হার্ডলাইনে থেকেও বেকায়দায় বিএনপি!

শাহরিয়ার শরীফ
প্রকাশ: ১৩ জুলাই ২০২৫, ১১: ৫৬

টানা তিন মেয়াদে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় থাকার সময় রাজনৈতিকভাবে পুরোপুরি কোণঠাসা ছিল বিএনপি। হামলা-মামলা, গ্রেপ্তারের ঘানি টানতে হয়েছে দলটির নেতাকর্মীদের। গত জুলাই-আগস্টের অভ্যূত্থানে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকারের পতনের পর স্বস্তিতে থাকা বিএনপি আবারও চাপের মধ্যে পড়েছে। অন্যায়-অপরাধে জড়ানো নেতাকর্মীদের কারণে রীতিমতো বেকায়দায় পড়েছে দলটির হাইকমান্ড। নিজেদের মধ্যে কোন্দলে প্রাণহানির ঘটনাও ঘটছে।

এসব কারণে মাঠে সক্রিয় বেশির ভাগ রাজনৈতিক দল বিএনপির বিরুদ্ধে নানা কর্মসূচি নিয়ে মাঠে নেমেছে, যেখানে পতিত সরকারের থেকে বিএনপিকেও শিক্ষা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দেয়া হচ্ছে।

সবশেষ পুরান ঢাকায় ভাঙারি ব্যবসায়ী সোহাগ হত্যার ঘটনা দেশ জুড়ে তোলপাড় ফেলে দিয়েছে। প্রকাশ্যে নৃশংসভাবে তাকে হত্যার ঘটনায় পুরো দায় বিএনপির ঘাড়ে দিচ্ছেন এই ইস্যুতে মাঠে নামা রাজনৈতিক দলগুলোর নেতাকর্মীরা। অবশ্য ঘটনা সামনে আসার পর যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের বহিষ্কার করা হয়েছে। বিএনপির পক্ষ থেকে দ্রুত জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করা হয়েছে।

শেখ হাসিনার পতনের পর থেকে এখন পর্যন্ত চাঁদাবাজি বা অন্যায়-অনিয়মে না জড়াতে নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে বারবার কঠোর বার্তা দেওয়া হয়েছে বিএনপির পক্ষ থেকে। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে এ পর্যন্ত চার হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও অপরাধে জড়ানো নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। প্রশ্ন উঠেছে— এত বহিষ্কার, কড়া বার্তার পরও কেন নিয়ন্ত্রণ করা যাচ্ছে না বিএনপি নেতাকর্মীদের?

অভিযোগ উঠেছে, দখল, টেন্ডার, চাঁদাবাজির নিয়ন্ত্রণকে কেন্দ্র করেই মূলত নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে মারা যাচ্ছেন নিজ দলের নেতাকর্মীরা। চাঁদাবাজির ঘটনায় অনেক জায়গায় মামলায় গ্রেপ্তার হচ্ছেন অনেকে। নিজ এলাকায় আধিপত্য বিস্তার, পদ-পদবি পাওয়া নিয়ে দ্বন্দ্ব অনেক জায়গায় চরম পর্যায়ে পৌঁছেছে। এতদিন পরিস্থিতি সামাল দিতে পারলেও সোহাগ হত্যা পর পরিস্থিতি সামাল দিতে বিএনপিকে বেগ পেতে হবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জয়নুল আবদিন ফারুক রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘বিএনপি বড় দল, অনেক সুযোগসন্ধানী এখন দলে ঢোকার চেষ্টা করছে। দলের পক্ষ থেকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। কেউ এদের দলে নিলে তার বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।অপরাধে জড়ানোর অভিযোগ পেলে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এরপরও কিছু ঘটনা যে ঘটছে না, তা অস্বীকার করার সুযোগ নেই।’

