষয় না হলে এই বিপর্যয় থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে না। ফলে স্বল্প এবং দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা নিয়ে আমাদের যে কোনো প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে মোকাবিলা করতে হবে।

ত্রাণসামগ্রী বিতরণকালে উপস্থিত ছিলেন গণসংহতি আন্দোলনের সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য বাচ্চু ভূঁইয়া, গণসংহতি আন্দোলন কুমিল্লা জেলার সদস্য সচিব হাবিবুর রহমান লিটন, সদর দক্ষিণ উপজেলার আহ্বায়ক মাহাবুবুর রহমান মজুমদার, জেলা কমিটির সদস্য সজীব দেবনাথ, সদর উপজেলা সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশন ঢাকা মহানগরের সভাপতি আল আমীন রহমানসহ স্থানীয় নেতারা।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

৯ প্যানেলে জমজমাট ডাকসু— কোন প্যানেলে প্রার্থী কারা

ছয় বছরের বিরতিতে হতে যাওয়া ডাকসু নির্বাচন ঘিরে বহুমুখী লড়াইয়ের আভাস ছিল আগে থেকেই। মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিনে একে একে প্যানেলগুলো ঘোষণা হতে থাকলে সে আভাসের সত্যতা মিলেছে। দিন শেষে ভোটযুদ্ধে অবতীর্ণ মোট প্যানেলের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৯টিতে। প্যানেলগুলো আলাদা আলাদা নামও পেয়েছে।

২১ ঘণ্টা আগে

কয়েক দিনের মধ্যে অদ্ভুত এক ঘটনা ঘটতে যাচ্ছে: মেজর হাফিজ

তিনি বলেন, ‘একাত্তরে রক্তক্ষয়ী মহান মুক্তিযুদ্ধ সংঘটিত হয়েছিল। সেই যুদ্ধ শুরু করেছিলেন আমাদের নেতা মেজর জিয়াউর রহমান। রাজনৈতিক দলগুলো যখন পৃষ্ঠ প্রদর্শন করেছে, জনগণকে আশার বাণী শোনানোর জন্য কাউকে যখন খুঁজে পাওয়া যায়নি, সেই মাহেন্দ্রক্ষণে জনতার কণ্ঠস্বর হয়ে আবির্ভূত হয়েছিলেন মেজর জিয়াউর রহমান।

১ দিন আগে

সরকারের ভেতরে সরকার আছে: জি এম কাদের

জি এম কাদের বলেন, দেশ অনিশ্চয়তার পথে চলছে। এই সরকারের কাছে ভালো একটি নির্বাচনের প্রত্যাশা ছিল সবার। কিন্তু আমরা দেখছি, এই সরকারের ভেতরে সরকার আছে। একটি অদৃশ্য ছায়া অনেক উপদেষ্টাকে সঠিকভাবে কাজ করতে দিচ্ছে না। এসব কারণে দেশে নির্বাচন করার উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে পারেনি সরকার।

১ দিন আগে

ডাকসুতে প্রতি পদে ১৮ প্রার্থী, মনোনয়ন জমা দেননি ১৪৯ জন

এদিকে মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেও জমা দেননি ১৪৯ জন শিক্ষার্থী। সে হিসাবে মনোনয়ন নেওয়া প্রায় এক-চতুর্থাংশ শিক্ষার্থী সরে দাঁড়িয়েছেন বাছাইয়ে যাওয়ার আগেই।

১ দিন আগে