
প্রতিবেদক, রাজনীতি ডটকম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বেশির ভাগ আসনেই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক নেতা থাকায় সবার নাম ওঠেনি দলীয় প্রার্থীদের তালিকায়। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতাদের অনেকে বিষয়টি দলীয় আনুগত্যের জায়গা থেকে মেনে নিলেও কর্মী-সমর্থক বা অনুসারীদের সবখানে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে, দেশের অন্তত ১৪টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-অনুসারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। অনেক এলাকাতেই তারা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। কোথাও কোথাও ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও।
বিএনপি নেতারা অবশ্য বলছেন, বিএনপির মতো বড় দলে আসনগুলোতে একাধিক প্রার্থী থাকাটা স্বাভাবিক। এর ফলে দল থেকে এক আসনে একজনের বেশি নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ না থাকায় অনেক আসনে সমান যোগ্য নেতাদের মধ্যে থেকেও একজনকে বেছে নিতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে দলের প্রার্থীর তালিকায় না থাকা নেতাদের কর্মী-অনুসারীদের ক্ষোভও অনুমিত। তবে এর জন্য জনভোগান্তি তৈরি করা কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের এ তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ-অবরোধের খবর আসতে থাকে। মঙ্গলবারও (৪ নভেম্বর) বেশ কয়েকটি আসনেই অবরোধ-বিক্ষোভ চলে।
মাদারীপুর-১ আসনে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামাল জামান মোল্লাকে প্রার্থী করার খবরে টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই ঘণ্টার অবরোধে এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত ৯টার পর যান চলাচল শুরু হয়।
এদিকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরদিন আজ মঙ্গলবারই কামাল জামান মোল্লার প্রার্থিতা স্থগিত করেছে বিএনপি। এ দিন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অনিবার্য কারণে’ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
সীতাকুণ্ড তথা চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী না করায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিক স্থানে ব্যারিকেড দেন তার সমর্থকরা। ভাটিয়ারী, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের মধ্যে টায়ারে আগুন দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বেশ কিছু গাড়ি ও দোকান ভাঙচুরও করে।
এ আসনে বিএনপি প্রার্থী করেছে কাজী সালাউদ্দিনকে। তার প্রার্থিতার বিরোধিতা করে সংঘটিত ঘটনাগুলোতে জড়িত থাকার অভিযোগে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কৃত আব্দুর রউফ মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, প্রার্থীর তালিকায় থাকা আব্দুর রউফ আওয়ামী লীগ আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তার সেই বহিষ্কারাদেশ এখনো তুলে নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় তার মনোনয়নকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন তারা।
একই আসনে বিএনপি নেতা আব্দুল আলিম দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। তার অনুসারীরা সোমবার রাতেই বিক্ষোভে নামেন। সাতক্ষীরা বাইপাস মোড়ে মশাল মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা বলেন, এ আসনে প্রার্থিতা পরিবর্তন করা না হলে ‘বৃহত্তর আন্দোলন’ গড়ে তোলা হবে।
