অন্তর্বর্তী সরকারে 'কিচেন কেবিনেট' আছে: রিজভী

প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম
আপডেট : ০৫ মার্চ ২০২৫, ১৬: ৫৯

অন্তর্বর্তী সরকারের মধ্যে 'কিচেন কেবিনেট' আছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, আমরা শুনতে পাচ্ছি, 'তারা সরকার প্রধানের কান ভারী করেন এবং উন্নয়নমূলক কোনো সিদ্ধান্ত নিতে দেন না। তাদের কারণে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস একাই কোন সিদ্ধান্ত নিতে পারেন না। তিনি তো প্রধান উপদেষ্টা, প্রধানমন্ত্রীর সমমর্যাদা। তিনি তো উন্নয়নে কিছু সিদ্ধান্ত একাই নিতে পারেন।'

বুধবার (৫ মার্চ) জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এমপিওর দাবিতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচিতে শরিক হয়ে তিনি একথা বলেন। একযোগে দেশের সব নন এমপিও ভুক্ত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এই কর্মসূচি পালন করছে।

রিজভী বলেন, 'যারা সমাজে আলো ছড়ায়, মানুষকে আলোকিত করে তাদেরকে ধরনা দিতে হচ্ছে সচিবালয়ে অথচ যারা বাজারে সিন্ডিকেট করছে, তারা কিন্তু গ্রেপ্তার হন না। এ ব্যাপারে অন্তবর্তী সরকারের কোন ভ্রুক্ষেপ দেখি না। পেটের ক্ষুধা থেকে ননএমপিও ভুক্ত শিক্ষকরা যে দাবি তুলেছেন, তাতে কোন কর্ণপাত করছে না সরকার।'

তিনি বলেন, এ সরকার তো আবু সাঈদে রক্তের সরকার, মুগ্ধের রক্তের সরকার। যারা সমাজে আলো ছড়ায়, তারা খেয়ে বেঁচে থাকার জন্য রাস্তায় অবস্থান করছে অথচ সরকাবের পক্ষ থেকে দাবি দাওয়া পূরণে কোনো আশ্বাস নেই। তার মানে সরকারে কিছু গণবিরোধী আছে।

রিজভী বলেন, এখানে অনেক শিক্ষক আছেন যারা ২৭ বছর ধরে ছাত্র তৈরি করেছেন, যারা সমাজের অনেক দায়িত্ব পালন করছেন। এরা কি দেশের নাগরিক না? তাহলে তাদের থেকে সরকার কেন মুখ ফিরিয়ে নিচ্ছেন? প্রধান উপদেষ্টা তো শিক্ষক বান্ধব, তিনি শিক্ষকদের নিয়েই আন্দোলন করেছেন। তবে তার উপদেষ্টা পরিষদে কিছু গণবিরোধী উপদেষ্টা আছেন, তারা এগুলো হতে দিচ্ছে না। শিক্ষকদের অনাহারে রেখে, তার সন্তানদের অনাহারে রেখে আপনার কি আনন্দ পাবেন? তাদের দিকে প্রধান উপদেষ্টা দৃষ্টি দিতে দিচ্ছেন না কেন?'

রিজভী আরও বলেন, 'ড. আমিনুল ইসলাম একজন মেধাবী, বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ। তার নাম শিক্ষা উপদেষ্টা হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল আবার বিকেলে গণমাধ্যমে দেখলাম তার জায়গায় আরেক জনের নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ড আমিনুল ইসলামের মতো একজন বিশিষ্ট সুনামধন্য ও খ্যাতিমান শিক্ষকের সঙ্গে এমন আচরণ কেন?'

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

যেভাবে আলোচনায় ‘সেফ এক্সিট’, যা বলছেন উপদেষ্টারা

রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন, ‘সেফ এক্সিট’ নিয়ে যে কথাবার্তাগুলো চলছে, সেটি রাজনৈতিক দলগুলোর পক্ষ থেকে অন্তর্বর্তী সরকারের ওপর এক ধরনের চাপ তৈরির চেষ্টা। আদৌ বর্তমান প্রেক্ষাপটে ‘সেফ এক্সিট’ বিষয়টির বাস্তবতা রয়েছে কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন তুলছেন তারা।

১ দিন আগে

'জোটে গেলেও শাপলা প্রতীকেই নির্বাচন করবে এনসিপি'

জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) উত্তরাঞ্চলের মুখ্য সংগঠক সারজিস আলম বলেছেন, ‘`বাংলাদেশের স্বার্থে এনসিপি এককভাবেও আগামী নির্বাচনে যেতে পারে। আবার কোনো অ্যালায়েন্সের মধ্য দিয়েও নির্বাচনে যেতে পারে। তবে, যদি সেটা অ্যালায়েন্স হয়; তাহলে এনসিপি নামেই নির্বাচন করবে। আমরা প্রত্যাশা করছি, শাপলা প্রতীকেই নির্ব

১ দিন আগে

ইসির কাছে নভেম্বরে গণভোট চায় জামায়াত

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের বলেছেন, আমরা আগামী নভেম্বরে গণভোট চাই। এ ছাড়া পিআর পদ্ধতিতে সংসদ নির্বাচনের জন্যও নির্বাচন কমিশনকে (ইসি) প্রস্তুতি রাখতে বলেছি।

১ দিন আগে

ইসির সঙ্গে বৈঠকে জামায়াতের প্রতিনিধি দল

বৈঠকে উপস্থিতে হয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে চারজন নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিব। অন্যদিকে, জামায়াতের পক্ষ থেকে প্রতিনিধি দলে নেতৃত্ব দিয়েছেন নায়েবে আমির সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সহ সদস্য হিসেবে ছিলেন এএইচ এম হামিদুর রহমান আযাদ, অ্যাডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার এবং মতিউর

১ দিন আগে