গণতন্ত্র মঞ্চের কর্মসূচিতে পুলিশের বাধা-হামলার অভিযোগ

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ছবি: সংগৃহীত

গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলি কর্মসূচিতে বাধা দেওয়া ও হামলার অভিযোগ উঠেছে পুলিশের বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার মতিঝিল থেকে ধূপখোলা পর্যন্ত গণসংযোগ ও প্রচারপত্র বিলির পূর্বঘোষিত এই কর্মসূচিতে এমন ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ করেন সংগঠনটির নেতাকর্মীরা।

সংগঠনটির নেতাকর্মীরা জানান, পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী ভোট বর্জনের জন্য গণসংযোগ পূর্ব সমাবেশে নেতারা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য শেষে মঞ্চের নেতারা মিছিল শুরু করতে গেলে পুলিশ বাধা দেয় ও হামলা করে। হামলায় বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হকসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মী আহত হন।

এর আগে সমাবেশ স্থলে আসার পথে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) মিছিলেও কয়েক দফায় বাধা ও ব্যানার কেড়ে নেওয়া হয়েছে বলেও অভিযোগ করা হয়েছে।

এদিকে ‘একতরফা ভোট বর্জন করুন’ এই আহ্বান নিয়ে মতিঝিল বাংলাদেশ ব্যাংকের সামনে থেকে গণতন্ত্র মঞ্চের গণসংযোগপূর্ব সমাবেশ অনুষ্ঠান হয়।

নাগরিক ঐক্যের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল্লাহ কায়সারের সভাপতিত্বে সমাবেশে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) এর সাধারণ সম্পাদক শহীদ উদ্দিন মাহমুদ স্বপন, রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলনের সাংগঠনিক সমম্বয়ক ইমরান ইমন ও ভাসানী অনুসারী পরিষদের যুগ্ম আহ্বায়ক ড. আবু ইউসুফ সেলিম।

সমাবেশ থেকে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল জেএসডির মিছিলে পুলিশের হামলার নিন্দা জানানো হয়।

নেতারা বলেন, আওয়ামী লীগ বলছে ভোট কেন্দ্রে ভোটার আনাই সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন হলে উৎসব করে ভোট দিতে যায় মানুষ। চাপ দিয়ে সামাজিক নিরাপত্তাভোগীদের কার্ড জমা রেখে ভোট কেন্দ্রে যেতে বাধ্য করতে চাচ্ছে।

তারা আরো বলেন, সরকার একটা ডামি নির্বাচন আয়োজন করতে পুলিশ, প্রশাসনকে দলীয় অঙ্গসংগঠনের মতো ব্যবহার করছ। পুলিশ-গোয়েন্দা সংস্থা ও বিভিন্ন বাহিনীকে দিয়ে আওয়ামী লীগ এখন জনগণকে জোর করে ভোট কেন্দ্রে নিতে চায়। স্বৈরাচারের ঐতিহাসিক পরিণতির জন্য আপনাদের অপেক্ষা করতে হবে। সিপিডির গবেষণায় দেখা গেছে লক্ষ কোটি টাকা লুট হয়েছে। রাজনৈতিক বাগাড়ম্বর বাদ দিয়ে যথাযথ অনুসন্ধান করুন। অর্থমন্ত্রীর দেখা নাই বাজেটের পর থেকে। সরকারের স্বেচ্ছাচারিতায় দেশ আরো বিপদে পড়বে। এর জন্য দায়ী থাকবেন বর্তমান সরকার।

নেতারা স্পষ্ট করে বলেন, অবিলম্বে সংবাদ সংসদ ভেঙে দিন। সব দলের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে সংবিধানের ১২৩(৩)এর (খ) অনুযায়ী পরবর্তী ৯০ দিনের নির্বাচনের আয়োজন করুন। অন্যথায় দেশকে ভয়াবহ সংকট থেকে উদ্ধার করা যাবে না।

গণতন্ত্র মঞ্চের আগামীকাল বুধবার বেলা সাড়ে ১১টায় মালিবাগ হোসাফ টাওয়ারের সামনে সমাবেশ ও মগবাজার অভিমুখে গণসংযোগ-মিছিল কর্মসূচি পালন করবে বলেও ঘোষণা দিয়েছে।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

পিআর পদ্ধতি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে: ফখরুল

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘হঠাৎ করে পিআর পদ্ধতির দাবি সামনে এনে আন্দোলন করার বিষয়টি পরিষ্কার নয়। বিষয়টি আগামী সংসদের ওপর ছেড়ে দিতে হবে। সেখানে সিদ্ধান্ত হবে পরবর্তী নির্বাচন কোন পদ্ধতিতে হবে।’

১৫ ঘণ্টা আগে

মামলা থেকে মির্জা আব্বাস দম্পতিকে অব্যাহতি

১৬ ঘণ্টা আগে

বিদ্যুৎ বিভ্রাটে ক্ষুব্ধ সারজিস, বললেন কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব

সারজিস আলম বলেন, এক দিন হইত, দুই দিন হইত কিচ্ছু বলতাম না। তিন দিনের তিন দিনই এটা হইছে। যারা এটা করছে, তারা হচ্ছে রাজনৈতিক... (প্রকাশ অযোগ্য শব্দ)। এই রাজনৈতিক দেউলিয়াদের আমরা দেখে নেব তাদের কলিজা কত বড় হইছে। কলিজা ছিঁড়ে রাস্তায় ফেলে রাখব।

১ দিন আগে

৫ দাবিতে ৩য় দফায় কর্মসূচি ঘোষণা জামায়াতের

নতুন ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আগামী মঙ্গলবার (১৪ অক্টোবর) মানববন্ধন হবে ঢাকাসহ দেশের সব বিভাগীয় শহরে। পরদিন বুধবার (১৫ অক্টোবর) একই কর্মসূচি পালন করা হবে দেশের সব জেলা সদরে।

১ দিন আগে