সাতক্ষীরা-৩ তথা কালিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাব নেতা ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা। সোমবার রাত ১০টার দিকে কালিগঞ্জের নলতা হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে সানি মার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শহিদুল আলমের কর্মী-সমর্থকরা পরে মঙ্গলবার অর্ধদিবস অর্ধ-দিবস হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এ দিন তারা হাসপাতাল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে মিছিল ও সমাবেশ করেন। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে যানজট তৈরি হয়।
কুষ্টিয়া-৩ তথা সদর আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। এর প্রতিবাদে তার সমর্থকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন।

সোমবার রাতে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরকার।
মেহেরপুর-২ আসনের জন্য দলের ঘোষণা করা প্রার্থী আমজাদ হোসেনকে এলাকায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা। তারা টায়ার জ্বালিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে অবরোধ করেন।
মঙ্গলবার সকালেও সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষ ও ভাঙচুর অব্যাহত ছিল কুষ্টিয়ার এ আসনে। শহরের বেশ কিছু হোটেল ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। আমজাদ হোসেনের কার্যালয় ভাঙচুর করেন মিল্টনের সমর্থকরা, পালটা হামলা হয় মিল্টনের কার্যালয়েও। সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ফরিদগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হারুনুর রশীদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানকে মনোনয়ন না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় সড়ক অবরোধ শুরু হয়। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়ে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানান।
যে ৬৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি তার একটি টাঙ্গাইল-৫। আসনটি বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলোর জন্য উন্মুক্ত রাখা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষে মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেলেও টাঙ্গাইল পৌর উদ্যান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঘাটাইল তথা টাঙ্গাইল-৩ আসনে এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের একাংশের দাবি, নাসির ঘাটাইলের স্থায়ী বাসিন্দা নন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়, ফলে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়।
ময়মনসিংহ-৩ তথা গৌরীপুরে প্রকৌশলী এম ইকবাল হোসাইনের নাম ঘোষণার পরপরই মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত তায়েবুর রহমান হিরণের সমর্থকরা।
শহরের উত্তর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পাটবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মাগুরা-২ আসনে প্রার্থী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর প্রতিবাদে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের সমর্থকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় নিতাই রায় চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাটোর-১ আসনে ফারজানা শারমিনের (পুতুল) নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর পরই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে তার ভাই ইয়াসির আরশাদের সমর্থকেরা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বোনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগও ওঠে। হামলায় জিল্লুর রহমান নামে এক কর্মী আহত হন।
আহত জিল্লুলের রক্তাক্ত ছবি ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০টার দিকে কদিমচিলান এলাকায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আগুন নিভিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