বিএনপি কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগ নেতাদের উপস্থিতি

খোদ নেতাকর্মীদের অভিযোগ, ব্যক্তিগত সুবিধার জন্য অনেক জায়গায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের পুনর্বাসন, ত্যাগীদের বাদ দিয়ে ৫ আগস্টের পর সামনে আসা কর্মীদের কোনো কোনো বিএনপি নেতা কাছে টানছেন। আওয়ামী লীগের শাসনামলে মামলা-গ্রেপ্তারের মুখে পড়তে হয়নি— এমন লোকজনকে কাছে টানার খেসারত দিতে হচ্ছে। বিশেষ করে তৃনমূলে এই ঘটনা বেশি ঘটছে।

সম্প্রতি অনুষ্ঠিত পটুয়াখালী জেলা বিএনপির সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সক্রিয় দুজন নেতার দেখা মিলেছে। একজনকে সম্মেলনের ভেনু থেকে ধাওয়া দিয়ে বের করে দেওয়া হয়। আরেকজনকে বিএনপির সম্মেলনের কার্ড গলায় ঝুলিয়ে সমাবেশে অবস্থান করার ঘটনায় স্থানীয় নেতারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।

বিএনপির কর্মসূচিতে আওয়ামী লীগের কম পরিচিত লোকজনের উপস্থিতির এমন দৃশ্য মাঝেমধ্যেই সামনে আসছে।

শাব্বীর নূর নামে একজন পটুয়াখালীর বিএনপির সক্রিয় কর্মী এমন ছবি পোস্ট করে ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চিহ্নিত আওয়ামী লীগ নেতারা কীভাবে সমাবেশে আসে? কারা তাদের দাওয়াত দিয়েছে? এদের শায়েস্তা করতে হবে। প্রয়োজনে এদেরও বিএনপি থেকে বের করে দিতে হবে।’

এদিকে সোহাগ হত্যার ঘটনা সামনে আসার পর দলের ভেতর থেকে চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠলে সংশ্লিষ্ট কমিটির শীর্ষ নেতাদেরও বাদ দেওয়ার দাবি উঠছে।

ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় সহসভাপতি মামুন খান আলোচিত সোহাগ হত্যার ঘটনায় যুবদল ঢাকা দক্ষিণের কমিটি ভেঙে দেওয়ার দাবি জানিয়ে রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘২৪ ঘণ্টার মধ্যে অপরাধীদের কমিটি ভেঙে না দিলে আমরা গুলশানের চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয় অভিমুখে মার্চ করব। জানি এই বক্তব্যের পর নিজেও খুনের স্বীকার হতে পারি। তবে আফসোস ন্নেই, মরে গেছি বহু আগে। গুম ও ক্রসফায়ার থেকে আল্লাহ নিজে ফিরিয়েছেন। তবুও বলব, সবার আগে বাংলাদেশ।’

আওয়ামী লীগের লোকদের দলে নেওয়ার অভিযোগ নিয়ে জানতে চাইলে ঢাকা মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক রাজনীতি ডটকমকে বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার— আওয়ামী লীগের কর্মী, চাঁদাবাজদের দলে নেওয়া যাবে না। বিএনপি কখনো অন্যায়, চাঁদাবাজি, বিশৃঙ্খলা বা দখলদারিত্বকে প্রশ্রয় দেয় না। কারও বিরুদ্ধে এমন অভিযোগ এলে আইনি ও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এটা চলমান থাকবে।’

অন্তর্কোন্দলে ঘটছে প্রাণহানি

মানবাধিকার সংগঠন হিউম্যান রাইটস সাপোর্ট সোসাইটির (এইচআরএসএস) ষান্মাসিক মানবাধিকার পর্যবেক্ষণ প্রতিবেদনে রাজনৈতিক সহিংসতায় ঘটনা, আহত ও প্রাণহানির তথ্য উঠে এসেছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত ছয় মাসে (এ বছরের জানুয়ারি থেকে জুন) কমপক্ষে ৫২৯টি ‘রাজনৈতিক সহিংসতার’ ঘটনায় অন্তত ৭৯ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত চার হাজার ১২৪ জন।

রাজনৈতিক সহিংসতার মোট ঘটনার মধ্যে বিএনপির অন্তর্কোন্দলের ঘটনা ৩০২টি। এতে নিহত হয়েছেন ৪৬ জন, আহত হয়েছেন কমপক্ষে দুই হাজার ৮৩৪ জন।

