
আবদুল গাফফার রনি

১৯০৫ সাল। বাংলাকে দুভাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন বড় লাট কার্জন। এর পক্ষে-বিপক্ষে মানুষের অভাব নেই। কিন্তু পক্ষের লোকগুলো চুপচার, তাঁদের স্বার্থরক্ষা হয়েছে বলে। কিন্তু বাংলাকে যাঁরা কিছুতেই ভাগ হতে দিতে চান না, তাঁরা সরব গোটা বাংলা জুড়ে। আন্দোলন, মিছিল স্লোগান চলছে। রবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো বাংলা ভাগের প্রতিবাদে ‘আমার সোনার বাংলা’; যেটা আমাদের এখনকার জাতীয় সংগীত- এই গানটা লিখে ফেলেছেন। স্কুল কলেজেও চলছে আন্দোলন। বিশেষ করে পূর্ববাংলায়।
সে বছরই ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হয়েছেন কালিয়াকৈরের শেওড়াতলি গ্রামের দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থী মেঘনাদ সাহা। পরে যিনি বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে দুনিয়াজুড়ে নাম করেছিলেন। ভালোই চলছিল, হঠাৎ একদিন খবর এলো, শিগগির স্কুল পরিদর্শনে আসবেন পূর্ব বাংলার গভর্নর বামফিল্ড ফুলার।
স্কুলে সাজ সাজ রব। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাজিয়ে-গুছিয়ে অপেক্ষা করছেন গভর্নরের জন্য। তবে সবাই নয়। একদল শিক্ষার্থী প্রস্তুত হয়েই ছিল। এরা আসলে বাংলা ভাগ মানতে পারেনি। তাই মোক্ষম দিনে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেয়। ফুলার সাহেব কলেজে উপস্থিত হওয়া মাত্র তারা মিছিল করে, ‘বঙ্গভঙ্গ মানি না, মানবা না’ বলে। মেঘনাদ সাহাও ছিলেন সেই দলে।
এই প্রতিবাদ মিছিলকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর কয়েকদিনের মধ্যে আরো অনেক প্রতিবাদীর সঙ্গে বালক মেঘনাদ সাহাকেও বহিষ্কার করা হয়। কলেজিয়েট স্কুল হচ্ছে বর্তমান পুরোনো ঢকার বাংলাবাজার-সদরঘাট রোডে শুরুতে ডান হাতে পড়ে। বর্তমান বাংলাবাজেরর ভেতরের দিকেই নর্থ ব্রুক হল রোডে আরেকটি কলেজ আছে। তার নাম কিশোরীলাল জুবলি কলেজ বা কে এল জুবলি কলেজ। এই কলেজের তৎকালীন এক শিক্ষক শুনেছিলেন কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের বীরত্বের কথা। সেই শিক্ষকই মেঘনাদ সাহাকে নিয়ে এসে ভরতি করিয়ে দেন কিশোরীলাল জুবলি কলেজে। সেখান থেকেই মেঘনাদ সাহা স্কুল জীবন শেষ করেন।