পুতুল-আরশাদের বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল এই আসনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কুমিল্লা সদর তথা কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আমিনুর রশিদ ইয়াসিন। কিন্তু এ আসনে মনোনয়ন পান বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী। এর প্রতিবাদে সোমবার রাত ১১টার দিকে কুমিল্লার আলেখার চর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভে নামেন ইয়াসিনের সমর্থকরা।
বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কের দুই লেনেই টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে শোনা যায়।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ওই আসনে বিএনপির আরেক নেতা এম এ মতিনের সমর্থকরা। মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ফেরিঘাট এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, যা তৃণমূল বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে এম এ মতিনকে প্রার্থী করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির পরিচিতমুখদের মধ্যে প্রার্থীর তালিকায় স্থান পাননি রুমিন ফারহানা, যিনি সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই চূড়ান্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরে যেসব নেতা রাজনীতি করছেন, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের কর্মী-অনুসারীদের হতাশ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তাই বলে অবরোধ-আগুন দিয়ে জনগণের জন্য ভোগান্তি তৈরি করা গ্রহণযোগ্য নয়।
রুমিন ফারহানা বলেন, মনোনয়নবঞ্চিত প্রায় সব নেতাই জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন তারা। আশা করি তাদের কর্মী-সমর্থকরাও শান্ত হয়ে আসবেন।

জাতীয় সংসদ নির্বাচন সামনে রেখে ২৩৭ আসনে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করেছে বিএনপি। বেশির ভাগ আসনেই দলের মনোনয়নপ্রত্যাশী একাধিক নেতা থাকায় সবার নাম ওঠেনি দলীয় প্রার্থীদের তালিকায়। মনোনয়নবঞ্চিত এসব নেতাদের অনেকে বিষয়টি দলীয় আনুগত্যের জায়গা থেকে মেনে নিলেও কর্মী-সমর্থক বা অনুসারীদের সবখানে নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব হয়নি।
বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে উঠে এসেছে, দেশের অন্তত ১৪টি সংসদীয় আসনে মনোনয়নবঞ্চিত প্রার্থীদের কর্মী-অনুসারীরা ব্যাপক বিক্ষোভ করেছেন। অনেক এলাকাতেই তারা সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করেছেন। কোথাও কোথাও ঘটেছে সংঘর্ষের ঘটনাও।
বিএনপি নেতারা অবশ্য বলছেন, বিএনপির মতো বড় দলে আসনগুলোতে একাধিক প্রার্থী থাকাটা স্বাভাবিক। এর ফলে দল থেকে এক আসনে একজনের বেশি নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ না থাকায় অনেক আসনে সমান যোগ্য নেতাদের মধ্যে থেকেও একজনকে বেছে নিতে হয়েছে। সেক্ষেত্রে দলের প্রার্থীর তালিকায় না থাকা নেতাদের কর্মী-অনুসারীদের ক্ষোভও অনুমিত। তবে এর জন্য জনভোগান্তি তৈরি করা কোনো বিচারেই গ্রহণযোগ্য নয়।
সোমবার (৩ নভেম্বর) সন্ধ্যায় গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে প্রার্থীদের এ তালিকা ঘোষণা করেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। এরপর থেকেই দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ-অবরোধের খবর আসতে থাকে। মঙ্গলবারও (৪ নভেম্বর) বেশ কয়েকটি আসনেই অবরোধ-বিক্ষোভ চলে।
মাদারীপুর-১ আসনে শিবচর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক কমিটির সদস্য কামাল জামান মোল্লাকে প্রার্থী করার খবরে টায়ার জ্বালিয়ে ঢাকা-ভাঙ্গা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী সাজ্জাদ হোসেন লাভলু সিদ্দিকীর অনুসারীরা।

স্থানীয়রা জানান, প্রায় দুই ঘণ্টার অবরোধে এক্সপ্রেসওয়ের দুই পাশে তীব্র যানজট তৈরি হয়। পরে সেনাবাহিনী ও পুলিশের হস্তক্ষেপে রাত ৯টার পর যান চলাচল শুরু হয়।