অন্যদিকে বিএনপি ও কার্যক্রম নিষিদ্ধঘোষিত আওয়ামী লীগের মধ্যে ১০১টি সংঘর্ষে ১৬ জন নিহত ও ৫০২ জন আহত হয়েছেন। বিএনপি প জামায়াতের নেতাকর্মীদের মধ্যে ২৬টি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও আহত হয়েছেন ২১৬ জন। এ ছাড়া বিএনপি-এনসিপির ১১টি সংঘর্ষে আহত হন ৭৯ জন।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আধিপত্য বিস্তার, রাজনৈতিক প্রতিশোধপরায়ণতা, কমিটি গঠন নিয়ে বিরোধ, চাঁদাবাজি ও বিভিন্ন স্থাপনার দখল ঘিরে অধিকাংশ সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।

ভারী হচ্ছে বহিষ্কারের পাল্লা

বিএনপির দপ্তরের বাইরেও অন্যায়-অপকর্মে জড়ানো নেতাকর্মীদের বিষয়ে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সার্বক্ষণিক খোঁজখবর রাখছেন। কোথাও কোনো ধরনের শৃঙ্খলা পরিপন্থি ঘটনা ঘটলে দ্রুতই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দিচ্ছেন তিনি।

বিএনপির দপ্তর সূত্রে জানা গেছে, নানা ধরনের অপরাধ ও শৃঙ্খলা পরিপন্থি কাজে জড়িত হওয়ার দায়ে এখন পর্যন্ত চার হাজারের বেশি নেতাকর্মীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এসব অপরাধীদের যারা প্রশ্রয় দিচ্ছেন, তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে বলে জানাচ্ছেন বিএনপি নেতারা।

অন্যদিকে আওয়ামী লীগের পতনের পর এখন পর্যন্ত সারা দেশে নানা অপরাধে ছাত্রদলের ৩২৯ জনকে বহিষ্কার ও ৫৪১ জন নেতাকর্মীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে। স্বেচ্ছাসেবক দল বহিষ্কার করেছে কমপক্ষে ১০০ জনকে। কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে ১৫০ জনকে। পদ স্থগিত হয়েছে ১০০ জনের। যুবদল থেকেও বহিষ্কার হয়েছেন দেড় শতাধিক নেতাকর্মী। শোকজ করা হয়েছে ৫৬ জনকে। আর পদ স্থগিত হয়েছে পাঁচজনের।

জানতে চাইলে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান রাজনীতি ডটকমকে বলেন, 'বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজিসহ বিভিন্ন অপরাধে যুক্ত থাকার অভিযোগ দীর্ঘদিনের। তারা হাজার হাজার নেতাকর্মীকে বহিষ্কারও করছে। কিন্তু তারপরও কাজ হচ্ছে না। তাই এই বিষয়টিকে তাদের সিরিয়াসলি নিতে হবে। যেদিন থানা থেকে অপরাধীদের ছাড়িয়ে নিয়েছিল নেতাকর্মীরা, সেদিনই বিএনপির একটি মনিটরিং টিম গঠন করা উচিত ছিল এটা দেখার জন্য যে এদের সরকার ধরছে কি না।'

‘ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি’

সোহাগ হত্যার ঘটনা ঘিরে জামায়াতসহ রাজনৈতিক দলগুলো দেশ জুড়ে যে প্রতিবাদ শুরু করেছে, এর পেছনে নির্বাচন পেছানোর ষড়যন্ত্র দেখছে বিএনপি। এসব কর্মসূচি থেকে বিএনপিকে নিয়ে আপত্তিকর স্লোগান দেওয়ার অভিযোগও তুলেছেন তারা। এসব তৎপরতার নেপথ্যে সরকারেরও হাত আছে— এমন ধারণা অনেক বিএনপি নেতার।

গত মঙ্গলবার সংবাদ সম্মেলন করে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, ‘বিএনপির নাম ভাঙিয়ে যারা অপকর্মে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে তাৎক্ষণিকভাবে দল থেকে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। কিন্তু এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ঢিলেঢালা ভূমিকা রহস্যজনক। দলের পক্ষ থেকে বারবার অপরাধী ও বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নিতে বলা হলেও প্রশাসন নির্বিকার।’