১৯০৫ সাল। বাংলাকে দুভাগ করার ঘোষণা দিয়েছেন বড় লাট কার্জন। এর পক্ষে-বিপক্ষে মানুষের অভাব নেই। কিন্তু পক্ষের লোকগুলো চুপচার, তাঁদের স্বার্থরক্ষা হয়েছে বলে। কিন্তু বাংলাকে যাঁরা কিছুতেই ভাগ হতে দিতে চান না, তাঁরা সরব গোটা বাংলা জুড়ে। আন্দোলন, মিছিল স্লোগান চলছে। রবনীন্দ্রনাথ ঠাকুর তো বাংলা ভাগের প্রতিবাদে ‘আমার সোনার বাংলা’; যেটা আমাদের এখনকার জাতীয় সংগীত- এই গানটা লিখে ফেলেছেন। স্কুল কলেজেও চলছে আন্দোলন। বিশেষ করে পূর্ববাংলায়।
সে বছরই ঢাকা কলেজিয়েট স্কুলে ভর্তি হয়েছেন কালিয়াকৈরের শেওড়াতলি গ্রামের দরিদ্র-মেধাবী শিক্ষার্থী মেঘনাদ সাহা। পরে যিনি বিখ্যাত পদার্থবিজ্ঞানী হিসেবে দুনিয়াজুড়ে নাম করেছিলেন। ভালোই চলছিল, হঠাৎ একদিন খবর এলো, শিগগির স্কুল পরিদর্শনে আসবেন পূর্ব বাংলার গভর্নর বামফিল্ড ফুলার।
স্কুলে সাজ সাজ রব। শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা সাজিয়ে-গুছিয়ে অপেক্ষা করছেন গভর্নরের জন্য। তবে সবাই নয়। একদল শিক্ষার্থী প্রস্তুত হয়েই ছিল। এরা আসলে বাংলা ভাগ মানতে পারেনি। তাই মোক্ষম দিনে প্রতিবাদের সিদ্ধান্ত নেয়। ফুলার সাহেব কলেজে উপস্থিত হওয়া মাত্র তারা মিছিল করে, ‘বঙ্গভঙ্গ মানি না, মানবা না’ বলে। মেঘনাদ সাহাও ছিলেন সেই দলে।
এই প্রতিবাদ মিছিলকে মোটেই ভালোভাবে নেয়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এর কয়েকদিনের মধ্যে আরো অনেক প্রতিবাদীর সঙ্গে বালক মেঘনাদ সাহাকেও বহিষ্কার করা হয়। কলেজিয়েট স্কুল হচ্ছে বর্তমান পুরোনো ঢকার বাংলাবাজার-সদরঘাট রোডে শুরুতে ডান হাতে পড়ে। বর্তমান বাংলাবাজেরর ভেতরের দিকেই নর্থ ব্রুক হল রোডে আরেকটি কলেজ আছে। তার নাম কিশোরীলাল জুবলি কলেজ বা কে এল জুবলি কলেজ। এই কলেজের তৎকালীন এক শিক্ষক শুনেছিলেন কলেজিয়েট স্কুলের শিক্ষার্থীদের বীরত্বের কথা। সেই শিক্ষকই মেঘনাদ সাহাকে নিয়ে এসে ভরতি করিয়ে দেন কিশোরীলাল জুবলি কলেজে। সেখান থেকেই মেঘনাদ সাহা স্কুল জীবন শেষ করেন।

এতে বলা হয়েছে, ইতোপূর্বে হবিগঞ্জ জেলাধীন চুনারুঘাট উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি সৈয়দ লিয়াকত হাসান স্বেচ্ছায় দল থেকে পদত্যাগ করেছিলেন। আবেদনের প্রেক্ষিতে তার পদত্যাগপত্র প্রত্যাহার করা হয়েছে।
১৬ ঘণ্টা আগে
ভিডিও বার্তায় আখতার হোসেন বলেন, ‘মৃত্যুদণ্ডই শেখ হাসিনার জন্য উপযুক্ত বিচার। এই রায় কার্যকর করার মধ্য দিয়ে গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধের ন্যায়বিচার করা সম্ভব হবে। সরকারের প্রতি আহ্বান জানাই, অতি দ্রুত সময়ের মধ্যে এই রায় সরকারকে কার্যকর করতে হবে।’
১৬ ঘণ্টা আগে
পোস্টে তিনি আরও লিখেছেন, এই সংকটময় সময়ে আমি আবারও স্মরণ করিয়ে দিতে চাই- আমাদের সংগ্রাম কারও বিরুদ্ধে নয়, আমাদের সংগ্রাম ন্যায়, অধিকার, গণতন্ত্র ও স্বাধীনতার পক্ষে। আমরা চাই এমন একটি বাংলাদেশ, যেখানে সব নাগরিক নিরাপদে মত প্রকাশ করতে পারে, যেখানে বিচার হবে নিরপেক্ষ এবং যেখানে পরিবর্তন আসবে শান্তিপূর্ণ
১৬ ঘণ্টা আগে
দলীয় সূত্রের তথ্যানুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন ঘিরে দলীয় মনোনয়নকে কেন্দ্র করে সৃষ্টি হওয়া অস্থিরতা, বিভিন্ন জেলায় বিক্ষোভ–অসন্তোষের পরিস্থিতি এবং সাংগঠনিক দুর্বলতা, এসব ইস্যু আজকের আলোচনায় গুরুত্ব পাবে।
১৭ ঘণ্টা আগে