এদিকে প্রার্থী হিসেবে নাম ঘোষণার পরদিন আজ মঙ্গলবারই কামাল জামান মোল্লার প্রার্থিতা স্থগিত করেছে বিএনপি। এ দিন দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ‘অনিবার্য কারণে’ এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি।
সীতাকুণ্ড তথা চট্টগ্রাম-৪ আসনে বিএনপির সাবেক যুগ্ম মহাসচিব আসলাম চৌধুরীকে প্রার্থী না করায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের একাধিক স্থানে ব্যারিকেড দেন তার সমর্থকরা। ভাটিয়ারী, কুমিরা, বাঁশবাড়িয়াসহ বিভিন্ন স্থানে সড়কের মধ্যে টায়ারে আগুন দিলে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বিক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা বেশ কিছু গাড়ি ও দোকান ভাঙচুরও করে।
এ আসনে বিএনপি প্রার্থী করেছে কাজী সালাউদ্দিনকে। তার প্রার্থিতার বিরোধিতা করে সংঘটিত ঘটনাগুলোতে জড়িত থাকার অভিযোগে সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ চারজনকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
সাতক্ষীরা-২ আসনে জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক পদ থেকে বহিষ্কৃত আব্দুর রউফ মনোনয়ন পাওয়ায় স্থানীয় বিএনপির নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভ তৈরি হয়েছে। তারা বলছেন, প্রার্থীর তালিকায় থাকা আব্দুর রউফ আওয়ামী লীগ আমলে স্থানীয় সরকার নির্বাচনে অংশ নিয়ে দল থেকে বহিষ্কৃত হয়েছিলেন। তার সেই বহিষ্কারাদেশ এখনো তুলে নেওয়া হয়নি। এ অবস্থায় তার মনোনয়নকে অস্বাভাবিক বলে মনে করছেন তারা।
একই আসনে বিএনপি নেতা আব্দুল আলিম দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করেছিলেন। তার অনুসারীরা সোমবার রাতেই বিক্ষোভে নামেন। সাতক্ষীরা বাইপাস মোড়ে মশাল মিছিল ও টায়ার জ্বালিয়ে সড়ক অবরোধ করেন তারা। এতে খুলনা-সাতক্ষীরা মহাসড়কে যান চলাচল কিছু সময়ের জন্য বন্ধ থাকে। বিক্ষুব্ধ কর্মী-সমর্থকরা বলেন, এ আসনে প্রার্থিতা পরিবর্তন করা না হলে ‘বৃহত্তর আন্দোলন’ গড়ে তোলা হবে।
সাতক্ষীরা-৩ তথা কালিগঞ্জ ও আশাশুনি উপজেলা নিয়ে গঠিত সংসদীয় আসনে সাবেক সংসদ সদস্য কাজী আলাউদ্দিনকে মনোনয়ন দেওয়ার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ড্যাব নেতা ডা. শহিদুল আলমের সমর্থকেরা। সোমবার রাত ১০টার দিকে কালিগঞ্জের নলতা হাসপাতাল মোড় এলাকা থেকে বিক্ষোভ মিছিলটি শুরু হয়ে সানি মার্কেটের সামনে প্রতিবাদ সমাবেশের মাধ্যমে শেষ হয়।
শহিদুল আলমের কর্মী-সমর্থকরা পরে মঙ্গলবার অর্ধদিবস অর্ধ-দিবস হরতাল ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন তার কর্মী-সমর্থকরা। এ দিন তারা হাসপাতাল মোড়ে সড়ক অবরোধ করে মিছিল ও সমাবেশ করেন। ঘণ্টাব্যাপী কর্মসূচিতে সাতক্ষীরা-মুন্সীগঞ্জ সড়কে যানজট তৈরি হয়।
কুষ্টিয়া-৩ তথা সদর আসনে মনোনয়নবঞ্চিত হয়েছেন বিএনপির স্থানীয় সরকারবিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন। এর প্রতিবাদে তার সমর্থকরা রাস্তায় টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ ও বিক্ষোভ করেছেন।

সোমবার রাতে শহরের মজমপুর গেটে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ মহাসড়কে অবস্থান নেন তারা। এ ছাড়াও সদর উপজেলার মধুপুর-লক্ষীপুর এলাকাতেও আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করা হয়। এ আসন থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন জেলা বিএনপির সদস্য সচিব মোহাম্মদ জাকির হোসেন সরকার।
মেহেরপুর-২ আসনের জন্য দলের ঘোষণা করা প্রার্থী আমজাদ হোসেনকে এলাকায় ‘অবাঞ্ছিত’ ঘোষণা করে বিক্ষোভ করেন জেলা বিএনপির সভাপতি জাভেদ মাসুদ মিল্টনের সমর্থকরা। তারা টায়ার জ্বালিয়ে মেহেরপুর-কুষ্টিয়া সড়কে অবরোধ করেন।