এদিকে শনিবার বিকেলে ‘জুলাই অভ্যুত্থানের দিবস’ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেন, ‘ষড়যন্ত্র শেষ হয়নি। ষড়যন্ত্র কিন্তু আবারও শুরু হচ্ছে, আরও জোরেশোরে শুরু হচ্ছে। বিবেকবান মানুষ বলছেন, নতুন করে ষড়যন্ত্র শুরু হয়েছে। সবাইকে চোখ-কান খোলা রাখতে হবে।’

সোহাগ হত্যার ঘটনার প্রসঙ্গে রাজনৈতিক বিশ্লেষক ডা. জাহেদ উর রহমান বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্লিপ্ততার কারণে এসব ঘটনা ঘটছে। তবে বিএনপির উচিত ছিল ঘটনা ফলাও হওয়ার আগেই জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া। সেটা তারা পারেনি।

তবে সোহাগ হত্যার পর যেভাবে বিএনপিবিরোধী তৎপরতা শুরু হয়েছে, সেটিকেও সন্দেহের চোখে দেখছেন ডা. জাহেদ। রাজনীতি ডটকমকে তিনি বলেন, ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে যেভাবে কথা উঠছে যে বিএনপিকে ভ্যানিশ করে দাও, এটাও অন্যায়। এটা দেখে মনে হতেই পারে, সুযোগসন্ধানী কেউ কেউ বসেই ছিল কখন এমন ঘটনা ঘটবে আর বিএনপির বিরুদ্ধে মাঠে নামবে। তাই এমন পরিস্থিতিতে বিএনপিকে সর্বোচ্চ সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সরকারে না থাকলেও বড় দল হিসেবে তাদের দায়িত্ব অনেক।

ad
ad

রাজনীতি থেকে আরও পড়ুন

কলমাকান্দা বিএনপির সভাপতি খায়ের, সম্পাদক সাইদুর

দীর্ঘ ১১ বছর পর নেত্রকোণার কলমাকান্দা উপজেলা বিএনপির দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

৭ ঘণ্টা আগে

অতি দ্রুত প্রকৃত অপরাধীদের শাস্তির ব্যবস্থা করুন : মির্জা ফখরুল

বিএনপি অন্যায়কে সমর্থন করে না উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘আপনারা যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন, আর কিছুদিন অপেক্ষা করুন গণতন্ত্রের জন্য। সবাইকে বিরত রাখুন, কেউ যেন অন্যায় কাজ করতে না পারে। বিএনপি আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা অতীতেও করেছে এবং এবারও করবে।’

২১ ঘণ্টা আগে

সরকার কেন অন্যায়কারীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না— প্রশ্ন তারেক রহমানের

তিনি প্রশ্ন তুলে বলেন, রাজধানীর মিটফোর্ড হাসপাতালের সামনে ব্যবসায়ীকে প্রকাশ্যে পিটিয়ে হত্যার ঘটনার ভিডিও ফুটেজে হামলাকারীদের স্পষ্টভাবে দেখা গেলো। কিন্তু এখনও তাদের গ্রেপ্তার করা হয়নি। এটা কি সরকারের নীরব সমর্থন অথবা অন্তর্বর্তী সরকারের পরোক্ষ প্রশ্রয়ের ইঙ্গিত? তাহলে কি ধরে নেওয়া উচিত, যারা দেশে গণপ

২১ ঘণ্টা আগে

‘আমরা চেয়েছি সংস্কার-বিচার, তারা পুরোনো বন্দোবস্ত টিকিয়ে রাখতে চায়’

তিনি বলেন, ‘তারা ভেবেছিল ২-৩টি আসন দিয়ে বা ক্ষমতার ভাগ-বাটোয়ারার লোভ দেখিয়ে তারা আন্দোলনের শক্তিকে ছিনিয়ে নেবে। কিন্তু যারা বিপ্লবের শক্তি, তারা মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছে। তাদের কেনার সাধ্য বাংলাদেশের কোনো রাজনৈতিক দলের নেই।’

১ দিন আগে