প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
ভারতের লোকসভায় পাশ হওয়া ওয়াক্ফ সংশোধন বিলটি দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকার খর্ব করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিলটি পুনর্বিবেচনার দাবিও জানিয়েছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সকল ধর্মাবলম্বীর অধিকার রক্ষা করা দেশটির রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আইনটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ওয়াকফ হলো ইসলামি দানের একটি প্রাচীন ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্থায়ীভাবে সাধারণত জমির মতো কোনো সম্পত্তি ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। এ ধরনের ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা কারও নামে হস্তান্তর করা যায় না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যার ১৪% অর্থাৎ প্রায় ২০ কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহ্য, অধিকার, সংস্কৃতি ও স্বার্থবিরোধী এই আইনকে অপব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
‘এই আইন ইসলামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। ভারতে ওয়াক্ত বোর্ডগুলোর অধিনে প্রায় ১০ লক্ষ একর সম্পত্তির মধ্যে অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানার মতো জনকল্যাণ মূলক কাজে।’
‘নতুন আইনে পরিচালনা বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, যার ফলে মুসলিম নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে। মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে হস্থক্ষেপের কারনে এবং বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকা দেখা দিতে পারে এ রকম কোন পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গ্রহণ করা সমিচীন নয় বলে আমরা মনে করি।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল `ল` বোর্ডের মতো সংগঠনগুলোর মতে এই আইন ইসলামি ওয়াক্ত ব্যবস্থার মূল চেতনার পরিপন্থী। তাদের মতে ওয়াকফ বোর্ডের পরিচালনা মুসলমানদের দ্বারাই হওয়া উচিত। তারা একে মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল বলে অভিমত দিয়েছেন।’
আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এই আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বী নগরিকদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বের ভূমিকাকে সমুন্নত রেখে উক্ত আইনটি ভারত সরকার পুনঃবিবেচনা করবে।’
ভারতের লোকসভায় পাশ হওয়া ওয়াক্ফ সংশোধন বিলটি দেশটির সংখ্যালঘু মুসলমানদের অধিকার খর্ব করবে বলে জানিয়েছে বিএনপি। রোববার (৬ এপ্রিল) দুপুরে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে বিলটি পুনর্বিবেচনার দাবিও জানিয়েছে দলটি।
সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে সকল ধর্মাবলম্বীর অধিকার রক্ষা করা দেশটির রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব। আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে আইনটি পুনর্বিবেচনা করা উচিত।’
তিনি বলেন, ‘ওয়াকফ হলো ইসলামি দানের একটি প্রাচীন ব্যবস্থা। এর মাধ্যমে কোনো ব্যক্তি স্থায়ীভাবে সাধারণত জমির মতো কোনো সম্পত্তি ধর্মীয় বা জনহিতকর কাজে ব্যবহারের জন্য দান করেন। এ ধরনের ওয়াকফ সম্পত্তি বিক্রি করা বা কারও নামে হস্তান্তর করা যায় না।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, ‘ভারতের জনসংখ্যার ১৪% অর্থাৎ প্রায় ২০ কোটি মুসলমানদের ধর্মীয় ঐতিহ্য, অধিকার, সংস্কৃতি ও স্বার্থবিরোধী এই আইনকে অপব্যবহারের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে।’
‘এই আইন ইসলামী ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানসমূহের পরিচালনার ক্ষেত্রে ব্যাপক বিপর্যয়কর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। ভারতে ওয়াক্ত বোর্ডগুলোর অধিনে প্রায় ১০ লক্ষ একর সম্পত্তির মধ্যে অধিকাংশই ব্যবহৃত হয় মসজিদ, মাদ্রাসা, কবরস্থান ও এতিমখানার মতো জনকল্যাণ মূলক কাজে।’
‘নতুন আইনে পরিচালনা বোর্ডে অমুসলিম সদস্যদের অন্তর্ভুক্তির বিষয়টি বিতর্কের সৃষ্টি করেছে, যার ফলে মুসলিম নাগরিকদের সাংবিধানিক অধিকার ক্ষুন্ন হতে পারে। মুসলমানদের ধর্মীয় অধিকারে হস্থক্ষেপের কারনে এবং বৈষম্যমূলক আচরণের ফলে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বিনষ্টের আশংকা দেখা দিতে পারে এ রকম কোন পদক্ষেপ রাষ্ট্রীয় পর্যায় থেকে গ্রহণ করা সমিচীন নয় বলে আমরা মনে করি।’
সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোনাল `ল` বোর্ডের মতো সংগঠনগুলোর মতে এই আইন ইসলামি ওয়াক্ত ব্যবস্থার মূল চেতনার পরিপন্থী। তাদের মতে ওয়াকফ বোর্ডের পরিচালনা মুসলমানদের দ্বারাই হওয়া উচিত। তারা একে মুসলিম নাগরিকদের ধর্মীয় অধিকারে সরাসরি হস্তক্ষেপের শামিল বলে অভিমত দিয়েছেন।’
আঞ্চলিক সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি বজায় রাখতে এই আইন বাতিলের আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, ‘ভারত একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র। বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে সকল ধর্মাবলম্বী নগরিকদের ধর্মীয় অধিকার রক্ষায় রাষ্ট্রের অভিভাবকত্বের ভূমিকাকে সমুন্নত রেখে উক্ত আইনটি ভারত সরকার পুনঃবিবেচনা করবে।’
প্রধান অতিথির বক্তব্যে বেগম জিয়া বলেন, দীর্ঘ ১৬ বছর ফ্যাসিস্টদের নির্যাতন, গ্রেপ্তার, অত্যাচার, খুন, গুমের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ধ্বংস করে, এক দলীয় শাসনব্যবস্থা চিরস্থায়ী করতে চেয়েছিল আওয়ামী লীগ শাসকগোষ্ঠী। ছাত্র-জনতার সম্মিলিত অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে। সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে নতুন
৩ ঘণ্টা আগেঅভিযোগ করে তিনি বলেন, 'এই উপদেষ্টা ও অন্তর্বর্তী সরকার আজ পর্যন্ত আমাদের খোঁজ নিতে পারে নাই। আমার ছেলের রক্তের বিনিময়ে ক্ষমতা পেলেও তারা একবারও আমাদের খোঁজ নিল না। এমনকি সারজিস-হাসনাতকে আমরা ১০০টা ফোন দিলেও তারা রিসিভ করে না।'
৬ ঘণ্টা আগেরাশেদ প্রধান বলেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থান এবং ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার পতনের এক বছর পূর্ণ হতে চলেছে। তবুও আমরা এখনো ‘জুলাই সনদ’ প্রকাশ করতে পারছি না। এই ব্যর্থতার দায় কে নেবে? অন্তর্বর্তী সরকার বারবার জুলাই সনদ প্রকাশের নতুন নতুন সময় দিয়েও তা পূরণে ব্যর্থ হয়েছে। রাজনৈতিক দলগুলো একমত হতে পারছে না। আমরা
৬ ঘণ্টা আগেজুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শোক ও বিজয়ের প্রথম বর্ষপূর্তির বিএনপির বিশেষ আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি প্রধান অতিথি হিসেবে ভাষণ দেবেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
৯ ঘণ্টা আগে