মঙ্গলবার সকালেও সড়ক অবরোধ, সংঘর্ষ ও ভাঙচুর অব্যাহত ছিল কুষ্টিয়ার এ আসনে। শহরের বেশ কিছু হোটেল ও দোকান ভাঙচুর করা হয়। আমজাদ হোসেনের কার্যালয় ভাঙচুর করেন মিল্টনের সমর্থকরা, পালটা হামলা হয় মিল্টনের কার্যালয়েও। সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষে এলাকায় থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে।
ফরিদগঞ্জে বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা হারুনুর রশীদকে দলীয় মনোনয়ন দেওয়ায় এবং উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এম এ হান্নানকে মনোনয়ন না দেওয়ায় ক্ষুব্ধ নেতাকর্মীরা সোমবার গভীর রাত পর্যন্ত সড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন।

মঙ্গলবার সকাল থেকে পুনরায় সড়ক অবরোধ শুরু হয়। উপজেলার ১৫টি ইউনিয়ন থেকে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে নেতাকর্মীরা ফরিদগঞ্জ পৌর বাসস্ট্যান্ড এলাকায় জড়ো হয়ে মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবি জানান।
যে ৬৩ আসনে বিএনপি প্রার্থী ঘোষণা করেনি তার একটি টাঙ্গাইল-৫। আসনটি বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের সঙ্গী দলগুলোর জন্য উন্মুক্ত রাখা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে এ আসনে বিএনপির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির প্রচার সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকুর পক্ষে মনোনয়নের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছেন দলীয় নেতাকর্মীরা।
মঙ্গলবার বিকেলেও টাঙ্গাইল পৌর উদ্যান থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। মিছিলটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে প্রেসক্লাবের সামনে গিয়ে শেষ হয়।
ঘাটাইল তথা টাঙ্গাইল-৩ আসনে এস এম ওবায়দুল হক নাসিরকে মনোনয়ন দেওয়ায় সাবেক প্রতিমন্ত্রী লুৎফর রহমান খান আজাদের সমর্থকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।

স্থানীয় নেতাকর্মীদের একাংশের দাবি, নাসির ঘাটাইলের স্থায়ী বাসিন্দা নন। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার দুপুরে টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে টাঙ্গাইল-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে রাখা হয়, ফলে মহাসড়কে যানজট তৈরি হয়।
ময়মনসিংহ-৩ তথা গৌরীপুরে প্রকৌশলী এম ইকবাল হোসাইনের নাম ঘোষণার পরপরই মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভ করেছেন মনোনয়নবঞ্চিত তায়েবুর রহমান হিরণের সমর্থকরা।
শহরের উত্তর বাজার থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের হয়ে পাটবাজারস্থ দলীয় কার্যালয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। বিক্ষোভকারীরা ঘোষণা দেন, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মনোনয়ন পরিবর্তন করা না হলে সড়ক ও রেলপথ অবরোধসহ বৃহত্তর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।
মাগুরা-২ আসনে প্রার্থী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর নাম ঘোষণা করেছে বিএনপি। এর প্রতিবাদে আরেক মনোনয়নপ্রত্যাশী ঢাকা দক্ষিণ যুবদলের সদস্য সচিব রবিউল ইসলাম নয়নের সমর্থকরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করেন।
এ সময় নিতাই রায় চৌধুরীর সমর্থকদের সঙ্গে তাদের বাগ্বিতণ্ডা শুরু হলে একপর্যায়ে দুপক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। পরে পুলিশ এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
নাটোর-১ আসনে ফারজানা শারমিনের (পুতুল) নাম প্রার্থী হিসেবে ঘোষণার পর পরই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। এর প্রতিবাদে তার ভাই ইয়াসির আরশাদের সমর্থকেরা মহাসড়কে আগুন জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেছেন। এ সময় বোনের সমর্থকদের বিরুদ্ধে হামলার অভিযোগও ওঠে। হামলায় জিল্লুর রহমান নামে এক কর্মী আহত হন।
আহত জিল্লুলের রক্তাক্ত ছবি ছড়িয়ে পড়লে রাত ১০টার দিকে কদিমচিলান এলাকায় নাটোর-পাবনা মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ শুরু হয়। পরে পুলিশ গিয়ে আগুন নিভিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে।
পুতুল-আরশাদের বাবা প্রয়াত ফজলুর রহমান পটল এই আসনে চারবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছিলেন।
কুমিল্লা সদর তথা কুমিল্লা-৬ আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন আমিনুর রশিদ ইয়াসিন। কিন্তু এ আসনে মনোনয়ন পান বিএনপি চেয়ারপারসনের আরেক উপদেষ্টা মনিরুল হক চৌধুরী। এর প্রতিবাদে সোমবার রাত ১১টার দিকে কুমিল্লার আলেখার চর এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে বিক্ষোভে নামেন ইয়াসিনের সমর্থকরা।
বিক্ষোভকারীরা মহাসড়কের দুই লেনেই টায়ারে আগুন জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেন। এ সময় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের বিরুদ্ধেও স্লোগান দিতে শোনা যায়।
নওগাঁ-৪ (মান্দা) আসনে ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে বিএনপির প্রার্থী ঘোষণার বিরোধিতা করে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে ওই আসনে বিএনপির আরেক নেতা এম এ মতিনের সমর্থকরা। মঙ্গলবার বিকেলে নওগাঁ-রাজশাহী মহাসড়কের ফেরিঘাট এলাকায় এ কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হয়।

বিক্ষোভকারীদের অভিযোগ, তৃণমূলের মতামত উপেক্ষা করে ডা. ইকরামুল বারী টিপুকে প্রার্থী ঘোষণা করা হয়েছে, যা তৃণমূল বিএনপির কাছে গ্রহণযোগ্য নয়। অবিলম্বে এ সিদ্ধান্ত বাতিল করে এম এ মতিনকে প্রার্থী করা না হলে কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।
বিএনপির পরিচিতমুখদের মধ্যে প্রার্থীর তালিকায় স্থান পাননি রুমিন ফারহানা, যিনি সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। একটি টেলিভিশন চ্যানেলের আলোচনায় যোগ দিয়ে তিনি বলেন, দল যে সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটিই চূড়ান্ত। তবে দীর্ঘদিন ধরে যেসব নেতা রাজনীতি করছেন, অনেক ত্যাগ স্বীকার করেছেন, তাদের কর্মী-অনুসারীদের হতাশ হওয়াটা অস্বাভাবিক নয়। তাই বলে অবরোধ-আগুন দিয়ে জনগণের জন্য ভোগান্তি তৈরি করা গ্রহণযোগ্য নয়।
রুমিন ফারহানা বলেন, মনোনয়নবঞ্চিত প্রায় সব নেতাই জানিয়েছেন, দলের সিদ্ধান্ত মেনে নির্বাচনের জন্য কাজ করবেন তারা। আশা করি তাদের কর্মী-সমর্থকরাও শান্ত হয়ে আসবেন।

ফেসবুকে নিজের আইডিতে এক পোস্টে নয়ন লেখেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান সাহেবের নির্দেশনা, মাগুরা-২ সংসদীয় আসনে বিএনপির সব পর্যায়ের নেতৃবৃন্দকে সব ধরনের সংঘাত এড়িয়ে চলার জন্য আহ্বান জানাচ্ছি। কেউ বিশৃঙ্খলা করে ধানের শীষের ক্ষতি করবেন না, ধানের শীষ আমাদের অস্তিত্ব।
৬ ঘণ্টা আগে
নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী বলেন, ‘বিএনপির বর্তমানে যে ইকোনমিক পলিসি তা দিয়ে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উত্তরণ সম্ভব নয়। বিএনপি যদি জোর-জবরদস্তি করে ড. ইউনূসের সঙ্গে ডিল করে, লন্ডনে ডিল করেছিল, নতুনভাবে সেই ডিল নবায়ন করে যদি ক্ষমতায় যায় তাহলে এনসিপির হাতে তাদের পতন হবে।’
৬ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রসঙ্গ টেনে মির্জা ফখরুল লিখেছেন, ‘এই নির্বাচন আমার শেষ নির্বাচন। যারা মনোনয়ন পাননি, বিশ্বাস রাখুন। ইনশাআল্লাহ দল আপনাদের যথাযথ দায়িত্ব ও সম্মান দেবে।’
৭ ঘণ্টা আগে
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনিবার্য কারণে ঘোষিত মাদারীপুর-১ (শিবচর উপজেলা) আসন ও দলীয় মনোনয়নপ্রাপ্ত ব্যক্তির নাম স্থগিত রাখা হলো।
৯ ঘণ্টা আগে